SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

সংলাপ পারে মতভেদ দূর করতে: বান কি মুন

Posted by methun

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপের ওপরই জোর দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে কারিগরি সহায়তা দিতে জাতিসংঘ তৈরি জানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেই তা দেওয়া হবে।

ঢাকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে নিজের কথা বলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই বান কি মুন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তার আগ্রহ দেখালেন।

২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা তৈরিতে অর্থ সহায়তা করেছিলো জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "আমি ২০০৮ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে এদেশে এসেছিলাম। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সামরিক সরকারকে বলেছিলাম, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে।"

চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকেও একই কথা বলেছেন বলে জানান বান কি মুন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "আমি জানি এ বিষয়ে মতের ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমি মনে করি, এটি আপনাদের বিষয় এবং আপনাদেরই পছন্দের ব্যাপার।"

এ বিষয়ে মতপার্থক্য অবসানে রাজনৈতিক সংলাপ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল।

বান কি মুন বলেন, "সংলাপের মাধ্যমে যে কোনো বিরোধের নিষ্পত্তি সম্ভব। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘ কাজ করতে চায়।"

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ক্ষেত্রে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। "তবে এরপরও ভবিষ্যতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে," বলেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলো বিবাদের পথ ছেড়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাবেন।"

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের জন্য বান কি মুন বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এদেশের ১০ হাজার ৬০০ জন শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। একশ'র বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সদস্যদের চাহিদার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

"পূর্ব তিমুর সফরে সেখানকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান আমার কাছে বাংলাদেশি সদস্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশি সদস্যরা শুধু মানুষের জীবন রক্ষায় সাহসি ভূমিকা রাখছেন না, সেই সঙ্গে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন।"

জনসাধারণের জন্য সরকারের বিনিয়োগের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ প্রতিশ্র"তিবদ্ধ।"

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব সিরিয়া ও লিবিয়া প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উচিত নিজের জনগণকে হত্যার পথ ত্যাগ করা।

"এটি শুধু আমার জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে," বলেন তিনি।

লিবিয়ার বিষয়ে বান কি মুন বলেন, লিবিয়ায় বর্তমান নেতারা দেশটিকে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে গত রোববার ঢাকা পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব। বাংলাদেশে এটা তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০০৮ সালের নভেম্বরে দুই দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

0 comments:

Post a Comment