SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

শামীমের বিনম্র ভোটপ্রার্থনা আইভীর বিষোদগার, তৈমূরের জন্য দল এক

Posted by methun

বড় ভাইয়ের স্নেহ নিয়ে অনুজ আইভীকে বলেছিলেন ভাই শামীম ওসমান, বোন আয় একসঙ্গে কাজ করি। লাজুক হাসি দিলেও কোনো কথা বলেননি আইভী। এ নিয়ে শামীম ওসমানের মন খারাপ হয়নি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোটের লড়াই যখন তুঙ্গে, নির্বাচন দোরগোড়ায় তখনই বাড়ি বাড়ি ঘুরে উঠান বৈঠকে শালীনতার নেকাব খুলে অগ্রজ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান বুকে বেদনা অনুভব করলেও কোনো জবাব দিতে নারাজ। বলেছেন, মায়ের দোয়া নিয়ে নামাজ পড়েই নামেন ভোট চাইতে। গিবতকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না_ হাদিসের এ মর্মবাণীতে বিশ্বাসী তিনি। তাই কর্মীদেরও বলেছেন কারও নিন্দা নয়, বিনয়ের সঙ্গে যেন তার হয়ে ভোট চাওয়া হয়। শামীম সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবলেও আইভী বলছেন তিনি জিতবেন। কারও সঙ্গে লড়াই-ই হবে না। শামীমের বিনয়ী আচরণ, অক্লান্ত পরিশ্রম, মুরবি্বদের কদমবুসি করে শিশুর মতো ভোটের আবদার মানুষের মনকে নাড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে সেলিনা হায়াত আইভীর আত্ম-অহঙ্কার ভোটাররা ভালো চোখে দেখছেন না। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে।

এদিকে প্রচারণা ও গণসংযোগে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছেন এনসিসি প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান, তৈমূর আলম খন্দকার ও ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। আর যেন সময় নেই তাদের হাতে। নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। এরই মধ্যে ভোটারদের মন জয় করতে হবে তাদের। তাই এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন নানা কৌশল। কেউ কারও বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, কেউ ভোট প্রার্থনায় অত্যন্ত বিনয়ী, আবার কেউ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যর্থতার সমালোচনাসহ জয় নিশ্চিত করতে মরণপণ লড়াইয়ের দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। অন্যদিকে ভোটাররাও প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনার কৌশল পর্যবেক্ষণ করছেন নিবিড়ভাবে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ডেই চষে বেড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্যবিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, বিএনপির একক প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান। প্রতিটি এলাকার রাস্তা, বাজার, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাধারণ মানুষ এমনকি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরজার কড়া নেড়েছেন তারা একাধিকবার। প্রার্থীদের দফায় দফায় আগমন ও ভোট প্রার্থনার কৌশল এবং আন্তরিকতা গভীর রেখাপাত করছে ভোটরদের মনে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় আন্তরিকতা অপেক্ষা বিষোদ্গার বিষয়টি যেমন সমালোচিত হচ্ছে, তেমনি ভোট প্রার্থনায় কারও বিনয়ী মনোভাব ভোটারদের কাছে হচ্ছে নন্দিত। মূলত ভোটারদের মধ্যে শামীম, তৈমূর ও আইভীর ভোট প্রার্থনা, প্রচারণা এবং গণসংযোগ নিয়ে চলছে নানা গল্প।

সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা হয় খোলামেলা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোটাররা বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. আইভী ভোট প্রার্থনার চেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিষোদ্গারকেই নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণায় দোয়া অপেক্ষা অপর প্রার্থী শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে চলেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনে সব প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হবে এ রকম ধারণাই জেলার রাজনৈতিক কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু আইভী প্রার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের ধারণাকে আমলেই নেননি। গত বৃহস্পতিবার গণসংযোগকালে তিনি বলেছেন, 'এ নির্বাচনে কোনো ধরনের লড়াই-ই হবে না।' তার এ রকম বক্তব্যে আত্ম-অহমিকার প্রকাশে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরে গণসংযোগকালে কথায় কথায় আরেক প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে ভোট ডাকাতি, কারচুপি, প্রার্থীর বড় ভাইকে নিয়ে আচরণবিধি লক্সঘন, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগেই গণসংযোগে বেশি সময় পার করছেন তিনি। আওয়ামী লীগ থেকে শামীম ওসমান সমর্থন পাওয়ার পরে আইভী তা মেনে নিতে পারেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারণায় নামাকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টান বলে অভিযোগ করছেন। শামীম ওসমান ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ক্লান্তিহীন পথ হাঁটছেন। সমবয়সীদের বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন আর ছোটদের হাত বুলাচ্ছেন মাথায়। ভোটারদের সঙ্গে করছেন হাসিঠাট্টা। আনতে চাচ্ছেন উৎসবের পরিবেশ। বহুতল ভবনের দোতলা, তিনতলা চারতলার দিকে তাকিয়ে হাতজোড়ে করছেন ভোট প্রার্থনা। শুক্রবার দেওভোগ এলাকায় গিয়ে দোতলায় এক বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারকে সালাম দিয়ে বলেন, খালাম্মা হয় ভোট দিন, না হয় ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিন। এ সময় আশপাশের সাধারণ মানুষ শামীম ওসমানের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিভিন্ন মিডিয়ায় আইভীকে নিয়ে একটিবারের জন্য কটাক্ষ করেননি শামীম ওসমান। আইভীর ইঙ্গিত করা বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম ওসমান আইভীকে ছোট বোন ছাড়া কোনো মন্তব্য করেননি। সিদ্ধিরগঞ্জে গণসংযোগকালে দুই প্রার্থীর (শামীম ও আইভীর) হঠাৎ দেখা হয়ে গেলে থমকে দাঁড়ান দুজনই। নীরবতা ভেঙে আইভীর দিকে এগিয়ে যান শামীম ওসমান। ছোট বোনের মাথায় মাথা লাগিয়ে বলেন, 'বোনরে আয় একসঙ্গে কাজ করি।' আইভী মৃদু হাসি ছাড়া মুখে কোনো উত্তর দেননি সে সময়। আইভীর সঙ্গে নিজ থেকে এগিয়ে গিয়ে শামীম ওসমানের কুশল বিনিময় ভোটারদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রচারণাকালে একমাত্র আইভীকে নিয়ে মিডিয়া কোনো প্রশ্ন করলেই শামীম ওসমান আইভীর নাম মুখে নিয়ে বলছেন, 'ও আমার ছোট বোনের মতো। ওর কোনো দোষ নেই। ও অবুঝ। পেছন থেকে ওকে নিয়ে কেউ খেলছে। একদিন ভুল বুঝতে পারবে।' প্রচারণায় আইভীর মতো শামীম ওসমান কুৎসা রটনায় লিপ্ত হননি। এর ফলে ভোটাররা ইতোমধ্যেই শামীম ওসমানকে প্রশংসিত করছেন। অন্যদিকে বিএনপির একক প্রার্থী বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের জয় নিশ্চিত করতে জেলা বিএনপির শীর্ষ ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে মরণপণ লড়াই হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এ নির্বাচনে জয় তাদের পেতে হবেই। এ জন্য তারা মরণকামড় দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। জয় নিশ্চিত করতে এককালের ভাই হত্যার অভিযুক্ত আসামি সাবেক এমপি মো. গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছেন তৈমূর। যদিও তৈমূরের ভাই সাবি্বর আলম খন্দকার হত্যার সঙ্গে সাবেক এমপি গিয়াসের কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। নেতা-কর্মীদের মতে এ নির্বাচন জেলা বিএনপির জন্য নানা সুফল বয়ে এনেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে জেলা বিএনপির কোন্দল ছিল একটি চিরন্তন সত্য। কিন্তু এনসিসি নির্বাচনকে ঘিরে দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশে সবাই ঘরের বাধ্য সন্তানের মতো এক প্লাটফরমে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম, গিয়াসউদ্দিন, রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেলা সহসভাপতি বদরুজ্জামান খসরু, সহসভাপতি শিল্পপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, নগর বিএনপি সাধারণ সম্পদক এ টি এম কামালসহ সব ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মরণকামড় দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। নেতা-কর্মীদের মতে এ লড়াই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। গণসংযোগকালে তৈমূর ও তার সমর্থকরা সরকারের ব্যর্থতা আর জেলার অনুন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রার্থীদের নিয়ে তার মুখে নেই কোনো অভিযোগ। তার যত অভিযোগ ইভিএম ও সরকার পরিচালিত প্রশাসনের বিরুদ্ধে। 'কোনো প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে না'_ আইভী এ মন্তব্য করলেও বিএনপি প্রার্থী তৈমূর কোনো প্রার্থীকেই খাটো করে দেখছেন না।

বৃষ্টিতে চলছে প্রচারণা : শামীম ওসমানের গণসংযোগ : আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের একরামপুর, গোলাম আসাদ রোড, কদমরসুল রোড, উইলসন রোড এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভা করেন। বিকালে বন্দরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ, ইলিয়াস শাহ রোড, টি হোসেন রোড, নোয়ার্দ্দা, কাইত্যাখালি, আমিরাবাদ, চৌরাপাড়া এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম সাগর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ও আলেয়া বেগমসহ মহাজোট নেতারা।

এসব গণসংযোগ ও পথসভায় শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পিত উন্নয়নে ৩০ অক্টোবর দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় সুতরাং আমি নির্বাচিত হলে আগে সংসদ সদস্য থাকাকালীন যে উন্নয়নের রেকর্ড করেছি তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারব ইনশা আল্লাহ।

এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরার নেতৃত্বে একটি টিম দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ভোট চান। আরও উপস্থিত ছিলেন কামরুন্নেছা মান্নান, সুলতানা বুলবুল এমপি, নূর আফরোজ আলী এমপি প্রমুখ।

এ ছাড়া ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে সাতটি টিম শহরের হাজীগঞ্জ, খানপুর, পালপাড়া, গোয়ালপাড়া, দেওভোগ, শীতলক্ষ্যা, বাবুরাইলে শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারকাজ চালান। তারা দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাবুরাইল, পাইকপাড়া, দেওভোগ, পালপাড়ায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।

বিকালে নয়ামাটি এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ও আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাস।

এ ছাড়াও বিকালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের একটি টিম শহরের মিশনপাড়া, ব্যাংক কলোনি, ডর চেম্বার ও খানপুরে শামীম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করে। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য হারুন অর রশিদ, শহীদ সেরনিয়াবত, অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ, শাহ নিজাম প্রমুখ।

দিনভর শহরের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা টানবাজার ও সাহাপাড়ায় গণসংযোগ করেন যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপি। তারা ১০টি টিমে ভাগ হয়ে ওই সব এলাকায় দেয়ালঘড়ির লিফলেট বিতরণ করে ভোট চান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবিনা আক্তার তুহিন, নুরুন্নাহার লাভলী, চায়না ভূইয়া, শামসুন্নহার রত্না, মাহমুদা মালা, হেলেনা, রত্না রহমান প্রমুখ।

আইভীর গণসংযোগ : মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক সাবেক এমপি এস এম আকরাম, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি হায়দার আলী পুতুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ।

তৈমূরের গণসংযোগ : অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এবং বিকালে হরিপুরে গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ তালুকদার, সাবেক এমপি আবুল কালাম, নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল প্রমুখ।

আইভীর বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের কাছে শামীম ওসমানের লিখিত অভিযোগ : মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে গতকাল রিটার্নিং অফিসারের কাছে দুটি অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান। তার পক্ষে চন্দন শীল স্বাক্ষরিত এ দুটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক আচরণবিধি ভঙ্গ করে শুক্রবার আইভীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। আইভীর কর্মী-সমর্থকরা সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার ভোটারদের তার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আইভী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে বক্তব্য, ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছেন। শুক্রবার বিকালে শামীম ওসমানের পক্ষে দেয়ালঘড়ি প্রতীকে প্রচারণা চালানোর সময় কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালে বন্দর খেয়াঘাট এলাকায় আইভী নিজে শামীম ওসমানের কর্মীদের গালাগাল করেন। আইভীর বাসস্থান দেওভোগে তার কর্মী-সমর্থকরা প্রতিনিয়ত শামীম ওসমানের পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছেন। আইভী তার নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এক ঘণ্টা বৃষ্টিতেই ভেসে গেল টেস্ট

Posted by methun

মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টি। তাতেই ভেসে গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন।

পরশু ভোররাতে ১ ঘণ্টা মুষলধারায় বৃষ্টি ঝরে। উইকেটসহ মাঠের চারদিকের ৫০ গজ ঢাকা ছিল পিচ কাভার দিয়ে। কিন্তু ওই কাভার বাঁচাতে পারেনি আউটফিল্ড। সকালে মাঠে এসে পানি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন দুই আম্পায়ার নাইজেল লং, কুমারা ধর্মাসেনা এবং ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফট। দেখেন গ্রাউন্ডসম্যানরা দুই হাতে পানি সেচছেন। আর মাঠে পা রেখেই দেখেন দেবে যাচ্ছে। মাঠের এমন কন্ডিশনে সময় নেয় দেড় ঘণ্টা। বেলা ১১টায় মাঠ পরিদর্শন করেন ম্যাচ রেফারি এবং ১৫ মিনিট পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন। জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে এবারই প্রথম কোনো টেস্ট বা ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়নি বৃষ্টিতে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ-ভারত ড্র টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন একটিও বল গড়ায়নি মাঠে। ওই বৃষ্টির ধাক্কায় মাঠ শুকাতে লেগেছিল পুরো দেড় দিন। ফলে চতুর্থ দিন মাত্র ১৪ এবং পঞ্চম দিন ২৮ ওভার খেলা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই সিরিজেই ১৫ মে দুই দেশের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে কোনো বল গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে।

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বিরাট অঙ্কের ক্ষতি হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের। ম্যাচ না হওয়ায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান নিমবাস একটা মোটা অঙ্কের অর্থ কেটে নিয়েছিল। তখনই ক্রিকেট বোর্ড জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ-ব্যবস্থার উন্নতির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর পরও সেই একই অবস্থা রয়ে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১ উপলক্ষে ৭১ কোটি টাকার শোভাবর্ধন ও সংস্কারকাজ হয়েছে স্টেডিয়ামের। তবে কোনো উন্নতি হয়নি ড্রেনেজ পদ্ধতির। বরং সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে জমে থাকছে পানি। নিষ্কাশনের কোনো সুবিধা না থাকায় পানি বের হতে পারছে না। গতকালে বৃষ্টির পানিও সেই একই অবস্থায় রয়ে যায়। এর ফলে ম্যাচ রেফারি সকালেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।

অবশ্য মাঠ সংস্কার নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে একটি ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। পানি নিষ্কাশনসহ মাঠের উন্নতির জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই পক্ষের টানাহেঁচড়ায় শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার আবদুল বাতেন বলেন, 'বিশ্বকাপের পরপরই মাঠ সংস্কারের জন্য ক্রিকেট বোর্ড চিঠি দিয়েছিল ক্রীড়া পরিষদকে। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী অর্থবছরে নতুন করে অর্থ বরাদ্দের পরই মাঠের সংস্কারকাজ করা হবে।' ম্যাচ রেফারি সকালে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিসিবির গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার বলেন, 'সকালে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুপুরে আরও কয়েকবার মাঠ পরিদর্শন করা উচিত ছিল।' একই কথা পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভারও। তিনি বলেন, 'উইকেট খেলার উপযোগী ছিল। কিন্তু আউটফিল্ড ভারী ছিল। তাই খেলা সম্ভব হয়নি।'

নতুন মূসক আইন হবে স্বচ্ছ: নাসির উদ্দিন

Posted by methun

এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কাঠামোগত ও প্রশাসনিক পরিবর্তন করে একটি আধুনিক, স্বচ্ছ ও করবান্ধব নতুন মূসক আইন করা হবে।

১৯৯১ সালে দেশে প্রথমবারের মত মূসক চালুর বিষয়টি উল্লেখ করে শনিবার এক আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, "১৯৯১-৯২ অর্থবছরে মূসক আদায় হয়েছিল মাত্র এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে তা ২৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।"

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত 'মূল্য সংযোজন কর আইন, ২০১১র খসড়া' শিরোনামের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

"পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মূসক আইন দেখে 'মূসক আইন- ২০১১' এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে," জানিয়ে তিনি বলেন, "গত বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী নতুন মূসক আইন করার কথা বলেছেন। সে লক্ষে আমরা সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত নিচ্ছি।"

আগামী পাঁচ বছরে এনবিআর এর আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

সিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (মূসক), ঢাকার কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, চেম্বার পরিচালক এম এ ছালাম, মাহফুজুল হক শাহ, ছৈয়দ ছগীর আহমদ, বিজিএমইএ'র প্রথম সহ- সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বিকেএমইএ'র প্রতিনিধি শওকত ওসমান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ ও হায়দার খান প্রমুখ।

এর আগে সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের কার্যালয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মূসক আইনের খসড়া নিয়ে আরেকটি আলোচনা সভা হয়।

গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় বেড়েছে

Posted by methun

গ্রামীণফোন লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনশ ৪৯ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় করেছে।

এ সময়ে আয় করা রাজস্বের পরিমাণ দুহাজার দুশ ৮৩ কোটি টাকা যা ২০১০ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

গত বছরের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধি হয়েছে প্রধানত গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ধারাবাহিক গ্রাহক বৃদ্ধির ফলে ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ডাটা, রোমিং ও হোলসেল বিজনেসের আয়ের কারণে।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন (জিপি) এ তথ্য জানায়।

২০১১ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকের ভালো আর্থিক ফলের তুলনায় গ্রামীণফোন ৯.৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় করেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকের বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোরে জনসেন বলেন, "শেয়ারহোল্ডারদের আমি আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে নিরাশাব্যঞ্জক রেগুলেটরি পরিবেশ সত্ত্বেও গ্রামীণফোন তার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির ধারা আরো উন্নত করতে পেরেছে।"

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন সেবা আরো ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন আরো ৩২ হাজার খুচরা বিক্রেতাকে সংযুক্ত করেছে, ফলে খুচরা বিক্রেতার সংখ্যা প্রায় তিন লাখে পৌঁছেছে।

"এর ফলে ১৪ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সেবা গ্রহণ করছেন, এই বৃদ্ধি ২০১০ এর একই সময়ের তুলনায় শতকরা ২৩ ভাগ বেশি।"

গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৫২ লাখে।

আয়কর দেওয়ার পর গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের শতকরা ১৫ ভাগ মার্জিনসহ ২৯১ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় ২০১১ এর একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে শতকরা ২৪.৭ ভাগ মার্জিনসহ ৫৬৩ কোটি টাকা।

২০১১-এর তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ১৭ পয়সায় যা ২০১০ এর একই সময় ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯ টাকা ১৮ পয়সা যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৭৩ পয়সা।

গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে ২০১১ এর তৃতীয় প্রান্তিকে চারশ ৪৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

"এর মাধ্যমে চালু হওার পর থেকে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার সাতশ ৯৭ কোটি টাকা।"

গ্রামীণফোন গত ১০ অক্টোবর ২০১১ এ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২য় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি প্রকাশিত চূড়ান্ত লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী এই আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

এক নিরীক্ষার ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা দিতে বলে।

এ টাকা পরিশোধ নিয়ে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির নানা বার্তা-পাল্টা বার্তা বিনিময়েল মধ্যেই গ্রামীণফোনের আবেদনের ভিত্তিতে বিটিআরসির ওই চিঠির কার্যকরিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট।

চক্ষু চিকিৎসায় ব্রিটিশ নাগরিকের সহায়তা

Posted by methun

মৌলভীবাজারের বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালকে প্রায় দুই কোটি টাকার চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছেন এক ব্রিটিশ নাগরিক।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার মাতারকাপন গ্রামে অবস্থিত হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এসব চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাইন্ডস'র (বিএনএসবি) অবৈতনিক সম্পাদক এ এম ইয়াহিয়া মুজাহিদ  জানান, যুক্তরাজ্যের সাফলক এলাকার বাসিন্দা মিসেস রাচেল অ্যানড্রিজ এসব চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে হাসপাতালকে সহায়তা করেন।

এক কোটি ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের ৭৮ প্রকারের চিকিৎসা সামগ্রী হাসপাতালকে দেন রাচেল।

মিসেস রাচেল গত বছর হাসপাতাল পরিদর্শন করে যুক্তরাজ্য ফিরে এসব চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহ করেন। পরে 'এইড টু হসপিটাল ওয়ার্ল্ডওয়াইড-ইউকে'র মাধ্যমে এগুলো বাংলাদেশে পাঠানো হয় বলে জানান ইয়াহিয়া মুজাহিদ।

চিকিৎসা সামগ্রীর মোড়ক উন্মোচন করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও হাসপাতালের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, প্রকৌশলী আব্দুল মুনিম, সাবেক সাংসদ হোসনে আরা ওয়াহিদ, প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান প্রমুখ।

'দুর্নীতির তদন্তে অনুমতির প্রয়োজন নেই'

Posted by methun

দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আগে অনুমতি নেওয়ার বিধান না রাখার পক্ষে সংসদীয় কমিটি।

রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৪৬তম বৈঠক শেষে সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এসে ২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৫ দফা সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল।

"ওই তিন দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত সংস্থাটি অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকোয়রি, ইনভেস্টিগেশন বা প্রসিকিউশনে কোনো পূর্বানুমতির বিধান নেই সেখানে। নিজস্ব জনবল দিয়েই তারা এসব কাজ করে। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরাও কমিটিকে প্রতিবেদন দিয়েছি।"

অন্যান্য দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে গত ১০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ওই তিন দেশ সফর করেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল।

সুরঞ্জিত বলেন, দুদক ১৯৪৭ সাল থেকেই ছিল। আগে ছিল (দুর্নীতি দমন ব্যুরো) সরকারের অধীনে। বর্তমানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাধীন এ সংস্থা। দীর্ঘদিন এ আইনের সংস্কার না হওয়ায় এর অসঙ্গতিগুলো দূর করে যুযোপযোগী করতে এই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত ২৮ ফেব্র"য়ারি সংসদে তোলা এই সংশোধনী প্রস্তাব বর্তমানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।

বিলের ৩২(ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়, এ আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। যদিও, বিদ্যমান আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুদককে অনুমতি নিতে হয় না।

গত ২৬ জুন কমিটির ৪০তম বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশ ঘুরে পর্যালোচনার মাধ্যমে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়। আর বিদেশ ঘুরে আসা প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় শনিবারের বৈঠকে।

ওই প্রতিবেদনের অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং জন প্রশাসন সচিবকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

সুরঞ্জিত বলেন, "বিল ও কমিটির মতের সঙ্গে এই প্রতিবেদনের যোজন যোজন ফারাক। আমরা অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও হিসাব কমিটির সভাপতির বক্তব্য আবার নেবো। আশা করি, দুই পক্ষের দূরত্ব কমে আসবে।"

যত দ্রত সম্ভব বিলটি সংশোধিত আকারে সংসদে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আদালত অবমানা বিল

সুরঞ্জিত জানান, বৈঠকে আদালত অবমাননা বিল, ২০১১ নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের মতামতা তুলে ধরেন।

বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে আহবায়ক এবং মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি সাব-কমিটি করা হয় এ বৈঠকে।

কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. জিয়াউল হক মৃধা, মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং শেখ ফজলে নূর তাপস এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কন্টেইনারে 'ভয়ঙ্কর' ১০ দিন

Posted by methun

পাশেই পড়ে ছিল আল আমীনের লাশ; সরিয়ে দেয়ারও শক্তি ছিল না শরীরে। হাড় আর চামড়া ছাড়া গায়ে যেন কিছু নেই। মনে হচ্ছিল- মৃত্যুর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি-- 'দুর্ঘটনাক্রমে' সিঙ্গাপুর ঘুরে আসা বন্দর শ্রমিক দ্বীন ইসলাম বলছিলেন তার সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা পৌঁছানোর পর চট্টগ্রামে ফিরে শুক্রবার দুপুরে পাহাড়তলি এলাকার বিশ্ব কলোনিতে নিজের বাসায় বসে  সেই অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন তিনি।

গাঁজা সেবনের পর ঘুমানের জন্য সহকর্মী আল আমীনকে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা একটি খালি কন্টেইনারে ঢুকেছিলেন দ্বীন ইসলাম। গত ১ এপ্রিল তাদের নিয়েই হানসা কালেডো নামের একটি জাহাজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।

এর পাঁচ দিন পর জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দরে পৌঁছায়। কন্টেইনারটি আরো পাঁচ দিন ওই বন্দরে পড়ে থাকার পর বন্দরের পাসিং পানজার টার্মিনালের কর্মীরা আল আমীনের লাশ ও দ্বীন ইসলামকে জীবিত উদ্ধার করে।

পরে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় বাংলা পত্রিকা 'বাংলার কণ্ঠে'র সম্পাদক এ কে এম মোহসীন ও কিছু প্রবাসী বাঙালি দ্বীন ইসলামকে নিজেদের হেফাজতে নেন। তাদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা পৌাঁছান দ্বীন ইসলাম। রাতেই বড় ভাই মো. বেলাল মিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামে ফেরেন তিনি।

দ্বীন ইসলাম জানান, কনটেইনারের সেই ১০ দিনে শুধু একবার খানিকটা বৃষ্টির পানি পেয়েছিলেন, আর কিছুই জোটেনি। দিনের বেলায় কন্টেইনার রোদে উতপ্ত হয়ে উঠলে এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকা যেতো না। কিছুক্ষণ পরপর জায়গা বদলাতে হতো।

"মনে হয়নি শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পারবো। আল আমীনতো আমার সামনেই মারা গেল। আমি আবার নতুন জীবন পেয়েছি। সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে চাই।"

'কন্টেইনারে ঘুমাতে ঢুকেছিলাম'

চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিক সরবরাহকারীদের (মাঝি) অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে খাদ্যশষ্যবাহী জাহাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন দ্বীন ইসলাম। এই কাজ পেয়েছিলেন কন্টেইনারে আটকা পড়ার পাঁচ-ছয় মাস আগে। তবে প্রতিদিন কাজ থাকতো না।

"ওই দিন সকাল ৮ টার দিকে জেটিতে ঢুকি। সাথে আরো পাঁচজন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করার পর মজুরির ২৫০ টাকা নিয়ে আল আমীনসহ জেটির ভেতরে ক্যান্টিনে ভাত খাই। এরপর বন্দরের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে করতে দেখি রাত হয়ে গেছে।"

রাত ১২টার দিকে জেটিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা দুজন। একটি কন্টেইনারটি খালি আর পরিষ্কার দেখে ঢুকে পড়েন ভেতরে।

ওই রাতে মাদক সেবনের বিষটি স্বীকার করে দ্বীন ইসলাম বলেন, "সঙ্গদোষে নেশা করতাম। আর করবো না।"

আল আমীনই ওই রাতে গাঁজা নিয়ে এসেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, "নিমতলা (বন্দর ভবনের পাশের এলাকা) থেকে গাঁজা কিনে এনেছিলো সে। আমি দুই পুরিয়া গাঁজা খেয়ে কন্টেইনারের ভিতর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।"

দ্বীন ইসলাম ও আল আমীন যখন গভীর ঘুমে, তখনই কন্টেইনারটির দরজা বন্ধ করে সিঙ্গাপুরগামী জাহাজে ওঠানো হয়।

অনাহারের দিনগুলো

ঘুম ভাঙার পর দ্বীন ইসলাম আবিস্কার করেন, কন্টেইনারের ভেতরেই তারা আটকা পড়েছেন।

"অন্ধকারে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আল আমীনকেও দেখতে পাচ্ছিলাম না। অন্ধকারে কথা বলে বুঝতে পারছিলাম আমীনও আছে। প্রায় আধ ঘণ্টা হাত দিয়ে কন্টেইনারের দেয়ালে ধাক্কাধাক্কি করি দুজনে। কিন্তু কেউ আসেনি।"

আল আমীন তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, তার আর বের হওয়া হবে না। কেন রাতে বাসায় ফিরে যাননি, তাই নিয়ে আফসোসও করেছিলেন।

তাদের কন্টেইনার ছিল জাহাজের ডেকের ওপরে। তার ওপরে আরো তিন সারি কন্টেইনার রাখা ছিল। আটকা পড়ার আনুমানিক তিন দিন পরে মারা যান আল আমীন।

"ও বলছিল, না খেয়ে মানুষ আড়াই দিন বাঁচে। মারা যাওয়ার আগে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। শুধু পানি খেতে চাইছিল, আর মা- বাবাকে ডাকছিল।"

এক সময় নাম ধরে ডেকেও আল আমীনের কোনো সাড়া পেলেন না দ্বীন ইসলাম। হাতড়ে হাতড়ে কাছে গিয়ে নিশ্বাস পরীক্ষা করে বুঝলেন, আল আমীন আর নেই।

"এতো দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে লাশটাও দূরে সরিয়ে রাখার শক্তি ছিল না। দুই দিন পর বৃষ্টি হয়। কন্টেইনারের ভেতর চুইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। শব্দ শুনে শার্ট ভিজিয়ে সেই পানিই শুধু খেতে পেরেছি কয়েক ফোঁটা।"

আল আমীন মারা যাওয়ার পর নখ দিয়ে খুঁচিয়ে কন্টেইনারের দরজার পাশে লাগানো প্লাইউড সামান্য ফাঁক করেন দ্বীন ইসলাম। ওই ফাঁক দিয়েই বাইরে দেখার চেষ্টা করতেন, আর শ্বাস নিতেন জোরে জোরে।

সিঙ্গাপুর বন্দরে কন্টেইনার নামানোর সময় বুঝতে পেরে দুর্বল হাতে দেওয়ালে শব্দ করতে থাকেন দ্বীন। কিন্তু আশেপাশে অন্যান্য কন্টেইনার ওঠানামার শব্দে কেউ তা শুনতে পায়নি।

পাঁচ দিন পর বন্দরে পড়ে থাকা কন্টেইনারে আল আমীনের লাশ আর জীবিত দ্বীন ইসলামকে খুঁজে পান সিঙ্গাপুরের কর্মীরা। পুলিশ দ্বীন ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিঙ্গাপুরেই দাফন করা হয় আল আমীনের লাশ।

হাসপাতালে তিন দিনের মাথায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা দেখা করেন দ্বীন ইসলামের সঙ্গে। পরে স্থানীয় এক আমেরিকান নারীর বাসায় আশ্রয় পান বাংলাদেশি দ্বীন।

"বিশ্রাম নিয়ে আর খাওয়া-দাওয়া করে সুস্থ হতেই পাঁচ মাস কেটে যায়। সেখানকার বাংলাদেশিদের সহায়তায় সবজির দোকানে আর ভবন শ্রমিক হিসেবে কয়েক সপ্তাহ কাজও করেছি। একবার মনে হয়েছিল সিঙ্গাপুর খুব সুন্দর। থেকে গেলে ভালই হয়।"

ছেলেকে দেখতে যাবেন দ্বীন

কোনো স্থায়ী পেশা না থাকায় দুই বছর আগে ছেলে দিদারুলের জন্মের পরপরই দ্বীনকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী বিউটি। সেই মার্চ মাসে ছেলেকে দেখেছিলেন। দ্বীনের দেশে ফেরার খবর পেয়েও ফেরেনি স্ত্রী-সন্তান।

দ্বীন ইসলামের বড় ভাই বেলাল বলেন, "আমার ভাই কথা দিয়েছে, সে আর নেশা করবে না। তার সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজন একটা চাকরি।"

লেখাপড়া লাগে না- এমন একটা চাকরি দ্বীন ইসলামকে দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানান বেলাল।

ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুব খুশি দ্বীন ইসলামের মা শাহেদা বেগম আর পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা শামসুল হক।

"আমার ছেলে ফিরে আসবে ভাবিনি। আল্লাহর ইচ্ছায় সে ফিরেছে," বললেন শাহেদা।

শ্বশুরবাড়ি লাকসাম গিয়ে বউ-ছেলের সাথে দেখা করতে চান দ্বীন ইসলামও।

"ওদের নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। সবাইকে নিয়ে আমি এখন ভালো থাকতে চাই।"

লিখে যাচ্ছেন হুমায়ূন

Posted by methun

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসকরা বলছেন, তৃতীয় দফায় কেমোথেরাপি নেওয়ার পর তিনি স্বাভাবিকই আছেন।

হুমায়ূনের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম  শনিবার বলেন, "এর আগে একটাই পরীক্ষা করা হয়েছিল। টিউমার মার্কার টেবল নিচের দিকে নামছে, এর মানে হলো ওনার কেমো কাজ করছে।"

শুক্রবার হুমায়ূনকে তৃতীয় দফা কেমো দেওয়া হয়। ওই কেমো শুরু করার আগে মাজহারুলকে এ কথা জানান চিকিৎসক।

তিনি বলেন, "এখন তৃতীয় কেমো চলছে। আগামীকাল শেষ হবে।

বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যান হুমায়ূন। মাজহারুল তার সঙ্গেই সেখানে যান। তিন রুমের অ্যাপার্টমেন্টে হুমায়ূন পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন হুমায়ূন।

নিউ ইয়র্কে হুমায়ূনের সঙ্গে থাকা মাজহারুল বলেন, "উনি আগের মতোই লিখে যাচ্ছেন। নতুন বইটার (নিউ ইয়র্কের নীল আকাশে ঝকঝকে রোদ) প্রায় পাঁচ-ছয়টা পর্বও লেখা হয়ে গেছে।"

মূলত নিউ ইয়র্কের অভিজ্ঞতা নিয়েই বইটি লিখছেন হুমায়ূন।

একটা কেমো কাজ শুরু করতে কয়েকদিন লাগে জানিয়ে মাজহারুল বলেন, "পরের কেমো শুরু হবে নভেম্বরের ৪ তারিখে। তারপর হয়তো ১৮ তারিখের দিকে সবরকম পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা কোনো একটা সিদ্ধান্ত দেবেন।"

নভেম্বরের ১৩ তারিখ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে পাবলিক লাইব্রেরি চত্ত্বরে সপ্তাহব্যাপি বইমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক রচনা 'রঙ পেন্সিল' বের হবে বলে জানান অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল।

তিনি বলেন, "অন্যান্য বছরের মতো তার রচনাবলী বের হবে। এটা পঞ্চম খণ্ড।"

পুঁজিবাজারে আসছে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল

Posted by methun

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

সংগঠনের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার শনিবার জানান, রোববার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে। ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানিগুলো এই তহবিল যোগাবে।

"এই তহবিলের নাম হবে মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড-এমএসএফ। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

এই তহবিল পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার বাজারে টানা দরপতরে মুখে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনোয়োগ বাড়ানোর ঘোষণার দুই দিনের মাথায় বিএবরি এই ঘোষণা এলো।

তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সেই ঘোষণার সঙ্গে এই তহবিলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান মজুমদার।

তিনি বলেন, "ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। আর আমরা বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াতে আলাদা এই তহবিল গঠন করছি।"

তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক প্রায় ১ হাজার ৪৫২ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর গত সপ্তাহের শুরুতে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা আন্দোলন শুরু করে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ নেয়।

কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সোমবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সহ- সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

বৃহস্পতিবার সকালে এবিবির এক জরুরি বৈঠকের পর সংগঠনের সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার জানান, পরবর্তী সপ্তাহ থেকেই ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করবে।

তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, "অতীতে দেশ ও জাতির যে কোনো দুর্যোগে বিএবি সবার আগে জনগণ ও সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে সংকট চলছে, তাতে বিএবির করণীয় নির্ধারণে রোববার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।"

সকাল ১১টায় গুলশানে জব্বার টাওয়ারে বিএবির কার্যালয়ে হবে এ বৈঠক।

"বাজার পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা এই তহবিল (এমএএফ) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনে তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে," বলেন নজরুল।

মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। আর বিভিন্ন ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির কাছ থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করা হবে বলে বিএবি প্রধান জানান।

Mamata faults 'some people' for Teesta fiasco

Posted by methun

Chief minister of the Indian state of West Bengal Mamata Banerjee on Saturday blamed 'some people' for creating 'confusion' on the issue of sharing of water of Teesta river between Bangladesh and India.

She also said India maintained best relations with Bangladesh and the governments of the two neighbours would work together.

Banerjee was talking to journalists on the sidelines of the National Development Council meet in New Delhi. This is the first time she spoke to journalists in New Delhi on the issue of Bangladesh-India relation after opting out of Indian prime minister Manmohan Singh's entourage to Dhaka last month, purportedly due to her differences with India's central government on the proposed deal on Teesta.

"Some people created confusion on (Teesta water issue)... we maintained the best relations with Bangladesh and I hope India and Bangladesh will work together," she said.

New Delhi and Dhaka had since long been negotiating a deal on Teesta and the two countries were about to sign an interim agreement during Singh's visit to Bangladesh on Sep 6 and 7. But Banerjee's decision not to accompany Singh to Dhaka made public her differences with India's central government on the issue of Teesta, forcing New Delhi to take it off the table.

Banerjee is understood to have conveyed to the Congress-led United Progressive Alliance government in New Delhi that she would not endorse a deal that would hurt the interests of the people of West Bengal, which is largely dependent on the common river for power generation and irrigation of agricultural land.

Banerjee on Saturday also said that New Delhi had not informed her government about Bangladesh prime minister Sheikh Hasina's visit to Dahagram and Angarpota through Indian territory in Tin Bigha corridor on Oct 19.

The West Bengal chief minister, however, also made it clear that she had no difference with the central government of India on the issue of providing round-the-clock access to the people of Bangladesh through the Tin Bigha corridor to Dahagram and Angarpota.

"There is no issue over Tin Bigha with our government. I am not informed about the Tin Bigha issue. It is between India and Bangladesh governments," she said.

Neither Banerjee nor any high-level representative of her government was present in Tin Bigha to receive Hasina on Oct 19. This fuelled speculation about West Bengal government being unhappy over New Delhi's decision to grant people of Bangladesh 24-hour access to Dahagram and Angarpota through Tin Bigha.

Indian government's ministry of external affairs, on the other hand, issued a statement claiming that the state government of West Bengal had been kept informed about Bangladesh prime minister's visit through Tin Bigha.

"It is also understood that the government of West Bengal was kept fully advised about the programme of the distinguished visitor (Hasina) as soon as intimation on this was received from the government of Bangladesh. The ministry of home affairs had also been in touch with concerned authorities in the government of West Bengal," official spokesperson of the Indian government's MEA said.

India's health minister Ghulam Nabi Azad and minister of state for home affairs Jitendra Singh had received Hasina in Tin Bigha on Oct 19. Though India's home minister and senior leader of the ruling Congress party P Chidambaram was supposed to receive her, he could not go to Tin Bigha due to a family exigency.

A section of Indian media reported that Dhaka was not happy with the absence of Chidambaram or any other high-profile minister of the central government of India in Tin Bigha October 19 and had conveyed its displeasure to Delhi.

But New Delhi issued a clarification on Saturday.

The official spokesperson of the Indian government's Ministry of External Affairs Vishnu Prakash said that Chidambaram was indeed due to receive Hasina on her arrival at Tin Bigha. But, on the eve of the event, Chidambaram's 91-year-old mother suffered a fall and fractured her hip for which surgery was scheduled on Oct 19 itself.

"Due to the family emergency, Home minister had to rush to Chennai, to be by his mother's side," said Prakash.

He said that Singh had then desired that Health Minister Ghulam Nabi Azad, who had a long association with Bangladesh, should receive Hasina.

"India has the highest regard and affection for prime minister Sheikh Hasina and the people of Bangladesh, and considers it an honour that she decided to pay a personal visit to Bangladesh territory in Angarpota and Dahagram through the Tin Bigha Corridor," the statement issued by Indian government's Ministry of External Affairs said.

"She (Hasina) was most gracious in her appreciation of India's gesture to make available round-the-clock access to Dahagram and Angarpota, so soon after the landmark visit of the prime minister of India to Dhaka in Sep."