SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

গ্রামীণফোন-বিটিআরসি বৈঠক আজ

Posted by methun

গ্রামীণফোন বিষয়ে আজই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা নিয়ে কথা বলতে এক চিঠিতে বিটিআরসি আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানায়। বিটিআরসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, আজ বৈঠক শেষে গ্রামীণফোনের কাছে তাদের পাওনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানাবেন।

জ্বালানি খাতে বিশাল ভর্তুকি সত্ত্বেও বাড়ছে দাম

Posted by methun

বছর বছর বাড়ছে জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি। গত অর্থবছর বিপিসির ভর্তুকি ছিল আট হাজার কোটি টাকার ওপরে। চলতি অর্থবছর আমদানি চাহিদার বিপরীতে এ খাতে ভর্তুকি চাওয়া হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিগত অর্থবছরের তিনগুণেরও বেশি। জ্বালানি খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় ডিজেল, ফার্নেস অয়েল ও গ্যাসে। সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেল, ফার্নেস অয়েল ও গ্যাস ব্যবহৃত হয়। ভর্তুকি-মূল্যে সরকারকে এসব পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করতে হচ্ছে বলে এ খাতে দ্রুত হারে বাড়ছে ভর্তুকি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি বলেন, অতীতে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়ার পর শুল্ক প্রত্যাহার করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এবারও কর তুলে দিয়ে তা করা যেত। ভর্তুকিও হ্রাস পেত। দেশে মূল্যবৃদ্ধির পর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়ে গেছে। এ ছাড়া জ্বালানি আমদানিতে কী পরিমাণ শুল্ক ও কর আদায় করা হচ্ছে সরকার তা জানে। তা কমিয়ে দিলে দাম বাড়ানোর দরকার হয়তো পড়ত না। ভর্তুকির পরিমাণও কমত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকারকে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানি করতে হবে। এতে সরকারের গড় আমদানি ব্যয় দাঁড়াবে ৪ হাজার ৬৯৫ হাজার কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর এর বিপরীতে সরকারের শুল্ক আদায় হবে ৪ হাজার ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিপিসি ২০০৭ সালে সরকারকে শুল্ক দিয়েছে ৩ হাজার ১৮ কোটি টাকা।

বিপিসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত পাওয়ার প্লান্টের জন্য ২০ লাখ টন ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে হয়েছে এবং ছয় মাসে এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতে ভর্তুকি দাঁড়াবে ১১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। বিপরীতে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। আর ডিজেল আমদানি হয়েছে ৮ লাখ টন। বিপরীতে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা।

বিপিসির সূত্র মতে, প্রতিবছরই জ্বালানি ব্যয় বাড়ছে। বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরে ক্রুড, রিফাইন্ড ও লুব অয়েল খাতে খরচের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছর এ খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৩৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়। সরকারি হিসাবে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পয়েছে ৪১.৪ শতাংশ।

বিপিসি চেয়ারম্যান মুক্তাদির আলী জানান, চলতি অর্থবছর জ্বালানি খাতে সরকারকে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ভর্তুকির মধ্যে পেট্রোলিয়াম খাতে ১৬ হাজার কোটি টাকা, পিডিবির জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা ও গ্যাস খাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

ড. আকবর আলি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় জ্বালানির দাম বাড়ানো হলো, বাজেটে এর কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। জ্বালানি-মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয়। বাজেটের বিষয়। কত টাকা, কেন, কোন খাতে ভর্তুকি দেওয়া হবে বাজেটে তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা উচিত। কিন্তু তা ছিল না। বাজেটকে পাশ কাটিয়ে হঠাৎ করে যেভাবে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এভাবে আমলাতন্ত্র তা করতে পারে না। কারণ জ্বালানির জন্য নতুন করে সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন সম্ভব নয়। এর দায় নেবে কে?

চলতি বছরের সাড়ে আট মাসে ফার্নেস অয়েলের দাম বেড়েছে চার দফা। এতে ২৬ টাকার ফার্নেস অয়েল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মূল্যবৃদ্ধির হার শতভাগ। অর্থাৎ ভর্তুকির হারও বাড়ল শতভাগ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফার্নেস অয়েল ব্যবহৃত হয়। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফার্নেস অয়েলের অবদান পাঁচ শতাংশ। চলতি অর্থবছর ফার্নেস অয়েল বা রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করেছে ৪.৭১ শতাংশ। ভর্তুকি ৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। ডিজেলচালিত রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৬.৮২ শতাংশ, যা মোট উৎপাদনের সাত শতাংশ। ভর্তুকি ৫ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। হাইড্রো ইলেকট্রিসিটিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৩.৫৬ শতাংশ, যা মোট উৎপাদনের চার শতাংশ। কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২.৫৯ শতাংশ, যা মোট উৎপাদনের তিন শতাংশ। আর গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৮২.৮৩ শতাংশ, যা মোট উৎপাদনের ৮১ শতাংশ। এ খাতে ভর্তুকি ২ হাজার ৬০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, উৎপাদিত গ্যাসের ৪২ শতাংশ খরচ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে আর পাঁচ শতাংশ ব্যয় হয় পরিবহন খাতে। পরিবহন খাতে গ্যাসের দাম ফিলিং স্টেশন পর্যায়ে ২৩ টাকা আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ করা হয় সর্বোচ্চ আড়াই টাকা দামে। ফলে এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি গুনতে হয়।

এ দিকে চার মাসের ব্যবধানে ১৬ টাকা ঘনমিটার সিএনজি জনসাধারণকে কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। চার মাস আগে মে মাসে ১৮ টাকার সিএনজি দাম বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল। বৃদ্ধির হার ছিল ৫০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত অর্থবছর বিপিসি ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা নিট লস দেয়। ফলে বিপিসির ক্রেডিট লিমিট আট হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে যায়। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা হারায় বিপিসি। ওই সময় দ্রুত চার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিপিসিকে উদ্ধার করে সরকার।

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আসলে জ্বালানি ভর্তুকি বৃদ্ধির কারণ রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা। আমাদের এখানে উৎপাদন ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে বিল করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিল হয় অনুমাননির্ভর। আর অনুমাননির্ভর হওয়ায় লুটপাটও চলছে সহজেই।

শিরশ্ছেদ হবে আরও তিন বাংলাদেশির!

Posted by methun

সৌদি আরবে আরও তিন অভিবাসী রীতিমতো মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। জেলখানায় বন্দী ওই তিন বাংলাদেশি শ্রমিক জানেন না আগামী কোন এক শুক্রবার তাদের শিরশ্ছেদ করা হবে। তবে তাদের শিরশ্ছেদ ঠেকানো বা দণ্ড মওকুফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতবাস। কিন্তু কতটা সফল হবে তা বলতে পারছেন না কেউই। সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে শিরশ্ছেদের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয় সরকার। সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে টেলিফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে সৌদি আরবের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিবৃতি বা নিন্দা এখনো জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি নিয়ম অনুসারে এসব কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে কিছুই বলার নেই। তবে এ মতের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি গতকাল বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত জনগণের উদ্দেশে বিবৃতি দেওয়া। তাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগগুলোর বর্ণনা থাকবে। আর সৌদি আরবকে এ বিষয়ে নিন্দাও জানাতে হবে বাংলাদেশকে। এটা অমানবিক ও বর্বর আচরণ।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক টানাপড়েনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গত জুন মাসে ইন্দোনেশীয় এক নারী কর্মীর শিরশ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পর জাকার্তায় সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাবমাং ইয়োদোনো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে তার দেশ থেকে সৌদিতে আপাতত আর কোনো কর্মী না পাঠানোর ঘোষণা দেন। শিরশ্ছেদের শিকার হওয়া ইন্দোনেশীয় নারী কর্মী রুয়াতি বিনতে সাতুবি সৌদি আরবের আদালতে তাকে নিয়োগকারী গৃহকর্তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হলেও সে দেশে তার অভিযোগ জানানোর ও প্রতিকার পাওয়ার উপায় ছিল না। শেষে বাধ্য হয়েই গৃহকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে তার ওপর দৈনন্দিন নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছিলেন। কিন্তু আদালত এই পটভূমিকে গুরুত্ব না দিয়ে হত্যার বিষয়টিকেই কেবল প্রাধান্য দিয়েছেন।

সূত্র বলেছে, বাংলাদেশের মতো ইন্দোনেশিয়ার সরকারও রুয়াতি বিনতে সাতুবির প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। কিন্তু সৌদি সরকার সে আবেদনে কর্ণপাত না করে সাতুবির শিরশ্ছেদ করে।

এখন যারা শিরশ্ছেদের অপেক্ষায় আছেন তাদের কি রক্ষা করা সম্ভব হবে জানতে চাইলে শ্রম কাউন্সিলর হারুন-উর-রশিদ বলেন, আশা করা যায় বাঁচানো সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি ভাগ্যের ওপরও খানিকটা নির্ভরশীল। তবে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্ত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার অতীত উদাহরণ আছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে 'ব্লাডমানি'র বিনিময়ে ছয় বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সৌদিতে শিরশ্ছেদ স্বজনদের ঘরে ঘরে আহাজারি

Posted by methun

'আমার মতির লাশ আইন্যা দ্যাও, নাইলে আমাকে মাইর‌্যা ফেলাও। মতিরে ছাড়া আমি বাঁচুম না। তোমরা মতিরে আমার কাছে আইন্যা দ্যাও।' এমন বিলাপ এখন আর শুধু মতিয়ারের মা সুফিয়া বেগমের একার নয়, একই দৃশ্য সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ হওয়া আট বাংলাদেশির প্রত্যেকের বাড়িতে। ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি গুদামে ডাকাতি এবং সেখানকার নিরাপত্তাকর্মী এক মিসরীয়কে হত্যার অভিযোগে শুক্রবার ওই আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করে সেখানকার সরকার। এই আটজনের মধ্যে সুমন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মাসুদ ও মামুনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। বাকি চারজনের মধ্যে মতিয়ার রহমান ও আবুলের বাড়ি ফরিদপুরে, সুমন-২-এর কিশোরগঞ্জ ও ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

টাঙ্গাইল : 'টাকার লোভে আমি ক্যান আমার বাবারে সৌদি পাঠাইলাম। তোমরা আমার শফিকরে আইনা দাও।' এভাবেই বিলাপ করছিলেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন শিরশ্ছেদের শিকার হতভাগ্য যুবক শফিকুল ইসলামের (২৫) মা রওশন আরা বেগম (৫০)। শফিক সখীপুর উপজেলার ভাতকুড়াচালা গ্রামের খুয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তার শিরশ্ছেদের খবর পেঁৗছলে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। মা-বাবা, ভাইবোনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। আশপাশের গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে শফিক ছিলেন চতুর্থ। পাঁচ বছর আগে জমিজমা বিক্রি ও ধারকর্জ করে তাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। এক বছর আগে সর্বশেষ শফিক দেশে এসেছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামে শিরশ্ছেদ হওয়া সুমন মিয়ার (২৫) বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। মা জিলিমন বেগম পুত্রশোকে বিলাপ করছিলেন। জিলিমন বেগম কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ছেলের এমন মৃত্যু। আশপাশের পরিবেশ এতটাই ভারি ছিল যে, সেভাবে কাউকেই কথা বলার জন্য পাওয়া যাচ্ছিল না। সুমন মিয়ার মামা আবু বকর জানালেন, মিসরীয়কে হত্যার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামির মধ্যে সুমনও গ্রেফতার হয়ে জেদ্দা জেলহাজতে ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি বাড়ির সবার সঙ্গে শেষবারের মতো মোবাইলে কথা বলেন। বুধবার সুমন মামা আবু বকরকে জানান, শীঘ্রই তার শিরচ্ছেদ করা হবে। তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন। কিন্তু বাড়ির সদস্যরা মোটেই অনুমান করতে পারেননি যে এত তাড়াতাড়ি শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটবে।

শোকের মাতম চলছে কালিহাতী উপজেলার কস্তুরিপাড়া গ্রামের মাসুদের (২৬) বাড়িতেও। আট বছর আগে শামছুল হকের ছেলে মাসুদকে জমিজমা বিক্রি করে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। পাঁচ বছর আগের হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে এতদিন তাকে জেলে দিন কাটাতে হয়। সাত দিন আগে মাসুদ বাবাকে টেলিফোনে বলেন, 'আমি ভালো আছি, আমার জন্য দোয়া করো।' মাসুদের শিরশ্ছেদের খবর পেঁৗছার পর থেকে মা রোকেয়া বেগম (৫০) অচেতন। বাবা ও ভাইবোনেরা সবাই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

'আমার বাবারে নেওয়ার আগে ক্যান আমারে নিলা না। আমারে শ্যাষ কইরা দ্যাও।' এভাবেই প্রলাপ বকছিলেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন হতভাগা মামুনের মা মাজেদা বেগম (৫৫)। আর বড় ভাই হারুন ছোট ভাইয়ের শিরশ্ছেদের খবরে অচেতন। জমিজমা বিক্রি করে ছেলে মামুনকে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলেন সদর উপজেলার আবদুল্লাপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান। ২০০৭ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন মামুন। ফিরে যাওয়ার কিছুদিন পরই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য আবদুল মান্নান বিভিন্নভাবে সৌদি আরবে ২৫ লাখ টাকা পাঠান। কিন্তু তিনি কি সত্যি জানতেন যে ছেলের লাশটা পর্যন্ত দেখার ভাগ্য তাদের হবে না!

ফরিদপুর : সম্ভবত সবচেয়ে দুর্ভাগা শিরশ্ছেদ হওয়া সদরপুর উপজেলার মটুকচর গ্রামের আবুল। কারণ তিনি সৌদিতে গিয়ে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে জেলে আছেন, এ খবর পাওয়ার পর বড় ভাই সম্পর্কচ্ছেদ করে তার সঙ্গে। আর স্ত্রী? একই গ্রামের যে তসলিমাকে ভালোবেসে ঘরে এনেছিলেন, সেই ভালোবাসার মানুষটা তাকে ছেড়ে যায় একই খবরে। কিন্তু মা কি আর সন্তানকে ছাড়তে পারেন? তাই তো পাঁচটি বছর আদরের ধন আবুলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখে ছানি পড়ে গিয়েছিল কমলা বেগমের অনেক আগেই। আর কাল দেখা গেল মায়ের বুক চাপড়ানো আর্তনাদ। 'আমার মতির লাশ আইন্যা দ্যাও, নাইলে আমারে মাইর‌্যা ফেলাও। মতিরে ছাড়া আমি বাঁচুম না। তোমরা মতিরে আমার কাছে আইন্যা দ্যাও।' এভাবেই বিলাপ করতে করতে কিছুক্ষণ পর পর মূর্ছা যাচ্ছিলেন হতভাগ্য মতিয়ার রহমানের বয়োবৃদ্ধ মা সুফিয়া বেগম। মতিয়ার রহমানের বাড়ি সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে। মৃত শাহিদ খানের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান ছিলেন মতিয়ার। ২০০৬ সালে ধারদেনা করে মতিয়ারকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সৌদি আরব যাওয়ার পরপরই মতিয়ার জড়িয়ে পড়েন হত্যা ঘটনায়। ছোট ভাই দীন ইসলাম জানান, মতিয়ারের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সর্বশেষ কথা হয়েছে বুধবার। তিনি বলেছিলেন, ভালো আছেন। শীঘ্রই জেল থেকে তিনি মুক্তি পাবেন বলে জানান। দীন ইসলাম বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকার চেষ্টা না করাতে ভাইকে হারালাম।

কুমিল্লা : 'মা, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে বিনাদোষে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মা, আমার জন্য দোয়া কর। আমি শীঘ্রই জামিনে দেশে ফিরে আসব।' শিরশ্ছেদ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মা সাজেদা বেগমকে ফোনে এমন কথাই জানিয়েছিলেন দাউদকান্দির ফারুক হোসেন। ছেলের আবেগমাখা সেই কণ্ঠস্বর কোনোভাবেই মন থেকে মুছতে পারছেন না সাজেদা বেগম। উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পিপিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন জানান, ২০০৪ সালে ১৫ শতাংশ জায়গা বিক্রি করে এবং সুদে টাকা নিয়ে সৌদি আরব পাঠান ছেলেকে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অবশিষ্ট জমিজিরাত বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পাঠান মামলা চালানোর জন্য। সবকিছুর বিনিময়ে তিনি ছেলেকে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের সঙ্গে।

কিশোরগঞ্জ : 'বড় আশা কইরা আমার ফুতেরে বিদেশে পাঠাইছিলাম। অহন লাশটাও দেখতারতাম না। শেষবারের মতো তুমরা কেউ আমার ফুতের লাশটা আইন্যা দ্যাও।' শিরচ্ছেদের খবর শুনে এভাবেই আহাজারি করছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের সুমনের মা আছিয়া খাতুন (৫৫)। শুক্রবার মা-বাবার সঙ্গে শেষবারের মতো মুঠোফোনে কথা হয় সুমনের। ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, আজই তার জীবনের শেষ দিন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমন মা-বাবার কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বাবা আবদুল হাইয়ের (৭৫) আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে পাকুন্দিয়ার বাতাস।

প্রার্থী নিয়ে যা হচ্ছে তা আইনের পরিপন্থী : ইসি

Posted by methun

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে ক্ষমতাসীন দল যা করছে তা আইনের পরিপন্থী বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল এনসিসি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বিষয়ে কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনাররা এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রার্থী সমর্থন করা নিয়ে দলগুলো যা করছে তা আইন পরিপন্থী। কোন একজন প্রার্থীকে একটি দল সমর্থন দিতেই পারে। তবে তা কোনভাবেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার মতো দৃশ্যমান করে নয়। প্রার্থী সমর্থন করা নিয়ে যেভাবে একটি দল সংবাদ সম্মেলন করছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে চললে কোনো এক প্রার্থী বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে বসলে দলটি বিপদে পড়বে। তারা বলেন, এক প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে অন্য প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্টরা বিপদে পড়বেন। এক্ষেত্রে কমিশন অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেবে।

মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, কমিশন নারায়ণগঞ্জে ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করবে। অথচ একটি দল প্রচার চালাচ্ছে আমরা নাকি ই-ভোটিং চালু করছি। না জেনে না বুঝে কারও এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়।

অন্যদিকে কমিশনার সাখাওয়াত বলেন, একজন জাতীয় নেতা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করবে না। একজন বলছেন, এ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি মেনে নিলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তা মানতে হবে। এসব বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা কি বোঝেন_ এসব বলে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছেন? কোন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, কোনটিতে হবে না_ এসবই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা : সাহারা

Posted by methun

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, 'সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' রোডমার্চের নামে গাড়ি ভাঙচুর বা অরাজকতা না করার জন্যও তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল সারদা পুলিশ একাডেমীর শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বিষয়ে এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির রোডমার্চ যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।' বিএনপি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।'

অবশ্য রোডমার্চ কর্মসূচিকে 'গাড়িমার্চ' কর্মসূচি বলে অভিহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এটাকে রোডমার্চ বলে কিনা আমরা জানি না। কারণ তারা হেঁটে নয়, গাড়ি নিয়ে যাবে।' অতীতে আওয়ামী লীগ হেঁটে রোডমার্চ করেছে বলে এ সময় দাবি করেন সাহারা খাতুন।

SUSPENDED DETECTIVES Tension rises between NSI and DB

Posted by methun

The country's two intelligence agencies, National Security Intelligence (NSI) and Detective Branch (DB) of police, are at loggerheads over the suspension of three DB inspector over allegations of bribery.

Dhaka Metropolitan Police's DB inspectors Shafiuddin Sheikh, Ruhul Amin and Gias Uddin were temporarily suspended on Thursday following their arrest by NSI officials in front of the Holy Family Hospital at Maghbazar.

NSI officials claimed that they set up a trap in front of the hospital to catch 'fake DB officials' following information from a businessman. The detectives were arrested as they entered the scene.

Meanwhile, DB police have alleged that NSI officials had taken the three officers in custody and tortured them even after they had identified themselves as police officers on the spot.

The suspended detectives are currently admitted at Rajarbagh Police Lines Hospital with injuries.

DB joint commissioner Mir Shahidul Islam, leading a committee investigating the matter, told bdnews24.com: "The committee will send a letter to NSI to present the businessman 'Jewel', who provided the information to NSI, before the committee."

He said, "I have already discussed the matter with an NSI official and we've also visited the spot."

Quoting his NSI co-worker, Islam said, "NSI conducted the raid that day as they had information that some people were committing acts of fraud by claiming themselves as DB officials."

"The investigation is now at the initial stage. The decision will be taken after scrutinising the allegations and statements of the detectives and NSI officials."

An NSI official, seeking anonymity, told bdnews24.com: "Those detectives didn't identify themselves on the spot. Though, they were arrested on Thursday, they had been contacting Jewel from two days ago. They were demanding extortion from him."

He claimed that the three directly fell in their trap which they had set up following the complaint Jewel filed with them on Wednesday.

"They identified themselves as DB officials after they were taken at the NSI headquarters. We handed them over to the DB authorities after contacting them."

He also said that DB's assistant commissioner Sanwar Hossain also linked with the three.

The intelligence officer refuted the allegation of torture. "These police officers have records of illegal activities."

At a press briefing on Sunday, DMP commissioner Benazir Ahmed said, "Investigations are underway against the police officers including Sanwar. Measures will be taken following probe report."

AC Sanwar dismissed the allegation against him and said, "I've talked to the detectives. They said they were beaten severely with sticks."

"Inspector Shafiuddin has received injuries in his left eye while doctors are keeping Ruhul Amin asleep as he got badly hurt in the head," he said.

Bank employee robbed in Jatrabari

Posted by methun

A robbery has taken place at a bank employee's residence in the Capital's Jatrabari.

Police reported that the incident took place around 3am Sunday morning at Jatrabari's Kajir Ga in Matuyail Pashchimpara.

The law enforcement agency also said that the robbers had looted the family at gunpoint and escaped with Tk. 300,000 in cash and 50 'bhari' of gold.

Jatrabari police chief Abul Kashem told bdnews24.com that the bank employee, Haji Delowar Hossain, was injured when he was attacked with a meat-cleaver.

Kashem added that "a band of 15 to 20 robbers had broken through the main entrance to the house, and had robbed the family."

However, the police chief could name the bank in which Hossain was employed. He also said that no cases had been filed with the station yet.

MENTAL HEALTH DAY '3 in 10 people suffer mental illness'

Posted by methun

At least three in ten people suffer from one form of mental illness or the other in Bangladesh, but most of them do not consider it as an 'illness', aggravating their condition, according to mental health experts.

"The number is increasing by the day as society and lifestyle change," Prof Golam Rabbani, director at the National Institute of Mental Health, told bdnews24.com on Sunday, a day before World Mental Health Day.

This year, the day's theme is to encourage investments in prevention, treatment and promoting awareness of mental illnesses.

"People with mental disorders are mostly neglected and traumatised," Rabbani said. On many occasions they believe it is not an illness and only see a psychologist or psychiatrist when things get worse.

Taslima Akhter who comes twice a week at the institute to take therapy for her diagnosed 'obsessive-compulsive disorder' said she did not realise at first that it was an illness.

"She used to wash and clean hands and cooking utensils again and again. Even she changes dishes quite often. Things were getting worse every day," her husband Moslem Ali told bdnews24.com. First, he too could not understand it was a disease.

"We saw a psychiatrist at one of our relatives' request," he said, adding the doctor said the condition had advanced.

Studies of the institute show 16 percent above 18 years of age go through some form of mental illnesses while the rate is 18 percent among children aged between five and 17 years.

The studies also found prevalence of the disease in rural Bangladesh too.

"Earlier families used to live together, but they are nuclear now. Their (people's) demand is growing, but most of the time they cannot fulfil them due to soaring costs.

"It raises the risk of mental illnesses," Rabbani said.

"But their depression and mode disorders remain unnoticed, until (the condition) aggravates."

One study found children of older parents, nuclear family and families with a mental disorder are more likely to do drugs.

Strong link was found between mental disorders and drug abuse in the study.

Father's low educational background, parents' mental disturbances and birth trauma are significantly linked with children's mental retardation and epilepsy, according to the institute of mental health's survey.

"Mental disorders not only cripple a person or a family, but also stand in the way of building a bright future generation," Rabbani said, They also adversely impact the whole healthcare system.

"It never received priority on the health agenda before as it gets now," he said.

"Earlier treatment was concentrated in larger hospitals. But now the government has decided to take it to the grassroots."

The director said health workers and doctors were being trained up and community health care centres would be equipped to offer primary treatment. The five-year sector plan for health integrated mental health with other physical illnesses.

"But the action should be consistent," he said, soliciting support from the private sector and NGOs to ensure 'a sound mind in a sound body', to all.

Sylhet students 'interrogated by NIA'

Posted by methun

The Indian media says the four Kashmiri medical students who went 'missing' in Sylhet were in fact interrogated by the Indian intelligence, with support from Bangladeshi authorities.

The students were questioned in connection with Washim Ahmed, another Kashmiri student studying in Dhaka, who was arrested by National Intelligence Agency (NIA) with regard to the Delhi High Court blast, said Indian newspaper The Hindu on Sunday.

The paper quoting the Press Trust of India news agency said on its online edition the four hailed from Kishtwar in Kashmir valley, Washim's hometown.

Two interns and two students of private Ragib-Rabeya Medical College hailing from India, who were missing from Thursday, returned to the campus on Sunday.

The college authorities said plainclothes men who identified themselves as member of Rapid Action Battalion (RAB) had taken them away for questioning from their hostels.

RAB and the police have so far denied any involvement.

The private medical college authorities kept the media from speaking to the students. The interns are Tosaddek Rashed and Amir Amin Reshmi and the students are Taosif Ahmed and Danesh Batt.

The Hindu said an NIA team came to Sylhet to question them to get details about Washim. But they were let off after the NIA team found nothing to back their investigation.

When asked about the incident, home minister Shahara Khatun declined to comment, saying the matter is 'sensitive'.

"Investigation into the matter is underway," she told reporters.

BNP's Sylhet road march begins

Posted by methun

BNP chairperson Khaleda Zia, accompanied by senior leaders and activists of the party, set out on road march to Sylhet from the party's Naya Paltan headquarters.

The sub-urban vehicle (SUV) carrying her left for Sylhet around 10:50am on Monday, followed by a large convoy of vehicles carrying opposition activists.

The convoy consists of nearly 1,000 vehicles.

Party's vice chairperson Selima Rahman has joined Khaleda in her vehicle.

Around 10.15am, the opposition leader's convoy left for the Naya Paltan office from her Gulshan residence.

Acting secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir, vice president and Dhaka city mayor Sadeque Hossain Khoka and other standing committee members also form part of the convoy.

The opposition leader called for the road march at a Sep 27 rally demanding reinstatement of the caretaker government system and mid-term vote.

Following a Supreme Court order ordering the scrapping of the 13th constitutional amendment that introduced the caretaker government provision, the government repealed the system through the 15th amendment.

The opposition leader is set to address six rallies in the course of her 265-kilometre journey to Sylhet. The first rally will be held at Torab intersection in Narayanganj's Rupganj area. Then she will address rallies in Narshingdi's Itakhola, Brahmanbaria's Kottapara, Kishoreganj's Bhairab, Hobiganj's Shayestaganj and Moulavibazar's Sherpur.

The opposition chief would visit the shrine of saint Shahjalal after reaching Sylhet and stay overnight at Sylhet Circuit House. The Sylhet march would end with her address to a public meeting on Sylhet Alia Madrasa ground on Tuesday.

DSE prices down again

Posted by methun

Trading at the Dhaka Stock Exchange maintained Sunday's fall in prices, with the general index losing around 44 points in the first hour of trading.

At 11.59am on Monday, the general index shed 43.83 points to stand at 5489.56 points. Shares worth a total of Tk 769.47 million had been traded by then with prices of 177 issues falling, 30 rising and 15 remaining unchanged.

The general index fell to its lowest in the first hour standing at 5476.2 points around 11.24 am.

After trade for the week started on Sunday, the general index lost 194.40 points or 3.39 percent to close at 5533.39 points. Turnover stood at Tk 3.24 billion.

Reports on Padma bridge untrue: Muhith

Posted by methun

Finance minister A M A Muhith has said media reports citing him on corruption allegations in Padma bridge construction and World Bank funding are 'incorrect'.

After the World Bank raised allegations against employees of SNC-Lavalin Group Inc, which had been short listed for Padma bridge project's monitoring, Canadian police in September launched an investigation into a likely instance of corruption.


He told at Secretariat on Sunday, "No newspaper properly reported the issue. Prothom Alo, Jugantor, Samokal—it was not properly reported anywhere."


The national dailies ran reports on his comments made at a press briefing in New York referring to the World Bank that it would not finance the project before the allegations against the communications ministry are fixed.


Asked about the 'proper information', the minister said, "I won't comment at this moment. I'll present the real incident at formal news conference tomorrow (Monday)."


Returning on Saturday from New York after attending World Bank and International Monetary Fund's annual meetings, he said the corruption allegations were discussed there.


The Bengali dailies carried reports on Friday based on interviews with him on the Padma bridge funding in New York. The reports quoted him saying that the World Bank has alleged that there is massive corruption in the bridge project.


The reports further claimed quoting Muhith that the bank has decided to stop its assistance to the project until allegations of irregularities and corruption against the communications ministry are resolved.


Canadian police in September launched an investigation following a referral by the Bank's anti-graft unit, which is investigating allegations of corruption in the bidding processes for the Padma bridge project.


Prime minister Sheikh Hasina also ordered probe into the matter.


The World Bank signed a deal in April to lend $1.2 billion to Bangladesh to build the four-mile bridge over the river Padma. The bridge will link Bangladesh's underdeveloped south with the capital, Dhaka, and the country's main port, Chittagong. Once completed, it would be the largest bridge in the country.