ভোটারদের মুখোমুখি বসে নারায়ণগঞ্জের ছয় মেয়র প্রার্থী বলেছেন, এখন দেওয়া প্রতিশ্রুতি বিজয়ী হলে বাস্তবায়ন করবেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মুক্ত মঞ্চে নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন তারা।
রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলা এ বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে। দেড় ঘণ্টার বিতর্কটি সরাসরি (ওয়েবকাস্ট) দেখা যায়।
অনুষ্ঠান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "সব র্প্রার্থীর অংশগ্রহণে ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে।"
নির্বাচিত দেড়শ ভোটার এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন- সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমান, তৈমুর আলম খন্দকার, আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, শরীফ মোহাম্মদ, আতিকুল ইসলাম জীবন।
সরাসরি জনগণের মুখোমুখি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ছয় মেয়র প্রার্থীই বলেন, জনসেবা করতেই জনপ্রতিনিধি হতে চান তারা। সবাই প্রত্যাশা করছেন, জনগণ তাদের সে সুযোগ দেবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বড় পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হলেও তাতে প্রচারে ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করেন অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী। বিএনপি নেতা তৈমুর সরাসরি তার আপত্তি তুলে ধরেন।
শামীম ও আইভী বলেন, ইভিএম ভালো হলেও এর যথাযথ প্রচার হয়নি। একই কথা বলেন অন্য তিন প্রার্থী নান্নু মুন্সী, জীবন ও শরীফও।
তবে বিতর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইভিএমের প্রচারে তাদের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
৩০ অক্টোবরের ভোটযুদ্ধের আগে এ বাগযুদ্ধ নিয়ে ভোটারদের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। নির্বাচিত দেড়শ ভোটার অনুষ্ঠানে তাদের প্রশ্ন নিয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন। তবে সময়াভাবে সবাই প্রশ্ন করতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেসকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, "প্রার্থীদের গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়। আমরা কাজে বিশ্বাস করতে চাই।"
অনেকেই বলেন, বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখেই তারা ঠিক করবেন, কাকে ভোট দেবেন তারা।
শামীম বিতর্কে বলেন, তিনি সংসদ সদস্য থাকার সময় সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। এবার নির্বাচিত হলেও করবেন।
"আমি ব্রিজ, টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহে কাজ করেছি। আগামীতেও আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।"
আইভী বিগত সময়ে পৌর মেয়র থাকাকালীন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, "জবাবদিহিতা পছন্দ করি আমি। ২০০৩ সালের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করেছি।"
তৈমুর বলেন, "আমি ম্যান অব কমিটমেন্ট।"
বিতর্ক অনুষ্ঠানের নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহ বলেন, "নির্বাচন কমিশনের আগের নির্বাচনী বিতর্ক থেকে এবারের অনুষ্ঠানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আগের অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখানো হলেও সেগুলো ছিলো মূলত বেতারের উপযোগী পাণ্ডুলিপির ওপর ভিত্তি করে। এবার পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন অনুষ্ঠান হচ্ছে।"
প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক ওয়েবকাস্টের উদ্যোগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা এর আগে বলেন, "শুধু এলাকাবাসী নয়, বহির্বিশ্বেও প্রবাসীরা যেন প্রার্থীদের নিয়ে এ বিতর্ক দেখতে পারে, সে জন্য এ ব্যবস্থা।"
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০০৮ সালে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এবং ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মুক্ত মঞ্চে নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন তারা।
রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলা এ বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে। দেড় ঘণ্টার বিতর্কটি সরাসরি (ওয়েবকাস্ট) দেখা যায়।
অনুষ্ঠান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "সব র্প্রার্থীর অংশগ্রহণে ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে।"
নির্বাচিত দেড়শ ভোটার এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন- সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমান, তৈমুর আলম খন্দকার, আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, শরীফ মোহাম্মদ, আতিকুল ইসলাম জীবন।
সরাসরি জনগণের মুখোমুখি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ছয় মেয়র প্রার্থীই বলেন, জনসেবা করতেই জনপ্রতিনিধি হতে চান তারা। সবাই প্রত্যাশা করছেন, জনগণ তাদের সে সুযোগ দেবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বড় পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হলেও তাতে প্রচারে ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করেন অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী। বিএনপি নেতা তৈমুর সরাসরি তার আপত্তি তুলে ধরেন।
শামীম ও আইভী বলেন, ইভিএম ভালো হলেও এর যথাযথ প্রচার হয়নি। একই কথা বলেন অন্য তিন প্রার্থী নান্নু মুন্সী, জীবন ও শরীফও।
তবে বিতর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইভিএমের প্রচারে তাদের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
৩০ অক্টোবরের ভোটযুদ্ধের আগে এ বাগযুদ্ধ নিয়ে ভোটারদের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। নির্বাচিত দেড়শ ভোটার অনুষ্ঠানে তাদের প্রশ্ন নিয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন। তবে সময়াভাবে সবাই প্রশ্ন করতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেসকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, "প্রার্থীদের গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়। আমরা কাজে বিশ্বাস করতে চাই।"
অনেকেই বলেন, বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখেই তারা ঠিক করবেন, কাকে ভোট দেবেন তারা।
শামীম বিতর্কে বলেন, তিনি সংসদ সদস্য থাকার সময় সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। এবার নির্বাচিত হলেও করবেন।
"আমি ব্রিজ, টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহে কাজ করেছি। আগামীতেও আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।"
আইভী বিগত সময়ে পৌর মেয়র থাকাকালীন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, "জবাবদিহিতা পছন্দ করি আমি। ২০০৩ সালের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করেছি।"
তৈমুর বলেন, "আমি ম্যান অব কমিটমেন্ট।"
বিতর্ক অনুষ্ঠানের নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহ বলেন, "নির্বাচন কমিশনের আগের নির্বাচনী বিতর্ক থেকে এবারের অনুষ্ঠানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আগের অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখানো হলেও সেগুলো ছিলো মূলত বেতারের উপযোগী পাণ্ডুলিপির ওপর ভিত্তি করে। এবার পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন অনুষ্ঠান হচ্ছে।"
প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক ওয়েবকাস্টের উদ্যোগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা এর আগে বলেন, "শুধু এলাকাবাসী নয়, বহির্বিশ্বেও প্রবাসীরা যেন প্রার্থীদের নিয়ে এ বিতর্ক দেখতে পারে, সে জন্য এ ব্যবস্থা।"
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০০৮ সালে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এবং ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করা হয়।
0 comments:
Post a Comment