'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ২ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার পর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ২ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর আলোচনা সভা হবে। ঈদুল আজহার জন্য ৬ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে।
৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির নেতারা।
১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে জানান নোমান। তবে শোভাযাত্রার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও '৭ নভেম্বর' পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের 'উৎখাত করার' লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াকে আটক করা হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। যাতে যুক্ত ছিলেন জাসদের নেতা-কর্মীরাও। অবশ্য পরে তাহেরকে সামরিক আদালতে 'বিচার' করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
১৯৭৫ এর নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় নবীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র বদলে যেতে থাকে এবং তা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতমুখে যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সেনাশাসনের ভিত্তিও রচিত হয়। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।
রাজনৈতিক দলগুলো ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও চেতনায় পালন করে থাকে। বিএনপি 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস', আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিবস সরকারি ছুটির দিন হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে তা বাতিল করে।
যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী এবং গোলাম আকবর খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার পর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ২ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর আলোচনা সভা হবে। ঈদুল আজহার জন্য ৬ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে।
৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির নেতারা।
১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে জানান নোমান। তবে শোভাযাত্রার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও '৭ নভেম্বর' পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের 'উৎখাত করার' লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াকে আটক করা হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। যাতে যুক্ত ছিলেন জাসদের নেতা-কর্মীরাও। অবশ্য পরে তাহেরকে সামরিক আদালতে 'বিচার' করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
১৯৭৫ এর নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় নবীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র বদলে যেতে থাকে এবং তা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতমুখে যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সেনাশাসনের ভিত্তিও রচিত হয়। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।
রাজনৈতিক দলগুলো ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও চেতনায় পালন করে থাকে। বিএনপি 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস', আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিবস সরকারি ছুটির দিন হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে তা বাতিল করে।
যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী এবং গোলাম আকবর খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment