SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ভারতের সঙ্গে চুক্তি দেশকে ব্যর্থ করার চেষ্টা: বিএনপি

Posted by methun


ভারতের সঙ্গে সা¤প্রতিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে 'অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র' বানানোর চেষ্টা চলছে বলে মনে করে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন শনিবার বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার রূপরেখা সমঝোতা চুক্তিটি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই নয়। এর মাধ্যমে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।"

একইদিন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, "সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর সব আয়োজন প্রায় শেষ করে ফেলেছে।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "বাংলাদেশ কি সিকিমের মতো, না নেপালের মতো ভাগ্যবরণ করবে?"

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের চলতি মাসের ঢাকা সফরে দুদেশের মধ্যে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়খ রূপরেখা চুক্তি, স্থলসীমা বিষয়ক একটি প্রটোকল ও কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরপর ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি একটি শান্তি ও সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি হয়েছিল।

চুক্তিতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়ন এবং অন্য কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর নেওয়া কোনো পদক্ষেপ চুক্তিভুক্ত দুদেশের কোনোটির জন্য ক্ষতিকর হলে অন্য দেশ এতে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়।

চলতি মাসে হওয়া চুক্তিকে ওই চুক্তির সঙ্গেই তুলনা করেন মোশাররফ।

'৭২ সালের ওই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

'ভারতই লাভবান'

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর 'ব্যর্থ' বলেও জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবারের আলোচনা সভায় দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ।
ওই সফরে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ৪৬টি গার্মেন্ট পণ্য বিনাশুল্কে রপ্তানি সুবিধার ঘোষণা এলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ মনে করেন, "এই সফরে বাংলাদেশের কোনো অর্জন নেই।"

তিনি বলেন, "ভারতই লাভবান হয়েছে।"

মোশাররফ অভিযোগ করেন, "দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ ঘোষণার ৩৯ থেকে ৪২ ধারা পর্যন্ত সবগুলোতে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার কথা বলে ওই ট্রানজিট দেওয়া হয়ে গেছে।"

তিস্তা নদী পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়াকে সরকারের 'ব্যর্থতা' হিসেবে অভিহিত করে সমালোচনা করেন তিনি।

মনমোহন সিংয়ের সফরে দুদেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চুক্তির খসড়ায় সম্মত না হওয়ায় চুক্তিটি হয়নি।

'ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর : প্রত্যাশার প্রাপ্তি ' শিরোনামের এ আলোচনা সভা আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম একটি সংগঠন।

'গোলামির জিঞ্জির'

ভারতের সঙ্গে চুক্তি 'গোপনে হয়েছে' দাবি করে আরেক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, "এর মাধ্যমে দেশকে গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করা হচ্ছে।"

"দেশবাসীকে বলব, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ ও সর্তক হউন। নইলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।"

দেশের বর্তমান অবস্থাকে 'দুঃসময়' অভিহিত করে '১৯৭১ সালের মতো দেশের অস্তিত্ব রক্ষায়' আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি।

"খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।"

এ আলোচনা অনুষ্ঠানটিও হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। 'তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট' শিরোনামের এ আলোচনা আয়োজন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট নামে একটি সংগঠন।