SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

মিটফোর্ডের ক্যাজুয়েলটি বিভাগে প্রথম জটিল অস্ত্রোপচার

Posted by methun

প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাজুয়েলটি বিভাগে প্রথমবারের মতো মস্তিষ্কে রক্তজমাট রোগীর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মো. সাত্তার (৩০) নামে নরসিংদীর এক রিকশাচালকের এ অস্ত্রোপচার হয়।

১৯৮৫ সালে ক্যাজুয়েলটি বিভাগটি চালু হলেও এ বিভাগে এ পর্যন্ত মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধা রোগীর অস্ত্রোপচার হয়নি।

বিভাগটির প্রধান অধ্যাপক মাহবুব হাসান মেহেদী বলেন, "একজন এনেসথিয়েটিস্টের অভাবে রোগীকে সম্পূর্ণ অচেতন করা যেত না বলে এতোদিন এ জটিল রোগের অস্ত্রপচার করা সম্ভব হয়নি।"

"এ মাস থেকে আমরা একজন এনেসথিয়েটিস্ট পেয়েছি। তাই রোগীকে অচেতন করে বিভিন্ন জটিল অপারেশন করা যাচ্ছে। তবে মস্তিষ্কে রক্ত জমাটের ক্ষেত্রে এটিই মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রথম।"

রোগী সাত্তারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, "২১ অক্টোবর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের লাঠির আঘাতে মাথায় আঘাত পেয়েছিলো সাত্তার।"

অধ্যাপক মাহবুব বলেন, "ওই আঘাতের ফলে সাত্তারের মস্তিষ্কে রক্ত জমা বেঁধে ডান হাত ও ডান পায়ে নিস্তেজ হয়ে যায়।"

এই অস্ত্রোপচার অন্য হাসপাতালে করতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালে কিছু ওষুধ কেনা ছাড়া আর কোনো টাকা-পয়সা লাগে না।"

এখন থেকে নিয়মিত এ অস্ত্রপচার করা হবে বলেও তিনি জানান।

দুই ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারে ছিলেন ওই বিভাগের রেজিস্ট্রার মোখলেছুর রহমান মুকুল, চিকিৎসক মোস্তফা কামাল, চিকিৎসক আশরাফুননেছা ও এনেসথিয়েটিস্ট ওবাইদুল্লাহ।

হাসপাতাল উপ-পরিচালক আবুল হাসেম খান বলেন, "আমরা দিন দিন চেষ্টা করছি সব ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এ হাসপাতালে করতে। এতে গরির রোগীদের ভীষণ উপকার হবে।"

ইভিএমে সন্তুষ্ট ভোটাররা

Posted by methun

প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা।

নারায়ণগঞ্জে রোববার ২৭ ওয়ার্ডের ৯টির ৫৮টি কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এসব ওয়ার্ডের ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন।

নারায়ণগঞ্জের আগে গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একটি ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও বড় পরিসরে এ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশে এই প্রথম।

ইভিএম প্রযুক্তিতে সহজে ও কম সময়ে ভোট দেওয়া যায় বলে আগামীর সব নির্বাচন এ পদ্ধতিতেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্যণীয়।

শীতলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে জমির উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "টিপ দিয়েই ভোট শেষ। সময়ও কম লাগে। বেশ লাগলো।"

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামও এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ভোটারদের ইতিবাচক মানসিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, "প্রতিটি বুথের সামনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। যে কেউ এসে ভোটের আগে তা দেখেই ভোট দিতে পারছে। ঝামেলার অবকাশ নেই।"

শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিয়ে দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা আসমা আক্তার বলেন, " আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব কম সময়ে ভোট দেওয়া যায়।"

নতুন এ পদ্ধতিতে ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ভোটার।

ইভিএমে এক মিনিটের মধ্যে ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি ব্যবসায়ী সুজন। আগামি সব নির্বাচনে এ পদ্ধতিতেই ভোট নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

একই কেন্দ্রের ভোটার সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আগে কখনো এই মেশিন না দেখলেও ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি।"

নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা লোকজন সহায়তা করছেন বলে জানান তিনি।

ইভিএম ব্যবহারে ভোটারদের কীভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে শিশুবাগ স্কুলের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুরহু  বলেন, "আমরা তাদের বলছি পছন্দের প্রতীকের পাশের বোতামে টিপ দেবেন। এতেই তারা (ভোটার) বুঝে যাচ্ছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার দরকার হচ্ছে না।"

ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ইভিএম প্রযুক্তিতে ভোটারদের সাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "ওই কেন্দ্রগুলোয় কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। এজেন্টদের সন্তোষের মধ্য দিয়েই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ নিয়ে কারো সন্দেহেরও অবকাশ নেই।"

সকালে তিন থানার নয়টি ওয়ার্ডের সব কয়টি কেন্দ্রে ইভিএমের যান্ত্রিক অবস্থার খোঁজ নেন এ প্রযুক্তির কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বুয়েটের আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক লুৎফুল কবির।

তিনি  বলেন, প্রথমবার এ প্রযুক্তিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে কিছু কেন্দ্রে ভোট শুরু করতে একটু দেরি হয়েছে। কয়েকটি যন্ত্রে ব্যালট ইউনিট নিয়ে ঝামেলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ঠিক করা গেছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত ইভিএম রাখা ছিলো বলে জানান কবির।

তিনি বলেন, "এবারো এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সফল হবে ইসি। ভোটারদের উৎসাহও আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।"

সকালে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ'র এর কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন  বলেন, "এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। আমাদের কাছে ভালো মনে হচ্ছে।"

নির্বাচন কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে আরেক পর্যবেক্ষক কিবরিয়া বলেন, "নট ব্যাড।"

আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ইভিএম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান ভোটের আগ পর্যন্ত ইভিএমের পক্ষে কথা বললেও ভোটের দিন দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।

ইভিএমে আপত্তি জানিয়ে আসা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

শামীম 'চুপ'

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জে ভোট গণনায় পিছিয়ে থাকা ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান ফলাফলের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন না। বাড়ি থেকেও বের হচ্ছেন না তিনি।

রোববার দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে বিকালে শহরের জামতলায় নিজের বাড়িতে ঢোকেন শামীম। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হননি তিনি।

ওই সময় পর্যন্ত ১৬৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট। তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

রাতে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে বাড়ি থেকে জানানো হয়, তিনি এখন আর কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।

ভোটের সময় প্রার্থী হিসেবে শামীমের সঙ্গে থাকা পুলিশের দলটিকেও গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিকাল থেকে পুলিশের গাড়িটি ওই বাড়ির সামনেই ছিলো।

ওই দলের পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি (শামীম) আর বের হবেন না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।"

ভোটের সময় সর্বশেষ বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।

তিনি তখন অভিযোগ করেন, কারচুপি করে তাকে হারানো হচ্ছে। আর তাতে তার দলেরই কোনো অংশের সমর্থন রয়েছে।

"শামীমকে হারাতে ওয়ান-ইলেভেন, বিএনপি, জামায়াত সবাইকে এক হতে হয়। এখানে আইভীকে জেতাতে তাই হয়েছে। জামায়াত ফাইন্যান্স করছে, সে টাকা পেয়েছে পুলিশ," বলেন শামীম।

নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য চলছে দাবি করে তিনি বলেন, "এ সব বিষয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, দলের সমর্থন না থাকলে এ চুরি করতে পারতো না।"

সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী হওয়ার সমস্যা তুলে ধরে শামীম বলেন, "আমাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি না পারছি বলতে, না পারছি সইতে।"

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর ফলাফল মেনে নেবেন কি না- জানতে চাওয়া হলে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম বলেন, "বিলিভ মি (বিশ্বাস করুন), জয়-পরাজয় যাই হোক, আমি খুশি মনে মেনে নিতাম। কিন্তু এখন মানতে কষ্ট হবে।"

শামীমের দাবি, কালো টাকার কাছে পুলিশসহ সবাই 'আত্মসমর্পণ' করেছে।

দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পুলিশ কমপ্লিটলি বায়াজড, বায়াজড, বায়াজড।"

ভোটের চিত্র দেখে সকালে কোনো অভিযোগ না তুললেও দুপুর থেকে অনিয়মের কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।

দুপুর ১টার দিকে শহরের রাইফেলস ক্লাবে শামীম সাংবাদিকদের বলেন, "গত এক ঘণ্টায় ভোটের চিত্র উল্টে গেছে। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, পুলিশ ওপেন আইভীর পক্ষে ভোট চাচ্ছে।"

সকাল ৯টার দিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পক্ষে কথা বললেও দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।

এ নির্বাচনে মেয়র পদের ছয় প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী দোয়াত-কলম প্রতীকে লড়ছেন।

শামীমের অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন দুপুরের পর সাংবাদিকদের বলেন, "এগুলো প্রার্থীদের স্ট্যান্ড, এগুলো রিউমার।"

ইভিএম নিয়ে শামীমের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি'র পরিচালক, অধ্যাপক লুৎফুল কবির বলেন, "ইভিএমে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে যাওয়া অসম্ভব। সব কেন্দ্রেই ভালোভাবে ভোট হচ্ছে।"

আইভী প্রথম নারী মেয়র

Posted by methun

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত।

রোববারের নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১০১৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আইভী।

ঘোষিত ফলাফলে, ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রে আইভী পান ১৮০০৪৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮৭০৫ ভোট।

৩৭ বছর আগে আইভীর বাবা আলী আহম্মদ চুনকাও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়াই স্বাধীন বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

নারায়ণগঞ্জে জিয়া হলে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রোববার রাত ১২টা ৫১ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্বাস লুৎফর রহমান আইভীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে চার লক্ষাধিক ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২৮২৫৯৩ জন যা মোট ভোটের ৬৯ দশমিক নয় দুই শতাংশ। এর মধ্যে বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছে ২৭৬৩২৯টি ভোট।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৭৬১৬ ভোট।

পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার আগে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আইভী সাংবাদিকদের বলেন, তার এ জয় জনতার জয়।

পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার আগেই সব কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে আইভীর সমর্থকরা বলেন, সোয়া এক লাখ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আইভী। তার ফেইসবুক ফ্যানপেইজেও ভোট গণনার বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, ১৬৩ কেন্দ্রের ফলাফলে আইভী ১ লাখ ২৪ হাজার ভোটে জয়ী হন।

আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ফলাফল নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

জিয়া হলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফলাফল ঘোষণার সময় শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন, আইভীর পক্ষে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রার্থী আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী ও আতিকুল ইসলাম জীবন উপস্থিত ছিলেন।

সেনা মোতায়েন না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও নতুন এ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় শান্তিপূর্ণভাবে।

সেনা মোতায়েন না হওয়াসহ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে ভোটগ্রহণের মাত্র সাত ঘণ্টা আগে শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জন এবং নিজেদের প্রার্থীকে [তৈমুর আলম খন্দকার] নির্বাচন থেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেয় বিএনপি।

তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে তৈমুর প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ছিলেন ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা।

দেশে দ্বিতীয় বারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয় এ নির্বাচনে। ৯টি ওয়ার্ডের ৫৮টি কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ভোটের সময় কয়েকটি ইভিএমে জটিলতা দেখা দিলেও পরে তা ঠিক করা হয়।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ নির্বাচনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে ২০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্বাস লুৎফর রহমান জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট হাজারেরও বেশি সদস্য এই নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের চার হাজার, আনসার ও ভিডিপি সদস্য আড়াই হাজার, কোস্ট গার্ডের একশ এবং এক হাজার চারশ' র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

দেশি ১৮টি এবং বিদেশি আটটি পর্যবেক্ষক সংস্থার হাজার খানেক পর্যবেক্ষক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত আটশ'রও বেশি সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী।

তিন জন পেলেন ৯৯৬০ ভোট

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তেমন আলোচনায় না থাকা তিন মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন মোট ভোটের সাড়ে তিন শতাংশের বেশি।

৪০৪১৮৯ ভোটারের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৯ দশমিক নয় শতাংশ। এর মধ্যে বৈধ হিসেবে গণ্য হয় ২৭৬৩২৯টি ভোট।

বৈধ ভোটের তিন দশমিক ছয় শতাংশ পান তিন প্রার্থী। এরা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতা আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী এবং দুই নির্দলীয় প্রার্থী শরীফ মোহাম্মদ ও আতিকুল ইসলাম জীবন।

গরুর গাড়ি প্রতীকে আতিকুর পান ৬৬১২ ভোট, হাঁস প্রতীকে শরীফ ১৪৯৩ এবং তালা প্রতীকে আতিকুল পান ১৮৫৫ ভোট।

নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পান ১৮০০৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮৭০৫ ভোট।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৭৬১৬ ভোট।

গত ৫ মে নারায়ণগঞ্জকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া হবে: সিইসি

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন 'সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে' শেষ হওয়ায় স্থানীয় জনগণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতয়েন না করায় সরকারের সঙ্গে কমিশনের 'বোঝাপড়া' হবে।

রোববার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সেনাবাহিনী কেন দেওয়া হয়নি তা এখনো আমরা জানি না। তবে নির্বাচন শেষে আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবো।"

নির্বাচনের প্রার্থী ও স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় চার কোম্পানি সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দিলেও তা না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন দিনভর অনিশ্চয়তার পর রাতে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন হচ্ছে না।

হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "সাংবিধানিকভাবে তারা দিতে বাধ্য।....তাদের উচিত ছিলো, আমাদের সঙ্গে কথা বলা।"

সেনা মোতায়েন না হলেও নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে শামসুল হুদা সেদিন বলেন, এই পরিস্থিতিতে কমিশনের কাছে দুটি বিকল্প আছে- একটি হলো নির্বাচন স্থগিত করা, অন্যটি ঘাটতি পূরণ করে নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

সেই প্রসঙ্গ টেনে রোববার ভোটের পর সিইসি বলেন, "এখন প্রমাণ হয়েছে যে, আমাদের শুক্রবারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।"

রোববার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবেই বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। কোথাও বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়নি বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনরোধের দাবিতে মানববন্ধন

Posted by methun

সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনরোধের দাবিতে বরিশাল নগরীতে মানববন্ধন করেছে উজিরপুর উপজেলাবাসী।

শনিবার সকাল ১০টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে উজিরপুর সমিতি এ মানববন্ধন করে।

এ সময় বরিশাল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম চুন্নু, সালাউদ্দিন শিপু, শহিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

তারা বলেন, উজিরপুর-সাতলা দুই কিলোমিটার পাকা সড়কসহ তিনটি বিদ্যালয়, দুইটি মসজিদসহ কয়েকশ' বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

উজিরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটিসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১টি মাদ্রাসা, সাতটি কলেজ, তিনটি ব্যাংক, পাঁচটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে।

ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার দাবি জানান তারা।

চাঁদ দেখা গেছে, ৭ নভেম্বর ঈদ

Posted by methun

দেশের বিভিন্ন স্থানে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ৭ নভেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে ঈদুল আজহার দিনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগেই কয়েকটি স্থান থেকে চাঁদ দেখার খবর আসে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়ার অনুপস্থিতিতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক একরামুল হক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

হজ ব্যবস্থাপনার তদারকিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরব রয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।

কারচুপির আশঙ্কা আইভীর

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপির পরোক্ষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

ভোট শুরুর ১৫ ঘণ্টা আগে শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, "একজন প্রার্থীর মধ্যে ছিনতাইয়ের ট্র্যাডিশন আছে। তিনি ভোট ও ব্যালট বাক্স চুরি করেছেন।"

সাবেক পৌর মেয়র আইভী বলেন, "৮৬'র নির্বাচনে ওই প্রার্থী তার ভাইয়ের পক্ষে লাঙল মার্কায় ভোট চেয়েছেন। ওই সময় তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেননি।"

তিনি বলেন, "নির্বাচনে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করার পরও শামীম ওসমান কীভাবে দাবি করেন জঙ্গি হামলা হতে পারে। আসলে তিনি নারায়ণগঞ্জকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন।"

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে পারে বলে তার কাছে খবর রয়েছে- গত বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছিলন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান।

এ প্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো জঙ্গি নেই। সেনা মোতায়েন না হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

শামিম ওসমানের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, শামীম ওসমানের ওই কথা 'ভুয়া' হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী শনিবার বলেন, "তবে নির্বাচনের দিন কোনো গোলযোগ হলে ইসিকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ইসির।"

নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন আইভী।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে সেনা থাকছে না বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে পরিস্থিতি অবনতি হলে এর দায় নির্বাচন কমিশন নেবে না।

নির্বাচনে ৩১২ প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫০ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে আইভী, দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে শামীম ওসমান, আনারস প্রতীক নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার, গরুর গাড়ি প্রতীক নিয়ে আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, হাঁস প্রতীকে শরীফ মোহাম্মদ ও তালা প্রতীকে আতিকুল ইসলাম জীবন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শামীম ওসমানের পক্ষে তার দুই ভাই একেএম নাসিম ওসমান ও তার ভাই সেলিম ওসমান শুক্রবার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন- এ কথা উল্লেখ করে ভোটের দিন তাদের প্রচার ও 'প্রভাব খাটানো' থামানোয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে শনিবার চিঠি দিয়েছেন আইভী।

নাসিম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এবং সেলিম নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এবং নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি।

সেনাবাহিনীর বদলে ১৪ শ' র‌্যাব

Posted by methun

সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অতিরিক্ত ৭০০ সহ মোট ১৪ শ' র‌্যাব সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকছে।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে র‌্যাব-১১ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, "আজ নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী এলাকায় এক হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কাল (রোববার) ভোটের দিন আরো চারশ' র‌্যাব সদস্য দায়িত্বে থাকবে।"

রির্টানিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাবের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা জানান, সেনা মোতায়েন না হওয়ায় শুক্রবার বলা হয়েছিল, নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাব সদস্যের সংখ্যা একশ বাড়িয়ে মোট সাতশ করা হবে। তবে শনিবার এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত হয়।

রোববার ভোট সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জে চার কোম্পানি (চার শতাধিক) সেনা মোতায়েনের কথা থাকলেও তা হয়নি। এ নিয়ে দিনভর অনিশ্চিয়তা চলার পর সন্ধ্যায় নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সিইসি শামসুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সরকার সাংবিধানিকভাবে সেনা দিতে বাধ্য। তারপরও সময়মতো সেনা মোতায়েন হয়নি।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান এ নিয়ে আপত্তি না তুললেও তার দুই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপি সমর্থিত তৈমুর আলম খন্দকার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নির্বাচন কমিশন বলছে, সেনা সদস্যদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।

সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরে মোস্তফা কামাল ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, "নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। কাজেই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।"

র‌্যাব নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এছাড়া সাদা পোশাকের র‌্যাব সদস্যরাও টহলে থাকবে।"

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন ২৭ জন নির্বাহী হাকিম। এছাড়া আরো নয় জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকছেন।

রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

মধ্যরাতে নাটকীয়তার পর না.গঞ্জে ভোট শুরু

Posted by methun

সেনা মোতায়েন না হওয়ায় মধ্যরাতে বিএনপির 'নির্বাচন বর্জনের' ঘোষণার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভোট শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।

এ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন  বলেন, রোববার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায় নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি রয়েছে।

সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে ভোট শুরুর মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে শনিবার মধ্যরাতে বিএনপি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় ভোটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে খানিকটা অনিশ্চয়তাও। তবে তারা বলছেন, যাই ঘটুক, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন তারা।

শনিবার রাত পৌনে ১টায় জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন বর্জনের কথা বলেন বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেন, "নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়নি। ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হযেছে। এ পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখছি।"

একই সঙ্গে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।

এর পরপরই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার জানান, নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তার নির্দেশে নির্বাচন 'বর্জন' করছেন তিনি।

এদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লে¬খ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্বাস লুৎফুর রহমান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবে, নিরাপদে ফিরবেন। এখানে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে" বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

র‌্যাব অনিয়ম ঠেকাতে প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রেও যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ছয় মেয়র প্রার্থী: এ নির্বাচনে মেয়র পদে দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াত আইভি, আনারস প্রতীক নিয়ে বিএনপি'র তৈমুর আলম খন্দকার, গরুর গাড়ি প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী এবং নির্দলীয় প্রার্থী শরীফ মোহাম্মদ হাঁস প্রতীক নিয়ে ও আতিকুল ইসলাম জীবন তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের কথা দলের পক্ষ থেকে বলা হলেও নির্বাচন থেকে প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ আর নেই বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।

"মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর কারো নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ঘোষণা দিলেও ব্যালটে তার প্রতীক থাকবে এবং তিনি প্রার্থী হিসেবে গণিত হবে।"

নবগঠিত এ সিটি করপোরেশনে চার লাখ চার হাজার একশ' ৮৯ জন ভোটার ছয় মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা এ নির্বাচনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নয়জন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োচিত রয়েছে।


নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধ পরিকর। অনিয়ম ঠেকাতে আমরা হার্ডলাইনে। যে কোনোভাবেই এ নির্বাচন ভালো করতে হবে।

যে কোনো অনিয়ম ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছহুল।

এ নির্বাচনের আট হাজারেরও বেশি আইন শৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন চার হাজার, আনসার ও ভিডিসি সদস্য আড়াই হাজার, র‌্যাব ১৪০০ রয়েছে। এয়াড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।

নির্বাচনী এলাকার ২৭টি ওয়োর্ডেও প্রতিটিতে একজন করে নির্বাহী হাকিম, নয় জন বিচারিক হাকিম, ২৭ জন ইসির পর্যবেক্ষক, ২৭টি ভ্রাম্যমান ভিডিও ক্যামেরা, ২০টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

লিখিতভাবে না জানিয়ে বের হওয়ার সুযোগ

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, কেন্দ্রে কোনো ধরনের বাহানা দেখিয়ে কোনো পোলিং এজেন্ট প্রিজাইডিং বা সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা না জানিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরোতে পারবে না। লিখিতভাবে তাদের জানাতে হবে।

ইসি মনিটরিং করবে পরিস্থিতি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বসে সিসিটিভি'র মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০টি ভোটকেন্দ্র মনিটরিং করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের ইতিহাসে এবারেই প্রথম এনসিসি নির্বাচনে ২০টি কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করছে ইসি। এসব কেন্দ্রের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহীদ জিয়া হলেও একটি মনিটরিং প্যানেল বসানো হয়েছে।

এ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পাঁচশ' মতো পর্যবেক্ষক রয়েছে।

নারয়ণগঞ্জে প্রথম

এ নির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রথমবারের মতো ২০টি কেন্দ্রে সিসিটিভ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, সবক'টি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব রেখে তিনটি থানায় এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বরে কন্দ্র, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বরে কন্দ্র, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বরে কন্দ্র, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৩ নম্বরে কন্দ্র, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৮ নম্বরে কন্দ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৯ নম্বর কেন্দ্র, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ নম্বরে কন্দ্র, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০ নম্বরে কন্দ্র, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭১ নম্বর কেন্দ্র, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৩ নম্বর কেন্দ্র, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮০ নম্বর কেন্দ্র, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেন্দ্র, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১৩ নম্বরে কন্দ্র, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১৯ নম্বর কেন্দ্র, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৭ নম্বর কেন্দ্র, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩৭ নম্বরে কন্দ্র, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪৫ নম্বরে কন্দ্র, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫৮ নম্বর কেন্দ্র এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬২ নম্বরে কন্দ্র।

এনসিসি নির্বাচনে প্রথম বারের মতো প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় তদারকিতে 'মনিটরিং কমিটি গঠন' করা হয়েছে। এ কমিটি প্রতি সাতদিন পর পর প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখছে।

সিটি করপোরেশনের তিনটি থানায় প্রার্থী ও ভোটারদের অভিযোগ যথাযথভাবে পুলিশ নিচ্ছে কিনা- তা সমন্বয় করতে ইসির তিনজন কর্মকর্তা লিয়াঁজো কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।

ইভিএম ৯ ওয়ার্ডে

দেশে দ্বিতীয় বারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।

নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে দৃঢ়, ফল ঘোষণা তাড়াতাড়ি করা, নির্বাচনোত্তর সহিংসতা কমানো, নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় কমানো ও প্রশাসনিক জটিলতা কমানোসহ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইভিএম'র উদ্যোগ নেয় ইসি।

২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডের (৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৪) মোট ৫৮ কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসব ওয়ার্ডের ভোটার রয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন।

এর আগে গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাত্র একটি ওয়ার্ডে (চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান রোড এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।) ইভিএম ব্যবহার হয়।

এ ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ৭৯টি ভাটকক্ষ একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এতে ভোটর ছিলেন ২৫ হাজার ২৩০ জন।

এক নজরে এনসিসি'র তথ্য

গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর ভোটের আগে ২ অক্টোবর মনোনয় দাখিলের শেষ দিন, প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১২ অক্টেবর।

এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব বিশ্বাস লুৎফুর রহমান ৯ জন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করছেন।

এ সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ২৭টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯টি। এ নির্বাচনী এলাকার ৪ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩ হাজার ৩৪৪ জন ও মহিলা ২ লাখ ৮৪৫ জন।

৩১২ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যে মেয়র পদে ৬ প্রার্থী , সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫০ প্রার্থী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটকেন্দ্র ১৬৩টি ও ভোটকক্ষ ১২১৭টি। এর বিপরীতে ১৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২১৭ সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন।

জলবায়ু তহবিল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

Posted by methun

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা বাড়াতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার পার্থের স্টেট রিসেপশন সেন্টারে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, "বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কম দায়ী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে ক্ষতিকর দেশগুলোর একটি।"

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বরসহ কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানরাও এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা ও কমনওয়েলথ নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

এদিন বিকালে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করেন।

নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: নেপাল যাচ্ছে তদন্ত দল

Posted by methun

নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিকের জন্ম দেওয়া বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত দলকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে এই তদন্ত দলের সদস্যরা ৩১ অক্টোবর নেপালে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি  জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন পরিচালকও রয়েছেন এই তদন্ত দলে।

অন্য দেশের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ, নারী কেলেঙ্কারি, ভিসা দিতে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, এমনকি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর মতো অভিযোগও রয়েছে নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, "এসব অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তদন্ত দল সবই খতিয়ে দেখবে।"

নিমচন্দ্রের এসব কেলেঙ্কারির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, নেপালের পররাষ্ট্র দপ্তর অনানুষ্ঠানিকভাবে নিমচন্দ্রকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পর পাঁচ মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।

গত জুলাই মাসে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন যে, নিমচন্দ্র ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তাদের হাতে এসেছে। এসব বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সে সময় জানান তিনি।

অবশ্য নিমচন্দ্র সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, কেউ কেউ তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিমচন্দ্র বর্তমান সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০৯ সালে নেপালের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দলের শিক্ষক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত সরকার আমলে টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেও নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ছাত্র বিক্ষোভের সময় তিন জন শিক্ষকের সঙ্গে তিনিও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

গাড়িতে ভারতের পতাকা তোলা

মে মাসে দেওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিমচন্দ্র ভৌমিকের কূটনৈতিক হিসেবে অপেশাদার আচরণ নেপালে দেশের ভাবমূর্তি বেশ ক্ষুন্ন করেছে।

কাঠমান্ডুতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএফআর জ্যাকবের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠকে নিমচন্দ্র তার গাড়িতে ভারতের পতাকা উড়িয়ে যান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো জ্যাকবের। তিনি তখন ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক ছিলেন।

২০১০ সালের ১৭ মার্চ কাঠমান্ডুর ইয়াক অ্যান্ড ইয়েতি হোটেলে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে নিমচন্দ্রের নির্দেশে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও নেপালের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হয়।

নারী কেলেঙ্কারি

নিমচন্দ্র ভৌমিকের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির মধ্যে বলিউড তারকা মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা করতে অকূটনীতিকসুলভ আচরণের কথাও তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি পাঁচ তরুণের একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন নেপালের প্রভাবশালী কৈরালা পরিবারের সদস্য মনীষা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় মনীষার দেখা পেতে তার বাড়িতেও ধরনা দিয়েছিলেন নিমচন্দ্র।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে জেনেছে, মনীষার বাড়িতে ঢুকতে আধা ঘণ্টা ধরে ফটকে দাঁড়িয়ে দেনদরবার চালিয়েছিলেন নিমচন্দ্র। তবে ফটক খোলেনি।

২০০৯ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্র অপূর্ব শ্রীবাস্তবকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছিলেন বলেও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশি দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নেপালের বেশ কয়েকজন নারীও রাষ্ট্রদূতের কাছে হেনস্তা হন।স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারীকে দূতাবাসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়েছেন নিমচন্দ্র।

রাষ্ট্রদূতের আচরণের মধ্য দিয়ে আত্মমর্যাদা বোধ বিসর্জন ও দায়িত্বনিষ্ঠার অভাব প্রকাশ পেয়েছে- বলা হয় প্রতিবেদনে।

নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সরাসরি অভিযোগ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলেন কাঠমান্ডু দূতাবাসের সাবেক ফার্স্ট সেক্রেটারি নাসরিন জাহান লিপি। ওই মাসেরই মধ্যভাগে চার বাংলাদেশি তরুণীকে জড়িয়ে দূতাবাসে নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারির তিনি প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃত্তির জন্য ঘুষ

২০০৯ ও ২০১০ সালে নেপালি শিক্ষার্থীদের দেওয়া বাংলাদেশি বৃত্তির ক্ষেত্রে 'নয়-ছয়' হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষাভিসা দেওয়ার নজিরও খুঁজে পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃত্তির ক্ষেত্রে নেপালের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তি এমনকি সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশও উপেক্ষা করেছেন নিমচন্দ্র।

নেপালের যে সব শিক্ষার্থী সরাসরি শিক্ষা ভিসার আবেদন করে, নানা টালবাহানা করে তাদের আটকে পরে 'জটিলতার' অবসানের জন্য বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা তাদের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূতাবাস তথা নিমচন্দ্রের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তদন্ত দল জানতে পেরেছে, অন্তত ছয়টি সরকারি বৃত্তি নিয়ে 'ঘুষবাণিজ্য' করেছেন নিমচন্দ্র, যার প্রতিটি ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার ডলারের।

শিক্ষাবৃত্তির এ ধরনের অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি হিমালয়ের পাদদেশের দেশটিতে বেশ নাজুক হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো

নেপালের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে মাওবাদীদের বিষয়ে সরাসরি বক্তব্য রেখে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করার অভিযোগও উঠেছে নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায়ও নেপালের এখনকার বিরোধী দল মাওবাদীদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। মাওবাদীদের কীভাবে ঠেকাতে হবে সে পরামর্শও তাকে দিতে দেখা গেছে।

নেপালের সরকারি মহলে নিমচন্দ্র গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন বলে তদন্ত দল প্রমাণ পেয়েছে। তার ব্যবহার ও অকূটনৈতিকসুলভ আচরণই এর জন্য দায়ী। কাঠমান্ডুর কূটনৈতিক মহলেও তার অবস্থান খুব নাজুক।

নিমচন্দ্রকে সরিয়ে একজন পেশাদার কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূতের পদে নিয়োগ দিতে নেপালের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সচিবকে অনুরোধের কথাও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে এবার ময়মনসিংহে খালেদার জনসভা

Posted by methun

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চের পর এবার ময়মনসিংহে জনসভা করছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় চার দলের উদ্যোগে এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান  বলেন, "জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য বেলা সোয়া ১১টায় গুলশানের বাসা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর।"

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের পথে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন দলের সহসভাপতি সেলিমা রহমান।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ময়মনসিংহে এটিই হবে খালেদা জিয়ার প্রথম জনসভা। দুপুর ২টার দিকে সভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে জনমত গড়ে তুলতে বিভিন্ন জেলায় জনসভাসহ রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গত ১০ অক্টোবর সিলেট এবং ১৮ ও ১৯ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম ও খুলনা অভিমুখেও রোডমার্চ করার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার।

মারুফ কামাল খান  জানান, ময়মনসিংহ জনসভায় খালেদা জিয়ার www.bnplive.com এ সরাসরি দেখানো (ওয়েবকাস্ট) হবে।

তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

Posted by methun

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুট স্পিনিং, লিবরা ইনফিউশন ও অ্যাটলাস বাংলা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

৩০ জুন ২০১১ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্যে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে বলে ডিএসই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

জুট স্পিনিং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, এটলাস বাংলা ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি বোনাস শেয়ার, লিবরা ইনফিউশন ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এছাড়া অলটেক্স আর্থিক বিবরনী পর্যালোচনা করলেও সমাপ্ত বছরের জন্যে কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

জুট স্পিনিং মিলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪৮ টাকা ৭২ পয়সা, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৯৬ টাকা ২০ পয়সা।

বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ১০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায়। স্থান কাকরাইলের ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স। রেকর্ড তারিখ ১৩ নভেম্বর।

এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৬ টাকা ৭৭ পয়সা, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৫৬ টাকা ২৬ পয়সা।

এটলাস বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায়। স্থান ২৬৫-২৬৭ টঙ্গি শিল্প এলাকার কোম্পানি কার্যালয়ে। রেকর্ড তারিখ ২২ নভেম্বর।

লিবরা ইনফিউশনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫৬ টাকা ২৫ পয়সা, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১ হাজার ৯৬০ টাকা ৬১ পয়সা।

বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায়। স্থান মিরপুর-২ রূপনগরে প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কার্যালয়ে । রেকর্ড তারিখ ৯ নভেম্বর।

অলটেক্স জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ০৩ পয়সা, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২৪৭ টাকা ৩৫ পয়সা।

বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায়। স্থান নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানা প্রাঙ্গণ। রেকর্ড তারিখ ৮ ডিসেম্বর।

যুদ্ধাপরাধ: খালেদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

Posted by methun

কয়েকজন জোটনেতার যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি তুলেছেন সরকারদলীয় সাংসদরা।

বুধবার জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে খালেদাকে উদ্দেশ্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, "আপনার কথা বলার দরকার হলে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব নিয়ে আরেকটি প্রস্তাব আনতে পারেন। আজ বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় আপনি বিষোদ্গার করছেন।"

"সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা জনগণকে অবমাননা করছেন" বলে উল্লেখ করেন সুরঞ্জিত।

তিনি বলেন, "আপনি অপরাধ করেছেন। এই সংসদ থেকে কোর্ট অব রেকর্ড হিসেবে ওই অপরাধীর (বিরোধীদলীয় নেত্রী) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন।"

"বর্তমান সরকারকে এ দেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নির্বাচিত করেছে" উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সে বিচারটি করার জন্য আজ দেশ প্রস্তুত।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্য সাংসদরাও খালেদার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা যুদ্ধাপরাধ বিচার সম্পন্ন করতে নতুন প্রজন্মকে নিরঙ্কুশভাবে জেগে ওঠারও আহবান জানান।

অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। আলোচনা হয় এক ঘণ্টার বেশি।

যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য বুধবার সংসদে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিস আনেন সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

নোটিসে তিনি ছাড়াও রাশেদ খান মেনন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ফজলে রাব্বী মিয়া, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ ও রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম স্বাক্ষর করেন।

চলতি মাসে সিলেট ও রাজশাহীতে চার দলের সমাবেশে খালেদা জিয়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমীর দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুক্তি দাবি করেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গতবছরের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল, আইনজীবী প্যানেল ও তদন্ত সংস্থা গঠন করে সরকার।

আটক জামায়াত-বিএনপি নেতাদের মধ্যে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে গত ৩ অক্টোবর।

<ন>'রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হওয়া উচিত'

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, "সংসদকে পাস কাটিয়ে, সংসদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"

বিভিন্ন সময়ে বক্তব্যে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে 'দলীয়' বলে অভিহিত করেছেন খালেদা জিয়া।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, "দেশের জনগণ জানে, বিশ্ববাসী জানে নিজামী সাঈদীরা যুদ্ধাপরাধী। সেখানে খালেদার যদি লজ্জা থেকে থাকে, তবে কীভাবে বলেন তারা যুদ্ধাপরাধী নন।"

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে তার কার্যকলাপের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান তোফায়েল।

আমির হোসেন আমু বলেন, "জিয়াউর রহমান যাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের পথ অনুসরণ করছেন খালেদা জিয়া। তিনি তার ছেলেকে ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যে কাজ করছেন।"

বিরোধী নেত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, "সংসদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রোড মার্চ করছেন, সংসদে না এসে সংসদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।"

"এই সংসদকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে তিনি যা খুশি তাই বলে যাবেন।"

<ন>'তাহলে যুদ্ধাপরাধী কে'

বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে আবদুল মান্নান বলেন, "নিজামী, সাঈদী যদি যুদ্ধাপরাধী না হয়, তবে কি জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী? এ বিষয়টা স্পষ্ট করতে হবে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে।"

চলতি মাসে দুই সমাবেশে খালেদা বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী নন।

ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অপচেষ্টা করছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী।"

তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক নান্নু বলেন, "স্বাধীনতার ৪০ বছরে কোনো সরকারই যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে নি। আর যখন বিচার কাজ শুরু হয়েছে তখন তা বাধা গ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।"

বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল জানান, "মানুষ আপনি যা করছেন, বলছেন, যে সর্বনাশা পথে অগ্রসর হয়েছে, এদেশের মানুষ তা সমর্থন করছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।"

বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংসদে এসে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, "যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, বিরোধী দলীয় রাজাকার, আলবদরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন- এ প্রেক্ষাপটে তিনি লিপ্ত হয়েছেন গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অর্থবহ স্বাধীনতাকে অর্থহীন করার অপপ্রয়াসে নেমেছেন।"

সংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি নিন্দা ও সমালোচনা করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

<ন>'তার বক্তব্য আস্তাকুঁড়ে যাবে'

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, "বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি, তিনি জানেন না বোঝেন না মুক্তিযুদ্ধ কী।"

"যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও স্বাক্ষী সংগ্রহ করতে গিয়ে বর্তমান সরকার সময় বেশি নিয়েছে", বলেন মুহিত।

"বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত অধ্যায় শেষ করা হবে।" মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, "বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্য ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে যাবে।"

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে আগুন জ্বলবে- তার [খালেদার] এ বক্তব্য বাংলার মানুষ সহ্য করবে না।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "নিজামী, সাঈদী যুদ্ধাপরাধী না হলে কারা যুদ্ধাপরাধী? তারা হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ করেছে, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে- তারা যুদ্ধাপরাধী না হলে কারা যুদ্ধাপরাধী?"

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, "[বিএনপি আমলে] যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য শহীদ জননী যখন এগোচ্ছেন, সরকারের থেকে শহীদ জননীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়।"

"স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সখ্যতা অনেক আগে থেকেই", যোগ করেন মতিয়া।

তিনি বলেন, "সা¤প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। যেমন জামাই, তেমন বউ। খালেদা জিয়া কে, কী, কার মা- তা আজ স্পষ্ট।"

খালেদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনি আলবদর, আলসামস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধার বিরোধী শক্তির মা।"

<ন>নতুন প্রজন্মকে জেগে ওঠার আহ্বান

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, "নতুন প্রজন্ম তোমরা জেগে উঠো। যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশভাবে দাঁড়াতে হবে। মানবতাবিরোধীদের ক্ষমা নেই। এ দেশে তাদের বিচার হবে।"

আলোচনায় আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতে নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম। মুক্তিযুদ্ধের পর এবার আরেকটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবে তারাই। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বাধা গ্রস্ত করতে চায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখবে এ প্রজন্ম।"

"আগামী ৩০ অক্টোবর একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শুরু হচ্ছে। ৭/৮ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারও শুরু হওয়ার পথে। আন্তর্জাতিকভাবে এ বিচার প্রক্রিয়া স্বীকৃত।", যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এ অবস্থায় বিরোধীদলীয় নেত্রী পরিকল্পিতভাবে বিচার কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কমনওয়েলথ বৈঠকে যোগ দিতে পার্থের পথে প্রধানমন্ত্রী

Posted by methun

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে তিনদিনের সফরে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিট হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরে যাত্রাবিরতি করবেন। সেখান থেকে তিনি পার্থে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বৃহস্পতিবার পার্থের স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার পর সেখানে পৌঁছাবেন। তারা সেখানে হোটেল প্যান প্যাসিফিকে অবস্থান করবেন।

বৃহস্পতিবারই শেখ হাসিনা স্থানীয় একটি পাঁচ তারা হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন এবং নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক 'এম্পাওয়ারিং উওমেন টু লিড' শিরোনামে এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।

পার্থ কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে শুক্রবার সকালে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানদের বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর, অন্যান্য সরকারপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেবেন।

ফটোসেশনের পর কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানদের বৈঠকের প্রথম এক্সিকিউটিভ সেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। দুপুরে কমনওয়েলথের মহাসচিবের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

সেদিন দুপুরেই সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এরপর সরকারপ্রধানদের বৈঠকের দ্বিতীয় এক্সিকিউটিভ সেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

ওইদিন বিকেলে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রুড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করবেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী কাররাকাটা সমাধিতে ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ডের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন। রাতে সরকারপ্রধানদের সম্মানে হোটেল প্যান প্যাসিফিকের গ্রান্ড বলরুমে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধানদের সম্মানে শনিবার সকালে হোটেল প্যান প্যাসিফিকের গ্রান্ড বলরুমে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ও কমনওয়েলথ গেমসের সভাপতি মাইকেল ফেনেলের প্রাতঃরাশে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

ওইদিন কিংস পার্কের ফ্রেজার্স রেস্টুরেন্টে জুলিয়া গিলার্ডের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

কুর্টিন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এলিজাবেথ জোলি লেকচার থিয়েটারে শনিবার বিকালে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। রাতে সরকারপ্রধানদের সম্মানে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উইনথ্রপ হলে জুলিয়া গিলার্ডের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।

রোববার বিকেলে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। মালয়েশিয়ায় যাত্রাবিরতি করে রোববার মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ঈদ: ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু

Posted by methun

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার শাহাদত আলী  বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঈদের আগের ৫ দিনের যাত্রার জন্য অগ্রিম টিকেট দেওয়া হচ্ছে।
আগাম টিকেট পাওয়া যাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

"কমলাপুর রেলস্টেশনের ২০টি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা একটি কাউন্টার রয়েছে।"

বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ২ নভেম্বরে বিভিন্ন গন্তব্যের টিকেট। ২৮ অক্টোবর পাওয়া যাবে ৩ নভেম্বরে যাত্রার, ২৯ অক্টোবরে বিক্রি হবে ৪ নভেম্বরের, ৩০ অক্টোবর কিনতে হবে ৫ নভেম্বরের এবং ৩১ অক্টোবর বিক্রি হবে ৬ নভেম্বরে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রার টিকেট।

এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সারা দেশে গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংকের ৪০টি সেবাকেন্দ্র থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে শাহাদত আলী জানান।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার টিকেট বিক্রি করা হবে। আর এর ২৫ শতাংশ মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

ঈদ সামনে রেখে সরকারি পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনও (বিআরটিসি) ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

বিআরটিসির কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, কমলাপুর ও মিরপুর ডিপোতে পাওয়া যাচ্ছে এই আগাম টিকেট।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে ঈদ হতে পারে। সেই হিসাবে ঈদের আগের তিনদিন ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর এবং ঈদের পরের তিনদিন ৮, ৯ ও ১০ নভেম্বরের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করছে বিআরটিসি।

সেঁজুতির আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি

Posted by methun

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্রী সেঁজুতির আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বরিশালের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) দেবদাস ভট্টাচার্য এই কমিটি গঠন করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটিতে সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ও ডিআই-১।

সেঁজুতির আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের কর্তব্যে অবহেলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি।

কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।

দেবদাস ভট্টাচার্য  বলেন, সেঁজুতির আত্মহত্যার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সেঁজুতির পরিবারের অভিযোগ, গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় চাচাত ভাই নয়ন কৌশলে সেঁজুতিকে ঘর থেকে ডেকে নেয়। পরে একই গ্রামের নাসির আকন, শামীম আকন, মো. সবুজ মিয়া, মো. রাজিব ও সাইফুল প্যাদাসহ ছয়জন তাকে ধর্ষণ করেছে।

গত শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে সে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে।

কৃষিতে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি: মতিয়া

Posted by methun

কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, গত অর্থবছরে সার, বিদ্যুৎ ও আখ চাষীদের জন্য কৃষিতে পাঁচ হাজার সাতশ' কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ কথা বলেন।

সাংসদ বেগম আশরাফুন্নেসা মোশাররফ পাটচাষীদের ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানালে মতিয়া চৌধুরী বলেন, "সব খাতে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়।"

"যেখানে মাম পানির দাম ২০ টাকা সেখানে বেশিরভাগ সারই ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।"

কৃষিমন্ত্রী জানান, দেশে বছরে মরিচ, পেয়াজ, রসুন, আদা ও হলুদের চাহিদা যথাক্রমে আড়াই লাখ টন, ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টন, তিন লাখ ৫০ হাজার টন, এক লাখ ৭৫ হাজার টন ও দুই লাখ ২৫ হাজার টন।

নিজস্ব উৎপাদন থেকেই প্রায় সব চাহিদা পূরণ হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ক্যামেরাযোদ্ধা রশীদ তালুকদারের জীবনাবসান

Posted by methun

ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে একটি শিশুর মুষ্টিবদ্ধ হাতের যে ছবি বাঙালির স্বাধিকারের দাবিকে মূর্ত করে তুলেছিল- সেই ছবির আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদার আর নেই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই মুক্তিযোদ্ধার।

তার চাচাতো ভাই শেখ মোহাম্মদ সুমন  জানান, স্ট্রোক করার পর গত বুধবার বিকেল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল রশীদকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা খুলে ফেলা হয়।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গতবছর আর্ন্তজাতিক 'পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড' পান রশীদ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির একটি কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর বিশ্বের একজন সেরা ফটো সাংবাদিককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

কীর্তিমান এই আলোকচিত্রীর মেয়ে সোনিয়া রশীদ  জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কায়ার হাসপাতালে তার অপারেশন হয়। এর কিছু দিন পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন তিনি।

"অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারতেন না। অযথাই অনেককে বকাবকি করতেন।"

মেয়ে জানান, ১৪ অক্টোবর তার বাবাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেখ মোহাম্মদ জানান, শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী রশীদকে বুধবার জোহরের নামাজের পর আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।

তার লাশ মঙ্গলবার রাতে রাখা হবে স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে। বুধবার বাসাবো এলাকায় তার জানাজা হবে।

রশীদ তালুকদার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন বলে জানান তার চাচাতো ভাই।

এই আলোকচিত্রী সাংবাদিক ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য ছবি তোলেন যা, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা পৌঁছে দেয়।

পাইওনিয়ার ফটোগ্রফার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী রশীদ তালুকদারের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে গণহত্যার অসংখ্য ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘুরে ঘুরেও ছবি তোলেন তিনি।

১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন রশীদ তালুকদার। বাবার চাকরিসূত্রে ছয় বছর বয়সেই তিনি রাজশাহীর 'স্টার স্টুডিও'তে ছবি তোলার কাজ শুরু করেন।

১৯৬২ সালে দৈনিক সংবাদে আলোকচিত্রী হিসেবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তার প্রাতিষ্ঠানিক ফটো সাংবাদিকতার শুরু। সেখানে একযুগ কাজ করে ১৯৭৫ সালে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। সেখানে টানা ২৯ বছর কাজ করে তিনি অবসরে যান ২০০৭ সালে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই তিনি সময় কাটাচ্ছিলেন।

বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রশীদ তালুকদার তার কর্মজীবনে জাপান ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও আশাহি সিমবুন থেকে সেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার, ইউনেস্কো, থাইল্যান্ড ও বিপিএস স্বর্ণপদকসহ দেশি-বিদেশি ৭৫টি পুরস্কার পেয়েছেন।

দারুল ইহসানের দুর্নীতি তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন

Posted by methun

সারাদেশে অবৈধভাবে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছে সরকার।

এই কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হককে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নির্ধারণ এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণেও কাজ করবেন তিনি।

মঙ্গলবার শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই কমিশন আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ এর ৪ ধারার অধীনে সাময়িক অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনা শুরুর পাঁচ বছরের মধ্যে নিজস্ব পাঁচ একর জমিতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থায়ী হওয়ার শর্তে কার্যক্রম শুরু করেছিল দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ট্রাস্ট বিভিন্ন গ্র"প ও ট্রাস্টে বিভক্ত হয়ে ঢাকায় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে আউটার ক্যাম্পাস স্থাপন করে উচ্চশিক্ষার নামে ব্যবসা করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিভিন্ন গ্র"প ও ক্যাম্পাস থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে আসছে।

"সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিভিন্ন সময় একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে তা সুরারহার জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে। ফলে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়েল চ্যান্সেলর বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে দাবিদার পক্ষগুলোর মধ্যে আদালতে মামলা চলমান থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সরাসরি কোনো তদন্ত করতে পারছে না। এই অবস্থায় দেশজুড়ে বিভিন্ন গ্র"প বিধি বহির্ভূতভাবে আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।"

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার নামে বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষ্যে সরকার ২০০৭ সালের ২৬ জুন আউটার ক্যাম্পাস বাতিলের একটি আদেশ দিলেও এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়ে সারাদেশে ২৯টি আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনার অনুমতি পায় দারুল ইহসানের একটি পক্ষ। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সারাদেশে আরো ৫৫টি অবৈধ আউটার ক্যাম্পাস পরিচালিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে ইউজিসি।

মন্ত্রণালয় বলছে, "বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং উচ্চশিক্ষার সনদ বিক্রির দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।"

এসব বিষয় তদন্তে এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।

ইউজিসির সচিব অথবা সমমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেন প্রার্থীরা

Posted by methun

ভোটারদের মুখোমুখি বসে নারায়ণগঞ্জের ছয় মেয়র প্রার্থী বলেছেন, এখন দেওয়া প্রতিশ্রুতি বিজয়ী হলে বাস্তবায়ন করবেন তারা।

নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মুক্ত মঞ্চে নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন তারা।

রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলা এ বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে।  দেড় ঘণ্টার বিতর্কটি সরাসরি (ওয়েবকাস্ট) দেখা যায়।

অনুষ্ঠান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন  বলেন, "সব র্প্রার্থীর অংশগ্রহণে ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে।"

নির্বাচিত দেড়শ ভোটার এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন- সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমান, তৈমুর আলম খন্দকার, আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, শরীফ মোহাম্মদ, আতিকুল ইসলাম জীবন।

সরাসরি জনগণের মুখোমুখি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ছয় মেয়র প্রার্থীই বলেন, জনসেবা করতেই জনপ্রতিনিধি হতে চান তারা। সবাই প্রত্যাশা করছেন, জনগণ তাদের সে সুযোগ দেবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বড় পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হলেও তাতে প্রচারে ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করেন অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী। বিএনপি নেতা তৈমুর সরাসরি তার আপত্তি তুলে ধরেন।

শামীম ও আইভী বলেন, ইভিএম ভালো হলেও এর যথাযথ প্রচার হয়নি। একই কথা বলেন অন্য তিন প্রার্থী নান্নু মুন্সী, জীবন ও শরীফও।

তবে বিতর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইভিএমের প্রচারে তাদের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।

৩০ অক্টোবরের ভোটযুদ্ধের আগে এ বাগযুদ্ধ নিয়ে ভোটারদের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। নির্বাচিত দেড়শ ভোটার অনুষ্ঠানে তাদের প্রশ্ন নিয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন। তবে সময়াভাবে সবাই প্রশ্ন করতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেসকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, "প্রার্থীদের গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়। আমরা কাজে বিশ্বাস করতে চাই।"

অনেকেই বলেন, বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখেই তারা ঠিক করবেন, কাকে ভোট দেবেন তারা।

শামীম বিতর্কে বলেন, তিনি সংসদ সদস্য থাকার সময় সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। এবার নির্বাচিত হলেও করবেন।

"আমি ব্রিজ, টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহে কাজ করেছি। আগামীতেও আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।"

আইভী বিগত সময়ে পৌর মেয়র থাকাকালীন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, "জবাবদিহিতা পছন্দ করি আমি। ২০০৩ সালের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করেছি।"

তৈমুর বলেন, "আমি ম্যান অব কমিটমেন্ট।"

বিতর্ক অনুষ্ঠানের নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহ  বলেন, "নির্বাচন কমিশনের আগের নির্বাচনী বিতর্ক থেকে এবারের অনুষ্ঠানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আগের অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখানো হলেও সেগুলো ছিলো মূলত বেতারের উপযোগী পাণ্ডুলিপির ওপর ভিত্তি করে। এবার পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন অনুষ্ঠান হচ্ছে।"

প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক ওয়েবকাস্টের উদ্যোগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা এর আগে বলেন, "শুধু এলাকাবাসী নয়, বহির্বিশ্বেও প্রবাসীরা যেন প্রার্থীদের নিয়ে এ বিতর্ক দেখতে পারে, সে জন্য এ ব্যবস্থা।"

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০০৮ সালে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এবং ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করা হয়।

৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি

Posted by methun

'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ২ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার পর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ২ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর আলোচনা সভা হবে। ঈদুল আজহার জন্য ৬ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে।

৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির নেতারা।

১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে জানান নোমান। তবে শোভাযাত্রার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও '৭ নভেম্বর' পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের 'উৎখাত করার' লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াকে আটক করা হয়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। যাতে যুক্ত ছিলেন জাসদের নেতা-কর্মীরাও। অবশ্য পরে তাহেরকে সামরিক আদালতে 'বিচার' করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

১৯৭৫ এর নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় নবীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র বদলে যেতে থাকে এবং তা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতমুখে যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সেনাশাসনের ভিত্তিও রচিত হয়। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।

রাজনৈতিক দলগুলো ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও চেতনায় পালন করে থাকে। বিএনপি 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস', আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিবস সরকারি ছুটির দিন হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে তা বাতিল করে।

যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী এবং গোলাম আকবর খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

অনুদান জটিলতায় 'পুড়ছে' বার্ন ইউনিট

Posted by methun

প্রকল্পের অনুদান বন্ধ থাকায় চার মাস ধরে ভুগতে হচ্ছে দেশের একমাত্র বার্ন ইউনিটে রোগীদের। সাধারণ গজ ব্যান্ডেজ থেকে শুরু করে দামি ওষুধ- সবই তাদের কিনতে হচ্ছে নিজেদের পকেটের টাকায়। শুধু তাই নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই ইউনিটের চিকিৎসক ও কর্মচারীরাও গত জুন থেকে বেতন পাচ্ছেন না।

শনি ও রোববার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ ইউনিটে তিনশ'র মতো রোগী রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ কিনতে পারছেন না।

"রোগীরা পোড়া যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং স্বজনরা ওষুধ কিনতে কিনতে দিশেহারা। আর কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোড়া যন্ত্রণার মতো যন্ত্রণা নিয়ে কাজ করছেন", বললেন প্রকল্প সমন্বকারী সামন্ত লাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটটি চালু হয় ২০০৩ সালে। বর্তমানে 'বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট' নামে এটি চলছে। প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট হাসপাতালের অংশ হলেও বার্ন ইউনিটটি রয়েছে প্রকল্পের আওতায়।

এ ইউনিটের চতুর্থ তলার অতিরিক্ত-৭ নম্বর শয্যায় ভর্তি আছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির আমিরাবাদ তিনছিটা গ্রামের গৃহবধূ ডলি আক্তার (৪২)। এক মাস আগে রান্না করার সময় ঝলসে যায় তার সারা শরীর।

ডলি জানান, তার স্বামী প্রতিবন্ধী। ফলে হাসপাতালে তাকে দেখার কেউ নেই। প্রথম দিকে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় দেখাশোনা করলেও এখন আর কেউ আসেন না।

"এখানে কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন জনের দান করা টাকায় ওষুধ কিনি", বললেন তিনি।

শুধু ডলি নন, রোগীদের বেশির ভাগই অসচ্ছল। হাফিজা আক্তার (২২) নামে আরেক রোগী জানালেন, চিকিৎসকার যে ওষুধ লিখেদেন, তার সবই কিনতে হয় বাইরে থেকে। এভাবে কতোদিন চিকিৎসা চালানো সম্ভব- তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ নম্বর বিছানায় ভর্তি রয়েছেন কেরানীগঞ্জের শুভাড্যার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী আবদুল খলিল (৫০)। তিনি জানালেন, একমাস হলো ভর্তি হয়েছেন, এরই মধ্যে তার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।

"একজন রাজমিস্ত্রীর কাছে কতো টাকাইবা থাকে", বললেন খলিল। তার কথা শুনে পাশ থেকে ফরিদ হোসেন (২৪) নামে এক রোগীর মা এলাচি বেগম জানতে চাইলেন, "ভাই, এইটা না সরকারি হাসপাতাল, তাইলে সব ওষুধ কিনতে হয় কেন?"

প্রকল্প সমন্বয়কারী সামন্ত লাল  বলেন, জুনের পর থেকেই এ প্রকল্পে অনুদান বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীদের জন্য ওষুধ কেনা যাচ্ছে না।

আরো 'ভয়ানক' তথ্য দিলেন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ খন্দকার। বললেন, ইউনিটটি প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হতো।

"আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গজ-ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাই। কিন্তু তা রোগীর প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।"

তবে প্রকল্পের অর্থ পেলে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক।

বেতন বন্ধ চার মাস

প্রকল্প নিয়ে জটিলতায় রোগীদের পাশাপাশি পুড়ছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরাও। বার্ন ইউনিটের ১০ চিকিৎসকসহ মোট ২৪ জনের বেতন বন্ধ রয়েছে চার মাস ধরে। এ ছাড়া রয়েছেন ৩৭ জন অস্থায়ী কর্মচারী, যাদের বেতনও বন্ধ প্রায় তিন বছর। চাকরি স্থায়ী হবে- এই আশায় বিনা বেতনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

চিকিৎসক সামিউল আলম সোহান বলেন, "সীমিত বেতনে চাকরি করে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য, আর বেতন না পেলে তো পোড়া যন্ত্রণার চেয়েও ভয়াবহ মনে হয় জীবন। রোগীর পোড়া যন্ত্রণা দেখা যায়, সহানুভূতি জানানো যায়। কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা দেখাও যায় না, সহানুভূতিও পাচ্ছি না।"

তিনি জানান, পঁয়ত্রিশ শতাংশ পোড়া একজন রোগীর প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। অথচ রোগীদের প্রায় সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

ক্ষোভ ঝরলো সেবিকা শাহিনুর আক্তারের কণ্ঠেও।

"আমরা বেতন ছাড়া কষ্টদায়ক জীবন কাটাচ্ছি। অথচ আমাদের বড় বড় স্যারেরা ঈদের আগে বিদেশে যায়। আমাদের একটু সমবেদনাও তারা দেখায় না।"

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) মমতাজ উদ্দিন  বলেন, "ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে অনেক আগে। এটি সরকারের রাজস্বখাতেও যায়নি। ফলে নতুন করে আবার পাঁচ বছরের প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।"

বিশ্বব্যাংক ও দাতাসংস্থাগুলোর অর্থ না পৌঁছানোর কারণে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

১০ ট্রাক অস্ত্র: অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

Posted by methun

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মতিউর রহমান নিজামী, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর নতুন তারিখ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা এবং সিনিয়র বিশেষ জজ-১ এর বিচারক জজ এস এম মজিবুর রহমান মঙ্গলবার এই দিন নির্ধারণ করেন।

মহানগর পিপি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কামাল উদ্দিন  বলেন, "আসামিপক্ষ মঙ্গলবার সকালে সময় চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে নতুন দিন রেখেছেন।"

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে। তদন্তের পর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা একটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্র"য়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এ এন এম বশিরুল্লাহ অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয় সিআইডির এএসপি ইসমাইল হোসেনকে।

২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আরেক আবেদনে আদালত ৭টি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের আইও পরিবর্তনের আদেশ দেয়।

মনিরুজ্জামান আইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ১৩ বার সময় বাড়ানোর পর গত জুনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নিজামী, বাবর এবং এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধানসহ নতুন ১১ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ করা হয় এতে।

ফলে অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। আর চোরাচালান মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫২ জনকে।

এর আগে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে অস্ত্র মামলায় ৪৩ এবং চোরাচালান মামলায় ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে চার জন মারা গেলে তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুই মামলাতেই অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে একইসঙ্গে।

ঈদে চাঁদাবাজি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Posted by methun

ঈদুল আযহায় কোরবানীর পশুপরিবহনে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস ঠেকাতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, "ঈদের সময় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।"

বিক্রেতাদের কোনো নির্দিষ্ট পশুর হাটে বসতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "পশু বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দে তাদের পছন্দমতো হাটে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এসব হাটে দুর্ভোগ ও হয়রানি রোধে কাজ করবেন। ঈদে হাট চলাকালীন এক সপ্তাহ এ ব্যবস্থা চলবে।

চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিষয়ে দুটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত

Posted by methun

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি আগ্রহপত্রে (জয়েন্ট ডিক্লারেশন অব ইনটেন্ড) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও জার্মানি সরকার।

মঙ্গলবার বার্লিনের হোটেল অ্যাডলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ দুটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত হয় বলে বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসউদ মান্নান জানান।

বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি এবং জার্মানির পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী ডির্ক নিয়েবল 'কো-অপারেশন ইন দি ফিল্ড অফ এডাপটেশন এন্ড মিটিগেশন অফ ক্লাইমেট চেইঞ্জ' শিরোনামের আগ্রহপত্রে সই করেন।

মসউদ মান্নান জানান, এই আগ্রহপত্র স্বাক্ষরের পর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্র"তি দিয়েছেন জার্মান মন্ত্রী।

এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে কো-অপারেশন ইন দি ফিল্ড অব হেল্থ' শিরোনামে আরেকটি আগ্রহপত্রে সই করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এবং জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি এনিত্তি ভিডমান মাউজ।

অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত হোলগার মাইকেল এবং জার্মান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার বার্লিনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে বৈঠক ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর স্থানীয় সময় বিকেলে তার দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

লিখিত পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স দাবি, নৌমন্ত্রীর সমর্থন

Posted by methun

লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চালকের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তা না হলে এটিসহ ১১ দফা দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে দাবি জানিয়ে সময় বেঁধে দেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, "আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে পরিবহন শ্রমিক মালিকরা।"

তিনি সমাবেশে সরকারের প্রতি ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, "প্রতিটি জেলায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি শুধু ফিল্ড টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে।"

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, "এই দাবিগুলোর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করবো।"

গত অগাস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান সম্পাদক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর অদক্ষ চালকদের গাড়ি চালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে। নৌমন্ত্রীর চাপে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অদক্ষ চালকদের পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সংবিলত খবরও প্রকাশ হয়। তবে নৌ ও যোগাযোগমন্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এক পর্যায়ে অদক্ষদের লাইসেন্স দেওয়া হবে না- যোগাযোগমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ঘোষণা দাবি করে অনশনের হুমকি দেন সাংসদ তারানা হালিম।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সমাবেশে বলেন, "এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করা চাইছেন।"

"পরিবহন শ্রমিকরা ঘাতক নয়-তারা জনগণের সেবক।"

"দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই দায়ী নয়," মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, "দুর্ঘটনার জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। যান্ত্রিক ত্র"টি ও সড়কের ত্র"টি এর মধ্যে অন্যতম।"

অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে তাও দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, "আমি বলতে চাই আমি পরীক্ষা ছাড়া কাউকেই লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলিনি। আমি বলেছি ট্রাফিক সাইন (চিহ্ন) না চিনলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ২০০০ সালের জুন মাসে ট্রাফিক গেজেটে এসব চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চালকদের অবশ্যই এসব চিহ্ন চিনতে হবে।"

তিনি সাংবাদিক মুনতাসির মামুনের লিখনীর সমালোচনা করে বলেন, "আমরা শ্রমিকরাও মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। আজ যারা শ্রমিকদের খান সেনা বলছেন তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করুন, নতুবা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।"

মুনতাসির মামুন একটি দৈনিক পত্রিকায় 'হুঁশিয়ার খান সেনারা আসছে' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে পরিবহন শ্রমিকদের সমালোচনা করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রোড-ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক অ্যাক্ট অনুমোদনের আগে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ, সড়ক পরিবহনকে সেবা শিল্পের মর্যাদা দান, সড়ক পরিবহন খাতকে চাঁদাবাজি মুক্ত করা, টায়ার-টিউব ও জ্বালানিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু রমেশ চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু, শ্রমিক নেতা মোখলেসুর রহমান, খায়রুল আলম মোল্লা, মাহবুব আলম মিন্টু, মনসুর আলম বুলবুল প্রমুখ।

নকল খাদ্যদ্রব্য রাখায় জরিমানা

Posted by methun

নকল খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের অভিযোগে গাজীপুরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাজিনা সারওয়ার সোমবার জয়দেপুর রেলজংশন এলাকায় মেসার্স এম রহমান এন্টারপ্রাইজের গুদামে এ অভিযান চালান।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মিলু মিয়া বিশ্বাস  বলেন, বিকালে এম রহমান এন্টারপ্রাইজের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ নকল এনার্জি ড্রিংকস, জুস, সয়াবিন তেল, চকলেটসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিউর রহমানের তপুর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ওই উদ্ধার করা সব মালামাল ধ্বংস করা হয় বলে জানান তিনি।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নেই!

Posted by methun

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে নামই ওঠেনি বাংলাদেশের। ২০০৯ সালের অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে আটটি ম্যাচ না খেলায় একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই ।

টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও র‌্যাঙ্কিং চালু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

সোমবার প্রথম বারের মতো ঘোষিত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১২৭ ও শ্রীলঙ্কার ১২৬। সেরা পাঁচে থাকা বাকি তিন দল হলো নিউজিল্যান্ড (১১৭), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৩) ও ভারত (১১২)।

ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আছেন ইংল্যান্ডের এউইন মরগান। বোলারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস আর অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন।

নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেভিন পিটারসেন ব্যাটসম্যানদের তালিকার দুই ও তিন নম্বর স্থানে রয়েছেন।

বোলারদের তালিকার শীর্ষ দশের ৭ জনই স্পিনার।

তবুও ইলিয়াস সানির আক্ষেপ

Posted by methun

অভিষেক টেস্টে দারুণ নৈপুণ্যের পরও 'নিজের মতো' বোলিং করতে না পেরে আক্ষেপ করছেন ইলিয়াস সানি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৪৪/৫।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেয়া ইলিয়াস সানির কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিলো, "অভিষেকেই চার উইকেট পেয়ে আপনার কেমন লাগছে?"

জবাবে সানি বলেন, "চার উইকেট পেয়ে আমি খুশি। তবে আমার আরো ভাল বল করা উচিত ছিল।"

"আসলে আমি নিজের মতো বল করতে পারি নি। রান একটু বেশিই দিয়েছি," যোগ করেন তিনি।

শেষ বিকেলে ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিবনারায়ন চন্দরপলকে। এই উইকেট পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে সানি বলেন, "আমি রোমাঞ্চিত। তার মাপের একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট নেয়া অনেক বড় ব্যাপার।"

নিজের দ্বিতীয় বলেই শাহাদাত হোসেন কার্ক এডওয়ার্ডসের ক্যাচ না ফেললে প্রথম উইকেটের জন্য তৃতীয় ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো না সানিকে। তবে এ নিয়ে তার মনে কোনো আক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, "ভাগ্যে থাকলে উইকেট অবশ্যই পাবো। কোনো খেলোয়াড়ই ইচ্ছে করে ক্যাচ ছাড়ে না। ক্যাচ ছাড়া খেলারই অংশ।"

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে শতক থাকলেও নিজেকে মূলত বোলারই ভাবেন সানি। এ কারণে কোনো রান না করে আউট হয়ে গেলেও তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন।

তিনি বলেন, "রান না করতে পারাকে চাপ হিসেবে নিই নি। কারণ চাপ নিলে ভালো বল করতে পারতাম না।"

দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় ম্যাচ যে ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সানিও একমত। তবে শেষ দিনে দুদলেরই আরো অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলে মনে করেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষ থেকে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট। তিনি বাংলাদেশের স্পিনারদের ভীষণ প্রশংসা করেন। শেষ দিনের খেলা উত্তেজনায় ভরা হবে বলেই তার ধারণা।

সানির পঞ্চম শিকার স্যামুয়েলস

Posted by methun

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬০ রান।

বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ উইকেট পেলেন সানি।

এক প্রান্তে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ৮ ও অন্যাপ্রান্তে কার্লটন বাফ ৬ রানে ব্যাট করছেন।

সাজঘরে ফিরে গেছেন মারলন স্যামুয়েলস (২৪)।

৫ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল নয়টায় খেলা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩৫০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে।

এর আগে মাঠ খেলার উপযুক্ত না থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়।

ফাঁকা থাকলো রূপার আসন

Posted by methun

পরীক্ষার হলে যথারীতি সবাই উপস্থিত, নেই শুধু রূপা। পরীক্ষা শুরুর পনের মিনিট আগে বাস চাপায় মারা গেছে সে।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সাব-এরিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর (বাণিজ্য) শিক্ষার্থী রূপা চৌধুরী। ১০টায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, রূপা নিহত হওয়র খবরে সহপাঠীরা বিমর্ষ। ছলছল চোখে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না- 'রূপা নেই'। হলে ফাঁকা পড়ে আছে তার জন্য নির্ধারিত আসনটি।

প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচনী পরীক্ষা।

"সবাই এসেছে, শুধু রূপা নেই। তার সিট ফাঁকাই পড়ে আছে" খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন শিক্ষক আতাউর।

এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাশ ছুটি দিয়ে দেয় সোমবার।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জয় টেলিকমের মালিক জয় চৌধুরী জানান, রাস্তার এক পাশ দিয়ে দুই সহপাঠীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলো রূপা। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা বাসটি তাকে চাপা দেয়।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০ গজ পশ্চিমে রূপাদের বাসা। বাবার নাম উজ্জ্বল চৌধুরী। বেলা ১১টায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রূপার মা শিল্পী চৌধুরী শোকে মূহ্যমান। স্বজনদের আহাজারির মাঝে ছোট ভাই ইমন চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে বাকরুদ্ধ হয়ে।

দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে। চালক মো. শফিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় একই রুটে (১ নম্বর সিটি সার্ভিস) চলাচলকারী আরো একটি বাস ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। তাদের অবরোধে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুর মোরশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত গাড়ি চালক শফিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৫ জেলা ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষিত হচ্ছে

Posted by methun

দেশের পাঁচটি জেলাকে প্রথমবারের মতো ফাইলেরিয়ামুক্ত হিসেবে মঙ্গলবার ঘোষণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জেলাগুলো হচ্ছে, মেহেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।

এক সময় সাত কোটির বেশি মানুষ মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত ফাইলেরিয়া রোগের হুমকিতে ছিলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই পাঁচজেলায় ফাইলেরিয়া রোগের আক্রান্তের হার এক শতাংশে নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় জেলাগুলোকে ফাইলেরিয়া মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক বে-নজীর আহমেদ সোমবার  বলেন, "কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ওষুধ প্রয়োগের পর ফাইলেরিয়া প্রবণ ১৯টি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলাকে মঙ্গলবার এ রোগে গুরুতর অসুস্থমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পরজীবী এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

বে-নজীর বলেন, "ফাইলেরিয়াকে পরাজিত করা যায় এটা দেখানোর জন্য আমরা রাজধানীতে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণকে উদযাপন করবো।"

এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে দুই থেকে তিন শতাংশ মানুষ অক্ষম হয়ে গেছে এবং তারা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফাইলেরিয়া দূর করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০১ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাপক ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। দরিদ্র্য দেশগুলোতেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বে-নজীর বলেন, "আমরা একটি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের কর্মকসূচিগুলো জোরদার করেছিলাম।"

কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বছরে একবার ওষুধ প্রয়োগ করে পাঁচ বছরের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, "ওষুধ ব্যবহারের সফলতার ওপর নির্ভর করে কখনো কখনো এটা বেশি সময় নেয়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এ প্রক্রিয়ায় সফলতা পেয়েছে।"

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরজীবী মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লসিকাতন্ত্রে ঘাঁটি গাড়ে এবং রক্তে লসিকার প্রবাহ ব্যাহত করে যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

প্রাথমিক চিকিৎসা না হলে এ রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে এবং সে অবস্থায় খুব একটা চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। এ রোগ প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধকও নেই।

পরিচালক বে-নজীর বলেন, "এতে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং যৌনাঙ্গের মতো শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।"

এ রোগের উপসর্গ একবার দেখা দিলে তেমন আর কিছু করার থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জ্বর, সর্দি, কাঁপুনি, শ্বাস কষ্ট ও ব্যথা এবং বাহু, স্তন, অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, যোনিদ্বার ও পা ফুলে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।

ফাইলেরিয়া দূর করার কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী বছর আরো পাঁচটি জেলায় এ রোগের হার পর্যালোচনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে জানান বে-নজীর।

ডেসটিনির 'অপকর্ম' রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সাহারা

Posted by methun

বহুস্তর বিপণন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ এর 'অপকর্ম' প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

সংসদ অধিবেশনে বাগমারা থেকে নির্বাচিত সাংসদ এনামুল হকের জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের নোটিসের উত্তরে সোমবার এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এনামুল নোটিসে বলেন, "প্রতিষ্ঠানটি [ডেসটিনি-২০০০ লি.] ইতিমধ্যে ১০ হাজার মানুষের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।"

ডেসটিনি কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে সে বিসয়ে নোটিসে সাংসদ বলেন, "এটি তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে বাগমারার সরলপ্রাণ মানুষকে ফুসলিয়ে তাদের বিভিন্ন লাভ, মুনাফা ও সুযোগ সুবিধার লোভ দেখিয়ে কোম্পানিতে ভর্তি করাচ্ছে। তাদের পণ্যসামগ্রী কিনে তাদের সাথে ব্যবসা করতে বাধ্য করছে।"

"অনেক বেশি মুনাফার আশ্বাস দিয়ে তাদের কোম্পানিতে টাকা জমা রাখতে প্রলুব্ধ করছে। যারা এসব কাজ করতে সহযোগিতা করছে ডেসটিনি-২০০০ লি. তাদেরও সাময়িকভাবে আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে।"

"তাদের মিথ্যে আশ্বাসের মধ্যে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের ১০০ কোটি সেগুন ও বিভিন্ন ধরনের গাছ আছে যার ভবিষ্যৎ মূল কয়েক হাজার কোটি টাকা, যার লভ্যাংশও তারা পাবে ইত্যাদি।"- বলা হয় নোটিসে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানোর সরকারি ছাড়পত্র তারা দেখাতে পারেনি উল্লেখ করে ডেসটিনির 'অশুভ' কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান সাংসদ এনামুল।

ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।

এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ডেসটিনি যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাতে যেকোনো দিন বিপর্যয় ঘটতে পারে।"

তিনি বলেন, "বাগমারাসহ দেশের যে কোনো এলাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে ডেসটিনির অপকর্ম প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

সরকারের অন্য কোনো সংস্থা এ নিয়ে তদন্ত করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহায়তা দেবে- বলেন সাহারা খাতুন।

এ ধরনের ফাঁদে পা না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

ডেসটিনি-২০০০ তাদের ওয়েবসাইটে নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুস্তর বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বলে দাবি করেছে।

ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবেশক এতে যোগ দিয়েছেন। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। সারা দেশে এর শাখা রয়েছে। ডেসটিনি-২০০০ এর ২৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার আটশ মানুষ কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জে পরীক্ষায় ইভিএম

Posted by methun

বিরোধী দলের আপত্তির মধ্যেও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। দেশে প্রথম নারায়ণগঞ্জে বড় পরিসরে এ পদ্ধতির ব্যবহার ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ব্যয় সাশ্রয়ী ও আধুনিক দাবি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগে থেকেই ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকেও মিলেছে সাড়া। তবে আপত্তিকারী বিএনপি বলছে, নির্বাচনে বড় ধরনের 'কারচুপির হাতিয়ার' হবে ইভিএম।

তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষপাতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলছেন, ইভিএমে কারচুপি যেন না হয়, সে পদক্ষেপও নেওয়া আছে।

ইভিএম নিয়ে ইসি ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন'র নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ সোমবার  বলেন, ইভিএম মেশিন নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ না থাকলেও নয়টি ওয়ার্ডে একটু বড় পরিসরের নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এবার ইসিকে পরীক্ষা দিতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে নয়টিতে বুয়েট প্রকৌশলীদের উদ্ভাবিত ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এর আগে গত বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিলো।

নারায়ণগঞ্জে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীসহ এক শ্রেণীর ভোটারদের ইভিএম নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে- এ মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গঠিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ কমিটির সদস্য তোফায়েল বলেন, "এখন ইসিকে সন্দেহ দূর করতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ ও যান্ত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

"চট্টগ্রামে একটি ওয়ার্ডে ভালো হয়েছে, নয়টি ওয়ার্ডে হবে কি না, তাও দেখার বিষয়। এখানে কেউ দখল, কারচুপি, ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন না ঘটে, তার পরীক্ষা দিতে হবে ইসিকে।"

নারায়ণগঞ্জে সফল হলে আগামী দিনে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন অধ্যাপক তোফায়েল।

ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দলসহ অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত জানিয়েছে।

ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৮টি হলেও বিএনপি এবং এর মিত্র দলগুলো ইভিএম নিয়ে সংলাপে যায়নি।

ইভিএমের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সিইসি বলছেন, "নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে সহজতর, ফল ঘোষণা দ্রুত, নির্বাচনোত্তর সহিংসতা কমানো, নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় কমানো ও প্রশাসনিক জটিলতা কমানোসহ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে ইভিএম'র এ উদ্যোগ।"

আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৫৮ কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম থাকছে। এসব ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন।

গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ৭৯টি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এতে ভোটার ছিলেন ২৫ হাজার ২৩০ জন।

ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৪০০ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এর ব্যবহারবিধি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সচেতন করতে কাজ করছে বলে ইসি জানায়।

আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার চাইলেও সে পর্যন্ত বর্তমান কমিশন থাকছে না। সিইসি বলেছেন, তারা ইভিএমের প্রস্তুতি রেখে যাবেন, আগামী কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ইভিএম যেভাবে ব্যবহার

নারায়ণগঞ্জে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছে গাজীপুরের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।

ইভিএম দুটি ইউনিট সমন্বয়ে গঠিত- একটি কন্ট্রোল ইউনিট ও অন্যটি ব্যালট ইউনিট। কন্ট্রোল ইউনিটটি ব্যালট দেওয়া এবং ব্যালট সংরক্ষণের কাজ করে। কন্ট্রোল ইউনিটটি মূলত কাগজের ব্যালট ও ব্যালট বাক্সকে প্রতিস্থাপিত করে। স্মার্ট কার্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত এই ইউনিটটি সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এখন যেমন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট পেপার ইস্যু করে থাকেন, এক্ষেত্রেও তিনি ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। কত জন ভোট দিচ্ছেন, তা ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালট ইউনিটের সামনে স্থাপিত ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হতে থাকবে, যা সব পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচন কাজে নিয়োজিত ও বুথে অবস্থানকারী অনুমোদিত ব্যক্তিরা দেখতে পাবে।

ব্যালট ইউনিটটি কন্ট্রোল ইউনিটের একটি তারের মাধ্যমে সংযুক্ত। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সম্বলিত একটি কাগজ লাগানো থাকে, আর প্রতিটি প্রতীকের পাশে একটি বোতাম থাকে।

কন্ট্রোল ইউনিট থেকে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট ইস্যু করলে একটি সবুজ সঙ্কেত উভয় ইউনিটে জ্বলে উঠবে এবং ভোটার বোতাম টিপে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকের পাশের বোতামটি টিপলে একটা 'বিপ' শোনা যাবে। তা শুনে আর প্রতীকের পাশের বাতিটি জ্বলা দেখে ভোটার বুঝতে পারবেন, তার ভোট দেওয়া হয়েছে।

ইভিএমের বিরোধিতা

ইসির সংলাপে না নিলেও বিএনপি ও তাদের জোট শরিকরা বারবার ইভিএমের বিরোধিতা করে বলছে, কেউ চাইলে যন্ত্রটি দখলে নিয়ে একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারবে। ইভিএমের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয় বলে দাবি তাদের।

কয়েকটি দল বলছে, ইভিএমে মোট ভোট গণনা হলেও প্রতিটি ভোট সঠিক ব্যক্তির কাছে পড়লো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

ভোটের আগে বা পরে ওই মেশিনে ভিন্ন সফটওয়্যার যোগ করে ফল পাল্টানোর সুযোগও থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের।

এ বিষয়ে বুয়েটের আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক লুৎফুল কবীর বলেন, "ইভিএমে কোনোভাবে কারচুপি সম্ভব নয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই ভোট দেবেন। প্রতিটি ইভিএম স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়।

"এছাড়া প্রার্থী, রাজনৈতিক দল ও ইসির কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ কমিটির সামনে ইভিএম'র সফটওয়্যার আপলোড করা হয় বলে তাতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।"

ইভিএম দখলের বিষয়ে সিইসি বলেন, "কেন্দ্র যদি দখল হয়ে যায়, কিংবা পোলিং স্টাফ এবং শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী যদি একজোট হয়ে ভোট কারচুপি করতে চায়, তবে ইভিএম কেন, কোনো ভাবেই তা ঠেকানো যাবে না।

"এ ধরনের অপকর্ম ভোটার ও নাগরিক সচেতনতা এবং সামাজিক প্রতিরোধই দূর করতে পারে।"

PRIMETIME EC DEBATE War of words before battle of ballots repertoire

Posted by methun

Six mayor candidates will look to staunchly defend and expose rivals for the Election Commission's televised debate Tuesday evening, just five days shy of Narayanganj City Corporation (NCC) election.

Sparks seem sure to fly in the theatre—an open stage of Narayanganj Club—when the two ruling party challengers and the opposition's best bet, joined by three other pretenders, will get one last chance for that decisive edge before the electorate and millions in view from 8:30pm.

The trio has hotly debated before on TV but this is the first time that the 'rank-outsiders' will be under intense media gaze and try to win hearts and minds of the public.
Shamim Osman and Selina Hayat Ivy, second-generation Awami League leaders of this commercial hub, will be primed for the primetime showdown to sway voters who will decide on Oct 30 to elect their representatives to run the city.

The event, to be attended by the chief election commissioner, A T M Shamshul Huda and moderated by  editor-in-chief Toufique Imrose Khalidi, will be beamed live by state-run Bangladesh Television (BTV) and Bangladesh Betar.


Ivy, the former municipality chairman and a doctor by training, is looking to recapture the role she once played while Shamim, who appears to have the tacit support of his party, will hope to revive his political fortunes. Taimur Alam Khandaker, a former chief of road transport authority, is a dark horse, who many believe can give the two a run for their money.

The thought of the three candidates grappling to be heard over each other has led hundreds to scramble for details.
Altogether 150 voter representatives will be present at the venue to directly question the candidates. The candidates will also be able to fire questions at each other. The mayoral contenders have confirmed that they will engage in the debate.

"We're receiving a large number of calls after running advertisements in newspapers and on TV," says Mohammad Sharifullah, executive producer of the programme.

Chief election commissioner Huda said the commission wants to give the debate an institutional shape.

"It's a programme to inform the voters," he told on Monday.

About the webcast, he said, "It's being organised to give not only the people in Bangladesh, but the expatriates also the opportunity to directly watch the programme."

"Through the debate," the CEC said, "the people will know about the voters' expectations from the candidates and what the competitors want to do."
Sharifullah said preparations to stage the programme have nearly ended.

"People from all classes and professions will represent the selected voters of Narayanganj," he said.

He said the debate will be different from the dialogues held with candidates of Khulna, Rajshahi, Sylhet and Barisal City Corporation elections in 2008 and the Chittagong City Corporation election in 2010.

"Though the previous programmes had been telecast, they were based on radio-focused scripts. I hope the upcoming debate will be a fully-fledged TV programme," he added.

Election commissioner M Sakhawat Hussain and secretary to the EC Secretariat Mohammad Sadique will also attend the debate.

সবাই বলবে সড়কের অবস্থা ভালো না: আবুল হোসেন

Posted by methun

দেশের সড়কের অবস্থা ভালো নয় স্বীকার করে বিষয়টিতে সরকারের গুরুত্ব প্রত্যাশা করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।

রোববার সংসদ অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটুর এক প্রশ্নের জবাবে দেশের সড়ক-মহাসড়ক বেহাল বলে স্বীকার করেন মন্ত্রী।

"আগামী ডিসেম্বরে বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ (এডিপি) সংশোধিত হয়ে যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ পেলে এর সমাধান হবে।", বলেন তিনি।

সড়কের অবস্থা প্রসঙ্গে আবুল হোসেন বলেন, "দেশের সড়কের যে অবস্থা ভালো না; এখানে যারা আছে সবাই তা বলবেন, এদেশের মানুষ বলবে, আমিও তা বলব। সংবাদ মাধ্যমেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। আশা করি, সরকার তা গুরুত্ব দেবেন।"

বেহাল সড়ক নিয়ে গত অগাস্টে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন যোগাযোগমন্ত্রী। সেসময় দায় স্বীকার করে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান সরকারদলীয় কয়েকজন সাংসদও।

রোববার সংসদে মন্ত্রী জানান, দেশের সড়ক সংস্কারে চলতি অর্থবছরে মাত্র ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কারে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১০০ কোটি টাকা।"

"একনেকে ১৪১০ কোটি টাকা (যা না করলে নয়) অনুমোদন করা হয়" জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, "এ অর্থ বছরেই তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এ টাকার মধ্যে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।"

আগামী ডিসেম্বরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সংশোধন (রিভাইজড) হবে বলে জানান তিনি।

সড়ক সংস্কারে সবার কাছ থেকে একই রকম প্রশ্ন আসবে উল্লেখ করে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, "এদেশের মানুষ, সংসদ সদস্য, আমরা সহকর্মী, গণমাধ্যমে যা উপস্থাপন হচ্ছে-আশা করছি তা সমাধানের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থাকবে। মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিলে দেশবাসীর আশা পূরণ হবে।"

বেহাল সড়ক নিয়ে সমালোচনামুখর সময়েও সড়ক মেরামত না করতে পারার কারণ হিসেবে অপ্রতুল অর্থ বরাদ্দের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রীকে দুষেছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী।

'নতুন সড়ক ও বাইপাস নয়'

সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, "নতুন কোনো সড়ক ও বাইপাস করার আর উদ্যোগ নেবে না সরকার। এর পরিবর্তে বিদ্যমান সড়কগুলো চলাচল উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

নতুন করে সড়ক ও বাইপাসের প্রস্তাব না দেওয়ার আহ্বানও তিনি।

জাতীয় পার্টির এস এম আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, "সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। এখন আমাদের যা রাস্তা আছে তা চলাচল উপযোগী রাখতে চাই।"

মন্ত্রী বলেন, "নতুন কোনো সড়ক ও বাইপাস করার প্রস্তাব আনবেন না। যদি প্রস্তাব আনেন, তাহলে আমি ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট প্রোফর্মা) পাঠিয়ে দিতে পারি। সার্বিকভাবে তা বাস্তবায়ন নির্ভর করবে সরকারের অর্থ সংস্থানের ওপর।"

সাংসদ সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি যথাসময়ে শেষ করার জন্য মন্ত্রণালয় জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, "আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।"

এমআই সিমেন্ট ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে

Posted by methun

বেসরকারি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমআই সিমেন্ট ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ স্টক ও ১৫ শতাংশ নগদ আকারে পাওয়া যাবে।

শনিবার পরিচালনা পর্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

২০১১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্যে এই লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ বছর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫ টাকা ৩৬ পয়সা।

১৯৯৮ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রাউন সিমেন্ট নামে সিমেন্ট উৎপাদন করে আসছে।

২০১১ সালে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ১১১ টাকা ৬০ পয়সা দরে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

গত ৬ মে থেকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ও গত ২২ মে থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়।

বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ

Posted by methun

ব্যাংক হিসাব, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খোলায় এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তাদের মতামতও তুলে ধরেছেন।

অবশ্য কমিশন মনে করে, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই পদ্ধতি চালুর আগেই নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা ঠিক নয়।

বৈঠকে উপস্থিত এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন  বলেন, "হিসাব খোলা এবং ঋণ নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরেছি আমরা। আমাদের কী কী চাহিদা তাও বলেছি। এখন সার্বিক বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন  বলেন, "আমরা পরিচয়পত্রের তথ্য অনলাইনে যাচাইয়ের পক্ষে। এজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি আমরা। কিন্তু সব ধরনের প্রস্তুতির আগেই নাগরিক সেবা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা ঠিক হবে না।"

তিনি জানান, ইসিতে সংরক্ষিত নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত ব্যবহারের বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। সবার কাছে ত্র"টিমুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের পর সেই নীতিমালা মেনেই শিগগির এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

"অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে একই ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন ব্যংক ও একাধিক বিও অ্যাকাউন্ট খোলা বা ভুয়া নামে ব্যাংক ঋণ নেওয়া রোধ করা যাবে। অন্যান্য অপরাধও কমে আসবে।"

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী যে কোনো সেবা বা নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশী নাগরিকের পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বা এর অনুলিপি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে পারবে সেবাদাতা সংস্থা।

এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র তৈরি করা, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুসাঙ্গিক সব দায়িত্ব পালনের এখতিয়ার থাকবে কমিশনের হাতে।

তথ্য যাচাই

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত সাড় আট কোটিরও বেশি ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো পরিচয়পত্র দেওয়ায় এর উল্লে¬খযোগ্য একটি অংশে বানান ও তথ্যগত ভুল রয়ে গেছে।
এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় অন্তত ১৫ লাখ লোক এখনো পরিচয়পত্র পাননি। চলতি বছরের শেষ দিকে হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।

ইসির অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই ব্যাংকের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করায় কাঙ্খিত ফল অর্জন সম্ভব হয়নি। প্রদর্শিত পরিচয়পত্রটি আদৌ আসল কি না- তা যাচাইয়ের পদ্ধতি চালু না থাকায় বাজারে জাল পরিচয়পত্র তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে।

"এ দুষ্কর্ম রোধ করতে হলে সেবা দানকারী সংস্থাগুলোকে প্রদর্শিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।"

ইসি এখন অনলাইনে এসব তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিতে প্রস্তুত উল্লে¬খ করে তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে সহজেই 'ভুয়া' পরিচয়পত্র চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কেউ ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিতে অথবা একাধিক বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে তা ঠেকানো যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখার জরিমানার বিধান রয়েছে জাতীয় নিবন্ধন আইনে।