SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

দেখে-শুনে আশ্বাস দিয়ে গেলেন ব্রিটিশ এমপি

Posted by methun

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে নিজ দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী এবং লেবার পার্টির এমপি ইভান লুইস।

সিডর ও আইলা দুর্গত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি।

জলবায়ু তহবিলের অর্থ যথাযথভাবে ছাড় না হওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করতে উন্নত দেশগুলোর আগ্রহ কম থাকার বিষয়টিরও সমালোচনা করেন লুইস।

তিনি বলেন, "সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মনোবল ও স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার আগ্রহ দেখেছি। আমার মনে হয়, আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে। তবে এজন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।"

জলবায়ু তহবিলের ৩ হাজার কোটি ডলারের মধ্যে মাত্র ৩০০ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে আরো দ্রুত অর্থ ছাড় হওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করতে উন্নত দেশগুলোর আরো এগিয়ে আসা উচিৎ।"

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

হীরণের যৌতুক চাওয়ার ঘটনার তদন্ত

Posted by methun

শিক্ষক শওকত আলী খান হীরণ ও তার ফুপুর বিরুদ্ধে ওঠা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ তদন্ত করেছেন দুই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

পটুয়াখালীর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাদের  জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার করা তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বরগুনা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি ফারজানা ইয়াসমিনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন তিনি।

গত শুক্রবার বিয়ের আসরে স্বামী হীরণকে তালাক দেন বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা ফারজানা। তার বক্তব্য, যৌতুক চাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফারজানা বলেন, হীরণের ফুপু তাহমিনা খানম যৌতুক দাবি করেন, আর তা সমর্থন করেন হীরণ।

হীরণের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। তিনি কলাপাড়ার উত্তর চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার ফুপু তাহমিনা ওই উপজেলারই নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ফারজানার সাহসী ভূমিকার জন্য তাকে অভিনন্দিত করেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ফারজানা ও হীরণের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এই তদন্ত করেন।

পটুয়াখালীর শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পেলেই ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে যৌতুক দাবি করায় হীরণ ও তার ফুপুর শাস্তির দাবিতে বুধবার সকালে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্থানীয় নজরুল স্মৃতি সংসদ।

রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক মুদ্রা

Posted by methun

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষ জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক রৌপ্য নির্মিত একটি স্মারক মুদ্রা ছাড়ছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী ২৬ নভেম্বর এই স্মারক মুদ্রার অবমুক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রথমদিন মিরপুর বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমী থেকে কাঠের বাক্সসহ ওই স্মারক মুদ্রা সংগ্রহ করা যাবে।

এ ছাড়া পরের দিন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ ব্যাংকের সব শাখা অফিস এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকায় মুদ্রাটি যে কেউ নিতে পারবেন।

মুদ্রার এক পিঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি এবং প্রতিকৃতির উপরে ও নিচে বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষায় 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী-২০১১' লেখা রয়েছে। এ ছাড়া বাম দিকে ইংরেজিতে মুদ্রিত রয়েছে ১০ ও দশ টাকা।

মুদ্রার অপর পিঠে 'হে নতুন দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ'- এ পংক্তিটি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাক্ষর, বাংলায় ও ইংরেজিতে 'বাংলাদেশ ব্যাংক' কথাটিও লেখা রয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সংলাপ পারে মতভেদ দূর করতে: বান কি মুন

Posted by methun

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপের ওপরই জোর দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে কারিগরি সহায়তা দিতে জাতিসংঘ তৈরি জানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেই তা দেওয়া হবে।

ঢাকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে নিজের কথা বলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই বান কি মুন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তার আগ্রহ দেখালেন।

২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা তৈরিতে অর্থ সহায়তা করেছিলো জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "আমি ২০০৮ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে এদেশে এসেছিলাম। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সামরিক সরকারকে বলেছিলাম, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে।"

চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকেও একই কথা বলেছেন বলে জানান বান কি মুন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "আমি জানি এ বিষয়ে মতের ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমি মনে করি, এটি আপনাদের বিষয় এবং আপনাদেরই পছন্দের ব্যাপার।"

এ বিষয়ে মতপার্থক্য অবসানে রাজনৈতিক সংলাপ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল।

বান কি মুন বলেন, "সংলাপের মাধ্যমে যে কোনো বিরোধের নিষ্পত্তি সম্ভব। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘ কাজ করতে চায়।"

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ক্ষেত্রে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। "তবে এরপরও ভবিষ্যতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে," বলেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলো বিবাদের পথ ছেড়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাবেন।"

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের জন্য বান কি মুন বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এদেশের ১০ হাজার ৬০০ জন শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। একশ'র বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সদস্যদের চাহিদার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

"পূর্ব তিমুর সফরে সেখানকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান আমার কাছে বাংলাদেশি সদস্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশি সদস্যরা শুধু মানুষের জীবন রক্ষায় সাহসি ভূমিকা রাখছেন না, সেই সঙ্গে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন।"

জনসাধারণের জন্য সরকারের বিনিয়োগের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ প্রতিশ্র"তিবদ্ধ।"

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব সিরিয়া ও লিবিয়া প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উচিত নিজের জনগণকে হত্যার পথ ত্যাগ করা।

"এটি শুধু আমার জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে," বলেন তিনি।

লিবিয়ার বিষয়ে বান কি মুন বলেন, লিবিয়ায় বর্তমান নেতারা দেশটিকে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে গত রোববার ঢাকা পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব। বাংলাদেশে এটা তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০০৮ সালের নভেম্বরে দুই দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

সিলেটে বিদ্যুৎ অফিসের উপপরিচালককে পেটালেন সিবিএ নেতারা

Posted by methun

সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক।

উপপরিচালক (হিসাব) মো. লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, নিয়মবর্হিভূতভাবে ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে ঋণ না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে সিবিএ নেতারা তাকে মারধর এবং অফিস তছনছ করে।

নগরীর বাঘবাড়ি এলাকার বিউবো কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

লুৎফর বলেন, জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের এমএলএসএস আজির উদ্দিন ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে এর আগে আট বার ঋণ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, "মঙ্গলবার জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ সিলেট-সুনামগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান ও বিউবো-১ এর বাবুর্চি বদরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে আজির উদ্দিন আমার অফিসে আসে।

"এ সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে আজির উদ্দিনকে আবার ঋণ দিতে জাহাঙ্গীর ও বদরুল চাপ দেয়। এতে অপারগতা জানালে তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং অফিসের আসবাবপত্র ও ফাইলপত্র তছনছ করে।"

তবে জাহাঙ্গীর খান দাবি করেছেন, ঋণের জন্য সুপারিশ করতে গেলে উপপরিচালকই তাদের মারতে উদ্যত হন।

উপপরিচালককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

তবে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক জুবের খান বলেন, আজির উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে জাহাঙ্গীর খান ও তার লোকজন উপপরিচালক লুৎফুর রহমানকে লাঞ্ছিত ও অফিস তছনছ করেছেন।

এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক দাবি করে তিনি অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন।

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান আলী জানান, উপপরিচালককে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উপপরিচালক বলেছেন, তিনি তিন জনকে আসামি করে মামলা করবেন।

দশ ট্রাক অস্ত্র নিজামী-বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

Posted by methun

চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামী ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

দুই দিন শুনানির পর মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা এবং সিনিয়র বিশেষ জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

আগামী ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার শুরুর দিন রেখেছেন তিনি।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই'র সাবেক দুই প্রধানসহ ১১ আসামি এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে। তদন্তের পর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা একটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

বেশ কয়েকবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর সিআইডি'র সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী গত জুনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে নিজামী, বাবর ও এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধানসহ নতুন ১১ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা মঙ্গলবার।

এই ১১ জন হলেন- এনএসআইর তৎকালীন ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফা নেতা পরেশ বড়–য়া।

এদের মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফানেতা পরেশ বড়–য়া পলাতক রয়েছেন।

সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত নয় আসামি ছাড়াও আগের চার্জশিটে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সোম ও মঙ্গলবার আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি (১) (ডি) ধারায় দুটি অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলাকে 'চাঞ্চল্যকর' উল্লেখ করে কামাল বলেন, আসামিপক্ষ বলেছে তাদের মক্কেলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছে তারা।

তিনি বলেন, "সাতটি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। অধিকতর তদন্তে রাজনৈতিক ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। এর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।"

সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্রুত এ মামলার বিচার কাজ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, অভিযোগ গঠনের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবরের আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া  বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকার পরও অভিযোগ গঠন হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় মহানগর দায়রা জজ মজিবুর রহমান বলেন, রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো আসামিকে দোষী বলা যাবে না। সাক্ষীর বক্তব্য শোনা ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ারও সুযোগ নেই।

৯ আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান মামলার অভিযোগ গঠন করেন তিনি।

এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হলেও পরে মামলা দুটিতে অধিকতর তদন্ত হয়।

আগের ও সম্পূরক অভিযোগপত্র মিলিয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় আসামির সংখ্যা হয়েছে ৫০ জন। আর চোরাচালান মামলায় আসামি ৫২ জন।