SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

মিটফোর্ডের ক্যাজুয়েলটি বিভাগে প্রথম জটিল অস্ত্রোপচার

Posted by methun

প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাজুয়েলটি বিভাগে প্রথমবারের মতো মস্তিষ্কে রক্তজমাট রোগীর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মো. সাত্তার (৩০) নামে নরসিংদীর এক রিকশাচালকের এ অস্ত্রোপচার হয়।

১৯৮৫ সালে ক্যাজুয়েলটি বিভাগটি চালু হলেও এ বিভাগে এ পর্যন্ত মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধা রোগীর অস্ত্রোপচার হয়নি।

বিভাগটির প্রধান অধ্যাপক মাহবুব হাসান মেহেদী বলেন, "একজন এনেসথিয়েটিস্টের অভাবে রোগীকে সম্পূর্ণ অচেতন করা যেত না বলে এতোদিন এ জটিল রোগের অস্ত্রপচার করা সম্ভব হয়নি।"

"এ মাস থেকে আমরা একজন এনেসথিয়েটিস্ট পেয়েছি। তাই রোগীকে অচেতন করে বিভিন্ন জটিল অপারেশন করা যাচ্ছে। তবে মস্তিষ্কে রক্ত জমাটের ক্ষেত্রে এটিই মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রথম।"

রোগী সাত্তারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, "২১ অক্টোবর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের লাঠির আঘাতে মাথায় আঘাত পেয়েছিলো সাত্তার।"

অধ্যাপক মাহবুব বলেন, "ওই আঘাতের ফলে সাত্তারের মস্তিষ্কে রক্ত জমা বেঁধে ডান হাত ও ডান পায়ে নিস্তেজ হয়ে যায়।"

এই অস্ত্রোপচার অন্য হাসপাতালে করতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালে কিছু ওষুধ কেনা ছাড়া আর কোনো টাকা-পয়সা লাগে না।"

এখন থেকে নিয়মিত এ অস্ত্রপচার করা হবে বলেও তিনি জানান।

দুই ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারে ছিলেন ওই বিভাগের রেজিস্ট্রার মোখলেছুর রহমান মুকুল, চিকিৎসক মোস্তফা কামাল, চিকিৎসক আশরাফুননেছা ও এনেসথিয়েটিস্ট ওবাইদুল্লাহ।

হাসপাতাল উপ-পরিচালক আবুল হাসেম খান বলেন, "আমরা দিন দিন চেষ্টা করছি সব ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এ হাসপাতালে করতে। এতে গরির রোগীদের ভীষণ উপকার হবে।"

ইভিএমে সন্তুষ্ট ভোটাররা

Posted by methun

প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা।

নারায়ণগঞ্জে রোববার ২৭ ওয়ার্ডের ৯টির ৫৮টি কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এসব ওয়ার্ডের ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন।

নারায়ণগঞ্জের আগে গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একটি ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও বড় পরিসরে এ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশে এই প্রথম।

ইভিএম প্রযুক্তিতে সহজে ও কম সময়ে ভোট দেওয়া যায় বলে আগামীর সব নির্বাচন এ পদ্ধতিতেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্যণীয়।

শীতলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে জমির উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "টিপ দিয়েই ভোট শেষ। সময়ও কম লাগে। বেশ লাগলো।"

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামও এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ভোটারদের ইতিবাচক মানসিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, "প্রতিটি বুথের সামনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। যে কেউ এসে ভোটের আগে তা দেখেই ভোট দিতে পারছে। ঝামেলার অবকাশ নেই।"

শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিয়ে দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা আসমা আক্তার বলেন, " আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব কম সময়ে ভোট দেওয়া যায়।"

নতুন এ পদ্ধতিতে ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ভোটার।

ইভিএমে এক মিনিটের মধ্যে ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি ব্যবসায়ী সুজন। আগামি সব নির্বাচনে এ পদ্ধতিতেই ভোট নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

একই কেন্দ্রের ভোটার সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আগে কখনো এই মেশিন না দেখলেও ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি।"

নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা লোকজন সহায়তা করছেন বলে জানান তিনি।

ইভিএম ব্যবহারে ভোটারদের কীভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে শিশুবাগ স্কুলের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুরহু  বলেন, "আমরা তাদের বলছি পছন্দের প্রতীকের পাশের বোতামে টিপ দেবেন। এতেই তারা (ভোটার) বুঝে যাচ্ছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার দরকার হচ্ছে না।"

ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ইভিএম প্রযুক্তিতে ভোটারদের সাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "ওই কেন্দ্রগুলোয় কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। এজেন্টদের সন্তোষের মধ্য দিয়েই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ নিয়ে কারো সন্দেহেরও অবকাশ নেই।"

সকালে তিন থানার নয়টি ওয়ার্ডের সব কয়টি কেন্দ্রে ইভিএমের যান্ত্রিক অবস্থার খোঁজ নেন এ প্রযুক্তির কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বুয়েটের আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক লুৎফুল কবির।

তিনি  বলেন, প্রথমবার এ প্রযুক্তিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে কিছু কেন্দ্রে ভোট শুরু করতে একটু দেরি হয়েছে। কয়েকটি যন্ত্রে ব্যালট ইউনিট নিয়ে ঝামেলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ঠিক করা গেছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত ইভিএম রাখা ছিলো বলে জানান কবির।

তিনি বলেন, "এবারো এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সফল হবে ইসি। ভোটারদের উৎসাহও আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।"

সকালে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ'র এর কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন  বলেন, "এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। আমাদের কাছে ভালো মনে হচ্ছে।"

নির্বাচন কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে আরেক পর্যবেক্ষক কিবরিয়া বলেন, "নট ব্যাড।"

আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ইভিএম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান ভোটের আগ পর্যন্ত ইভিএমের পক্ষে কথা বললেও ভোটের দিন দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।

ইভিএমে আপত্তি জানিয়ে আসা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

শামীম 'চুপ'

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জে ভোট গণনায় পিছিয়ে থাকা ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান ফলাফলের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন না। বাড়ি থেকেও বের হচ্ছেন না তিনি।

রোববার দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে বিকালে শহরের জামতলায় নিজের বাড়িতে ঢোকেন শামীম। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হননি তিনি।

ওই সময় পর্যন্ত ১৬৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট। তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

রাতে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে বাড়ি থেকে জানানো হয়, তিনি এখন আর কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।

ভোটের সময় প্রার্থী হিসেবে শামীমের সঙ্গে থাকা পুলিশের দলটিকেও গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিকাল থেকে পুলিশের গাড়িটি ওই বাড়ির সামনেই ছিলো।

ওই দলের পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি (শামীম) আর বের হবেন না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।"

ভোটের সময় সর্বশেষ বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।

তিনি তখন অভিযোগ করেন, কারচুপি করে তাকে হারানো হচ্ছে। আর তাতে তার দলেরই কোনো অংশের সমর্থন রয়েছে।

"শামীমকে হারাতে ওয়ান-ইলেভেন, বিএনপি, জামায়াত সবাইকে এক হতে হয়। এখানে আইভীকে জেতাতে তাই হয়েছে। জামায়াত ফাইন্যান্স করছে, সে টাকা পেয়েছে পুলিশ," বলেন শামীম।

নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য চলছে দাবি করে তিনি বলেন, "এ সব বিষয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, দলের সমর্থন না থাকলে এ চুরি করতে পারতো না।"

সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী হওয়ার সমস্যা তুলে ধরে শামীম বলেন, "আমাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি না পারছি বলতে, না পারছি সইতে।"

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর ফলাফল মেনে নেবেন কি না- জানতে চাওয়া হলে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম বলেন, "বিলিভ মি (বিশ্বাস করুন), জয়-পরাজয় যাই হোক, আমি খুশি মনে মেনে নিতাম। কিন্তু এখন মানতে কষ্ট হবে।"

শামীমের দাবি, কালো টাকার কাছে পুলিশসহ সবাই 'আত্মসমর্পণ' করেছে।

দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পুলিশ কমপ্লিটলি বায়াজড, বায়াজড, বায়াজড।"

ভোটের চিত্র দেখে সকালে কোনো অভিযোগ না তুললেও দুপুর থেকে অনিয়মের কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।

দুপুর ১টার দিকে শহরের রাইফেলস ক্লাবে শামীম সাংবাদিকদের বলেন, "গত এক ঘণ্টায় ভোটের চিত্র উল্টে গেছে। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, পুলিশ ওপেন আইভীর পক্ষে ভোট চাচ্ছে।"

সকাল ৯টার দিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পক্ষে কথা বললেও দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।

এ নির্বাচনে মেয়র পদের ছয় প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী দোয়াত-কলম প্রতীকে লড়ছেন।

শামীমের অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন দুপুরের পর সাংবাদিকদের বলেন, "এগুলো প্রার্থীদের স্ট্যান্ড, এগুলো রিউমার।"

ইভিএম নিয়ে শামীমের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি'র পরিচালক, অধ্যাপক লুৎফুল কবির বলেন, "ইভিএমে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে যাওয়া অসম্ভব। সব কেন্দ্রেই ভালোভাবে ভোট হচ্ছে।"

আইভী প্রথম নারী মেয়র

Posted by methun

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত।

রোববারের নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১০১৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আইভী।

ঘোষিত ফলাফলে, ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রে আইভী পান ১৮০০৪৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮৭০৫ ভোট।

৩৭ বছর আগে আইভীর বাবা আলী আহম্মদ চুনকাও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়াই স্বাধীন বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

নারায়ণগঞ্জে জিয়া হলে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রোববার রাত ১২টা ৫১ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্বাস লুৎফর রহমান আইভীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে চার লক্ষাধিক ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২৮২৫৯৩ জন যা মোট ভোটের ৬৯ দশমিক নয় দুই শতাংশ। এর মধ্যে বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছে ২৭৬৩২৯টি ভোট।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৭৬১৬ ভোট।

পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার আগে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আইভী সাংবাদিকদের বলেন, তার এ জয় জনতার জয়।

পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার আগেই সব কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে আইভীর সমর্থকরা বলেন, সোয়া এক লাখ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আইভী। তার ফেইসবুক ফ্যানপেইজেও ভোট গণনার বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, ১৬৩ কেন্দ্রের ফলাফলে আইভী ১ লাখ ২৪ হাজার ভোটে জয়ী হন।

আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ফলাফল নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

জিয়া হলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফলাফল ঘোষণার সময় শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন, আইভীর পক্ষে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রার্থী আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী ও আতিকুল ইসলাম জীবন উপস্থিত ছিলেন।

সেনা মোতায়েন না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও নতুন এ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় শান্তিপূর্ণভাবে।

সেনা মোতায়েন না হওয়াসহ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে ভোটগ্রহণের মাত্র সাত ঘণ্টা আগে শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জন এবং নিজেদের প্রার্থীকে [তৈমুর আলম খন্দকার] নির্বাচন থেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেয় বিএনপি।

তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে তৈমুর প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ছিলেন ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা।

দেশে দ্বিতীয় বারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয় এ নির্বাচনে। ৯টি ওয়ার্ডের ৫৮টি কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ভোটের সময় কয়েকটি ইভিএমে জটিলতা দেখা দিলেও পরে তা ঠিক করা হয়।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ নির্বাচনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে ২০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্বাস লুৎফর রহমান জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট হাজারেরও বেশি সদস্য এই নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের চার হাজার, আনসার ও ভিডিপি সদস্য আড়াই হাজার, কোস্ট গার্ডের একশ এবং এক হাজার চারশ' র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

দেশি ১৮টি এবং বিদেশি আটটি পর্যবেক্ষক সংস্থার হাজার খানেক পর্যবেক্ষক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত আটশ'রও বেশি সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী।

তিন জন পেলেন ৯৯৬০ ভোট

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তেমন আলোচনায় না থাকা তিন মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন মোট ভোটের সাড়ে তিন শতাংশের বেশি।

৪০৪১৮৯ ভোটারের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৯ দশমিক নয় শতাংশ। এর মধ্যে বৈধ হিসেবে গণ্য হয় ২৭৬৩২৯টি ভোট।

বৈধ ভোটের তিন দশমিক ছয় শতাংশ পান তিন প্রার্থী। এরা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতা আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী এবং দুই নির্দলীয় প্রার্থী শরীফ মোহাম্মদ ও আতিকুল ইসলাম জীবন।

গরুর গাড়ি প্রতীকে আতিকুর পান ৬৬১২ ভোট, হাঁস প্রতীকে শরীফ ১৪৯৩ এবং তালা প্রতীকে আতিকুল পান ১৮৫৫ ভোট।

নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পান ১৮০০৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮৭০৫ ভোট।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৭৬১৬ ভোট।

গত ৫ মে নারায়ণগঞ্জকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া হবে: সিইসি

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন 'সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে' শেষ হওয়ায় স্থানীয় জনগণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতয়েন না করায় সরকারের সঙ্গে কমিশনের 'বোঝাপড়া' হবে।

রোববার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সেনাবাহিনী কেন দেওয়া হয়নি তা এখনো আমরা জানি না। তবে নির্বাচন শেষে আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবো।"

নির্বাচনের প্রার্থী ও স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় চার কোম্পানি সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দিলেও তা না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন দিনভর অনিশ্চয়তার পর রাতে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন হচ্ছে না।

হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "সাংবিধানিকভাবে তারা দিতে বাধ্য।....তাদের উচিত ছিলো, আমাদের সঙ্গে কথা বলা।"

সেনা মোতায়েন না হলেও নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে শামসুল হুদা সেদিন বলেন, এই পরিস্থিতিতে কমিশনের কাছে দুটি বিকল্প আছে- একটি হলো নির্বাচন স্থগিত করা, অন্যটি ঘাটতি পূরণ করে নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

সেই প্রসঙ্গ টেনে রোববার ভোটের পর সিইসি বলেন, "এখন প্রমাণ হয়েছে যে, আমাদের শুক্রবারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।"

রোববার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবেই বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। কোথাও বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়নি বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।