SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ঢাকা ভাগের আইন সংসদে উঠতে তৈরি

Posted by methun

ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এখন এটি সংসদে তোলা হবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইনটি পাস করতে এখন সংসদে উত্থাপন করা হবে।

প্রস্তাবিত আইনে ঢাকা মহানগরের ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণে একটি এবং ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরে আরেকটি সিটি কর্পোরেশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।

এক কোটি মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা নগরীর বাসিন্দাদের সেবার মান বাড়াতেই এ পদক্ষেপ বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তবে বিরোধী দল এর সমালোচনা করছে। বর্তমান মেয়র সাদেক হোসেন খোকারও এতে আপত্তি রয়েছে।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১৬০৮ সালে ঢাকার গোড়াপত্তন হয়। তখন ঢাকার নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর।

১৮৬৪ সালে ঢাকা পৌরসভায় উন্নীত হয়। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী হয় শহরটি।

১৯৭৮ সালে পৌরসভা থেকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হয় ঢাকা। ১৯৯০ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম হয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।

বৈঠকের অন্যান্য সিদ্ধান্ত

মোশাররফ হোসেন ভূইঞা বলেন, "মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক ও বিকিরণ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে আইনি কাঠামো উন্নয়নসহ পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।"

এ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজে আরো অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করেন মোশাররফ হোসেন।

বৈঠকে, আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে, কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট অন রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিহ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমের (আরআইএমসইএস) সদস্যপদ গ্রহণ এবং চাঁদা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

এর ফলে সুনামিসহ জলবায়ুজনিত দুর্যোগের পূর্বাভাস আগেই পেতে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুবিধা পাওয়া যাবে।

বৈঠকে সার্ক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এই প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বীজের মান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে এবং শষ্য উৎপাদন বাড়বে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আরো জানান, 'বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন-২০১১' এর খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইনটি বাস্তবয়িত হলে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজস্ব ভূমি, বনভূমি এবং সর্ব সাধারণের জায়গায় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ সংরক্ষণের ঘোষণা দিতে পারবে।

এছাড়া, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব বিষয়ক কৌশল-পরিকল্পনা ২০১০ এবং এর আওতায় প্রণীত গাইডলাইনগুলোর সংশোধন, সাফটা চুক্তির আওতায় সেনসিটিভ লিস্ট ২০% হ্রাস কমানো সংক্রান্ত প্রস্তাবও অনুমোদন হয় বৈঠকে।

২০১২ সালের ছুটি

২০১২ সালের ছুটির তালিক মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। আগামী বছর সাধারণ ছুটি হবে ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি হবে আট দিন।

তবে এর মধ্যে ছয়দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ে যাওয়ায় প্রকৃত সরকারি ছুটি ১৬ দিন হবে বলে উল্লেখ করেন মোশাররফ হোসেন।

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন

২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় আট'শ চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে সাত'শ ৩৫টি বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯১ দশমিক চার শতাংশ।

এ হারে মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

তিনি বলেন, "২০০৯ সালে মন্ত্রিসভার ৫০টি, ২০১০ সালে ৪৫টি এবং চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২২টি ও জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আটটি বৈঠক হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মন্ত্রিসভার মোট ১২৫টি বৈঠক হয়েছে।"

২০০৯ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেবছর মন্ত্রিসভায় ৩১৬টি সিদ্ধান্তনেওয়া হয় যার মধ্যে ৩০৫টি বাস্তবায়িত হয়। ২০১০ সালে মন্ত্রিসভায় ৩১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং বাস্তবায়িত হয় ২৯১টি শতকরা হিসাবে যা ৯৩ দশমিক ৫।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস ১২২টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং একশটি বাস্তবায়িত হয়, শতকরা হিসাবে যা ৮২।

চলতি বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত নেওয়া ৫৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৩৯টি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই সময়ে সিদ্ধান্তবাস্তবায়নের হার ৭১ শতাংশ।

0 comments:

Post a Comment