SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি

Posted by methun

'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ২ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার পর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ২ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর আলোচনা সভা হবে। ঈদুল আজহার জন্য ৬ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে।

৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির নেতারা।

১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে জানান নোমান। তবে শোভাযাত্রার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও '৭ নভেম্বর' পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের 'উৎখাত করার' লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াকে আটক করা হয়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। যাতে যুক্ত ছিলেন জাসদের নেতা-কর্মীরাও। অবশ্য পরে তাহেরকে সামরিক আদালতে 'বিচার' করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

১৯৭৫ এর নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় নবীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র বদলে যেতে থাকে এবং তা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতমুখে যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সেনাশাসনের ভিত্তিও রচিত হয়। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।

রাজনৈতিক দলগুলো ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও চেতনায় পালন করে থাকে। বিএনপি 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস', আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিবস সরকারি ছুটির দিন হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে তা বাতিল করে।

যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী এবং গোলাম আকবর খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

অনুদান জটিলতায় 'পুড়ছে' বার্ন ইউনিট

Posted by methun

প্রকল্পের অনুদান বন্ধ থাকায় চার মাস ধরে ভুগতে হচ্ছে দেশের একমাত্র বার্ন ইউনিটে রোগীদের। সাধারণ গজ ব্যান্ডেজ থেকে শুরু করে দামি ওষুধ- সবই তাদের কিনতে হচ্ছে নিজেদের পকেটের টাকায়। শুধু তাই নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই ইউনিটের চিকিৎসক ও কর্মচারীরাও গত জুন থেকে বেতন পাচ্ছেন না।

শনি ও রোববার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ ইউনিটে তিনশ'র মতো রোগী রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ কিনতে পারছেন না।

"রোগীরা পোড়া যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং স্বজনরা ওষুধ কিনতে কিনতে দিশেহারা। আর কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোড়া যন্ত্রণার মতো যন্ত্রণা নিয়ে কাজ করছেন", বললেন প্রকল্প সমন্বকারী সামন্ত লাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটটি চালু হয় ২০০৩ সালে। বর্তমানে 'বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট' নামে এটি চলছে। প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট হাসপাতালের অংশ হলেও বার্ন ইউনিটটি রয়েছে প্রকল্পের আওতায়।

এ ইউনিটের চতুর্থ তলার অতিরিক্ত-৭ নম্বর শয্যায় ভর্তি আছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির আমিরাবাদ তিনছিটা গ্রামের গৃহবধূ ডলি আক্তার (৪২)। এক মাস আগে রান্না করার সময় ঝলসে যায় তার সারা শরীর।

ডলি জানান, তার স্বামী প্রতিবন্ধী। ফলে হাসপাতালে তাকে দেখার কেউ নেই। প্রথম দিকে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় দেখাশোনা করলেও এখন আর কেউ আসেন না।

"এখানে কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন জনের দান করা টাকায় ওষুধ কিনি", বললেন তিনি।

শুধু ডলি নন, রোগীদের বেশির ভাগই অসচ্ছল। হাফিজা আক্তার (২২) নামে আরেক রোগী জানালেন, চিকিৎসকার যে ওষুধ লিখেদেন, তার সবই কিনতে হয় বাইরে থেকে। এভাবে কতোদিন চিকিৎসা চালানো সম্ভব- তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ নম্বর বিছানায় ভর্তি রয়েছেন কেরানীগঞ্জের শুভাড্যার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী আবদুল খলিল (৫০)। তিনি জানালেন, একমাস হলো ভর্তি হয়েছেন, এরই মধ্যে তার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।

"একজন রাজমিস্ত্রীর কাছে কতো টাকাইবা থাকে", বললেন খলিল। তার কথা শুনে পাশ থেকে ফরিদ হোসেন (২৪) নামে এক রোগীর মা এলাচি বেগম জানতে চাইলেন, "ভাই, এইটা না সরকারি হাসপাতাল, তাইলে সব ওষুধ কিনতে হয় কেন?"

প্রকল্প সমন্বয়কারী সামন্ত লাল  বলেন, জুনের পর থেকেই এ প্রকল্পে অনুদান বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীদের জন্য ওষুধ কেনা যাচ্ছে না।

আরো 'ভয়ানক' তথ্য দিলেন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ খন্দকার। বললেন, ইউনিটটি প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হতো।

"আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গজ-ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাই। কিন্তু তা রোগীর প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।"

তবে প্রকল্পের অর্থ পেলে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক।

বেতন বন্ধ চার মাস

প্রকল্প নিয়ে জটিলতায় রোগীদের পাশাপাশি পুড়ছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরাও। বার্ন ইউনিটের ১০ চিকিৎসকসহ মোট ২৪ জনের বেতন বন্ধ রয়েছে চার মাস ধরে। এ ছাড়া রয়েছেন ৩৭ জন অস্থায়ী কর্মচারী, যাদের বেতনও বন্ধ প্রায় তিন বছর। চাকরি স্থায়ী হবে- এই আশায় বিনা বেতনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

চিকিৎসক সামিউল আলম সোহান বলেন, "সীমিত বেতনে চাকরি করে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য, আর বেতন না পেলে তো পোড়া যন্ত্রণার চেয়েও ভয়াবহ মনে হয় জীবন। রোগীর পোড়া যন্ত্রণা দেখা যায়, সহানুভূতি জানানো যায়। কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা দেখাও যায় না, সহানুভূতিও পাচ্ছি না।"

তিনি জানান, পঁয়ত্রিশ শতাংশ পোড়া একজন রোগীর প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। অথচ রোগীদের প্রায় সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

ক্ষোভ ঝরলো সেবিকা শাহিনুর আক্তারের কণ্ঠেও।

"আমরা বেতন ছাড়া কষ্টদায়ক জীবন কাটাচ্ছি। অথচ আমাদের বড় বড় স্যারেরা ঈদের আগে বিদেশে যায়। আমাদের একটু সমবেদনাও তারা দেখায় না।"

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) মমতাজ উদ্দিন  বলেন, "ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে অনেক আগে। এটি সরকারের রাজস্বখাতেও যায়নি। ফলে নতুন করে আবার পাঁচ বছরের প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।"

বিশ্বব্যাংক ও দাতাসংস্থাগুলোর অর্থ না পৌঁছানোর কারণে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

১০ ট্রাক অস্ত্র: অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

Posted by methun

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মতিউর রহমান নিজামী, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর নতুন তারিখ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা এবং সিনিয়র বিশেষ জজ-১ এর বিচারক জজ এস এম মজিবুর রহমান মঙ্গলবার এই দিন নির্ধারণ করেন।

মহানগর পিপি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কামাল উদ্দিন  বলেন, "আসামিপক্ষ মঙ্গলবার সকালে সময় চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে নতুন দিন রেখেছেন।"

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে। তদন্তের পর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা একটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্র"য়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এ এন এম বশিরুল্লাহ অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয় সিআইডির এএসপি ইসমাইল হোসেনকে।

২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আরেক আবেদনে আদালত ৭টি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের আইও পরিবর্তনের আদেশ দেয়।

মনিরুজ্জামান আইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ১৩ বার সময় বাড়ানোর পর গত জুনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নিজামী, বাবর এবং এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধানসহ নতুন ১১ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ করা হয় এতে।

ফলে অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। আর চোরাচালান মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫২ জনকে।

এর আগে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে অস্ত্র মামলায় ৪৩ এবং চোরাচালান মামলায় ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে চার জন মারা গেলে তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুই মামলাতেই অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে একইসঙ্গে।

ঈদে চাঁদাবাজি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Posted by methun

ঈদুল আযহায় কোরবানীর পশুপরিবহনে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস ঠেকাতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, "ঈদের সময় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।"

বিক্রেতাদের কোনো নির্দিষ্ট পশুর হাটে বসতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "পশু বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দে তাদের পছন্দমতো হাটে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এসব হাটে দুর্ভোগ ও হয়রানি রোধে কাজ করবেন। ঈদে হাট চলাকালীন এক সপ্তাহ এ ব্যবস্থা চলবে।

চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিষয়ে দুটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত

Posted by methun

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি আগ্রহপত্রে (জয়েন্ট ডিক্লারেশন অব ইনটেন্ড) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও জার্মানি সরকার।

মঙ্গলবার বার্লিনের হোটেল অ্যাডলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ দুটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত হয় বলে বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসউদ মান্নান জানান।

বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি এবং জার্মানির পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী ডির্ক নিয়েবল 'কো-অপারেশন ইন দি ফিল্ড অফ এডাপটেশন এন্ড মিটিগেশন অফ ক্লাইমেট চেইঞ্জ' শিরোনামের আগ্রহপত্রে সই করেন।

মসউদ মান্নান জানান, এই আগ্রহপত্র স্বাক্ষরের পর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্র"তি দিয়েছেন জার্মান মন্ত্রী।

এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে কো-অপারেশন ইন দি ফিল্ড অব হেল্থ' শিরোনামে আরেকটি আগ্রহপত্রে সই করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এবং জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি এনিত্তি ভিডমান মাউজ।

অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত হোলগার মাইকেল এবং জার্মান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার বার্লিনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে বৈঠক ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর স্থানীয় সময় বিকেলে তার দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

লিখিত পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স দাবি, নৌমন্ত্রীর সমর্থন

Posted by methun

লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চালকের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তা না হলে এটিসহ ১১ দফা দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে দাবি জানিয়ে সময় বেঁধে দেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, "আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে পরিবহন শ্রমিক মালিকরা।"

তিনি সমাবেশে সরকারের প্রতি ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, "প্রতিটি জেলায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি শুধু ফিল্ড টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে।"

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, "এই দাবিগুলোর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করবো।"

গত অগাস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান সম্পাদক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর অদক্ষ চালকদের গাড়ি চালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে। নৌমন্ত্রীর চাপে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অদক্ষ চালকদের পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সংবিলত খবরও প্রকাশ হয়। তবে নৌ ও যোগাযোগমন্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এক পর্যায়ে অদক্ষদের লাইসেন্স দেওয়া হবে না- যোগাযোগমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ঘোষণা দাবি করে অনশনের হুমকি দেন সাংসদ তারানা হালিম।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সমাবেশে বলেন, "এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করা চাইছেন।"

"পরিবহন শ্রমিকরা ঘাতক নয়-তারা জনগণের সেবক।"

"দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই দায়ী নয়," মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, "দুর্ঘটনার জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। যান্ত্রিক ত্র"টি ও সড়কের ত্র"টি এর মধ্যে অন্যতম।"

অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে তাও দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, "আমি বলতে চাই আমি পরীক্ষা ছাড়া কাউকেই লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলিনি। আমি বলেছি ট্রাফিক সাইন (চিহ্ন) না চিনলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ২০০০ সালের জুন মাসে ট্রাফিক গেজেটে এসব চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চালকদের অবশ্যই এসব চিহ্ন চিনতে হবে।"

তিনি সাংবাদিক মুনতাসির মামুনের লিখনীর সমালোচনা করে বলেন, "আমরা শ্রমিকরাও মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। আজ যারা শ্রমিকদের খান সেনা বলছেন তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করুন, নতুবা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।"

মুনতাসির মামুন একটি দৈনিক পত্রিকায় 'হুঁশিয়ার খান সেনারা আসছে' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে পরিবহন শ্রমিকদের সমালোচনা করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রোড-ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক অ্যাক্ট অনুমোদনের আগে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ, সড়ক পরিবহনকে সেবা শিল্পের মর্যাদা দান, সড়ক পরিবহন খাতকে চাঁদাবাজি মুক্ত করা, টায়ার-টিউব ও জ্বালানিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু রমেশ চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু, শ্রমিক নেতা মোখলেসুর রহমান, খায়রুল আলম মোল্লা, মাহবুব আলম মিন্টু, মনসুর আলম বুলবুল প্রমুখ।

নকল খাদ্যদ্রব্য রাখায় জরিমানা

Posted by methun

নকল খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের অভিযোগে গাজীপুরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাজিনা সারওয়ার সোমবার জয়দেপুর রেলজংশন এলাকায় মেসার্স এম রহমান এন্টারপ্রাইজের গুদামে এ অভিযান চালান।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মিলু মিয়া বিশ্বাস  বলেন, বিকালে এম রহমান এন্টারপ্রাইজের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ নকল এনার্জি ড্রিংকস, জুস, সয়াবিন তেল, চকলেটসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিউর রহমানের তপুর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ওই উদ্ধার করা সব মালামাল ধ্বংস করা হয় বলে জানান তিনি।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নেই!

Posted by methun

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে নামই ওঠেনি বাংলাদেশের। ২০০৯ সালের অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে আটটি ম্যাচ না খেলায় একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই ।

টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও র‌্যাঙ্কিং চালু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

সোমবার প্রথম বারের মতো ঘোষিত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১২৭ ও শ্রীলঙ্কার ১২৬। সেরা পাঁচে থাকা বাকি তিন দল হলো নিউজিল্যান্ড (১১৭), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৩) ও ভারত (১১২)।

ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আছেন ইংল্যান্ডের এউইন মরগান। বোলারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস আর অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন।

নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেভিন পিটারসেন ব্যাটসম্যানদের তালিকার দুই ও তিন নম্বর স্থানে রয়েছেন।

বোলারদের তালিকার শীর্ষ দশের ৭ জনই স্পিনার।

তবুও ইলিয়াস সানির আক্ষেপ

Posted by methun

অভিষেক টেস্টে দারুণ নৈপুণ্যের পরও 'নিজের মতো' বোলিং করতে না পেরে আক্ষেপ করছেন ইলিয়াস সানি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৪৪/৫।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেয়া ইলিয়াস সানির কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিলো, "অভিষেকেই চার উইকেট পেয়ে আপনার কেমন লাগছে?"

জবাবে সানি বলেন, "চার উইকেট পেয়ে আমি খুশি। তবে আমার আরো ভাল বল করা উচিত ছিল।"

"আসলে আমি নিজের মতো বল করতে পারি নি। রান একটু বেশিই দিয়েছি," যোগ করেন তিনি।

শেষ বিকেলে ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিবনারায়ন চন্দরপলকে। এই উইকেট পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে সানি বলেন, "আমি রোমাঞ্চিত। তার মাপের একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট নেয়া অনেক বড় ব্যাপার।"

নিজের দ্বিতীয় বলেই শাহাদাত হোসেন কার্ক এডওয়ার্ডসের ক্যাচ না ফেললে প্রথম উইকেটের জন্য তৃতীয় ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো না সানিকে। তবে এ নিয়ে তার মনে কোনো আক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, "ভাগ্যে থাকলে উইকেট অবশ্যই পাবো। কোনো খেলোয়াড়ই ইচ্ছে করে ক্যাচ ছাড়ে না। ক্যাচ ছাড়া খেলারই অংশ।"

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে শতক থাকলেও নিজেকে মূলত বোলারই ভাবেন সানি। এ কারণে কোনো রান না করে আউট হয়ে গেলেও তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন।

তিনি বলেন, "রান না করতে পারাকে চাপ হিসেবে নিই নি। কারণ চাপ নিলে ভালো বল করতে পারতাম না।"

দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় ম্যাচ যে ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সানিও একমত। তবে শেষ দিনে দুদলেরই আরো অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলে মনে করেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষ থেকে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট। তিনি বাংলাদেশের স্পিনারদের ভীষণ প্রশংসা করেন। শেষ দিনের খেলা উত্তেজনায় ভরা হবে বলেই তার ধারণা।

সানির পঞ্চম শিকার স্যামুয়েলস

Posted by methun

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬০ রান।

বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ উইকেট পেলেন সানি।

এক প্রান্তে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ৮ ও অন্যাপ্রান্তে কার্লটন বাফ ৬ রানে ব্যাট করছেন।

সাজঘরে ফিরে গেছেন মারলন স্যামুয়েলস (২৪)।

৫ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল নয়টায় খেলা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩৫০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে।

এর আগে মাঠ খেলার উপযুক্ত না থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়।

ফাঁকা থাকলো রূপার আসন

Posted by methun

পরীক্ষার হলে যথারীতি সবাই উপস্থিত, নেই শুধু রূপা। পরীক্ষা শুরুর পনের মিনিট আগে বাস চাপায় মারা গেছে সে।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সাব-এরিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর (বাণিজ্য) শিক্ষার্থী রূপা চৌধুরী। ১০টায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, রূপা নিহত হওয়র খবরে সহপাঠীরা বিমর্ষ। ছলছল চোখে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না- 'রূপা নেই'। হলে ফাঁকা পড়ে আছে তার জন্য নির্ধারিত আসনটি।

প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচনী পরীক্ষা।

"সবাই এসেছে, শুধু রূপা নেই। তার সিট ফাঁকাই পড়ে আছে" খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন শিক্ষক আতাউর।

এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাশ ছুটি দিয়ে দেয় সোমবার।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জয় টেলিকমের মালিক জয় চৌধুরী জানান, রাস্তার এক পাশ দিয়ে দুই সহপাঠীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলো রূপা। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা বাসটি তাকে চাপা দেয়।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০ গজ পশ্চিমে রূপাদের বাসা। বাবার নাম উজ্জ্বল চৌধুরী। বেলা ১১টায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রূপার মা শিল্পী চৌধুরী শোকে মূহ্যমান। স্বজনদের আহাজারির মাঝে ছোট ভাই ইমন চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে বাকরুদ্ধ হয়ে।

দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে। চালক মো. শফিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় একই রুটে (১ নম্বর সিটি সার্ভিস) চলাচলকারী আরো একটি বাস ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। তাদের অবরোধে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুর মোরশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত গাড়ি চালক শফিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৫ জেলা ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষিত হচ্ছে

Posted by methun

দেশের পাঁচটি জেলাকে প্রথমবারের মতো ফাইলেরিয়ামুক্ত হিসেবে মঙ্গলবার ঘোষণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জেলাগুলো হচ্ছে, মেহেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।

এক সময় সাত কোটির বেশি মানুষ মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত ফাইলেরিয়া রোগের হুমকিতে ছিলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই পাঁচজেলায় ফাইলেরিয়া রোগের আক্রান্তের হার এক শতাংশে নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় জেলাগুলোকে ফাইলেরিয়া মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক বে-নজীর আহমেদ সোমবার  বলেন, "কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ওষুধ প্রয়োগের পর ফাইলেরিয়া প্রবণ ১৯টি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলাকে মঙ্গলবার এ রোগে গুরুতর অসুস্থমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পরজীবী এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

বে-নজীর বলেন, "ফাইলেরিয়াকে পরাজিত করা যায় এটা দেখানোর জন্য আমরা রাজধানীতে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণকে উদযাপন করবো।"

এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে দুই থেকে তিন শতাংশ মানুষ অক্ষম হয়ে গেছে এবং তারা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফাইলেরিয়া দূর করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০১ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাপক ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। দরিদ্র্য দেশগুলোতেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বে-নজীর বলেন, "আমরা একটি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের কর্মকসূচিগুলো জোরদার করেছিলাম।"

কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বছরে একবার ওষুধ প্রয়োগ করে পাঁচ বছরের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, "ওষুধ ব্যবহারের সফলতার ওপর নির্ভর করে কখনো কখনো এটা বেশি সময় নেয়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এ প্রক্রিয়ায় সফলতা পেয়েছে।"

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরজীবী মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লসিকাতন্ত্রে ঘাঁটি গাড়ে এবং রক্তে লসিকার প্রবাহ ব্যাহত করে যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

প্রাথমিক চিকিৎসা না হলে এ রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে এবং সে অবস্থায় খুব একটা চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। এ রোগ প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধকও নেই।

পরিচালক বে-নজীর বলেন, "এতে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং যৌনাঙ্গের মতো শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।"

এ রোগের উপসর্গ একবার দেখা দিলে তেমন আর কিছু করার থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জ্বর, সর্দি, কাঁপুনি, শ্বাস কষ্ট ও ব্যথা এবং বাহু, স্তন, অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, যোনিদ্বার ও পা ফুলে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।

ফাইলেরিয়া দূর করার কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী বছর আরো পাঁচটি জেলায় এ রোগের হার পর্যালোচনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে জানান বে-নজীর।

ডেসটিনির 'অপকর্ম' রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সাহারা

Posted by methun

বহুস্তর বিপণন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ এর 'অপকর্ম' প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

সংসদ অধিবেশনে বাগমারা থেকে নির্বাচিত সাংসদ এনামুল হকের জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের নোটিসের উত্তরে সোমবার এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এনামুল নোটিসে বলেন, "প্রতিষ্ঠানটি [ডেসটিনি-২০০০ লি.] ইতিমধ্যে ১০ হাজার মানুষের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।"

ডেসটিনি কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে সে বিসয়ে নোটিসে সাংসদ বলেন, "এটি তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে বাগমারার সরলপ্রাণ মানুষকে ফুসলিয়ে তাদের বিভিন্ন লাভ, মুনাফা ও সুযোগ সুবিধার লোভ দেখিয়ে কোম্পানিতে ভর্তি করাচ্ছে। তাদের পণ্যসামগ্রী কিনে তাদের সাথে ব্যবসা করতে বাধ্য করছে।"

"অনেক বেশি মুনাফার আশ্বাস দিয়ে তাদের কোম্পানিতে টাকা জমা রাখতে প্রলুব্ধ করছে। যারা এসব কাজ করতে সহযোগিতা করছে ডেসটিনি-২০০০ লি. তাদেরও সাময়িকভাবে আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে।"

"তাদের মিথ্যে আশ্বাসের মধ্যে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের ১০০ কোটি সেগুন ও বিভিন্ন ধরনের গাছ আছে যার ভবিষ্যৎ মূল কয়েক হাজার কোটি টাকা, যার লভ্যাংশও তারা পাবে ইত্যাদি।"- বলা হয় নোটিসে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানোর সরকারি ছাড়পত্র তারা দেখাতে পারেনি উল্লেখ করে ডেসটিনির 'অশুভ' কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান সাংসদ এনামুল।

ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।

এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ডেসটিনি যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাতে যেকোনো দিন বিপর্যয় ঘটতে পারে।"

তিনি বলেন, "বাগমারাসহ দেশের যে কোনো এলাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে ডেসটিনির অপকর্ম প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

সরকারের অন্য কোনো সংস্থা এ নিয়ে তদন্ত করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহায়তা দেবে- বলেন সাহারা খাতুন।

এ ধরনের ফাঁদে পা না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

ডেসটিনি-২০০০ তাদের ওয়েবসাইটে নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুস্তর বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বলে দাবি করেছে।

ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবেশক এতে যোগ দিয়েছেন। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। সারা দেশে এর শাখা রয়েছে। ডেসটিনি-২০০০ এর ২৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার আটশ মানুষ কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জে পরীক্ষায় ইভিএম

Posted by methun

বিরোধী দলের আপত্তির মধ্যেও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। দেশে প্রথম নারায়ণগঞ্জে বড় পরিসরে এ পদ্ধতির ব্যবহার ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ব্যয় সাশ্রয়ী ও আধুনিক দাবি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগে থেকেই ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকেও মিলেছে সাড়া। তবে আপত্তিকারী বিএনপি বলছে, নির্বাচনে বড় ধরনের 'কারচুপির হাতিয়ার' হবে ইভিএম।

তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষপাতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলছেন, ইভিএমে কারচুপি যেন না হয়, সে পদক্ষেপও নেওয়া আছে।

ইভিএম নিয়ে ইসি ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন'র নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ সোমবার  বলেন, ইভিএম মেশিন নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ না থাকলেও নয়টি ওয়ার্ডে একটু বড় পরিসরের নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এবার ইসিকে পরীক্ষা দিতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে নয়টিতে বুয়েট প্রকৌশলীদের উদ্ভাবিত ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এর আগে গত বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিলো।

নারায়ণগঞ্জে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীসহ এক শ্রেণীর ভোটারদের ইভিএম নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে- এ মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গঠিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ কমিটির সদস্য তোফায়েল বলেন, "এখন ইসিকে সন্দেহ দূর করতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ ও যান্ত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

"চট্টগ্রামে একটি ওয়ার্ডে ভালো হয়েছে, নয়টি ওয়ার্ডে হবে কি না, তাও দেখার বিষয়। এখানে কেউ দখল, কারচুপি, ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন না ঘটে, তার পরীক্ষা দিতে হবে ইসিকে।"

নারায়ণগঞ্জে সফল হলে আগামী দিনে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন অধ্যাপক তোফায়েল।

ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দলসহ অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত জানিয়েছে।

ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৮টি হলেও বিএনপি এবং এর মিত্র দলগুলো ইভিএম নিয়ে সংলাপে যায়নি।

ইভিএমের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সিইসি বলছেন, "নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে সহজতর, ফল ঘোষণা দ্রুত, নির্বাচনোত্তর সহিংসতা কমানো, নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় কমানো ও প্রশাসনিক জটিলতা কমানোসহ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে ইভিএম'র এ উদ্যোগ।"

আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৫৮ কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে একটি করে ইভিএম থাকছে। এসব ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন।

গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ৭৯টি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এতে ভোটার ছিলেন ২৫ হাজার ২৩০ জন।

ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৪০০ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এর ব্যবহারবিধি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সচেতন করতে কাজ করছে বলে ইসি জানায়।

আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার চাইলেও সে পর্যন্ত বর্তমান কমিশন থাকছে না। সিইসি বলেছেন, তারা ইভিএমের প্রস্তুতি রেখে যাবেন, আগামী কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ইভিএম যেভাবে ব্যবহার

নারায়ণগঞ্জে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছে গাজীপুরের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।

ইভিএম দুটি ইউনিট সমন্বয়ে গঠিত- একটি কন্ট্রোল ইউনিট ও অন্যটি ব্যালট ইউনিট। কন্ট্রোল ইউনিটটি ব্যালট দেওয়া এবং ব্যালট সংরক্ষণের কাজ করে। কন্ট্রোল ইউনিটটি মূলত কাগজের ব্যালট ও ব্যালট বাক্সকে প্রতিস্থাপিত করে। স্মার্ট কার্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত এই ইউনিটটি সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এখন যেমন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট পেপার ইস্যু করে থাকেন, এক্ষেত্রেও তিনি ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। কত জন ভোট দিচ্ছেন, তা ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালট ইউনিটের সামনে স্থাপিত ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হতে থাকবে, যা সব পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচন কাজে নিয়োজিত ও বুথে অবস্থানকারী অনুমোদিত ব্যক্তিরা দেখতে পাবে।

ব্যালট ইউনিটটি কন্ট্রোল ইউনিটের একটি তারের মাধ্যমে সংযুক্ত। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সম্বলিত একটি কাগজ লাগানো থাকে, আর প্রতিটি প্রতীকের পাশে একটি বোতাম থাকে।

কন্ট্রোল ইউনিট থেকে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট ইস্যু করলে একটি সবুজ সঙ্কেত উভয় ইউনিটে জ্বলে উঠবে এবং ভোটার বোতাম টিপে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকের পাশের বোতামটি টিপলে একটা 'বিপ' শোনা যাবে। তা শুনে আর প্রতীকের পাশের বাতিটি জ্বলা দেখে ভোটার বুঝতে পারবেন, তার ভোট দেওয়া হয়েছে।

ইভিএমের বিরোধিতা

ইসির সংলাপে না নিলেও বিএনপি ও তাদের জোট শরিকরা বারবার ইভিএমের বিরোধিতা করে বলছে, কেউ চাইলে যন্ত্রটি দখলে নিয়ে একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারবে। ইভিএমের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয় বলে দাবি তাদের।

কয়েকটি দল বলছে, ইভিএমে মোট ভোট গণনা হলেও প্রতিটি ভোট সঠিক ব্যক্তির কাছে পড়লো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

ভোটের আগে বা পরে ওই মেশিনে ভিন্ন সফটওয়্যার যোগ করে ফল পাল্টানোর সুযোগও থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের।

এ বিষয়ে বুয়েটের আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক লুৎফুল কবীর বলেন, "ইভিএমে কোনোভাবে কারচুপি সম্ভব নয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই ভোট দেবেন। প্রতিটি ইভিএম স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়।

"এছাড়া প্রার্থী, রাজনৈতিক দল ও ইসির কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ কমিটির সামনে ইভিএম'র সফটওয়্যার আপলোড করা হয় বলে তাতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।"

ইভিএম দখলের বিষয়ে সিইসি বলেন, "কেন্দ্র যদি দখল হয়ে যায়, কিংবা পোলিং স্টাফ এবং শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী যদি একজোট হয়ে ভোট কারচুপি করতে চায়, তবে ইভিএম কেন, কোনো ভাবেই তা ঠেকানো যাবে না।

"এ ধরনের অপকর্ম ভোটার ও নাগরিক সচেতনতা এবং সামাজিক প্রতিরোধই দূর করতে পারে।"

PRIMETIME EC DEBATE War of words before battle of ballots repertoire

Posted by methun

Six mayor candidates will look to staunchly defend and expose rivals for the Election Commission's televised debate Tuesday evening, just five days shy of Narayanganj City Corporation (NCC) election.

Sparks seem sure to fly in the theatre—an open stage of Narayanganj Club—when the two ruling party challengers and the opposition's best bet, joined by three other pretenders, will get one last chance for that decisive edge before the electorate and millions in view from 8:30pm.

The trio has hotly debated before on TV but this is the first time that the 'rank-outsiders' will be under intense media gaze and try to win hearts and minds of the public.
Shamim Osman and Selina Hayat Ivy, second-generation Awami League leaders of this commercial hub, will be primed for the primetime showdown to sway voters who will decide on Oct 30 to elect their representatives to run the city.

The event, to be attended by the chief election commissioner, A T M Shamshul Huda and moderated by  editor-in-chief Toufique Imrose Khalidi, will be beamed live by state-run Bangladesh Television (BTV) and Bangladesh Betar.


Ivy, the former municipality chairman and a doctor by training, is looking to recapture the role she once played while Shamim, who appears to have the tacit support of his party, will hope to revive his political fortunes. Taimur Alam Khandaker, a former chief of road transport authority, is a dark horse, who many believe can give the two a run for their money.

The thought of the three candidates grappling to be heard over each other has led hundreds to scramble for details.
Altogether 150 voter representatives will be present at the venue to directly question the candidates. The candidates will also be able to fire questions at each other. The mayoral contenders have confirmed that they will engage in the debate.

"We're receiving a large number of calls after running advertisements in newspapers and on TV," says Mohammad Sharifullah, executive producer of the programme.

Chief election commissioner Huda said the commission wants to give the debate an institutional shape.

"It's a programme to inform the voters," he told on Monday.

About the webcast, he said, "It's being organised to give not only the people in Bangladesh, but the expatriates also the opportunity to directly watch the programme."

"Through the debate," the CEC said, "the people will know about the voters' expectations from the candidates and what the competitors want to do."
Sharifullah said preparations to stage the programme have nearly ended.

"People from all classes and professions will represent the selected voters of Narayanganj," he said.

He said the debate will be different from the dialogues held with candidates of Khulna, Rajshahi, Sylhet and Barisal City Corporation elections in 2008 and the Chittagong City Corporation election in 2010.

"Though the previous programmes had been telecast, they were based on radio-focused scripts. I hope the upcoming debate will be a fully-fledged TV programme," he added.

Election commissioner M Sakhawat Hussain and secretary to the EC Secretariat Mohammad Sadique will also attend the debate.