নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকসুর সাবেক জিএস ও দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ ছাড়া ওই ঘটনায় সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে তার মুক্তি দাবি করেছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগ নেতা ও নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হয়েছেন। অথচ সরকার উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই খোকনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও এখন তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি খোকনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান ও মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও তার অবস্থান জানতে পারছি না। আমরা পত্রিকায় জানতে পেরেছি নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যার ঘটনা তাদের দলীয় কোন্দল। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু খোকনকে গ্রেফতারের কোনো কারণ খুঁজে পাই না। শিরিন সুলতানা বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হলেও সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে আটকের কারণে আমরা উৎকণ্ঠিত।' সরকারের পক্ষ থেকে তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানানো হচ্ছে না অভিযোগ করে শিরিন সুলতানা বলেন, খোকন রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর গুলিবিদ্ধ মেয়র লোকমানকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে বাসায় এসে ঘুমিয়েছিলেন। তার পৌনে ৩টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাসায় আসে। আমি তাদেরকে বলি খোকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাকে কেন নিয়ে যাবেন? পুলিশ বলে কোনো অসুবিধা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সকালে ডিবি অফিসে যাওয়া হলে সেখানে নেই বলে জানান কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহিলা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা শেষে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে দলটি।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, মজিবুর রহমান সরোয়ার এমপি, হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এম ইলিয়াস আলী বলেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নরসিংদীর মেয়র খুন হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই ঘটনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে দায়ী করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে রাজুকে গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে খোকনকে ছেড়ে দেওয়ারও দাবি করেন তিনি।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল : ডাকসুর সাবেক জি এস ও '৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে মিছিলটি শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সিনিয়ন সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ওমর ফারুক সাফিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, জাভেদ হাসান স্বাধীন, মাহবুবুর রশিদ মাহবুব, বিল্লাল হোসেন তারেক, মহিদুল হাসান হিরু, আবুল মনসুর খান দিপক, জাকির হোসেন খান, সাইদুর রহমান রয়েল প্রমুখ।
এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাসসহ অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগ নেতা ও নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হয়েছেন। অথচ সরকার উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই খোকনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও এখন তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি খোকনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান ও মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও তার অবস্থান জানতে পারছি না। আমরা পত্রিকায় জানতে পেরেছি নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যার ঘটনা তাদের দলীয় কোন্দল। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু খোকনকে গ্রেফতারের কোনো কারণ খুঁজে পাই না। শিরিন সুলতানা বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হলেও সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে আটকের কারণে আমরা উৎকণ্ঠিত।' সরকারের পক্ষ থেকে তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানানো হচ্ছে না অভিযোগ করে শিরিন সুলতানা বলেন, খোকন রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর গুলিবিদ্ধ মেয়র লোকমানকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে বাসায় এসে ঘুমিয়েছিলেন। তার পৌনে ৩টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাসায় আসে। আমি তাদেরকে বলি খোকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাকে কেন নিয়ে যাবেন? পুলিশ বলে কোনো অসুবিধা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সকালে ডিবি অফিসে যাওয়া হলে সেখানে নেই বলে জানান কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহিলা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা শেষে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে দলটি।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, মজিবুর রহমান সরোয়ার এমপি, হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এম ইলিয়াস আলী বলেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নরসিংদীর মেয়র খুন হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই ঘটনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে দায়ী করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে রাজুকে গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে খোকনকে ছেড়ে দেওয়ারও দাবি করেন তিনি।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল : ডাকসুর সাবেক জি এস ও '৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে মিছিলটি শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সিনিয়ন সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ওমর ফারুক সাফিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, জাভেদ হাসান স্বাধীন, মাহবুবুর রশিদ মাহবুব, বিল্লাল হোসেন তারেক, মহিদুল হাসান হিরু, আবুল মনসুর খান দিপক, জাকির হোসেন খান, সাইদুর রহমান রয়েল প্রমুখ।
এদিকে খোকনকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাসসহ অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি দেওয়া হয়।
0 comments:
Post a Comment