SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

রাজধানীতে বিক্ষোভ উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে : বিএনপি

Posted by methun

নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকসুর সাবেক জিএস ও দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ ছাড়া ওই ঘটনায় সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে তার মুক্তি দাবি করেছে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগ নেতা ও নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হয়েছেন। অথচ সরকার উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই খোকনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও এখন তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি খোকনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান ও মুক্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও তার অবস্থান জানতে পারছি না। আমরা পত্রিকায় জানতে পেরেছি নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যার ঘটনা তাদের দলীয় কোন্দল। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু খোকনকে গ্রেফতারের কোনো কারণ খুঁজে পাই না। শিরিন সুলতানা বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হলেও সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে আটকের কারণে আমরা উৎকণ্ঠিত।' সরকারের পক্ষ থেকে তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানানো হচ্ছে না অভিযোগ করে শিরিন সুলতানা বলেন, খোকন রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর গুলিবিদ্ধ মেয়র লোকমানকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে বাসায় এসে ঘুমিয়েছিলেন। তার পৌনে ৩টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাসায় আসে। আমি তাদেরকে বলি খোকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাকে কেন নিয়ে যাবেন? পুলিশ বলে কোনো অসুবিধা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সকালে ডিবি অফিসে যাওয়া হলে সেখানে নেই বলে জানান কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহিলা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা শেষে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে দলটি।

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, মজিবুর রহমান সরোয়ার এমপি, হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এম ইলিয়াস আলী বলেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নরসিংদীর মেয়র খুন হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই ঘটনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে দায়ী করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে রাজুকে গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে খোকনকে ছেড়ে দেওয়ারও দাবি করেন তিনি।

ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল : ডাকসুর সাবেক জি এস ও '৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে মিছিলটি শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সিনিয়ন সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ওমর ফারুক সাফিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, জাভেদ হাসান স্বাধীন, মাহবুবুর রশিদ মাহবুব, বিল্লাল হোসেন তারেক, মহিদুল হাসান হিরু, আবুল মনসুর খান দিপক, জাকির হোসেন খান, সাইদুর রহমান রয়েল প্রমুখ।

এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাসসহ অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি দেওয়া হয়।

রাজধানীতে পরিবেশ দূষণ - ২ অসহনীয় শব্দদূষণ, সতর্ক করেই কাজ শেষ অধিদফতরের!

Posted by methun

শব্দদূষণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে রাজধানীর জনজীবন। গাড়ির তীব্র হর্ন, মাইকের আওয়াজ, উচ্চমাত্রার মিউজিক আর নানা হুইসেলের শব্দে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আইন উপেক্ষা করে যানবাহনগুলোতে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোলিক হর্ন। যানজটে অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় বা মধ্যরাতের ফাঁকা রাস্তায়ও অবিরাম বেজে চলে অ্যাম্বুলেন্সের হুইসেল। আবাসিক এলাকার পাশেই গড়ে তোলা কলকারখানার শব্দে আঁতকে উঠতে হয় ঘুমন্ত মানুষকে। বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে রক্ষায় মহল্লায় মহল্লায় বসানো উচ্চ ক্ষমতার জেনারেটরের বিরক্তিকর শব্দও আরেক যন্ত্রণাময় পরিবেশের সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় শুধু 'সতর্ক' করেই পরিবেশ অধিদফতর তার দায়িত্ব শেষ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উচ্চমাত্রার শব্দে রক্তচাপ, মাথাব্যথা, বদহজম, পেপটিক আলসার, কম শোনা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শব্দদূষণ রোধে আইন প্রণীত হলেও তা বাস্তবায়নের সামর্থ্য নেই পরিবেশ অধিদফতরের। মহাপরিচালকসহ অধিদফতরের দায়িত্বশীল সবার একই কথা, 'জনবল কম থাকায় অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না।'

পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় 'নীরব', 'আবাসিক', 'মিশ্র', 'বাণিজ্যিক' ও 'শিল্প' হিসেবে পাঁচটি 'পৃথক এলাকা' নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রাও আলাদা আলাদাভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। নীরব এলাকায় শব্দের নির্ধারিত মাত্রা হচ্ছে দিনে ৪৫ এবং রাতে ৩৫ ডেসিবল। আবাসিক এলাকায় এ মাত্রা দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবল। আইন অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে গাড়ির হর্ন বা মাইকিং সম্পূর্ণ নিষেধ। অথচ সেসব স্থানে শব্দের মাত্রা ৮০-৮৫ ডেসিবলেরও বেশি থাকছে হরহামেশা। শব্দ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সে তথ্যটিও জানা নেই অনেকের।

শব্দের উৎস্য : সচেতনতার অভাব এবং সঠিকভাবে আইন বাস্তবায়ন না করার কারণেই শব্দদূষণ দিন দিন বাড়ছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, গাড়ির হর্ন শব্দদূষণের প্রধান উৎস্য। এ ছাড়া ৬১ শতাংশ মাইকিং, ৪৫ শতাংশ মোটরগাড়ি, ৩৫ শতাংশ কলকারখানা, ১৯ শতাংশ ইট ভাঙার মেশিন, ১৩ শতাংশ সমাবেশ এবং চার শতাংশ অন্যান্য কারণে অতিশব্দের সূত্রপাত ঘটে। গাড়ির তীব্র হর্ন বেশ বিরক্তিকর। তবুও চালকরা প্রতিনিয়ত তীব্র হর্ন বাজিয়েই গাড়ি চালান। অনেকে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করেন, যা কানের জন্য খুবই মারাত্মক।

১২ দূষণে ৩০ রোগ : বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ সূত্রে বলা হয়, উচ্চ শব্দসহ ১২ ধরনের দূষণ ৩০টি কঠিন রোগ সৃষ্টি করছে। কার্ডিওলজিস্ট ডা. বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, 'গাড়ির হর্ন, বোমা বিস্ফোরণ বা যে কোনো ধরনের উচ্চশব্দ হৃদরোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। মাত্রারিক্ত শব্দের কারণে মানুষের করোনারি হার্ট ডিজিজও হতে পারে। ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশের এক জরিপে শব্দদূষণের প্রভাব সম্পর্কে বলা হয়, অতিশব্দের কারণে বিরক্তবোধ, মাথাধরা, মেজাজ খারাপ হওয়া, মনসংযোগের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং কম শোনার ঘটনা ঘটছে। চিকিৎসকদের মতে, শব্দদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।

আইন আছে, প্রয়োগ নেই : শব্দদূষণ আইন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের আইন থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। শব্দদূষণের অপরাধে প্রথমবারের মতো তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দুই হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। মোটরযান অধ্যাদেশেও অনেক ধারা রয়েছে। কিন্তু তার বেশিরভাগই প্রয়োগ হচ্ছে না। অধিদফতর শুধু 'সতর্ক' করে : শব্দদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদফতর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে কয়েক দফা ঘোষণা দিয়েও তা কার্যকর করতে পারেনি। অধিদফতর থেকে বলা হয়, মোবাইল কোর্ট ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মনোয়ার ইসলাম নিজেও শব্দদূষণকে 'নীরব ঘাতক' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জনবলসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সব ধরনের পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে অধিদফতর ভূমিকা রাখছে। পরিবেশ এনফোর্সমেন্ট বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি গুলশানের নিকেতন আবাসিক এলাকায় উচ্চ ক্ষমতার জেনারেটরের মাধ্যমে শব্দদূষণের অভিযোগে একটি ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে লালমাটিয়ায় ওয়াসা অফিস চত্বরে সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালু রেখে বিকট শব্দ সৃষ্টির দায়ে ওয়াসার এমডিসহ কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, 'শব্দদূষণের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তৎক্ষণাত সরেজমিনে তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।'

মতিয়া গং প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

Posted by methun

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ নেতা ও স্বাধীন দেশের প্রথম নির্বাচিত সংসদের আলোচিত পার্লামেন্টারিয়ান নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন মতিয়া গং প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওরাই সরকার চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের জোয়ারে ভাটার টান লাগতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এই জাতীয় বীর বললেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। তাই মুজিবকন্যার কাছে প্রত্যাশা যেমন তেমনি আছে আশঙ্কাও। আওয়ামী লীগ ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে দেশ মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে বলেও মনে করেন তিনি। 'ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন' গঠন করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও এই মঞ্চে সবাইকে নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে সতর্ক করছেন। সাবেক ছাত্রলীগারদের মতো নূরে আলম সিদ্দিকীও কমিউনিস্টদের হাত থেকে বাঁচাতে চান আওয়ামী লীগকে। ষাটের দশকেই আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের সামনের কাতারে। দীর্ঘ জেলজীবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কেটেছে ১৭ মাসের একান্ত সানি্নধ্য। তার বক্তৃতা সারা দেশের ছাত্রসমাজকে উদ্বেলিতই করত না, মানুষকে জাগাত। উত্তাল ঢেউ উঠত জনসমুদ্রে। তার অপেক্ষায় থাকত পল্টন, বটতলা। নূরে আলম সিদ্দকী ছাত্ররাজনীতি থেকেই প্রবল আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি হলে ইতিহাসের দরজা খুলে যায় তার সামনে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব ও জিএস আবদুল কুদ্দুস মাখনের সমন্বয়ে 'স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হলে নূরে আলম সিদ্দিকী তার শীর্ষস্থানটি দখল করেন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে।

তিয়াত্তরে 'ভিয়েতনাম দিবসে' ডাকসু ভবনে কমিউনিস্টদের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে গুলি, তার প্রতিকৃতিতে আগুনের ফুলকি ওড়ার খবর পেয়ে মস্কোপন্থি ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। হুঙ্কারের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা শেখ হাসিনার মনে না পড়লেও ভুলতে পারেননি নূরে আলম সিদ্দিকী। বললেন, সেদিন মস্কোপন্থিরা বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দিয়ে কী কটূক্তি করেছিলেন, তা মতিয়া চৌধুরীর চেয়ে কেউ ভালো বলতে পারবেন না। কারণ তিনি নিজেই পল্টন ময়দানে উন্মুক্ত সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন 'শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি' বানানোর। জিয়ার খাল কাটা কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসায় মশগুল হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন জিয়ার পাশে কোদাল হাতে। এখন সেই মস্কোপন্থিরাই আওয়ামী লীগকে গ্রাস করেছে।

তিনি তাগিদ দিয়েছেন প্রবীণ নেতাদের বসে না থেকে আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর। বলেছেন কমিউনিস্টদের খপ্পর থেকে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার কথা। আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের গালে হাত দিয়ে বসে থাকায় বিস্মিতও হয়েছেন অনেকটা। তুলাধোনা করেছেন মস্কোপন্থি মতিয়া গংকে। ওদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই নেওয়াকে অভিহিত করেছেন 'অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে। কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে প্রবীণ নেতাদের দায়িত্বহীনতায়। তাই তিনি নাম উল্লেখ করে বলেছেন, আমু, রাজ্জাক, তোফায়েল, জলিলদের সঙ্গে কাদের, মান্না, আখতার, জালাল, জাহাঙ্গীর, মান্নান, সুলতানদের সাহস করে মেরুদণ্ড খাড়া করে শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়ানো উচিত। তারা মুখ বন্ধ করে থাকার কারণেই শেখ হাসিনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন। নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে 'বাকশাল' গঠনে যারা বঙ্গবন্ধুকে বিভ্রান্ত করেছিলেন সেই কমিউনিস্টরাই ফুলেফেঁপে শেখ হাসিনার হয়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে যা তারা পারেননি, তা শেখ হাসিনাকে দিয়ে পারছেন। আওয়ামী লীগ বাকশাল হলেও বঙ্গবন্ধুর সেই একদলীয় মন্ত্রিসভায় তাও প্রতিমন্ত্রী পদে কমিউনিস্ট মুখ ছিল মাত্র একটি (মস্কোপন্থি ন্যাপের সৈয়দ আলতাফ হোসেন), কিন্তু শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভায় কমিউনিস্টদেরই আধিক্য শুধু নয়, সরকারের সব পর্যায়েই তারা আধিপত্য বিস্তার করেছেন। দেশবাসী জানে আমু, রাজ্জাক, তোফায়েল, জলিলদের ইতিহাস-ঐতিহ্য। তার পরও কোনো মূল্যায়ন হয় না। তবুও তাদের উচিত মাথা তুলে মেরুদণ্ড সোজা করে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সামনে দাঁড়িয়ে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলা। কারণ নৌকা ডুবলে তাদেরও অস্তিত্ব থাকবে না। গাছাড়া ভাব দিয়ে বলছেন কেন? হাজার হাজার কর্মীর প্রত্যাশা আপনাদের কাছে। দায়দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কোনো রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা বা চাওয়া-পাওয়ার অভিলাষ নেই। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শুধু দেখতে চাই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাস্তবায়ন। আবার কোনো কালো মেঘ দেশকে গ্রাস করুক তা চাই না। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারিণীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনম্র জানতে চেয়ে সিদ্দিকী বলেন, মন্ত্রীদের এত সমালোচনা হচ্ছে আর তিনি বলছেন সাফল্যের কথা। গত তিন বছরে মন্ত্রিসভার সদস্যরা যোগ্যতার বিন্দুমাত্র প্রমাণ দিতে না পারলেও তিনি কেন তাদের সাফাই গাইছেন? অবস্থা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বুঝতেই চেষ্টা করছেন না, তার সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। আমি নিজে রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও চাই না ভাটার টানে খালেদা জিয়ার জোয়ারে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করুক। এখনো সময় আছে ভুল শুধরে নিয়ে জনগণের হৃদয়ের উপলব্ধি বুঝতে চেষ্টা করুন। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সংকট সমাধান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে বাজার স্থিতিশীল করুন। ভারতের সঙ্গে চুক্তি সংশয় মানুষের চিন্তাকে শঙ্কিত করে তুলছে, এ থেকে মুক্ত করুন।

বিরোধী দলকে সাদরে সংসদে যাওয়ার পথ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দিলে ক্ষতি নেই। তারা সংসদে না গেলে গণতন্ত্র ভিত্তিহীন হয়ে যাবে। সংসদ অকার্যকর হলে সরকারের গণতান্ত্রিক লেবাস থাকে না। ২৬২টি আসনের নেত্রীর সমালোচনায় শঙ্কা কেন? সমালোচনার মধ্য দিয়েই সমাধানের পথ বেরিয়ে আসে। দুই নেত্রীর ব্যবধান দেশকে আবারও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিও আহ্বান জানিয়ে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, জনগণই ক্ষমতার উৎস। লংমার্চ, রোডমার্চ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ নয়, সংসদে গিয়ে সরকারকে ধরুন। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে সংসদ কী রকম প্রাণবন্ত ও সরগরম হয়ে উঠত তা বলে বোঝানো যাবে না। বঙ্গবন্ধু সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন। কারণ তিনি জানতেন সমালোচনায় সমাধান বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ চরম ডান, চরম বাম ও মধ্যপন্থি বামের প্রতিহিংসা উপেক্ষা করে দৃপ্ত পদভারে সারা দেশে ছয় দফা যখন বাংলা ও বাঙালির মুক্তিতে দুর্জয় সংগ্রামে ব্যাপৃত তখন বাম রাজনীতির অগ্রভাগের নায়ক মশিউর রহমান যাদু মিয়া বঙ্গবন্ধুকে 'সিআইএর দালাল' ও 'ভারতের অনুচর' বলে ফাঁসি দাবি করেন। সেদিন মোজাফফর, মহীউদ্দীন, মতিয়া চৌধুরীরাও শেখ মুজিবকে 'ভারতের অনুচর' ও 'সিআইএর দালাল' বলে অকথ্য গালাগাল করেন। আমি বিস্মিত হলেও সত্য, বাংলাদেশের মস্কোপন্থি কমিউনিস্ট যারা তাত্তি্বকভাবে ক্রেমলিন-অনুগত ছিলেন, তারাই আজ অক্টোপাসের মতো আওয়ামী লীগকে গ্রাস করেছে। এরা মূল সমাজতন্ত্র থেকে আদর্শচ্যুত। এরা ক্ষমতাশ্রয়ী। গণমানুষের হৃদয়ে এরা কখনোই বাংলার মাটিতে শেকড় গাঁড়তে পারেননি। তাই আওয়ামী লীগকে সাপের বাঁধনে পেঁচিয়ে ধরে ক্ষমতাবান হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মতো বটবৃক্ষকে আজ বিলীন হওয়ার পথে নিয়ে আসা হচ্ছে। সরকার আওয়ামী লীগের, কিন্তু সরকারের নীতি গ্রহণের পরতে পরতে, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আর রাজনীতিতে বামদের দুর্দমনীয় প্রভাব। তথাকথিত বাম রাজনীতিকরা নৌকার মূল সারথি। অথচ দেখা গেছে নৌকা প্রতীক ছাড়া তাদের কোনো আসনেই জামানত থাকে না। শেখ হাসিনাকে তারা বোঝাচ্ছেন, আপনার নৌকা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাঁধা, গ্রামবাংলার পরিমণ্ডলে আবৃত থাকার আর কোনো প্রয়োজন নেই। নিরন্ন, দুঃখ-দুর্দশায় জর্জরিত অসহায় মানুষের নেতা নন, দিগন্তবিস্তৃত আকাশে হংসতারার মতো উড়ে যান। আপনি নোবেল বিজয়ী হবেন, আপনার জনপ্রিয়তা স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও নেই। খালেদা জিয়ার চেয়েও ঘরের শত্রু বিভীষণ। এমনদের সম্পর্কে কটূক্তি করা হচ্ছে যারা তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগকে। যারা এ দেশে বঙ্গবন্ধুকে এককভাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন তাদের এই তথাকথিত বামরা ভিটেছাড়াই শুধু করেননি, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতৃত্ব ও ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্য প্রায় মুছে ফেলেছেন। বর্তমান নেতৃত্বকে সুপরিকল্পিতভাবে মূল্যবোধের অবক্ষয়ে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা বেদনার, এটা লজ্জার। বঙ্গবন্ধুকন্যাকেই তা ভাবতে হবে।

চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা

Posted by methun

চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে জেলহত্যা মামলা। বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কার্যতালিকায় এলে চূড়ান্ত শুনানি হবে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিলের আবেদন) করলে ১১ জানুয়ারি ওই সময়কার প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সরকারের এ আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশে সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়। বর্তমানে সরকার আপিল শুনানির জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া ঐ সময় সরকারের করা অপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দফাদার মারফত আলী শাহ ও আবুল হাসেম মৃধাকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠাতে আইনশৃক্সখলা রক্ষাবাহিনীর প্রতিও নির্দেশ দেন আদালত। আসামিরা কয়েক যুগ ধরে বিদেশে আত্মগোপন করে থাকায় নিম্ন আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। একই কারণে আইনশৃক্সখলা রক্ষাবাহিনীও এদের ধরতে পারেনি বলে জানা গেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দেয়। বঙ্গবন্ধুর আজীবন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জাতীয় চার নেতা ঘৃণাভরে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৫ আগস্টের সেই ঘাতকরা পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর কারাগারে ঢুকে নিউ সেলের ভেতর অন্তরীণ চার নেতাকে প্রথমে গুলি করে ও পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে সেনাবাহিনীর রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চার-পাঁচজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু তৎকালীন সরকারসহ পরবর্তী সরকারগুলোর বাধার মুখে মামলার তদন্ত ২১ বছর থেমে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তদন্ত শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের প্রায় সবাই সেনা কর্মকর্তা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি। অভিযুক্তের তালিকায় দু-একজন রাজনীতিকও ছিলেন, যারা নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপনকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ পাশা মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় অভিযুক্তের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও আবুল হোসেন মৃধাকে ফাঁসি, কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) শরীফুল হক ডালিম, কর্নেল (অব.) এম বি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) আহাম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারীসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কে এম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়। এর প্রায় চার বছর পর বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষে শুধু রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের ফাঁসি বহাল রাখেন। এ ছাড়া পলাতকরা বাদে নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সবাই খালাস পান। ফারুক রহমান, শাহরিয়ার রশিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা, মারফত আলী ও আবুল হোসেনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফারুক রহমান, শাহরিয়ার রশিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ ও বজলুল হুদার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় শুধু মারফত আলী ও আবুল হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে আপিল বলবৎ আছে। সরকারপক্ষে বিশেষ কেঁৗসুলি হিসেবে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

মধ্যরাতে খোকন গ্রেফতার, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন

Posted by methun

বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার খিলগাঁওয়ে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নরসিংদী নিয়ে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, পুলিশ তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খোকনকে অন্যায়, অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবীর খোকনের স্ত্রী মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ খিলগাঁও মাটির মসজিদের বাসা থেকে খোকনকে নিয়ে যায়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান, ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় খোকনকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী পুলিশ। কিছু সময়ের জন্য তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে নরসিংদী থানা পুলিশ তাকে নিয়ে রওনা দেয়।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের সদর রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আততায়ীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিজের প্রতিষ্ঠিত কবরেই শায়িত মেয়র লোকমান

Posted by methun

নিজের প্রতিষ্ঠিত কবরস্থানেই অন্তিম শয়ানে শায়িত হলেন নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন। তুমুল জনপ্রিয় এ তরুণ নেতার এমন বিদায় মেনে নিতে পারছেন না তার সমর্থকরা। যিনি তাদের কাছে 'নরসিংদীর উন্নয়নের জনক' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সমর্থকদের দাবি, লোকমান হেসেনের হাতেই নরসিংদীর উন্নয়ন হয়েছে। এমনকি তাকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে_ সেটিও তিনিই নির্মাণ করেছেন। লোকমান হোসেনের লাশ গতকাল সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার বাড়িতে রাখা হয়। হাজার হাজার মানুষ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আসরের পর মুসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে প্রথম নামাজে জানাজা হয়। দ্বিতীয় জানাজা হয় পৌর ঈদগাহ মাঠে। এ দুই জানাজায়ই বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয়। এরপর পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এই কবর স্থানটি তার উদ্যোগেই নির্মিত হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, লোকমান হোসেন তরুণ বয়সেই মানুষের প্রাণের নেতায় পরিণত হন। একজন জনপ্রতিনিধি যে এত জনপ্রিয় হতে পারেন, আজকের জনস্রোতই তার প্রমাণ। তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন জননেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব দলের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। যে কারণে মেয়র নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডে নরসিংদী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ হতভম্ব হয়ে গেছেন। এমন একজন মানুষ খুন হতে পারেন, কেউ তা বিশ্বাস করতে পারছেন না। লোকমান হোসেন পরপর দুবার নরসিংদীর মেয়র নির্বাচিত হন। প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। তাই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবেই বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করেন।

সাত যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে

Posted by methun

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাসহ অভিযুক্ত ৭ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আগামী ডিসেম্বরে এদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে। নতুন বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে তা পুরো দমে চলবে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুদ্ধাপরাধ বিচার কার্যক্রম পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আগামী ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে। সাঈদীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর তার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে।

জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেফতার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়েট অ্যান্ড সি (অপেক্ষা করুন এবং দেখুন)। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সরাষ্ট্র সচিব আবদুস মনজুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিচার প্রক্রিয়া যতদূর এগিয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। ২০ নভেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আরও বড় কয়েকটি মামলা হবে। তবে টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতে পেরেছি এটা বড় বিষয়। বিচার শেষ করতে অনেক সময় ৩০-৪০ বছরও লেগে যেতে পারে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সভায় বিচার কাজে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা (লজিস্টিক সাপোর্ট), আইনজীবী দল (প্রসিকিউশন টিম) ও তদন্ত নিয়ে আলোচনা করেছি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে তাড়াহুড়া নেই।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, খুনি নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় রয়েছেন। এ দুজনকে ফিরিয়ে আনতে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে নরসিংদী হরতালে ট্রেনে আগুন, মহাসড়ক অবরোধ, আতঙ্ক উদ্বেগ ক্ষোভ

Posted by methun


পূর্ববর্তী সংবাদ
প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে নরসিংদী
হরতালে ট্রেনে আগুন, মহাসড়ক অবরোধ, আতঙ্ক উদ্বেগ ক্ষোভ

সাখাওয়াত কাওসার, নরসিংদী থেকে
নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের হত্যা ঘটনার পর থেকে পুরো শহর ভুতুড়ে। হরতালের কারণে গতকাল দিনভর নরসিংদী শহর ছিল থমথমে। তবে নিহতের জানাজা ও দাফনের জন্য সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার জন্য হরতাল শিথিল করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শহর ছাত্রলীগ ৭২ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহার করলেও সাধারণ মানুষের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক, উদ্বেগ আর ক্ষোভ। শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার ও গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ভস্মীভূত হয় ১৪টি বগি। হরতাল শিথিল হলেও শহর এলাকায় সকাল থেকে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বন্ধ ছিল যান চলাচল। মেয়র হত্যার প্রতিবাদে দিনভর শহরের বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। দুপুরে পৌর মেয়রের লাশ নরসিংদীর বাসাইলে নিজ বাসভবনে আনা হলে মানুষের ঢল নামে। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকালে তিন দফা জানাজা শেষে লোকমানকে দাফন করা হয় তারই প্রতিষ্ঠিত পৌর কবরস্থানে।

এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা ও সংঘর্ষ এড়াতে মঙ্গলবার রাত থেকেই শহরের প্রতিটি মোড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। শহরজুড়ে টহল দেয় আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা। র‌্যাব, পুলিশ ও সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। জড়িত সন্দেহে নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। তবে তাকে সন্দেহভাজন গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল নরসিংদী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নিন্দা জানান দলের দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘোষণা দিয়েছেন, মেয়র লোকমানের হত্যাকারী যত শক্তিশালীই হোক, তাকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে পৌর মেয়র হত্যার প্রতিবাদে আজ দেশের প্রতিটি পৌরসভায় এক ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

যেভাবে হত্যাকাণ্ড : প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আসেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। এর কিছু আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিন ভূঁইয়া সেখানে উপস্থিত হন। একে একে আওয়ামী লীগের আরও ১২-১৩ জন নেতা-কর্মী সেখানে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন লোকমান। ঠিক সাড়ে ৭টার দিকে কার্যালয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়ে মুখোশধারী তিন যুবক। প্রায় একই আকৃতির তিন যুবক কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব কাছ থেকে লোকমানকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি ছোড়ে। গুলি পৌর মেয়রের বুকে, পেটে ও হাতে বিদ্ধ হলে তিনি চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান। প্রায় একই সময় বাইরে অপেক্ষমাণ মুখোশধারী আরও দুই যুবক অস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী পান-দোকানি জব্বার মিয়া বলেন, মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ে অপারেশন শেষ করে ১০০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পেশাদার ও ভাড়াটে খুনিরাই হত্যা করেছে পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে, এমনটা মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ভাঙল রাতের নিস্তব্ধতা

ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়র লোকমানকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর শুনে হাজার হাজার মানুষ রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে। শুরু হয় অবরোধ, ভাঙচুর আর অগি্নসংযোগ। রাত ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ অবরোধ করে যান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় অর্ধশত গাড়ি, বেশ কিছু দোকানপাট এবং সার্কিট হাউসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। সার্কিট হাউসের আসবাবপত্র প্রধান ফটকের বাইরে এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাকে জেলা ছাত্রলীগ।

এদিকে শহরের বাসাইল এলাকায় লোকমানের বাসায় গতকাল গিয়ে দেখা যায়, নিহতের মা মজিদা খাতুন ও স্ত্রী বুলবুলি আক্তার বাকরুদ্ধ। মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে স্ত্রী বলছিলেন, 'আমার স্বামী মরতে পারে না। আমি তা বিশ্বাস করি না। এই তো কিছুক্ষণ আগেই সে আমার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করেছে। আমার সন্তানরা এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে!' তার কান্না দেখে আগতদের কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

খুনের নেপথ্যে : পরপর দুবার পৌর নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠতে থাকেন লোকমান হোসেন। পুরো নরসিংদী জেলায় তার ইমেজ ছড়িয়ে পড়ে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রায়পুরা আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে তাকে নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন বর্তমান এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দীন আহমেদ রাজু। এ ছাড়া সম্প্রতি ছাত্রলীগের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মেয়র লোকমান হোসেন। সুপারিশ না রাখায় লোকমান হোসেনের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী।

এদিকে ১৫ অক্টোবর দুপুরে নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম লেলিনের (মন্ত্রী রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত) ওপর হামলার জের ধরে মন্ত্রী ও লোকমানের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরে ২২ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগ কলেজে ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মন্ত্রী রাজুর বিরুদ্ধে জুতা-মিছিল করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন লোকমানের ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ। পরে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নরসিংদীতে মন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে সমপ্রতি সিঅ্যান্ডবির জায়গায় অর্ধশতাধিক দোকান নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূরত্ব বাড়তে থাকে মন্ত্রী রাজু ও লোকমানের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও লোকমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের মদদদানের কিছু অভিযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ নেতা হয়েও বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে একসময় তার ছিল দহরম-মহরম সম্পর্ক। হত্যার শিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই সম্পর্ক তিনি অব্যাহত রেখেছিলেন জেলা বিএনপি সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের সঙ্গে। এ ছাড়া কমিশনার মানিক, নুরুজ্জামান নুরা ও ইমরান হত্যার নেপথ্যে মেয়র লোকমানের হাত আছে বলে অভিযোগ ছিল। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে শত্রু তৈরি করেছিলেন মেয়র লোকমান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হাজি আবদুর সাত্তার ও সালাহউদ্দিন বাচ্চু আত্মগোপন করেন। তাদের মুঠোফোনের কল-লিস্ট ঘাঁটলে ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাইয়ূম সরকার জানান, সরকার আন্তরিক হলে এ ঘটনার রহস্য শিগগিরই বের করা সম্ভব।

পুলিশি তৎপরতা : মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার পরপরই তদন্তে নেমেছে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই রাতেই পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো আলামত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনিক গুলির খোসাও উদ্ধার করতে পারেনি তারা।

জেলা পুলিশ সুপার আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডে ঘাতকরা উন্নত মানের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এর ফলে ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পাওয়া যায়নি। ঘাতকদের শনাক্ত করতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে বলে তিনি জানান। ঘটনার পর থেকে পুরো শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জানাজা ও দাফন : শোকের মাতমে স্তব্ধ নরসিংদী। অশ্রুসিক্ত চোখে মেয়রকে চিরবিদায় জানালেন নরসিংদীবাসী। বিকাল ৪টায় (বাদ আসর) জেলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ, পৌরসভা প্রাঙ্গণ ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে লাখো জনতার অংশগ্রহণে তিন দফা জানাজা হয়। এরপর পৌর কবরস্থানে লোকমান হোসেনকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ ও বাহাউদ্দিন নাসিম। এ ছাড়া স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আশরাফ দিলীপসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মেয়র লোকমান হত্যার তীব্র নিন্দা ও ঘাতকদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কাজী মাহমুদ হাসান, জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যামামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

Posted by methun

আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামসুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সোমবার সকালে বড়দেশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সাভার মডেল থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।

গত ১৮ জুলাই শবেবরাতের রাতে বড়দেশী এলাকার কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে ঢাকার ছয় ছাত্র নিহত হয়।

ওসি আসাদুজ্জামান  জানান, সকাল ৯টার দিকে সামসুল হক ওরফে সামসু মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।

সামসুকে 'মাদক সম্রাট' উল্লেখ করে ওসি জানান, সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলাম (৩৬) হত্যা মামলারও সন্দেহভাজন আসামি তিনি। ওই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ডাকাতির মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক। অপরদিকে পুলিশ পাঁচ-ছয়শ গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দু'টি মামলাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন  বলেন, সামসু মেম্বারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সিআইডিকে জানানো হয়েছে। সিআইডি সামসুকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাবে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান  জানান, সামসুকে ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তবে গ্রেপ্তার সামসু মেম্বার ছাত্র হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে  জানান, তিনি বালু ব্যবসায়ী। মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন। পুলিশ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

আমিনবাজার ইউপি সদস্য হিসেবে ১৯৭৯ সাল থেকে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন সামসু। তিনি বড়দেশী এলাকার মধ্যপাড়া মহল্লার জমসেদ আলীর পুত্র।

ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে সাভার থানার ওািসসহ সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার ও আরো দুই এসআইকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি তদন্ত কমিটিতেই ছাত্র হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহলোর কথা উল্লেখ করা হয়।

কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ছাত্ররা হলেন- ইব্রাহিম খলিল (২৪), শহিদুর রহমান পলাশ (২৬), কামরুজ্জামান কান্ত (২৪), টিপু সুলতান (২৩), শামস রহিম শাম্মাম (২২) ও মনির হোসেন (২৫)।

এসময় আল-আমিন নামের আরো এক যুবক গণপিটুনিতে আহত হন।

ডিএসই: সূচক নিম্নমুখী, লেনদেনও কম

Posted by methun

ডিএসইতে সপ্তাহের শেষ দিন লেনদেন হচ্ছে অনেক কম। সূচকও কমছে।

বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর পরপরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক পড়ে যায়। এরপর সূচক ওঠানামা করলেও তা আর বুধবারের চেয়ে বাড়েনি।

দুপুর দেড়টায় সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে হয়েছে ৫ হাজার ১৯৫ পয়েন্ট।

এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১২২টির। বদলায়নি ২০টির দাম। আড়াই ঘণ্টায় হাতবদল হয়েছে ৮৫ কোটি টাকার শেয়ার।

বুধবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৯ দশমিক ৪১ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

বুধবার লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির এবং কমেছে ১৪৪টির। বদলায়নি ৯টির দাম। হাতবদল হয়েছে ২৮২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ।

চার দিন টানা দরপতনের পর মঙ্গলবার ডিএসই সাধারণ সূচক ১৬৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ বিনিয়োগে বাধ্য করার দাবি জানায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবি মানা না হলে ৭ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করারও ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

নয় দিন ছুটি

সাপ্তাহিক ও ঈদুল আজহার ছুটি মিলিয়ে নয় দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে বৃহস্পতিবারই তাই শেষ লেনদেন।

শুক্রবার থেকে এই ছুটি শুরু হবে। ডিএসই -এর উপ মহা-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মো. শফিকুর রহমান জানান, ১৩ নভেম্বর রোববার থেকে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হবে।

৩০তম বিসিএসের ফল প্রকাশ

Posted by methun

৩০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ৩৬৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন বুধবার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৩০তম বিসিএসে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৫ জন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার পর ৯ হাজার ৫৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৮১০ জন।

নেছার বলেন, "শূন্য পদের সংখ্যা কম হওয়ায় এদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬৭ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। পদ স্বল্পতার কারণে যাদের বিষয়ে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি, তাদের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের চেষ্টা করা হবে।"

তবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পিএসসি যাদের নিয়োগের সুপারিশ করেছে, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৩ জন পুরষ এবং ৭৪৪ জন নারী।

এদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে প্রশাসনে ২৮৫ জন, পররাষ্ট্রে ২০, পুলিশ ১৯১, নিরীক্ষা ও হিসাব ৪১, আনসার ৪৪, শুল্ক ও আবগারীতে ৫৪, সমবায়ে ৮, খাদ্য ১০, পরিবার পরিকল্পনা ১৯, ডাক ৬, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক ৫, কর ৩৫, বাণিজ্য ২, ইকনমিক ২৫ এবং তথ্যে ২০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে পিএসসি।

প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারের কৃষিতে ৫৮ জন, মৎস্যে ৫৬, খাদ্যে ২, স্বাস্থ্যে ৫৭০, তথ্যে ৫, সড়ক ও জনপথে ৪২, রেলওয়ে প্রকৌশলে ২৪, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে ১৯, গণপূর্তে ২৬, পরিসংখ্যানে ১৪, পশু সম্পদে ১৮৫ এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৫৮৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও 'তথ্য বিভ্রাট ও প্রশাসনিক' কারণে ১৩ জনের সুপারিশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে পিএসসি।

গত বছরের ৩০ জুলাই এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং চলতি বছর লিখিত পরীক্ষা হয়।

ঈদে ট্রেনযাত্রীদের সমস্যা হবে না: মন্ত্রী

Posted by methun

নরসিংদীর ঘটনায় ট্রেন চলাচল পরিস্থিতি বিঘিœত হলেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।

ঈদ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলের বিশেষ সার্ভিস পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী দু-একদিনের মধ্যে' পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়ে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, নরসিংদীর ঘটনায় ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচল বিঘিœত হলেও অন্য রুটে চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও কিছু সমস্যা থাকলে তা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকালে এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এতে ট্রেনের ৯টি বগি পুড়ে যায়।

ট্রেনে অগ্নিসংযোগ এবং অবরোধের কারণে বুধবার ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের রেল যোগাযোগ এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে। রাতে ট্রেন চলাচল আবার শুরু হলেও এর রেশ থাকে বৃহস্পতিবার সকালেও।

আবুল হোসেন জানান, এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো মেরামতে ২ কোটি টাকার মতো খরচ হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে সাত জোড়া বিশেষ সার্ভিস ছাড়াও ৩৬টি ব্রডগেজ এবং ২০টি মিটারগেজ বগি মেরামত করে যাত্রী পরিবহণে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে যাত্রীদের সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী।

অন্যদের মধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের রেলবিভাগের সচিব মো. ফজলে কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আবু তাহেরসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

Posted by methun

নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন টেকবাজার এলাকা থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মুনির উদ্দিন পাটেয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি টেকবাজার পোল এলাকায় ডা. তানজিম মাহমুদ নাম নিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে রোগী দেখে আসছিলেন।

মুনিরের বাবার নাম সিরাজুদ্দিন পাটোয়ারী। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকার দক্ষিণ ভুতুয়া গ্রামে।

চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিথ্যা পরিচয়ে মুনির টেকবাজার পোল এলাকায় একটি ফার্মেসিতে রোগী দেখতেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ডিগ্রি না থাকলেও নামের সঙ্গে এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), পিজিটি চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের পরিচয় ব্যবহার করতেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত মুনিরের বিরুদ্ধে ফেনীর পরশুরাম থানায় ২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

মুনির পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি ফেনী সরকারি কলেজ থেকে øাতক পাস করেছেন।

এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় মুনিরের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

Posted by methun

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন।

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে স্বাগত জানান।

বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তার সা¤প্রতিক জার্মানিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন এবং অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে যোগদান সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, "শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার সঙ্গে 'সহযোগিতা চুক্তি' সই

Posted by methun

রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে 'সহযোগিতা চুক্তি' করেছে বাংলাদেশ।

এ চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ কাজ, জনশক্তি উন্নয়ন ও আইনি কাঠামো তৈরিসহ বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে রাশিয়া।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে এই চুক্তিতে সই করেন ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই ভি কিরিয়েঙ্কো ।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এই চুক্তির আওতায় রূপপুরে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে ১ হাজার মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থাকবে।

জাপানের ফুকোশিমা দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে রূপপুরে সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, "আমরা এ সরকারের সময়েই নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।"

পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এই নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে।

নিরাপত্তা

কিরিয়েঙ্কো বলেন, এ চুক্তির আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ, ব্যবহৃত জ্বালানি ফিরিয়ে নেওয়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থায়ন, আইনি কাঠামো তৈরি করা এবং নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে বলা হয়েছে।

"সাধারণ চুক্তিতে কেবল নির্মাণ কাজের অংশটুকুই থাকে", ব্যাখ্যা করেন তিনি।

রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, "ফুকোশিমা দুর্ঘটনার পর নতুন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা নতুন নকশায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবো। এতে পাঁচটি নতুন ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।"

নির্মাণ ব্যয়

এই পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতো ব্যয় হবে জানতে চাইলে কিরিয়েঙ্কো বলেন, "সম্ভাব্য খরচ বের করতে হলে কিছু কারিগরি দিক চূড়ান্ত করতে হবে। তাই প্রকল্প ব্যায় জানাতে আরও সময় লাগবে।"


তিনি জানান, রুশ সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ঋণ দেবে। অর্থায়ন নিয়ে পরে চুক্তি হবে।

একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর খরচ উঠে আসতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে।

নির্মাণ

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগে।

কিরিয়েঙ্কো বলেন, "চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার নকশাতেই এ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আমরা রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশে ২৯টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছি। একই নকশা এখানেও ব্যবহৃত হবে।

এই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও যুক্ত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জ্বালানি

কিরিয়েঙ্কো জানান, পরমাণু বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া। ব্যবহৃত হওয়ার পর জ্বালানি ফেরতও নেবে তারা।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক গ্রাম ইউরোনিয়াম থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে হলে তিন টন কয়লা লাগবে।

মানবসম্পদ

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া।

কিরিয়েঙ্কো বলেন, "আগামী বছর থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।"

এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ২০০৯ সালের ১৩ মে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২১ মে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ বছরের পহেলা অগাস্ট মন্ত্রীসভা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করে। ৩১ অক্টোবর অনুমোদন করা হয় নিরাপত্তা ও আইনি রূপরেখা উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি।

বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার পক্ষে অধিকাংশ আইএমএফ পরিচালক

Posted by methun

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সম্প্রসারিত ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশকে একশ' কোটি ডলার দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের ২৪ সদস্যের অনেকেই।

গত ২৮ অক্টোবর আইএমএফের নির্বাহী পরিষদ বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে এ বিষয়ে মতামত দেয়।

এতে বলা হয়, "রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে (বাংলাদেশে) ঋণ সহায়তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের পক্ষে মত দিয়েছেন অনেক পরিচালক।"

গত মাসে ওয়াশিংটনে আইএমএফের বার্ষিক সভায় অংশ নেওয়ার পর দেশে ফিরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেছিলেন, এই ঋণের ব্যাপারে আইএমএফের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এই ঋণ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।

গভর্নর বলেন, "এই স¤প্রসারিত ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। এটা ভালো ঋণ। এ ঋণ নিয়ে আমরা গত কিছুদিন ধরে আলোচনা করছি এবং ইতিবাচক ফল আশা করছি। আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।"

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কিছুদিন আগে এক হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় দেশে লেনদেনের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অবশ্য কয়েকদিন পর রিজার্ভ আবারো এক হাজার ডলারের ওপরে ওঠে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রত্যেকটি দেশের হাতে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রা মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু আইএমএফ পরিচালকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে যে ডলার থাকবে তা দিয়ে ২ দশমিক ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে চাপে না ফেলে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের মাধ্যমে ভর্তুকির পরিমাণ কীভাবে কমিয়ে আন যায়, তার একটি কৌশল প্রণয়নের ওপরও জোর দিয়েছে আইএমএফ।

জ্বালানি আমদানি এবং ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনায় চলতি অর্থবছর ভর্তুকি বাবদে সরকারের ব্যয় বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে।

আইএমএফের মতামতে বলা হয়, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ও সুশাসন খুবই জরুরি।

ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে সাবেক উপদেষ্টা মতিনকে

Posted by methun

একটি ক্ষতিপূরণ মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম এ মতিন এবং সাবেক নৌ পরিবহন সচিব শেখ মোতাহার হোসেনকে মোট ২৫ কোটি টাকা পরিশোধের আদেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রামের বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদাত হোসেন সেলিমের দায়ের করা মামলার রায়ে ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ মোহসিনুল হক বৃহস্পতিবার সকালে এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, মতিন ও মোতাহারকে ক্ষতিপূরণের ২৫ কোটি টাকাসহ বাদীর মামলা পরিচালনার যাবতীয় খরচও পরিশোধ করতে হবে। তারা এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে সেই অর্থ বাদীকে পরিশোধ করা হবে। সেটাও সম্ভব না হলে বাদী ওই দুই জনকে দেওয়ানী কারাগারে বন্দি রাখার আবেদন করতে পারবেন।

এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদাত হোসেন সেলিম ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

এতে তিনি অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মতিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের সময় চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) অপারেটর নিয়োগের জন্য ডাকা একটি দরপত্র বেআইনি ও অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছিল। এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ সর্বনিু দরদাতা হলেও তাদের কাজটি দেওয়া হয়নি। এতে এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের ২৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

দরপত্র বাতিলের ক্ষেত্রে মতিন ও সাবেক সচিব মোতাহারের 'বিশেষ উদ্দেশ্য' ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করেন সেলিম।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মতিন বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত 'গুরুতর অপরাধ দমন সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মানব উন্নয়ন সূচক স্কোর বাড়লেও ১৭ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

Posted by methun

মানব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৭ ধাপ পিছিয়েছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এই সূচকে বিশ্বের ১৮৭টি দেশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ 'স্কোর' নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৪৬তম। গত বছর শূন্য দশমিক ৪৯৬ স্কোরে বাংলাদেশ বিশ্বে ১২৯তম স্থানে ছিল।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বুধবার ইউএনডিপির এই মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আর বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশটি। বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর এস্তেফান প্রিসনার অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

এবারের মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান শ্রীলঙ্কা (৯৭), মালদ্বীপ (১০৯), ভারত (১৩৪), ভুটান (১৪১) পাকিস্তানের (১৪৫) চেয়েও পেছনে। কেবল নেপাল (১৫৭) ও আফগানিস্তানই (১৭২) এ দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে।

তবে আগামী বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে ইউএনডিপির প্রতিবেদনে। বিশেষ করে এ বছর লিঙ্গ বৈষম্য এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

চলতি বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দেখানো হয়েছে ৬৮ দশমিক ৯ বছর। আর মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় (জিএনআই) দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৫২৯ ডলার।

মানব উন্নয়ন সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ নরওয়ের এবারের স্কোর শূন্য দশমিক ৯৪৩। শূন্য দশমিক ৯২৯ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় এবং শূন্য দশমিক ৯১০ স্কোরে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

এবারের সূচকে সবার নিচে, অর্থাৎ ১৮৭তম অবস্থানে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৮৬।

'জাতিকে নেতৃত্বহীন করতে জেলহত্যা'

Posted by methun

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কলংকময় দিন ৩ নভেম্বর। ৩৬ বছর আগে এই দিনে চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ওই দিনটি অভিহিত হয় জেলহত্যা দিবস হিসেবে।

১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান চলে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরপরই তার ঘনিষ্ঠ এ চার রাজনৈতিক সহকর্মীকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩ নভেম্বর কারাগারেই এ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ নেতাদের কারাগারে হত্যার ঘটনাটি বিশ্বে নজিরবিহীন।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

'<ন>জাতিকে নেতৃত্বহীন করতে এ হত্যা'

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, "স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।"

"ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। তাই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে জেলহত্যা দিবস এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।" বাণীতে বলেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, "কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতারই অংশ।"

"এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।"

"চক্রান্তকারী এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হাত পা গুটিয়ে বসে নেই।" বলে বাণীতে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, "তারা এদেশে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বারবার হামলা চালিয়েছে।"

<ন>মামলা ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশের তখনকার ডিআইজি আবদুল আওয়াল মোসলেমউদ্দিনসহ এ ঘটনায় একটি মামলা করেন।

দীর্ঘ ২৩ বছর মামলাটি কার্যত হিমাগারে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি মোসলেমউদ্দিন ও লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ৬ বছর মামলার বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় দেন।

রায়ে পলাতক তিন আসামির ফাঁসি, কর্নেল ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ ও বজলুল হুদাসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেএম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট রিসালদার মোসলেহউদ্দিনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ এবং দফাদার আবুল হোসেন মৃধাকে খালাস দেয়। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বরখাস্ত লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর মো. বজলুল হুদা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহম্মদকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। অন্য পলাতক আসামিরা আপিল না করায় হাইকোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে।

জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম  বলেন, "এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ লিভ পিটিশন গ্রহণ করেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হবে।"

প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।

এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বনানী কবরস্থানে ১৫ অগাস্টে নিহতদের ও জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। একই সময়ে রাজশাহীতে কামরুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে (িি.িধষনফ.ড়ৎম) সরাসরি স¤প্রচার করা হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেল হত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের সব শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Lokman buried after huge send-off

Posted by methun

Narsinghdi mayor Lokman Hossain has been buried at the municipality graveyard.

He was buried after two namaj-e-janaza, one at Moslehuddin Bhuyian Stadium after Asr prayers and another at municipality Eidgah on Wednesday.

A number of central leaders of Awami League, including joint general secretary Mahbub-ul-Alam Hanif, joined the funeral prayers at the stadium along with people from several upazilas of Narsinghdi.

Lokman, the general secretary of Narsinghdi town Awami League, was shot dead in the town by masked miscreants on Tuesday night.

People of Narsingdi blocked the Dhaka-Sylhet highway and the railway linking Dhaka with Sylhet and Chittagong for hours. They also set fire on six bogeys of a Dhaka-Kishoreganj passenger train.

Bangladesh Chhatra League, the student wing of ruling Awami League, is enforcing a 72-hour general strike in Narsinghdi to protest against the murder.

Shops and business organisations were shut on Wednesday morning. Activists of ruling Awami League and associate organisations took out processions demanding arrest and punishment of the assailants.

The organisers, however, said the first day's protest would not be that tight to facilitate the burial.

Additional police forces have been deployed in the area to control the situation. Deputy inspector general (DIG) of police's Dhaka range M H Nuruzzaman, Rapid Action Battalion-11 additional DIG Mostofa Kamal reached Narsinghdi overnight to keep a close watch on the situation.

Lokman Hossain was the president of Bangladesh Textile Mill Owners Association and Bangladesh Mayor Association. He was twice awarded the gold medal for best mayor.

He left behind two children, a daughter and a son.

District Awami League will observe a three-day mourning. On Friday religious observations will be held for Lokman and a protest rally will follow in the evening.

BNP Narsinghdi unit chief and central education secretary Khairul Kabir Khokon was arrested from Dhaka early on Wednesday, hours after Lokman's death.

Persona probe not done in a month

Posted by methun

The police investigation committee into the Persona affair has sought a fourth extension to its deadline.

Gulshan zone deputy commissioner Lutfur Kabir told  on Wednesday that the team had asked for another 10 days to look into the illicit use of CCTV cameras at the popular beauty parlour chain.

The team, which was formed on Oct 3, is led by Gulshan zone additional deputy commissioner Nizamul Hauqe Molla. The other two members are assistant commissioners Mizanur Rahman and Nurul Alam. They were initially given three days to submit a report.

The panel had the deadline stretched by five days each in two phases on Oct 5 and 13, before getting another extension, this time by 10 days, on Oct 20.

When asked why the probe was not complete even after a month, Lutful Kabir said, "One of the members had to go to a special training during the investigation. When he returned he was assigned to the Narayanganj elections.

"Right now another member is in Saudi Arabia for hajj," he added.

A doctor who went to the parlour's Banani Road 11 branch on Sep 30 for a spa found a CCTV in her dressing room after she used it.

The woman made a verbal complaint with police and the media for filming her.

The following day Persona owner Kaniz Almas told that the cameras were there for security reasons and she did not think they were violating anyone's privacy.

The revelation caused much uproar in the media, social networking sites and blogs about the use of CCTV cameras at beauty parlours.

The High Court ordered the government on Oct 10 to take out all such cameras following a writ petition filed by Bangladesh Human Rights Foundation.