SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

আশরাফুল সাকিব তামিম

Posted by methun

খুব সহজ প্রশ্ন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান কোন ক্রিকেটারের? তামাম দুনিয়ার ক্রীড়াপ্রেমীরা বলে ফেলবেন একবাক্যে, শচীন টেন্ডুলকার। যদি জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কে 'থ্রি থাউজেন্ড ক্লাবের সদস্য? আমতা করতে দেখা যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। ১৯৭১ সাল থেকে এই চার দশকে ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে ৩১৮৬টি। এরমধ্যে তিন হাজার করে রান করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংখ্যা মাত্র তিন জন; মোহাম্মদ আশরাফুল, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।

এক হাজার রান, দুই হাজার রানের ক্লাবের সদস্য বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার। তিন হাজার ক্লাবের প্রথম সদস্য হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। সেই আশরাফুল এখন দলের অনিয়মিত সদস্য। এক ম্যাচ খেলছেন তো, পরের ম্যাচে বাদ। এভাবেই চলছে দেশের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অসাধারণ পারফর্ম করা আশরাফুল ওয়ানডে সিরিজে খেলেছেন দুটি ওয়ানডে। কিন্তু রান করতে না পারায় যথারীতি বাদ। নিয়মিত না খেললেও দেশের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার আশরাফুলের রান এখনো সবচেয়ে বেশি। ১৬৮ ম্যাচে ২২.৮৩ গড়ে রান ৩৩৮০।

গত এপ্রিলে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে থ্রি থাউজেন্ড ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ সাকিব। বাংলাদেশের অন্যতম এই ক্রিকেটার ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করে সদস্য হয়েছিলেন থ্রি থাউজেন্ড ক্লাবের। ১১৫ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ অধিনায়কের বর্তমান রান ৩৪.২১ গড়ে ৩১৮২। তিন হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন ১০৯ ম্যাচের ১০৫ নম্বর ইনিংসে। দ্রুততম বিচারে তিন হাজার রান করেছেন এমন ক্রিকেটার হিসাবে তার অবস্থান ৬৯। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত তিন হাজার রান করেছেন তামিম। দ্রুততম বিচারে তার তামিমের অবস্থান ৬৩। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে ৬১ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে তিন হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন এই বাঁ হাতি ড্যাসিং ওপেনার। তিনি তিন হাজার রান করেছেন হার্ড হিটার কৃঞ্চচামারি শ্রীকান্ত, মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনদের আগে। তামিমের বর্তমান রান ১০২ ম্যাচের ১০২ ইনিংসে ২৯.৪৯ গড়ে ৩০০৮। তামিম যে গতিতে রান করছেন, তাতে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে পাঁচ হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করবেন যখন তখন।

ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত তিন হাজার রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিজেন্ড ক্রিকেটার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। ১২১ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৭ গড়ে ৬৭২১ রান করা রিচার্ডস তিন হাজার করেছিলেন মাত্র ৬৯ ইনিংসে। অবশ্য ম্যাচ খেলেছিলেন ৭২টি। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে তিন হাজার করেছেন তারই স্বদেশী ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ এবং ভারতের সাবেক কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেন। দ্রুততম তিন হাজার রান করেছেন তালিকায় টেন্ডুলকারের অবস্থান ৩৬। অথচ ওয়ানডে এবং টেস্ট, দুই ধরনের ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রানের মালিক এই ভারতীয় ক্রিকেট লিজেন্ড। তারচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ রান করেছেন এক ম্যাচে। এছাড়া ওয়ানডে এবং টেস্ট মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৯৯টি। টেস্টে ৫১ এবং ওয়ানডেতে ৪৮টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের রান ৪৫৩ ম্যাচে ১৮১১১।



থ্রি থাউজেন্ড ক্লাবের তিন ক্রিকেটার



      ক্রিকেটার                ম্যাচ          ইনিংস         রান           গড়        সর্বোচ্চ          সেঞ্চুরি          হাফসেঞ্চুরি

মোহাম্মদ আশরাফুল          ১৬৮          ১৬১         ৩৩২০        ২২.৮        ১০৩            ৩                 ২০

সাকিব আল হাসান             ১১৫           ১১১         ৩১৮২        ৩৪.২১       ১৩৪*        ৫                  ২০

তামিম ইকবাল                  ১০২           ১০২         ৩০০৮         ২৯.৪৯       ১৫৪          ৩                 ১৯

পরিদর্শনে গিয়ে তোপের মুখে যোগাযোগমন্ত্রী

Posted by methun

গাজীপুরের ভোগড়ার বাইপাস মোড়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে গতকাল মন্ত্রী সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুসসহ অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় গাড়ি থেকে নামতেই স্থানীয় জনগণের তোপের মুখে পড়েন তিনি। অনেক মানুষ চিৎকার করে বলতে থাকেন, অবিলম্বে রাস্তা ঠিক করুন। অন্যথায় পদত্যাগ করুন। মন্ত্রী হাসিমুখে জনগণ ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। মন্ত্রী বলেন, পদত্যাগ করার কোনো কারণ নেই। কাজ করব।

এরপর তিনি রওনা হন মাওনার দিকে। চলতি পথে গাজীপুর চৌরাস্তা ও রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় ব্যাপক ভাঙন থাকলেও মন্ত্রী সে সব স্থানে নামেননি। মাওনাতেও ভোগড়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যোগাযোগমন্ত্রী হাসিমুখে সব সামাল দেন। মানুষ মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, মানুষকে দুর্ভোগে রেখে আপনি হাসলে হবে না। ঈদের আগেই রাস্তা মেরামত শেষ না করে দিলে পরিণতি খারাপ হবে। এক পর্যায়ে মাওনা চৌরাস্তায় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরলে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

যোগাযোগমন্ত্রী ভোগড়ায় পেঁৗছার আগেই শুরু হয় মহাসড়কের ক্ষতস্থানে মেরামতের কাজ। একাধিক রোলার দিয়ে সওজ বিভাগ রাস্তা মেরামতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, মন্ত্রী আসবেন শুনে সকাল থেকেই তোড়জোড়ে কাজ শুরু হয়। অথচ গত তিন দিনেও রাস্তায় তেমন কোনো কাজ হয়নি। মেরামত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকৌশলী আবদুল হাই জানান, শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় কাজ শুরু করেছেন। এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া, গাজীপুর ও মাওনা এলাকায় রাস্তার দুই পাশে বহুতল ভবন এবং এর সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়েছে, অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট, কারখানা স্থাপন ও ভবন নির্মাণের কারণে। বহুতল ভবন এবং কারখানার বর্জ্য ও পানি সরাসরি রাস্তার উপর আসে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়ক। এছাড়া এবার অবিরাম বৃষ্টির ফলেও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সড়ক বিভাগের এমনই ইমেজ তৈরি হয়েছে যে চাইলেই সড়ক মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। প্রকল্প করে দিতে হয়। তারপর অর্থ ছাড় হয়। তিনি বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু এখন আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় পেঁৗছে সেখানকার অবস্থা দেখে মন্ত্রী বলেন, এখানেও একই সমস্যা। রাস্তার উপর বাজার, দোকানপাট, অবৈধ স্থাপনা এবং বহুতল ভবন নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় পানি জমে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আজ থেকেই মাওনায় রাস্তার দু'পাশের অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুর্বল স্থাপনা উচ্ছেদ করার কাজ শুরু করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এদিকে মন্ত্রী ঢাকায় ফেরার পথে রাজেন্দ্রপুরে সড়ক বিভাগের পরিদর্শন বাংলোয় বসে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সংসদে যারা সমালোচনা করেছেন, প্রস্তাব রেখেছেন_ সেটিকে আমি খারাপভাবে দেখি না। অন্যায়ভাবেও দেখি না। তবে যেটি সঠিক সেটি বলা উচিত। অন্যায়ভাবে যে সমালোচনা হয়েছে তা একদিন তার জন্য সুফল বয়ে আনবে। রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য অর্থ সংস্থানের প্রসঙ্গ টেনে আবুল হোসেন বলেন, অর্থমন্ত্রী যদি বলেন যে রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য তোমাকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। তুমি নিজে ব্যবস্থা করে মেরামত কর। তাহলে আমি নিজে সেই অর্থের সংস্থান করব। ১৫ বছর পরে সেটি পরিশোধ করব। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো টাকা না নিয়েই আমি সেটা করতে পারব।

দামি গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ে নেমেছে ওরা ঈদকে সামনে রেখে ঝুঁকিতে রাতের ঢাকা

Posted by methun

সাইফুল আজিমের বাবা বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা। বাসা মহাখালী এলাকায়। বাসা থেকে কলেজের দূরত্ব হেঁটে যাওয়ার পথ তবুও বাবা শখ করে ছেলেকে কিনে দিয়েছেন একটি দামি মোটরবাইক। সম্প্রতি ওই বাইক নিয়ে ছিনতাই করতে গিয়ে আরও দুই সহযোগীসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় সাইফুল।

শুধু সাইফুল আজিমই নয়, তার মতো বখে যাওয়া অভিজাত পরিবারের দুলালরা রাত হলেই দামি প্রাইভেট কার ও হাল ফ্যাশনের মোটরবাইক নিয়ে ছিনতাইয়ের জন্য নেমে পড়ে। মোড়ের চায়ের দোকান কিংবা নির্জন এলাকায় বসে সিগারেট টানার পাশাপাশি খুঁজতে থাকে শিকার।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জানান, রাত হলেই যারা মোটরবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করতে বেরোয় তারা মূলত মাদকসেবি। হাতে টাকা কম থাকলেই তারা ছিনতাইয়ের মতো মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এ ছাড়াও আরও একটি পেশাদার গ্রুপ মোটরবাইক ও গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করে থাকে। এরাই বেশি ভয়ঙ্কর। প্রয়োজনে গুলি করতেও তাদের বুক কাঁপে না। ছিনতাই কাজে এরা যে মোটরবাইক ও গাড়ি ব্যবহার করে তার অধিকাংশে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। কেউ কেউ আবার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে।

ছিনতাইকারীর শিকার হওয়া ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের এক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টায় অফিসের কাজ শেষে মোটরবাইকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফেরার সময় বঙ্গভবনের সামনে দুটি বাইকে চার ছিনতাইকারী এসে তার গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বাজাজ কোম্পানির পালসার ব্র্যান্ডের একটি দেড়শ সিসির বাইক ছিনিয়ে নেয়। নতুন বাইকটি তিনি কিনে ছিলেন ঘটনার তিন দিন আগে।

ধানমন্ডির বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে তিনি গুলশানের অফিসে কাজ শেষ করে নিজের প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে পেঁৗছলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার সামনে গিয়ে তার পথরোধ করে। পরে তিন অস্ত্রধারী তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। টি শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা দুই ছিনতাইকারী তার হাত থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফার্মগেটের দিকে চলে যায়। একুশ দিন পর দালালের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের হাতে ছয় লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা গাড়িটি বাড্ডা থানার পাশে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গাড়ি ও মোটরবাইক ছিনতাইয়ের সঙ্গে দুই ধরনের অপরাধী জড়িত। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ পেশাদার। অপরটি অভিজাত পরিবারের বখে যাওয়া মাদকাসক্ত সন্তান। পেশাদার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সহজ হলেও মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানান, রাজধানীতে গড়ে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৪৫টি গাড়ি ও মোটরবাইক ছিনতাই হয়ে থাকে। প্রতিটি ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় একই রকম। হয় প্রাইভেট কার অথবা মোটরবাইক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ছিনতাই করা হলেও থানায় অধিকাংশ মামলা নেওয়া হয় চুরির। পরে তা তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ডিবিতে।

আমরণ অনশনে যাবেন তারানা হালিম এমপি

Posted by methun

নৌমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের সুপারিশে অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দিলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য তারানা হালিম।

তারেক মাসুদ ও আশফাক মুনীর স্মরণে গতকাল এক শোক সমাবেশে তিনি বলেছেন, দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি কোনো পরীক্ষা ছাড়া অদক্ষ চালকদের ১০ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। জানতে পেরেছি, আরও ২০ হাজারেরও বেশি অদক্ষ চালককে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী সুপারিশ করেছেন। নতুন এ ২০ হাজার অদক্ষ চালকের একজনকেও যদি লাইসেন্স দেওয়া হয় ও ১০ হাজার অদক্ষ চালকের লাইসেন্স বাতিল করা না হয় তাহলে আমি 'আমরণ অনশন' করব বলে তিনি ঘোষণা দেন।

১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের এ সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক-আশফাকের প্রাণহানিতে বৃহস্পতিবার সংসদেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী তারানা।

তারানা হালিম দাবি করেছেন, যেসব অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। কারওয়ানবাজারে এটিএন নিউজ কার্যালয়ের সামনে ওই শোক সমাবেশের আয়েজন করে সাইফ ফাউন্ডেশন এবং ফ্যামিলিজ ইউনাইটেড এগেইনস্ট রোড অ্যাকসিডেন্ট (ফুয়ারা)। তারানা ২০০৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাইফের খালা।

সমাবেশে অংশ নেন সাইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সাইফের মা সামিয়া হালিম, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা।

ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুকন্যার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য ব্যর্থরা থাকতে পারেন না

Posted by methun

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ আর অসৎ মন্ত্রী থাকতে পারে না। এদের বের করে দিতে হবে। ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল এমপি, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের অন্যতম নায়ক খালেদ মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল বোস, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম এ রশীদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এমপি।

বক্তারা বলেন, সরকারের ব্যর্থতা চাই না, সফলতা চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য চাই, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির পরিহার চাই, অবসান চাই। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে আজ মোসাহেবদের সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ আজ অনেক দূরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হয় আর আজ তার আদর্শকেই হত্যার আলামত শুরু হয়েছে। ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী ছিলাম_ এই পরিচয়টাকেই বড় করে দেখি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তা আমরা পালন করবই, এটি কারও দয়ামায়ার বিষয় নয়, আমাদের অধিকার। তিনি বলেন, যারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন তারা জনগণের সেবক মাত্র, ক্ষমতা তাদের হাতে নয়, ক্ষমতা তো সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে অর্থাৎ জনগণের কাছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মারা গেছেন কিন্তু তার আদর্শ মারা যায়নি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা এখনো ঐক্যবদ্ধ। সংবিধান সংশোধন করে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। সব জায়গায় দলীয়করণ কেন, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।

ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ, মন্ত্রী থাকতে পারে না, এদের বের করে দিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারে যারা আছেন তারা মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এমন কোনো সদস্য থাকবে না যাদের কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ তাদেরই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে একটি গোষ্ঠী ঘিরে রেখেছিল একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকেও ঘিরে রেখেছে একটি গোষ্ঠী। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার চারপাশে যারা আছেন তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, ওরা মিষ্টি কথা বললেও তার আড়ালে অন্য কিছু থাকতে পারে।

আবদুল জলিল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলায় শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্লাটফর্ম হিসেবে বাকশাল করেছিলেন। তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চেতনা ছিল সর্বজনীন। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বিশ্ব রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি দৈহিকভাবে আর এখন হারাতে যাচ্ছি রাজনৈতিকভাবে। তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে সংসদে এসেছেন, এমনকি সংসদীয় স্থাযী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছেন; তারাই আবার মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে দল এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতক মোশতাকই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক আর তাজউদ্দিন ছিলেন অনেক দূরে। তাজউদ্দিন জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তার চেয়ে বড় কোনো বন্ধু বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে মোসাহেবদের জয়জয়কার। তিনি বলেন, আমি সরকারের সমালোচক, শত্রু নই। সরকারের পতন চাইতে আসিনি, সংশোধন চাইতে এসেছি। সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যারা একদিন বঙ্গবন্ধুর হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি আর চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন তারাই আজ শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী। আর যারা সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিবেদিত তারা আজ অনেক দূরে।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা আড়ালেই মূল পরিকল্পনাকারী

Posted by methun

ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা আড়ালেই রয়ে গেলেন। দীর্ঘ সাত বছরে ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হলেও হামলার পরিকল্পনাকারীদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিভীষিকাময় ওই গ্রেনেড হামলার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত। তদন্তে যাদের সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। যে কারণে ওই পরিকল্পনাকারীরা তদন্তের বাইরে যেমন রয়ে গেলেন, তেমনি হামলার ঘটনা থেকেও তারা পার পেয়ে গেলেন। তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি ৩ জুলাই আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই অভিযোগপত্রে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ নতুন করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তবে এর পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী কারা_ এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। এ অবস্থায় বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শীঘ্রই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধিকতর তদন্তে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এ চাঞ্চল্যকর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। মূল বিচারের কার্যক্রম শুরুর জন্য সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মামলার নথিপত্র গত সপ্তাহে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান হয়। এরপর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পলাতক ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণে করার নির্দেশ দিয়ে জারি করা পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিসহ পত্রিকার কপি আদালতে দাখিল করা হয়। পরে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত মর্মে উল্লেখ করে নথি দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। ২৫ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করার কথা রয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ গতকাল বলেছেন, আগামী মাস থেকে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী বছর তা শেষ হতে পারে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন প্রাণ হারান। আহত হন পাঁচ শতাধিক। চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পর মতিঝিল থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মূল কুশীলবদের বাঁচানোর জন্য চারদলীয় জোট সরকার গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জমজমাট জজ মিয়া নাটক সাজায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ওয়ান-ইলেভেনের পর ফের মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির এএসপি ফজলুল কবীর। ঘটনার ৪৬ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই অভিযোগপত্রে মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গ্রেনেডের উৎস ও মদদদাতাদের শনাক্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আদালত মামলার বর্ধিত তদন্তের আদেশ দেন। ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট তদন্ত শুরু করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ। ১৩ দফা সময় বাড়িয়ে ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার তদন্ত শেষ হয়। বর্ধিত এই তদন্তে নতুন করে ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। প্রথম চার্জশিটে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক, আমীর হোসেন আমুসহ ৪০৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। আলামত জব্দ দেখান হয়েছিল ৬৯ ধরনের।

প্রথম চার্জশিট ও বিচার : দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার ৪৬ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবীর ২২ জনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা দুটি একই বছর দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২১ আগস্টের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলার বিচার চলছে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চেমন চৌধুরীর আদালতে চলছে হত্যা মামলার বিচার। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। আদেশে নেপথ্য মদদদাতা ও গ্রেনেডের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ মামলাটির অধিকতর তদন্ত শুরু করেন। অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য ১৩ দফা সময় বাড়িয়েছেন আদালত।

CLIMATE CHANGE 'Let's move from talks to action'

Posted by methun

Bangladesh is most vulnerable to climate change, junior minister for environment and forests has said calling upon the developed nations to swing into action from dialogues on mitigation.

"We've repeated wake-up calls from nature through floods, droughts etc. But still we're busy talking," Hasan Mahmud told a dialogue in the capital on Tuesday.

He expects that the Nov Durban climate talks will help make substantial progress in this regard.

He also sought 'transparency' in global climate change fund disbursement.

International NGO Oxfam and Campaign for Sustainable Rural Livelihoods (CSRL) organised the dialogue titled 'Expectations from Durban: UK and Bangladesh Perspectives' in cooperation with the European Union (EU) at CIRDAP auditorium.

Portraying Bangladesh's extra strain from climate change, the junior minister said a meter rise of the sea due to global warming would inundate a fifth of Bangladesh's landmass displacing over 30 million people.

He said: "Climate change is on us and we cannot afford wasting time."

"Developed nations should take quick mitigation actions to face climate change impacts. And there should be transparency in releasing climate change fund."

Mahmud said Bangladesh has been successful in establishing climate change fund. "We've established two funds - Bangladesh Climate Change Trust Fund and Bangladesh Climate Change Resilience Fund on our own."

Extolling the role of the UK, Mahmud said the European country was the biggest donor of Bangladesh last year. "The UK and Bangladesh should work together in climate change-related areas."

Visiting UK MP of Bangladeshi origin Rushanara Ali, speaking at the dialogue, expressed her eagerness to work together with Bangladesh and suggested public pressure on government to raise climate fund.

She said her opposition Labour Party would be pushing the British government to play a proactive role in pressurising the international community for releasing the climate change fund as per their commitments.

Rushanara, who immigrated to East End of London with her family when she was 7 years of age in 1982, said she had a powerful memory about and strong connection with Bangladesh.

"In 1997, when the Labour Party was in power, we campaigned for increasing aid for Bangladesh.

"We committed more support for Bangladesh, but it's not being followed through [by the present government]," she said and pledged her party's full support to Bangladesh in climate change issues.

Chairman of all-party parliamentary group on agriculture and rural development Hasanul Haq Inu demanded pledges from the developed world in the upcoming Durban meet to rehabilitate climate refuges.

Putting forward an idea of three-tier planning for Bangladesh – global, regional and country-level – to face the climate change impacts, Inu also asked the advanced world to set up a climate change adaptation research institution in the country.

He said the global climate change fund should be given directly to the affected countries.

"We don't want it through the World Bank or the IMF [International Monetary Fund]. At least 70 percent of the total fund should be given to the LDCs."

Climate scientist Dr Ahsan Uddin Ahmed said the UK had committed 60 million pound for Bangladesh after a 2008 signing between the two countries.

"But delay in releasing the funds make its use less effective," he said urging the UK to play a strong role in supporting Bangladesh by providing financial support.

Campaign for Sustainable Rural Livelihoods' convener and former adviser to the caretaker government Dr C S Karim moderated the dialogue, also attended by Oxfam's country director in Bangladesh Gareth Price Jones.

'Govt to cap immigration cost in 3 months'

Posted by methun

The government will cap immigration cost within three months to facilitate more Bangladeshi people's going abroad for employment, a top official has said.

Expatriates' welfare and overseas employment secretary Zafar Ahmed Khan told at a press conference in the city on Tuesday that the cost would be fixed after holding discussions with the ministry concerned and manpower exporter association.

"The immigration costs of the neighbouring countries will be reviewed… the cost should not be more than three months' earnings of an expatriate," he said.

Jafar said: "The cost is being higher for visa trade. Money amounting to 2-3 times the real cost is being taken from the immigrants. It's very inhuman. This can't be a business rule. It should be banned.

The press conference was organised on the closing day of a two-day international workshop at Hotel Ruposhi Bangla.

Bangladesh and Switzerland organised the workshop to reduce the immigration costs through discussions with the manpower recruiting countries and prepare a model agreement.

Fifty representatives from 27 countries, including the 11 of the Colombo Process -- a regional consultative process on the management of overseas employment and contractual labour for countries of origins in Asia -- and 17 international and non-government organisations took part in the workshop.

Representatives of International Organisation for Migration (IOM), International Labour Organisation (ILO), United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR), Asian Development Bank (ADB) and World Bank participated in the workshop.

Representatives from Welfare Association of Repatriated Bangladeshi (WARBE), BMDF, BRAC, CARAM Asia, IMA Foundation, Bangladesh Association of International Recruiting Agencies (BAIRA) and GFMD (Switzerland) also took part in it.

Eight recommendations were placed at the workshop by different non-government organisations (NGOs), government representatives and international organisations and seven recommendations by the manpower recruiting countries.

The recommendations will be placed in the annual conference of Global Forum on Migration and Development (GFMD), formed under the supervision of the UN, at Geneva in Switzerland on Dec 1-2.

"The final decision will be made in the conference in presence of the high-level representatives. There will be obligation on the countries concerned to comply with the decisions made in the conference," Khan added.

He also said the issued would be discussed in the 'Abu Dhabi Dialogue' – talks between the 11 Colombo Process countries and 9 other countries – at Manila in the Philippines in April next year.

ISPs address ITC move

Posted by methun

Nation's internet service providers have urged the government to restrict international terrestrial cable (ITC) services from providing services other than transmission.

At a press conference on Tuesday, Internet Service Providers Association of Bangladesh (ISPAB) said the information communication technology (ICT) industry would lose its balance if the companies were allowed provide other services as well.

The government on Sep 13 permitted six companies, Novocom Limited, Asis-AHL JV, BD Link Communication Ltd, Mango Teleservices Ltd, Summit Communications Ltd and Fibre@Home Ltd, for laying terrestrial cables in Bangladesh.

Under the licence, the companies will be able to connect with the neighbouring countries through terrestrial fibre-optic cables. The country currently has only one connection to be with the international internet gateway.

Under a licencing guideline published on Mar 31, the telecom regulatory body had announced it would issue three licences at most. Later, however, it cleared six companies, saying a healthy competition would keep bandwidth prices low.

ISPAB president Akhteruzzaman Manju said the vital initiative of issuing ITC licences may fail if the policy is not corrected immediately.

The ISPs also demanded that Bangladesh be connected to a second submarine cable with delay.

They recommended that ITC companies should provide connections to divisional headquarters and Dhaka, and be required to connect all district headquarters within a given time.

The providers also suggested that they be allowed to take ITC connections directly, since IIGs (International Internet Gateway) are situated in Dhaka and Chittagong.

Manju also said the ILTDS policy introduced during the last caretaker government should be amended as it was full of confusions. The policy concerns VoIP services.

56 EC officials promoted

Posted by methun

The process to reform the Election Commission (EC) has begun by promoting 56 officials of the EC Secretariat after around eight years.

The EC issued the promotion order on Tuesday.

The promoted officials will now be transferred to field offices.

Those promoted include two joint secretaries, nine deputy secretaries/directors and 45 senior assistant secretaries/additional regional election officers/district election officers/deputy directors.

Returning officer Jesmin Tuli who has been promoted as a joint secretary told  that the promoted officials had joined the EC Secretariat as per a decision of the commission.

"The EC will soon issue an order to depute them in field offices," she added.

As per the Election Commission (Officers and Staff) Rules 1979, there was no provision to transfer an official to field offices once s/he was deputed to the EC Secretariat at Agargoan in the city. But initiatives were taken to reform the EC after A T M Shamsul Huda was made its chief.

As a part of the initiative, the Election Commission Secretariat Ordinance was formulated in 2009. The EC also initiated to prepare new manpower structure by amending the rule book.

The EC Ordinance 2008 separated the secretariat of the constitutional body from the Prime Minister's Office.

Woman 'commits suicide'

Posted by methun

A woman has committed suicide following her husband's denial to go to a Durga Puja marquee, the husband says.

Police detained Meghnad Roy when he brought Krishna Rani Roy, whom she married seven months back, to the Dhaka Medical College Hospital (DMCH) on Tuesday evening.

She was pronounced dead later.

Meghnad, a tailor in the New Market area, told reporters, "Rani asked me to go to worship Durga in the noon. She tried to commit suicide by hanging herself when I denied going as I had many works to be done."

DMCH police camp sub-inspector Mozammel Haque told that he informed a police station after detaining Meghnad.

Ex-principal charged for corruption

Posted by methun

The Anti Corruption Commission (ACC) has found Azizul Haque College former principal's and Bangladesh Chattra League (BCL) leaders' involvement in misappropriation of college fund worth Tk 3.4 million.

ACC Bogra office deputy director Mohammad Kamrul Ahsan submitted charge-sheets in 2 misappropriation cases to the court on Tuesday.

He told journalists that he pressed charges against former principal Sultan Ali and 21 others.

The accused student leaders are Chattra League college committee convenor Mahmudunnabi Russell and two joint convenors Kamrul Huda Ujjal and Kamrul Hasan Dalim.

The other alleged are retired chief assistant Jashim Uddin, acting chief assistant Abu Ershad Mohammad Mizanur Rahman, accounts executives S M Abdul Mannan and Rafiqul Islam, office assistant Abul Hossain, cashier Golum Azam, electrician Mohammad Montezar Rahman, assistant electrician Azharul Islam, cash assistant Mehedy Hassan, peons M A Hannan, Mohammad Shahinur Islam Shaheen, Zahidur Rahman, Harunur Rashid, Mohammad Alamgir, Mohammad Abdul Baset, Delwar Hossain, Sahadat Hossain and Moynul Haque.

ACC filed three cases with Bogra Sadar police station on Oct 4 last year against 23 charging them with embezzlement of Tk 6,870,140 between Nov 18 and Dec 31 2010.

The ACC investigators found proves of misappropriation of Tk 3.4 million.

Former assistant general secretary of the college student council Aminul Islam Dablu was exonerated from the charge as his involvement was not found.

The ACC had made 45 witnesses including incumbent principal A K M Salamat Ullah in the case.

The plaintiff of the three cases, ACC assistant director Birkanta Roy told that the charge-sheet of another case of embezzling Tk 3.4 million would be submitted shortly.

NCC POLLS No party sway, says EC

Posted by methun

An election commissioner has urged political parties not to associate themselves with the forthcoming Narayanganj City Corporation (NCC) elections.

"According to local government law, city corporation elections are non-political. A political party cannot nominate a candidate in this election," M Shakhawat Hossain told the press on Tuesday.

"That is illegal," he said.

He, however, added that they were not banned from supporting any candidate.

The Election Commission on Tuesday approved all the eight nomination papers submitted for the polls scheduled for Oct 30.

Former Awami League MP Shamim Osman and former Narayanganj municipality mayor Selina Hayat Ivy are among the candidates.

A late-night meeting at the prime minister's residence went on for hours attempting to decide which of the two gets the party back-up.

After the meeting, prime minister's adviser H T Imam told reporters, "The party president will decide on the matter."

Senior Awami League leaders and cabinet members were present at the meeting.

"We hope political parties will refrain from associating themselves with the nomination of candidates," Shakhawat said apparently pointing at this meeting.

In reply to a question, he said the EC would take all necessary measures to ensure a free environment during the election.

"Law enforcement agencies will be deployed ahead of the polls. But there is no situation as of now to deploy the army," he added.

The deadline for withdrawing nomination papers in the election is Oct 12.

TRANSSHIPMENT FM to look into 'subsidy' to India

Posted by methun

Foreign ministry will seek clarification from other government agencies whether any subsidy is being provided for carrying goods under transshipment arrangement.

"I will ask other agencies to let me know if any subsidy is being given or not and if any subsidy is given, have they taken the exemption into consideration," foreign ministry Dipu Moni said at a press briefing at the ministry Tuesday.

She said BIWTA informed her that all regular charges applicable to domestic vessels are also applicable to transshipment carrier.

Earlier, an expert on transit issue Debapriya Bhattacharya told that all domestic vessels enjoy certain subsidy including fuel or no charge on pollution.

The trial run of transshipments was agreed upon at the renewal meeting of Protocol on Inland Water Transit and Trade in Goa, India and it would continue until March 2012.

Passage of Indian goods from Kolkata to Tripura through Ashuganj started from Sep 28.

The foreign minister said so far, four vessels have been permitted to carry transshipment goods through Ashuganj river port and owners of the three of them are Bangladeshis.

"We need many legal instruments to bring full transit and transshipment framework into operation and many things are related to it," she said without elaborating.

Bangladesh during the visit of prime minister Sheikh Hasina to India in 2010 agreed that Ashuganj would be declared a port of call, but Dhaka not only declared the river port as port of call but also the second transshipment point.

TEESTA AGREEMENT

The foreign minister said Teesta agreement would be signed during the tenure of the incumbent Awami League government but she did not give any date.

"Both the governments were ready to sign the Teesta interim agreement but we all know why it was not signed," she said.

When asked, before the visit of Indian premier Manmohan Singh to Dhaka why she said Teesta agreement would be signed, Moni said, "You all have record of my interview. I said I hope that the agreement would be signed."

"Both of us were ready to sign it and I did not have any official confirmation otherwise," she said.

Before any VVIP visit, lots of negotiations take place and many agreements are discussed, she said.

"Not necessarily all agreements are signed."

Asked why Bangladesh did not sign letter of exchange on transit, she said a country does not sign any particular agreement for strategic or any other reason.

JOINT BASIN MANAGEMENT

The minister said Bangladesh has requested China to have an agreement on joint management of river basin.

"We share some rivers including Brahmaputra with China, and I requested my Chinese counterpart on several occasions to consider the issue," she said.

China is positive about it and both the countries are likely to sign an agreement in future, she added.