Ads by Cash-71
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদ্রোহের প্ল্যান করেছি লে. কর্নেল মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আমি এবং মেজর জিয়াউর রহমান মিলে। '৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ের পর মনে হয়েছে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা ছাড়বে না। বিদ্রোহের প্ল্যান '৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুকে জানিয়ে ছিলাম। কারণ যদি শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে পাকিস্তানি জেনারেলরা হুমকির মুখে পড়বেন। আরেকটি হলো '৬৫-র পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যকে আসতে দেখিনি। নির্বাচনের পর দেখা গেল নতুন লোক আসছে। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে খেলবে, এটা বুঝতে পারি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, নো, আই ডোন্ট নিড অ্যানি হেল্প। এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানকে ক্ষমতা দিতে চাই না। উনি ঠিকই ২৪ মার্চ পর্যন্ত সমঝোতার টেবিলে বসলেন। নিশ্চিত ছিলাম, পাকিস্তানিদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই ক্র্যাকডাউন করবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর জন্য ডাইরেক্টলি জড়িত এরশাদ এবং বহির্বিশ্ব। সম্প্রতি বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, উনার আহ্বানে গিয়েছি। আইন সবার জন্য সমান। সরকারি দলের সাড়ে ৮ হাজার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হলো। ২৩ খুনিকে মাফ করে দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একা যুদ্ধ করা অসম্ভব। যেহেতু বিএনপি, বেগম জিয়া বা তার সন্তানের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি হলো, আর বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বেগম জিয়া ও আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সরকারকে ভাগাতে চাই। এ সরকার জনগণের জন্য নয়।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন জানান, বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি দুপুর ১২টার দিকে বিমানবন্দরে সংরক্ষিত রানওয়েতে অবতরণ করছিল। কিন্তু অবতরণের আগ মুহূর্তে বিমানটির পেছন দিকে আগুন ধরে যায় এবং পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বিমানটি নিচে পড়ে যায়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা দ্রুত দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের ভেতর থেকে পাইলটকে বের করে আনেন। পরে তাকে চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট দুপুর ১টায় বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিমানবাহিনী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
পল্লবী থানার ওসি কে এম শাহাবুদ্দীন বলেন, সোমবার রাতে বেড়িবাঁধের কাছে একটি নৌকায় বৈঠকরত অবস্থায় ছাত্রশিবিরের নয় জনকে আটক করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানায়নি পুলিশ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সে দিন পুলিশের ওপর হামলার পাশপাশি ব্যাপক ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
সেদিনের পর সারাদেশেই জামায়াত ও শিবিরের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা নাশকতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনা ঘটিয়েছিলো।
সরকারি উদ্যোগে দেশে তৈরি ল্যাপটপ 'দোয়েল'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো টেশিস'র তৈরি এ ল্যাপটপ। চার ধরনের এ ল্যাপটপের দাম ধরা হয়েছে ১০ থেকে ২৬ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে আওয়ামী লীগের বর্তমান ও বিগত সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "দিন বদলের ঘোষণার শুভযাত্রা করতে পেরেছি। এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হবে। এ জন্য সময় কম, তাই আমাদের কাজ বেশি করতে হবে।"
জেলা তথ্য বাতায়ন ও ই-তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, কম্পিউটার পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দোয়েলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ডাক ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোস প্রমুখ।
মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ছিলেন। অনুষ্ঠানে দোয়েল'র ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত টেশিসে একসময় শুধু টেলিফোন সেটই তৈরি হতো। এবার হাত দিলো ল্যাপটপে। মোবাইল ফোন সেট তৈরির পরিকল্পনাও হচ্ছে।
তুলনামূলক কম দামের নেটবুক ধরনের এ ল্যাপটপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা- টেশিস। চার ধরনের ল্যাপটপের দাম ধরা হয়েছে ১০ থেকে ২৬ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়েলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন হলেও সাধারণের নাগালে শুরুতেই আসছে না দোয়েল। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বল্পমূল্যের এ ল্যাপটপ/নেটবুক প্রথমে সরকারি সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করা হবে। পরে সাধারণ জনগণের জন্য বাজারজাত করা হবে।
টেশিসের গাজীপুর কারখানায় গত ১০ জুলাই 'দোয়েল'র পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। এই ল্যাপটপ তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শ ও সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান 'থিম ফিল্ম ট্রান্সমিশন' (টিএফটি) এবং কয়েকজন বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে টেশিস। ল্যাপটপের মাদার বোর্ডসহ শতকরা ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়েছে দেশেই।
টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইসমাইল জানান, দেড় শতাধিক কম্পোনেন্ট নিয়ে গঠিত হয়েছে দোয়েল নেটবুক।
দোয়েল প্রাইমারি নেটবুক, দোয়েল বেসিক নেটবুক, দোয়েল স্ট্যান্ডার্ড নেটবুক ও দোয়েল অ্যাডভান্স নেটবুক নামে চার ধরনের বাজারমূল্য যথাক্রমে ১০ থেকে ২৬ হাজার টাকা।
প্রাইমারি নেটবুকে ভিআইএ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অ্যানরয়েড অপারেটিং সিস্টেমের। অন্য তিনটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের।
দোয়েল বেসিক নেটবুক ও দোয়েল স্ট্যান্ডার্ড নেটবুকে প্রসেসর ইন্টেল এটম। দোয়েল অ্যাডভান্স নেটবুকে প্রসেসর ইন্টেল পেন্টিয়াম।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত টেশিসে একসময় শুধু টেলিফোন সেটই তৈরি হতো। এবার হাত দিলো ল্যাপটপে। মোবাইল ফোন সেট তৈরির পরিকল্পনাও হচ্ছে।
বহুল প্রত্যাশিত এই পদ্মা সেতু নির্মাণে টেন্ডার-প্রক্রিয়ার পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সমঝোতায় অর্থায়নকার প্রধান সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে অবশেষে হার হলো সরকারের। গতকাল তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে কানাডায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের কাছেও একটি অভিযোগ করেছে। আমরা এটা তদন্ত করে দেখছি। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করেছে। তবে পদ্মা সেতু ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত অন্যান্য প্রকল্প চলমান আছে। এর আগে অবশ্য রবিবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকেও তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য ১২০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা স্থগিত করেছে।
গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে নদীশাসন, পরামর্শক নিয়োগ এবং প্রাক-যোগ্যতা যাচাই নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করেছে। তারা আপাতত অর্থায়ন স্থগিত করেছে। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে সরকার তদন্ত করবে। এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের একটি সূত্র বলছে, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায়ও বিশ্বব্যাংক এতে আপত্তি জানিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত ও শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারলে তারা অর্থায়ন স্থগিত রাখবে। যদিও যোগাযোগমন্ত্রী বারবার তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে টেন্ডার আহ্বানের পরার্শক নিয়োগের জটিলতা নিরসনে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন সফর করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর দেশে ফিরে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন তিনি। ওয়াশিংটন সফরকালে তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ২৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায়ও এ বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন মুহিত। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে অপর দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু এর কোনো সুরাহা করতে পারেননি। বিশ্বব্যাংক বলেছে, দুর্র্নীতর অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পে তারা কোনো ধরনের অর্থায়ন করবে না। সূত্রমতে, পদ্মা সেতুর জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের আগমুহূর্তে বাছাই করা ছয়টি কোম্পানিকে বিশ্বব্যাংক কালো তালিকাভুক্ত করে। কোম্পানিগুলো হলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক হাই পয়েন্ট রেন্টাল (এইচপিআর), একই দেশের হ্যালকো, কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি লাভালিন, মনসেল এইকম এবং জাপানি একটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে এসএনসি লাভালিনের ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। পরে কানাডার কোম্পানিটির কার্যালয়ে কানাডিয়ান পুলিশও অভিযান চালায়। ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে সফরকালে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল এম গেরেরো অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর তিনি সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন। সে সময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও এসএনসি লাভালিনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন ইসাবেল। সূতমতে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। অর্থায়নের জন্য ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ৫২ শতাংশ। প্রয়োজনে আরও ৩০ কোটি ডলার দেওয়ারও অঙ্গীকার করে বিশ্বব্যাংক। চুক্তির সময় সরকারকে সেতু নির্মাণে শতভাগ স্বচ্ছতা ও বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন অনুসরণ করার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেয় সংস্থাটি। এমনকি তদারকির জন্য তৃতীয় পক্ষকে নিয়ে একটি কমিটিও করতে বলে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক ছাড়াও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, জাপান ৪০ কোটি ডলার, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা আইডিবি ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার চুক্তি করেছে। প্রকল্প ব্যয়ের বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করার কথা।
ইশতিয়াককে নিয়োগের পক্ষে মত দেওয়া কমিটির আরেক সদস্য জানান, সহ-উপাচার্যের ছেলে বলে তাকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, এই দৃষ্টিভঙ্গি অন্যায়। তিনি বলেন, ইশতিয়াক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে চাকরি করছেন। এর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। এসব অভিজ্ঞতা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহিদ আকতার হুসাইন দলীয় তোড়জোড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন জটিলতায় সিলেকশন কমিটির প্রথম সভার পর আর সভা হয়নি। এখানো কোনো প্রার্থীও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে।
'পারসোনার ঘটনা' উল্লেখ করে রিপোর্টটি পরিবেশনায় তার পাঠককে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের সব মিডিয়া, ব্লগ, ফেসবুকে যখন সমালোচনার ঝড় তখন প্রথমআলো তথা মতিউর রহমানের এ ধরণের রহস্যজনক অন্ধ সমর্থন প্রতিষ্ঠান দুটি এবং তার কর্তাদের বিশেষ সম্পর্কের গুঞ্জনের আগুনে আরো হাওয়া দিচ্ছে। দেশের প্রথম সারির মানবাধিকার নেত্রী ও আইনজীবী এলিনা খান পারসোনাসহ বিউটি পার্লারগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে যে পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়নি প্রথম আলো।
সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন ইবাদত আলী (রেলপথ বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব, ওএসডি), মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব তারিক-উল-ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আসলাম আলম, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজবাহ উল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শফিক আলম মেহেদী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাভার বিপিএটিসির ভারপ্রাপ্ত রেক্টর এজেডএম শফিকুল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রণজিত কুমার বিশ্বাস। সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জনকে তাদের আগের কর্মস্থলে পদায়ন এবং ইবাদত আলীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া যুগ্ম-সচিবরা হলেন_ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচারক আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) পরিচালক আবদুল হামিদ, জন্ম-নিবন্ধন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক একেএম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের মনিটরিং, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন ইউনিটের মহাপরিচালক স্বপন কুমার সরকার, চট্টগ্রাম চা বোর্ডের সদস্য আবুল কাশেম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আফতাব উদ্দিন তালুকদার, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আবু মো. মোস্তফা কামাল, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক সরওয়ার খান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-সচিব অমলেন্দু মুখার্জী, সড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মজিবুর রহমান, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সদস্য ময়েজুদ্দীন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সদস্য এমএ হান্নান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক আশরাফ হোসেন, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতরের পরিচালক মর্তুজা আহামেদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব বেগম শাহীন খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কেএম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন নূর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেসরকারি ইপিজেড-এর বোর্ড অব গভর্নসের নির্বাহী সেলের মহাপরিচালক শুভাশীষ বোস, পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম-সচিব এএস শামীম আহমেদ, পরিসংখ্যান বিভাগের যুগ্ম-সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. সেলিনা আফরোজা ও জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব ফজলুল হক ও প্রেস সচিব একেএম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব লুৎফর রহমান ও এএম বদরুদ্দোজা, ফিরোজ মিয়া এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি যুগ্ম-সচিব আনোয়ারুল করিম ও মাহফুজুল হক।
পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের কয়েকজন বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের এবং বেশিরভাগই ১৯৮৩ বিশেষ ব্যাচের। তবে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরেরও কয়েক জন পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্তরা গতকালই সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ১৯৮২ ব্যাচের বহু কর্মকর্তা এবারেও পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন।
Writer Humayun Ahmed has been keeping 'well' after his second chemo session, which ended on Saturday last and is looking forward to watching Bangladesh's matches against the West Indies.
He also continues to write every day.
"He has not lost his appetite so far," said Mazharul Islam, Anyaprokash chief executive who has been with the writer since he arrived in New York for treating his colon cancer.
Referring to Humayun's loss of appetite after the first chemo cycle, the publisher told bdnews24.com that the writer was doing rather well.
Although not able to churn the same volume as before, Mazhar said Humayun did manage to put out a page or two every day.
"And he is eagerly waiting to watch Bangladesh play the West Indies."
Anyaprokash CEO Mazharul flew to New York on Sep 13 along with Humayun after he had been diagnosed with colon cancer during regular check-up in Singapore's Mount Elizabeth Hospital.
Mazhar lives in the same three-bedroom apartment in Jamaica, New York along with Humayun and his family.
The writer has been undergoing treatment at Memorial Sloan-Kettering Cancer Center.
Mazhar said the third round of chemo would begin on Oct 21. But the writer would undergo some tests after the second chemo has set in.
"That is likely to happen just before the third cycle."
The doctors will conduct a round of thorough tests to revaluate Humayun's condition after four such 48-hour cycles. "That will essentially determine the next course of action," Mazharul had told on Sep 24.
Depending on the response, the doctors may choose to continue with the chemotherapy or go for surgery. "However, nothing can be said as yet. They will check to see if his colon tumour has shrunk and whether the liver spots are going away."
Mushfiqur Rahim had to break a long-held superstition after being appointed Bangladesh's captain. For the past six years, he has made it a point not to speak to anyone in the media on the eve of an international match.
Though he stuck to it on every occasion, that all changed on Monday when he spoke of his ambitions as a captain, and the realistic goals he has set ahead of the series against West Indies; he even admitted to prepping himself mentally before he betrayed his routine, reports ESPNcricinfo.
Bangladesh take on West Indies in the solitary Twenty20 on Tuesday, marking Mushfiqur's debut as captain. He hardly resembles one; the towering Darren Sammy even jokingly crouched as they posed with the trophies.
But Mushfiqur wasn't asking the West Indians to bend down as yet, the 23-year-old instead wishing for a good start and a lockdown by the spinners.
"The start is very important," said Mushfiqur. "Like it was against New Zealand who were well prepared last year, it is going to be the same with West Indies. We need to believe that we can win against them and that will come when we make a good start.
"In international cricket, whether you're a captain or not, there's a lot of pressure. We'll get home support and help from the wicket, so I think sometimes it's better to look at the positives," he added.
He wants to mark his ascent as the leader of the pack with change in Bangladesh's fortunes.
"We couldn't find the results as expected during the last tour. I want the team to perform as a unit. The difference that I want to create is by finding positive results," said Mushfiqur.
Coach Stuart Law, in his first home series in charge, believed that the new skipper is the sort of character everyone wants in a team.
"Mushy is very much his own man," said Law.
"He's very driven and knows what he needs to do to get the best out of himself.
"He's one of those players you love having in your team. He works very hard and hopefully that ethic comes into the team now. He's a great example to the younger players.
"I believe we can win the series. West Indies are a good outfit. We have to play well to beat them. They're ranked higher than us, I believe we go into this as the underdog.
"As long as we play smart cricket, we are a force at home," he said, adding that he wanted some international teams taking part in the BCB Cup though he regarded the preparatory one-day tournament as satisfactorily 'competitive'.
Two scientists at Atomic Energy Centre Dhaka have been served show-cause notice for talking to media about the 21-day power cut at the Centre.
The chairman of the Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC), under which the Centre runs, has asked them to explain within seven working days 'why action should not be taken against them' for talking to a television channel on Oct 3.
The seven-day countdown started on Sunday.
The Centre in the Dhaka University area went without power on Sep 13 due to a cable burn.
The no-electricity situation worried the scientists as the Centre provides analytical services like measuring radioactivity in exported and imported food items, and licences to the hospitals and clinics for radiation-emitting installations like x-ray machines.
"Lack of refrigeration can affect functioning of testing mechanism standards, which would then give errors in analytical services," they said, adding, "A wrong measurement could lead to cancellation of an export order, and thus earn bad name to Bangladesh".
But director of the Centre Muhammad Ali told bdews24.com on Oct 2, two days before the power was restored after 21 days that 'it rather saved government's electricity'. "I have personally instructed scientists to preserve their chemicals wherever they can."
Aggrieved by the director's comment, scientists opened their mouth and spoke to some television channels on Oct 3 about the possible damage to the Centre due to the power cut.
At least seven scientists and staff talked to various television channels about the situation, but the Commission's chairman surprisingly chose to served notice to only two of them – Dr Md Manjur Ahsan and Dr AKM Fazle Kibria – in line with the Commission's service rule 53.
Chairman ASM Firoz said he found the two talking to a Bangla Vision news channel on Oct 3 at 7.30pm.
"If there were others, we would ask them also to show cause," he said, adding, "It's tantamount to misconduct, which is a punishable crime."
When asked what they spoke about, he said, they talked without prior permission from the Commission.
The Commission's general conduct rule 53 titled 'fidelity and secrecy' states: "Every employee shall maintain strict secrecy regarding the Commission's affairs and the affairs of its establishments and shall not communicate directly or indirectly to any person information which has come into his possession in the course of his duties whether from official sources or otherwise, unless required to do so by law or directed by a superior officer in the discharge of his duties."
A former chairman of the Commission told that this rule was applicable to 'classified' issues only, leaking of which could pose threat to country's security.
"Explaining simple power cut situation to media would not fall within the purview of the rule," he said requesting anonymity.
When asked about the explanation of a former chairman, Firoz said, "Ok, then they will say it in the reply."
"They can write whatever they feel like in their response."
Persona beauty parlour says it has removed closed-circuit cameras from the service rooms of all its branches following a High Court order.
"Cameras at all the branches have been removed around 5pm [on Monday] after the court order," Persona's senior executive Nigar Sultana told Monday night.
Asked if the cameras have indeed been removed as Nigar claimed, the beauty parlour's chief, Kaniz Almas Khan, in a text message to said, 'Yes.'
A bench of justices Farid Ahmed and Sheikh Hassan Arif ordered the government on Monday to take out all such cameras following a writ petition filed earlier in the day by Bangladesh Human Rights Foundation chief executive Elina Khan.
The writ was filed after a doctor, who went to the parlour's Banani branch on Sept 30 for a spa, found a closed-circuit camera in her dressing room after she used it.
The woman made a verbal complaint with police and the media for filming her.
Earlier on Oct 1, Kaniz had told bdnews24.com that the cameras were there for security reasons and she did not think they were violating anyone's privacy.
Raging debates ensued on social networking sites such as Facebook over camera use in beauty parlours on security excuse.
A committee, headed by Gulshan zone additional deputy commissioner of police Nizamul Haque Mollah, is investigating the incident.
Persona has eight branches in Dhaka -- six for women and two for men -- and one in Chittagong.
In Monday's rule, the High Court also asked the government to explain why it would not be directed to formulate a policy for CC camera installation in beauty parlours.
Earlier, five lawyers of Dhaka judges' court served a legal notice on Kaniz over the incident.
The prime minister was briefed about the raid after it led to arrest of three Dhaka police detectives, a senior NSI official has said.
Md Shafiq Ullah, an NSI director, had told bdnews24.com's chief crime correspondent Liton Haider and several other journalists at the NSI headquarters on Monday that the NSI director-general had informed the prime minister about the arrest of the three policemen.
"The prime minister had asked for measures (against the DMP inspectors)," he added.
bdnews24.com reported quoting director Shafiq that prime minister Sheikh Hasina was informed before the operationwas carried out and that she had authorised the raid.
Later, he called up to explain that not before, but after the raid was the prime minister filled in by the NSI director-general.
Bangladesh's top intelligence outfit issued a strong rebuttal of the Dhaka Metropolitan Police Detective Branch (DB) inspectors who claimed they had been subjected to physical torture in custody.
The NSI director said "a certain group" was out to destroy the image of "both the police and the NSI".
"We'll ask the Prime Minister's Office for departmental action against the three inspectors arrested while taking bribe, their team leader assistant commissioner and those who are dishing out false information to the media," Md Shafiq Ullah said.
NSI EXPLAINS EVENTS
Dhaka Metropolitan Police's DB inspectors Shafiuddin Sheikh, Ruhul Amin and Gias Uddin were temporarily suspended on Oct 6 following their arrest by NSI officials in front of the Holy Family Hospital at Maghbazar.
NSI officials on Sunday claimed that they had set up a trap there to catch 'fake DB officials' following information from a businessman.
On Monday, Shafiq Ullah told reporters that the businessman, 'Jewel', a pharmacy owner, had been picked up from a gambling joint in Badda by the three officers.
"According to Jewel, the officers took all the money in that joint and forced Jewel to call his wife for more money. They met in Karwan Bazar and took a chequebook from Jewel's wife," he said.
He added that the trio was found in possession of a cheque of Tk 300,000 signed by Jewel, and two more cheques from that book.
Meanwhile, DB has launched a probe into the allegation that NSI officials had taken the three officers in custody and tortured them even after they had identified themselves as police officers on the spot.
The suspended detectives are currently admitted at Rajarbagh Police Lines Hospital with injuries.
Shafiq Ullah said the allegations of torture were untrue. "NSI has the authority to make arrests. So it did nothing illegal," he said.
"And the detectives arrived within 10/15 minutes of bringing them here," he added, "So there was no room for any torture to take place."
"I myself called the IGP and the DMP chief immediately after the arrest," Shafiq Ullah said. "And NSI additional director Aminul Haq called DB deputy commissioner Monirul Islam."
When asked how inspector Shafiudin had received an injury to the eye, Shafiq Ullah said it may have happened seizing his weapon.
Awami League has advised that one of two Narayanganj mayoral candidates, Shamim Osman and Selina Hayat Ivy, to withdraw.
"Having two party candidates will split the votes," joint general secretary Mahbub-ul-Alam Hanif said on Monday evening. "Winning the election will be difficult. So we've advised one of them to withdraw candidacy."
Both the Awami League members went to Ganabhaban, the prime minister's official residence, in the evening.
They had gone to seek blessings from the party president Sheikh Hasina, Hanif said.
They held separate meetings with the prime minister.
However, despite the party's insistence, both candidates were adamant that they will win the vital Narayanganj City Corporation (NCC) mayor polls, a source within the party said.
The two have held several meetings with top leaders amid warnings from the Election Commission about party interference in the city elections which are stipulated to be 'non-partisan'.
"According to the electoral code of conduct, we cannot back any candidate. Wait until Oct 12," the joint general-secretary said.
Oct 12 is the deadline to withdraw nomination papers from the polls.
The polls will be held on Oct 30. All eight nomination papers submitted for the mayorship were approved by the EC.
The deputy commissioner (DC) of Narayanganj district will remain out of duty during the Narayanganj City Corporation NCC) polls.
DC Mohammad Shamsur Rahman confirmed it at a meeting of the district law and order committee on Monday.
"I'm going abroad on one-month leave for training. The city corporation elections are being held under the overall supervision and control of the Election Commission and the district administration is working as per its directives," he said.
Participants in the meeting demanded that the elections be held in a free, fair and neutral manner and without any influence.
District Awami League's convening committee member Mohammad Shahidullah demanded that army personnel be deployed for security during the elections and the 'identified' criminals of every ward be arrested.
Narayanganj-2 (Araihazar) constituency MP Nazrul Islam Babu and Narayanganj-3 (Sonargaon-Siddhirganj) constituency MP Abdullah Al Kaiser were also present at the meeting.
Opposition BNP chief Khaleda Zia has reminded the government of a 'final' anti-government movement, to be announced after the road marches.
"We will announce the final movement programme soon. You must all prepare for that programme. We will remove this government and put a patriotic one in place," she said, addressing the last way-side rally of the Sylhet-bound four-party road march at Sherpur of Moulvibazar on Monday night.
Khaleda said she has a strong belief that the four-party alliance will form government if the election is held under a caretaker government.
BNP chief said, "Still there is time, do not make the people suffer anymore. Hand over power to a caretaker government for election. We do not want movement – we want a peaceful handover of power."
The march entered Sylhet around 10.20pm Monday, BNP chairperson's press secretary Maruf Kamal Khan told bdnews24.com.
The convoy set off for the road march from the party's Naya Paltan headquarters at 10.50am. Thousands of supporters stood on the both sides of the highway and greeted the opposition leader by clapping their hands together.
Khaleda briefly addressed rallies at Naryanganj's Tarab Bus Stand intersection, and Narsinghdi's Itakhola, Madhabdi and Polash, Brahmanbaria's Kottapara and Moulvibazar's Sherpur.
More than a thousand vehicles that comprised the march clogged up traffic on Dhaka-Sylhet highway for hours.
The opposition chief retired to Sylhet Circuit House for the night. She will visit the shrine of saint Shahjalal on Tuesday morning and end the road march with her address to a public meeting at the Sylhet Alia Madrasa ground in the afternoon.