SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

শামীম-তৈমুরকে নিয়েই কাজ করবো: আইভী

Posted by methun

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহযাত্রী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী শামীম ওসমান ও তৈমুর আলম খন্দকারকে পাশে চান সেলিনা হায়াৎ আইভী।

নির্বাচনের পরদিন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আইভী বলেন, "অতীতে যেভাবে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের সেবা দিয়েছি, এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। নির্বাচনের আগে জনগণকে যেসব কথা বলেছি, শামীম ভাই ও তৈমুর কাকাকে সঙ্গে নিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।"

রোববারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। সেনা মোতায়েন না হওয়ায় ভোট শুরুর ৭ ঘণ্টা আগে সরে দাঁড়ান বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

সিটি কর্পোরেশন এলাকার রাস্তা, ড্রেনেজ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতি কাজ করতে চান আইভী।

তিনি বলেন, "অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সিটি কর্পোরেশন প্রধান প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং জনগণের সঙ্গে আলোচনা করেই একের পর এক কাজ করে যাবো।"

বিপুল ভোটের ব্যবধান প্রসঙ্গে আইভী বলেন, "জনগণ কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন না। নির্বাচনের ফলই তার প্রমাণ।"

সেনা বাহিনী ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আইভী। এজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

"লক্ষ জনতা ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছে। এসব জনতার ভোটেই ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে," বলেন আইভী।

৩৭ বছর আগে আইভীর বাবা আলী আহম্মদ চুনকাও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়াই স্বাধীন বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বাবার প্রসঙ্গ টেনে আইভী বলেন, "বাবার পরে এই পৌরসভায় যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের ধারাবাহিকতায়ই আমি নগরীর উন্নয়নে কাজ করে যাবো।"

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চার লক্ষাধিক ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২৮২৫৯৩ জন, যা মোট ভোটের ৬৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছে ২৭৬৩২৯টি ভোট।

আশুলিয়ায় ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে যুবক হত্যা

Posted by methun

সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাত সন্দেহে এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আমিনবাজারে পিটিয়ে ছয় ছাত্র হত্যার সাড়ে তিন মাসের মাথায় সোমবার ভোরে শ্রীখণ্ডিয়া এলাকায় একটি মাদ্রাসা মাঠে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে এক যুবককে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আশুলিয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে সকাল ১১টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।

গত ১৮ জুলাই শবেবরাতের রাতে বড়দেশী এলাকার কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে ঢাকার ছয় ছাত্র নিহত হয়। পরে তদন্তে জানান, নিহতরা কেউই ডাকাত ছিলো না। ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার এক আসামিকে সোমবার সকালেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে আশুলিয়ার কুটুরিয়া, টংগাবাড়ী ও শ্রীখণ্ডিয়া এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী পালা করে পাহারা দিচ্ছিলো।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোরে শ্রীখণ্ডিয়া এলাকায় ১০-১২ অজ্ঞাত যুবক দেখে লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। অন্যরা পালিয়ে গেলেও এক যুবককে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তাকে স্থানীয় জান্নাতুল মাওয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

পিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মৃতদেহের পাশ থেকে দুটি ছুরি, একটি ক্ষুর ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয় বলে জানান এসআই।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউসুফ আলী ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে ওই যুবককে শ্রীখণ্ডিয়ার পূর্বপাড়া থেকে পেটাতে পেটাতে মাদ্রাসার মাঠে এনে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়। পরে মাইকে 'এলাকায় ডাকাত পড়েছে' ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করা হয়।

কয়েকশ' লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই যুবককে পেটায় বলে জানান ইউসুফ।

ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর বলেন, "মাইকের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসা মাঠে এসে দেখি এক-দেড়শ' লোক এক যুবককে পেটাচ্ছে।"

আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল মাদবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ এলাকায় প্রায়ই চুরি-ডাকাতি হচ্ছে। পুলিশকে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী পালা করে পাহারা দেয়।

"রাতে ডাকাত এলাকায় হানা দিলে এলাকাবাসী এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়," বলেন ইউপি চেয়ারম্যান।

আশুলিয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে ওই যুবককে হত্যা করে এলাকাবাসী অপরাধ করেছে। পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খুচরা বাজারে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ

Posted by methun

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে খুচরা বাজারে মূল্য তালিকা টানানো এবং খুচরা বিক্রেতাকে পণ্য কেনার রশিদ সরবরাহের জন্য পাইকারদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাজার পর্যবেক্ষণ কমিটির সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম মুর্তজা রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় দোকানে ভেজাল পণ্য না রাখা এবং অতিরিক্ত মুনাফা না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "খুচরা বিক্রেতাদেরকে মেমো সরবরাহ না করলে অথবা দোকানে ভেজাল পণ্য রাখা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় সতর্ক করা হয়েছে।"

মতবিনিময়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে কোনো দ্রব্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শব্দ দূষণ: ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা

Posted by methun

শব্দ দূষণের অভিযোগে রাজধানীতে দুটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো, বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস (বিটিআই) এবং আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সোমবার শব্দদূষণবিরোধী অভিযানের আওতায় তাদের এই জরিমানা করেন।

এ সময় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২ ও ৩৪/এ নম্বর প্লটে বহুতল ভবন নির্মাণে পাইলিং করার ভারি যন্ত্রের পাশাপাশি কয়েকটি জেনারেটর একই সময় ব্যবহার করায় শব্দদূষণ হচ্ছিল।

"অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে শব্দের মাত্রা নির্ণয়ের যন্ত্র ব্যবহার করে ৭৭ থেকে ৮৬ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ সনাক্ত করেছে। কিন্তু ওই এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা ৫৫ ডেসিবল।"

ঢাকা মহানগরীতে শব্দদূষণবিরোধী অভিযান চালিয়ে গত ৩ মাসে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের নির্দেশে গত দুই সপ্তাহে পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতাল, লালমাটিয়ায় ঢাকা ওয়াসা এবং মিরপুর এলাকায় তিনটি শব্দ দূষণকারী জেনারেটরের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু মঙ্গলবার

Posted by methun

সাড়ে ১৮ লাখ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।

প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র এবং জেডিসিতে বাংলা সাহিত্যের পরীক্ষায় অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

এবার জেএসসি-তে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ জন এবং জেডিসি-তে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, এবার পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৫ জন বেশী ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। মোট ছাত্রের সংখ্যা ৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯ জন।

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩১১ জন বেড়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এবার মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৯টি, যা গতবারের চেয়ে ২০৫টি বেশি। এছাড়া মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৬০ থেকে বেড়ে ২৭ হাজার ৩৬০ হয়েছে।

২০১১ সালে জেএসডি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর ২ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন এবং জেডিসিতে ৩২ হাজার ৫৪৮ জন অর্থাৎ মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৯ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এ পরীক্ষার ফলে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভীতি কমে যাবে এবং পরীক্ষা পাসের একটি সনদ পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরো উৎসাহিত হবে।

এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল প্রশ্নে।

গতবারের মতো এবারো যারা তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য হবে, তাদের নবম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ থাকছে। তবে তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে।

এবার পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সময় ৫ মিনিট বৃদ্ধি করে ২০ মিনিট করা হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।

জেএসসি সময়সূচি

২ নভেম্বর বাংলা ২য় পত্র, ১৩ নভেম্বর ইংরেজি ১ম পত্র, ১৪ নভেম্বর ইংরেজি ২য় পত্র, ১৫ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান, ১৬ নভেম্বর সাধারণ বিজ্ঞান, ১৭ নভেম্বর ইসলাম শিক্ষা/হিন্দুধর্ম শিক্ষা/বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা/খ্রিস্টধর্ম শিক্ষা, ২০ নভেম্বর সাধারণ গণিত এবং ২১ নভেম্বর গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি শিক্ষা।

জেডিসি সময়সূচি

২ নভেম্বর ইংরেজি, ১৩ নভেম্বর আরবি ১ম পত্র, ১৪ নভেম্বর আরবি ২য় পত্র, ১৫ নভেম্বর কুরআর মাজীদ ও তাজবিদ, ১৬ নভেম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল ফিক্হ, ১৭ নভেম্বর সাধারণ বিজ্ঞান, ১৯ নভেম্বর সাধারণ গণিত, ২০ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান এবং ২১ নভেম্বর কৃষি শিক্ষা/গার্হস্থ্য অর্থনীতি।

সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।

এবার স্কুল পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।

ঢাকা ভাগের আইন সংসদে উঠতে তৈরি

Posted by methun

ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এখন এটি সংসদে তোলা হবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইনটি পাস করতে এখন সংসদে উত্থাপন করা হবে।

প্রস্তাবিত আইনে ঢাকা মহানগরের ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণে একটি এবং ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরে আরেকটি সিটি কর্পোরেশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।

এক কোটি মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা নগরীর বাসিন্দাদের সেবার মান বাড়াতেই এ পদক্ষেপ বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তবে বিরোধী দল এর সমালোচনা করছে। বর্তমান মেয়র সাদেক হোসেন খোকারও এতে আপত্তি রয়েছে।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১৬০৮ সালে ঢাকার গোড়াপত্তন হয়। তখন ঢাকার নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর।

১৮৬৪ সালে ঢাকা পৌরসভায় উন্নীত হয়। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী হয় শহরটি।

১৯৭৮ সালে পৌরসভা থেকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হয় ঢাকা। ১৯৯০ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম হয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।

বৈঠকের অন্যান্য সিদ্ধান্ত

মোশাররফ হোসেন ভূইঞা বলেন, "মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক ও বিকিরণ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে আইনি কাঠামো উন্নয়নসহ পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।"

এ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজে আরো অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করেন মোশাররফ হোসেন।

বৈঠকে, আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে, কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট অন রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিহ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমের (আরআইএমসইএস) সদস্যপদ গ্রহণ এবং চাঁদা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

এর ফলে সুনামিসহ জলবায়ুজনিত দুর্যোগের পূর্বাভাস আগেই পেতে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুবিধা পাওয়া যাবে।

বৈঠকে সার্ক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এই প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বীজের মান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে এবং শষ্য উৎপাদন বাড়বে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আরো জানান, 'বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন-২০১১' এর খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইনটি বাস্তবয়িত হলে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজস্ব ভূমি, বনভূমি এবং সর্ব সাধারণের জায়গায় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ সংরক্ষণের ঘোষণা দিতে পারবে।

এছাড়া, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব বিষয়ক কৌশল-পরিকল্পনা ২০১০ এবং এর আওতায় প্রণীত গাইডলাইনগুলোর সংশোধন, সাফটা চুক্তির আওতায় সেনসিটিভ লিস্ট ২০% হ্রাস কমানো সংক্রান্ত প্রস্তাবও অনুমোদন হয় বৈঠকে।

২০১২ সালের ছুটি

২০১২ সালের ছুটির তালিক মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। আগামী বছর সাধারণ ছুটি হবে ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি হবে আট দিন।

তবে এর মধ্যে ছয়দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ে যাওয়ায় প্রকৃত সরকারি ছুটি ১৬ দিন হবে বলে উল্লেখ করেন মোশাররফ হোসেন।

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন

২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় আট'শ চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে সাত'শ ৩৫টি বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯১ দশমিক চার শতাংশ।

এ হারে মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

তিনি বলেন, "২০০৯ সালে মন্ত্রিসভার ৫০টি, ২০১০ সালে ৪৫টি এবং চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২২টি ও জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আটটি বৈঠক হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মন্ত্রিসভার মোট ১২৫টি বৈঠক হয়েছে।"

২০০৯ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেবছর মন্ত্রিসভায় ৩১৬টি সিদ্ধান্তনেওয়া হয় যার মধ্যে ৩০৫টি বাস্তবায়িত হয়। ২০১০ সালে মন্ত্রিসভায় ৩১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং বাস্তবায়িত হয় ২৯১টি শতকরা হিসাবে যা ৯৩ দশমিক ৫।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস ১২২টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং একশটি বাস্তবায়িত হয়, শতকরা হিসাবে যা ৮২।

চলতি বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত নেওয়া ৫৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৩৯টি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই সময়ে সিদ্ধান্তবাস্তবায়নের হার ৭১ শতাংশ।