বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কলংকময় দিন ৩ নভেম্বর। ৩৬ বছর আগে এই দিনে চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ওই দিনটি অভিহিত হয় জেলহত্যা দিবস হিসেবে।
১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান চলে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরপরই তার ঘনিষ্ঠ এ চার রাজনৈতিক সহকর্মীকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩ নভেম্বর কারাগারেই এ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ নেতাদের কারাগারে হত্যার ঘটনাটি বিশ্বে নজিরবিহীন।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
'<ন>জাতিকে নেতৃত্বহীন করতে এ হত্যা'
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।"
"ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। তাই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে জেলহত্যা দিবস এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।" বাণীতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, "কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতারই অংশ।"
"এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।"
"চক্রান্তকারী এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হাত পা গুটিয়ে বসে নেই।" বলে বাণীতে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "তারা এদেশে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বারবার হামলা চালিয়েছে।"
<ন>মামলা ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশের তখনকার ডিআইজি আবদুল আওয়াল মোসলেমউদ্দিনসহ এ ঘটনায় একটি মামলা করেন।
দীর্ঘ ২৩ বছর মামলাটি কার্যত হিমাগারে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি মোসলেমউদ্দিন ও লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ৬ বছর মামলার বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় দেন।
রায়ে পলাতক তিন আসামির ফাঁসি, কর্নেল ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ ও বজলুল হুদাসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেএম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট রিসালদার মোসলেহউদ্দিনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ এবং দফাদার আবুল হোসেন মৃধাকে খালাস দেয়। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বরখাস্ত লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর মো. বজলুল হুদা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহম্মদকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। অন্য পলাতক আসামিরা আপিল না করায় হাইকোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে।
জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, "এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ লিভ পিটিশন গ্রহণ করেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হবে।"
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বনানী কবরস্থানে ১৫ অগাস্টে নিহতদের ও জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। একই সময়ে রাজশাহীতে কামরুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে (িি.িধষনফ.ড়ৎম) সরাসরি স¤প্রচার করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেল হত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের সব শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরবর্তী সময়ে ওই দিনটি অভিহিত হয় জেলহত্যা দিবস হিসেবে।
১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান চলে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরপরই তার ঘনিষ্ঠ এ চার রাজনৈতিক সহকর্মীকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩ নভেম্বর কারাগারেই এ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ নেতাদের কারাগারে হত্যার ঘটনাটি বিশ্বে নজিরবিহীন।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
'<ন>জাতিকে নেতৃত্বহীন করতে এ হত্যা'
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।"
"ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। তাই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে জেলহত্যা দিবস এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।" বাণীতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, "কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতারই অংশ।"
"এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।"
"চক্রান্তকারী এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হাত পা গুটিয়ে বসে নেই।" বলে বাণীতে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "তারা এদেশে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বারবার হামলা চালিয়েছে।"
<ন>মামলা ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশের তখনকার ডিআইজি আবদুল আওয়াল মোসলেমউদ্দিনসহ এ ঘটনায় একটি মামলা করেন।
দীর্ঘ ২৩ বছর মামলাটি কার্যত হিমাগারে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি মোসলেমউদ্দিন ও লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ৬ বছর মামলার বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় দেন।
রায়ে পলাতক তিন আসামির ফাঁসি, কর্নেল ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ ও বজলুল হুদাসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেএম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট রিসালদার মোসলেহউদ্দিনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ এবং দফাদার আবুল হোসেন মৃধাকে খালাস দেয়। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বরখাস্ত লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর মো. বজলুল হুদা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহম্মদকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। অন্য পলাতক আসামিরা আপিল না করায় হাইকোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে।
জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, "এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ লিভ পিটিশন গ্রহণ করেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হবে।"
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বনানী কবরস্থানে ১৫ অগাস্টে নিহতদের ও জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। একই সময়ে রাজশাহীতে কামরুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে (িি.িধষনফ.ড়ৎম) সরাসরি স¤প্রচার করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেল হত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের সব শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
0 comments:
Post a Comment