২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় এনএসআই'র সাবেক প্রধান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিমসহ দুই আসামির পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানি শেষ হয়েছে।
রোববার শুনানি শেষে ঢাকার নাজিম উদ্দিন সড়কের বিশেষ এজলাসে বসে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন অন্য আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য আগামি ১৭ নভেম্বর দিন রাখেন।
আবদুর রহিমের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানউল্লাহ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বাকি শুনানি শেষ করেন।
এ আইনজীবী বলেন, আবদুর রহিম ঘটনার সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আগের দিনের শুনানিতে এ আইনজীবী বলেছিলেন, মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবান্দ নিয়ে আবদুর রহিমের নাম এ মামলায় আনা হয়।
এদিন আরেক আসামি আরিফ হাসান সুমনের অব্যাহতির আবেদনেরও শুনানি শেষ হয়।
সুমনের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো আদালতকে বলেন, কোনো তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলার সঠিক তদন্ত করতে পারেননি। আগের তদন্ত কর্মকর্তার উল্লেখ করা ৪শ ৮ সাক্ষী এবং পরের অভিযোগপত্রে কোনো সাক্ষীই সুনির্দিষ্টভাবে আরিফ হাসান সুমনকে সম্পৃক্ত করেননি।
এ আইনজীবী বলেন, "সুমন তার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ২০০০ সালে আহমদিয়া কাদিয়ানি মসজিদে বোমা হামলার পরিকল্পনার কথা শুনেছিল বলে জানায়। কিন্তু ২১ অগাস্টের হামলার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সে শুনেছিল বলে কোনো কথাই সে উচ্চারণ করেনি। সে কোনো জঙ্গি দলের সদস্য কি না এ ব্যাপারে অভিযোগপত্রে কোনো কথা উল্লেখ নেই।"
এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের কার্যক্রমে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন শুনানি চলছে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামিল জানান, এ নিয়ে মোট ১১ আসামির অব্যাহতির আবেদন শুনানি শেষ হলো।
এই মামলার ১২ আসামি অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজি খোদা বখশ চৌধুরী, পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল মাজিদ ভাট, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক, হরকাতুল জিহাদের নেতা শেখ আবদুস সালাম, আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মামুন, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই'র সাবেক প্রধান আব্দুর রহিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু।
৯ অক্টোবর বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়।
এই মামলার প্রথম ও সম্পূরক অভিযোগপত্রের কারাবন্দি ৩২ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় বিশেষ এজলাসে হাজির করা হয়।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ৩০ জনের মধ্যে তারেক রহমান, ডিউক, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১২জন পলাতক রয়েছেন। আর ১৭ জন কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আরেক আসামি ঢাকার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ জামিনে আছেন।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন ওই ঘটনায় নিহত হন। আহত হয় বহু নেতা-কর্মী।
রোববার শুনানি শেষে ঢাকার নাজিম উদ্দিন সড়কের বিশেষ এজলাসে বসে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন অন্য আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য আগামি ১৭ নভেম্বর দিন রাখেন।
আবদুর রহিমের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানউল্লাহ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বাকি শুনানি শেষ করেন।
এ আইনজীবী বলেন, আবদুর রহিম ঘটনার সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আগের দিনের শুনানিতে এ আইনজীবী বলেছিলেন, মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবান্দ নিয়ে আবদুর রহিমের নাম এ মামলায় আনা হয়।
এদিন আরেক আসামি আরিফ হাসান সুমনের অব্যাহতির আবেদনেরও শুনানি শেষ হয়।
সুমনের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো আদালতকে বলেন, কোনো তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলার সঠিক তদন্ত করতে পারেননি। আগের তদন্ত কর্মকর্তার উল্লেখ করা ৪শ ৮ সাক্ষী এবং পরের অভিযোগপত্রে কোনো সাক্ষীই সুনির্দিষ্টভাবে আরিফ হাসান সুমনকে সম্পৃক্ত করেননি।
এ আইনজীবী বলেন, "সুমন তার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ২০০০ সালে আহমদিয়া কাদিয়ানি মসজিদে বোমা হামলার পরিকল্পনার কথা শুনেছিল বলে জানায়। কিন্তু ২১ অগাস্টের হামলার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সে শুনেছিল বলে কোনো কথাই সে উচ্চারণ করেনি। সে কোনো জঙ্গি দলের সদস্য কি না এ ব্যাপারে অভিযোগপত্রে কোনো কথা উল্লেখ নেই।"
এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের কার্যক্রমে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন শুনানি চলছে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামিল জানান, এ নিয়ে মোট ১১ আসামির অব্যাহতির আবেদন শুনানি শেষ হলো।
এই মামলার ১২ আসামি অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজি খোদা বখশ চৌধুরী, পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল মাজিদ ভাট, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক, হরকাতুল জিহাদের নেতা শেখ আবদুস সালাম, আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মামুন, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই'র সাবেক প্রধান আব্দুর রহিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু।
৯ অক্টোবর বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়।
এই মামলার প্রথম ও সম্পূরক অভিযোগপত্রের কারাবন্দি ৩২ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় বিশেষ এজলাসে হাজির করা হয়।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ৩০ জনের মধ্যে তারেক রহমান, ডিউক, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১২জন পলাতক রয়েছেন। আর ১৭ জন কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আরেক আসামি ঢাকার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ জামিনে আছেন।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন ওই ঘটনায় নিহত হন। আহত হয় বহু নেতা-কর্মী।