লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান করা হলে শেখ মুজিবুর রহমান খুন হতেন না। তিনি বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই হাসিনা সরকারের আয়ু শেষ। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ঠিকানাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। গত শুক্রবার এটি ছাপা হয়। খবর এনার। তিনি বলেন, জেনারেল সফিউল্লাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান। তবে সফিউল্লাহকে না বানিয়ে যদি জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হতো, তাহলে আর্মি হয়তো সুসংগঠিত ও পেশাদার একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠতে পারত। যা পারেননি সফিউল্লাহ। শৃক্সখলার ব্যাপারে কোনো কম্প্রমাইজ ছিল না জিয়ার কাছে। কোরআনে মানা না থাকলে হয়তো আমি এটাই বলতাম, জিয়াউর রহমান প্রথম আর্মি চিফ হলে, শেখ মুজিব হয়তো খুন হতেন না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদ্রোহের প্ল্যান করেছি লে. কর্নেল মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আমি এবং মেজর জিয়াউর রহমান মিলে। '৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ের পর মনে হয়েছে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা ছাড়বে না। বিদ্রোহের প্ল্যান '৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুকে জানিয়ে ছিলাম। কারণ যদি শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে পাকিস্তানি জেনারেলরা হুমকির মুখে পড়বেন। আরেকটি হলো '৬৫-র পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যকে আসতে দেখিনি। নির্বাচনের পর দেখা গেল নতুন লোক আসছে। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে খেলবে, এটা বুঝতে পারি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, নো, আই ডোন্ট নিড অ্যানি হেল্প। এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানকে ক্ষমতা দিতে চাই না। উনি ঠিকই ২৪ মার্চ পর্যন্ত সমঝোতার টেবিলে বসলেন। নিশ্চিত ছিলাম, পাকিস্তানিদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই ক্র্যাকডাউন করবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর জন্য ডাইরেক্টলি জড়িত এরশাদ এবং বহির্বিশ্ব। সম্প্রতি বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, উনার আহ্বানে গিয়েছি। আইন সবার জন্য সমান। সরকারি দলের সাড়ে ৮ হাজার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হলো। ২৩ খুনিকে মাফ করে দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একা যুদ্ধ করা অসম্ভব। যেহেতু বিএনপি, বেগম জিয়া বা তার সন্তানের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি হলো, আর বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বেগম জিয়া ও আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সরকারকে ভাগাতে চাই। এ সরকার জনগণের জন্য নয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদ্রোহের প্ল্যান করেছি লে. কর্নেল মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আমি এবং মেজর জিয়াউর রহমান মিলে। '৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ের পর মনে হয়েছে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা ছাড়বে না। বিদ্রোহের প্ল্যান '৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুকে জানিয়ে ছিলাম। কারণ যদি শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে পাকিস্তানি জেনারেলরা হুমকির মুখে পড়বেন। আরেকটি হলো '৬৫-র পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যকে আসতে দেখিনি। নির্বাচনের পর দেখা গেল নতুন লোক আসছে। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে খেলবে, এটা বুঝতে পারি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, নো, আই ডোন্ট নিড অ্যানি হেল্প। এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানকে ক্ষমতা দিতে চাই না। উনি ঠিকই ২৪ মার্চ পর্যন্ত সমঝোতার টেবিলে বসলেন। নিশ্চিত ছিলাম, পাকিস্তানিদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই ক্র্যাকডাউন করবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর জন্য ডাইরেক্টলি জড়িত এরশাদ এবং বহির্বিশ্ব। সম্প্রতি বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, উনার আহ্বানে গিয়েছি। আইন সবার জন্য সমান। সরকারি দলের সাড়ে ৮ হাজার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হলো। ২৩ খুনিকে মাফ করে দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একা যুদ্ধ করা অসম্ভব। যেহেতু বিএনপি, বেগম জিয়া বা তার সন্তানের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি হলো, আর বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বেগম জিয়া ও আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সরকারকে ভাগাতে চাই। এ সরকার জনগণের জন্য নয়।
0 comments:
Post a Comment