সৌদি আরবে আরও তিন অভিবাসী রীতিমতো মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। জেলখানায় বন্দী ওই তিন বাংলাদেশি শ্রমিক জানেন না আগামী কোন এক শুক্রবার তাদের শিরশ্ছেদ করা হবে। তবে তাদের শিরশ্ছেদ ঠেকানো বা দণ্ড মওকুফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতবাস। কিন্তু কতটা সফল হবে তা বলতে পারছেন না কেউই। সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে শিরশ্ছেদের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয় সরকার। সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে টেলিফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে সৌদি আরবের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিবৃতি বা নিন্দা এখনো জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি নিয়ম অনুসারে এসব কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে কিছুই বলার নেই। তবে এ মতের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি গতকাল বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত জনগণের উদ্দেশে বিবৃতি দেওয়া। তাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগগুলোর বর্ণনা থাকবে। আর সৌদি আরবকে এ বিষয়ে নিন্দাও জানাতে হবে বাংলাদেশকে। এটা অমানবিক ও বর্বর আচরণ।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক টানাপড়েনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গত জুন মাসে ইন্দোনেশীয় এক নারী কর্মীর শিরশ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পর জাকার্তায় সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাবমাং ইয়োদোনো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে তার দেশ থেকে সৌদিতে আপাতত আর কোনো কর্মী না পাঠানোর ঘোষণা দেন। শিরশ্ছেদের শিকার হওয়া ইন্দোনেশীয় নারী কর্মী রুয়াতি বিনতে সাতুবি সৌদি আরবের আদালতে তাকে নিয়োগকারী গৃহকর্তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হলেও সে দেশে তার অভিযোগ জানানোর ও প্রতিকার পাওয়ার উপায় ছিল না। শেষে বাধ্য হয়েই গৃহকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে তার ওপর দৈনন্দিন নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছিলেন। কিন্তু আদালত এই পটভূমিকে গুরুত্ব না দিয়ে হত্যার বিষয়টিকেই কেবল প্রাধান্য দিয়েছেন।
সূত্র বলেছে, বাংলাদেশের মতো ইন্দোনেশিয়ার সরকারও রুয়াতি বিনতে সাতুবির প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। কিন্তু সৌদি সরকার সে আবেদনে কর্ণপাত না করে সাতুবির শিরশ্ছেদ করে।
এখন যারা শিরশ্ছেদের অপেক্ষায় আছেন তাদের কি রক্ষা করা সম্ভব হবে জানতে চাইলে শ্রম কাউন্সিলর হারুন-উর-রশিদ বলেন, আশা করা যায় বাঁচানো সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি ভাগ্যের ওপরও খানিকটা নির্ভরশীল। তবে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্ত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার অতীত উদাহরণ আছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে 'ব্লাডমানি'র বিনিময়ে ছয় বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক টানাপড়েনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গত জুন মাসে ইন্দোনেশীয় এক নারী কর্মীর শিরশ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পর জাকার্তায় সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাবমাং ইয়োদোনো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে তার দেশ থেকে সৌদিতে আপাতত আর কোনো কর্মী না পাঠানোর ঘোষণা দেন। শিরশ্ছেদের শিকার হওয়া ইন্দোনেশীয় নারী কর্মী রুয়াতি বিনতে সাতুবি সৌদি আরবের আদালতে তাকে নিয়োগকারী গৃহকর্তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হলেও সে দেশে তার অভিযোগ জানানোর ও প্রতিকার পাওয়ার উপায় ছিল না। শেষে বাধ্য হয়েই গৃহকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে তার ওপর দৈনন্দিন নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছিলেন। কিন্তু আদালত এই পটভূমিকে গুরুত্ব না দিয়ে হত্যার বিষয়টিকেই কেবল প্রাধান্য দিয়েছেন।
সূত্র বলেছে, বাংলাদেশের মতো ইন্দোনেশিয়ার সরকারও রুয়াতি বিনতে সাতুবির প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। কিন্তু সৌদি সরকার সে আবেদনে কর্ণপাত না করে সাতুবির শিরশ্ছেদ করে।
এখন যারা শিরশ্ছেদের অপেক্ষায় আছেন তাদের কি রক্ষা করা সম্ভব হবে জানতে চাইলে শ্রম কাউন্সিলর হারুন-উর-রশিদ বলেন, আশা করা যায় বাঁচানো সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি ভাগ্যের ওপরও খানিকটা নির্ভরশীল। তবে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্ত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার অতীত উদাহরণ আছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে 'ব্লাডমানি'র বিনিময়ে ছয় বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment