SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

GP broke more rules: BTRC

Posted by methun

The telecom regulator says it has evidence that Grameenphone has violated 22 rules.

Bangladesh Telecommunications Regulatory Commission (BTRC) had a meeting with the National Board of Revenue (NBR) representatives on Wednesday on how to recover Tk 8.87 billion that Grameenphone owed NBR, BTRC chairman Zia Ahmed said.

"Grameenphone's audit report shows it broke six rules, and we have evidence it broke 16 other rules," he said. However, he refused to reveal what these violations were, saying, "They'll be made public in time."

Ahmed brought up once again the allegation of one million additional SIMs, saying the revenue generated from the calls made on those SIMs was being evaded.

"The two government agencies will try to recover their money together."

"We have shown enough consideration," Ahmed said, "On Tuesday we sent another letter inviting them to talks."

GP was yet to reply to this letter, he added. In that letter, the telecoms regulator reminded the country's largest mobile-phone operator of the 21-day deadline ending on Oct 24 for a meeting.

Acknowledging the receipt of the letter, GP's chief communication officer Kazi Monirul Kabir told bdnews24.com on Tuesday, "We will let them know about our position on Wednesday."

In the letter, BTRC did not mention anything about GP's conditions including the withdrawal of the first letter.

GP was told to bring necessary documents on their objections to the audit.

Following a letter from BTRC on Oct 3 to pay up Tk 30.34 billion in dues, the leading telecom operator said the audit conducted by the regulator was erroneous.

The day after receiving the letter, GP in a news conference said the government told them to pay the money based on a wrong audit.

GP claimed that the audit firm engaged by BTRC did not follow national and international standards, despite their repeated objections.

BTRC on Oct 5 sent a letter to the company asking it to send a team on Oct 10 to discuss the audit and also to bring necessary documents on objections to the audit.

BTRC and GP officials sat on Monday where the operator requested the watchdog to withdraw their letter that asked to pay the dues, before they sit with necessary documents.

বিকল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফাঁদে পিডিবি

Posted by methun

বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হলেও ১৯টি ইউনিট বিকল থাকায় উৎপাদন কমেছে ১৬ শ' মেগাওয়াটের বেশি। ফলে লোড-শেডিং থেকে মুক্তি মিলছে না দেশবাসীর।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবীর বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল কেন্দ্রগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু ইউনিট শিগগিরই উৎপাদনে ফিরবে।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। গত আড়াই বছরে প্রায় অর্ধশত নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করা হয়েছে। এই সময়ে উৎপাদনে এসেছে ১৮টি। কিন্তু দেশের প্রায় ৭০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রের ১৯টি ইউনিট যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবির) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়াশাল কেন্দ্রের ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই নম্বর ইউনিট, একই কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াটের ছয় নম্বর ইউনিট, হরিপুর কেন্দ্রের ৩৩ মেগাওয়াটের তিন নম্বর ইউনিট, আশুগঞ্জ কেন্দ্রের ৬৪ মেগাওয়াটের এক নম্বর ইউনিট, একই কেন্দ্রের ১৫০ মেগাওয়াটের চার নম্বর ইউনিট, ২১০ মেগাওয়াটের চট্টগ্রামের রাউজান কেন্দ্র, ৪৫ মেগাওয়াটের বাঘাবাড়ীর ওয়েস্টমন্ট কেন্দ্র, ৩৩ মেগাওয়াটের ভোলা কেন্দ্র, ২১০ মেগাওয়াটের সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্র, ২০ মেগাওয়াটের সিলেট কেন্দ্র, ১২৫ মেগাওয়াটের বড়পুকুরিয়া তাপভিত্তিক কেন্দ্র, শাহজীবাজার কেন্দ্রের ৩০ মেগাওয়াটের পাঁচ ও ছয় নম্বর ইউনিট এবং ৩৫ মেগাওয়াটের আট নম্বর ইউনিট, ৬০ মেগাওয়াটের খুলনা কেন্দ্র, ৭৮ মেগাওয়াটের ঘোড়াশাল ম্যাক্স পাওয়ার প্লান্ট, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫০ মেগাওয়াটের তিন নম্বর ইউনিট এবং শিকলবাহা কেন্দ্রের ৬০ এবং ১৫০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান কেন্দ্র এবং শিকলবাহার দুটি কেন্দ্র গ্যাসের অভাবে বন্ধ রয়েছে বলে পিডিবি চেয়ারম্যান জানান।

এসব ইউনিটের মধ্যে একটি দুই বছরের বেশি, চারটি ইউনিট প্রায় দেড় বছর এবং বাকিগুলো মোটামুটি এক বছর বা তার কম সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওইদিন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলো ৩২৭৬ দশমিক ৫ মেগাওয়াট। এরপর নতুন নতুন কেন্দ্র চালু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে যোগ হয় ২ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গত ২৯ অগাস্ট দেশে রেকর্ড ৫ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

কিন্তু ২০০৯ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত বন্ধ হওয়া ইউনিটগুলোর কারণে উৎপাদন কমেছে ১৬ শ' মেগাওয়াটের বেশি। ফলে অংকের হিসাবে উৎপাদন আসলে বেড়েছে ৬ শ' মেগাওয়াটের মতো।

দেশে বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মেগাওয়াট। ফলে দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে সব সময়।

কর্মকর্তারা বলছেন, উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ দিতে পারছে না পিডিবি। ফলে লোডশেডিংও আশানুরূপ হারে কমছে না।

গত ১৮ অগাস্ট নিজ এলাকায় বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে আক্রমণ করে তীব্র ভাষায় বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমদ।

তিনি বলেন, ভোলার ৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হঠাৎ বন্ধ হওয়ার পর আর চালু হয়নি।

ঘন ঘন লোড-শেডিংয়ের প্রতিবাদে সোমবারও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া প্রায়ই দেশের বিভিন্ন স্থানে লোড-শেডিংয়ের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবীর মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "যান্ত্রিক ত্র"টি ও গ্যাস সংকটের কারণে এসব কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু কেন্দ্র শিগগির উৎপাদনে যাবে।"

তিনি জানান, সরকার ২০১৬ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

এর আওতায় সরকারি ও বেসরকারি খাতে ২০১০ সালে ৭৭৫ মেগাওয়াট, ২০১১ সালে ২ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট, ২০১২ সালে ১ হাজার ৯০১ মেগাওয়াট, ২০১৩ সালে ২ হাজার ১৭৪ মেগাওয়াট, ২০১৪ সালে ২ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট এবং ২০১৬ সালে ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

আলমগীর কবীর জানান, পরিকল্পনার অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৪৫টি বিদ্যুুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। আর এই সময়ে ১৮টি কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। বাকি ২৬টির নির্মাণ কাজ চলছে, যেগুলো ২০১৩ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শব্দ দূষণ: জরিমানা গুনলো আড়ং

Posted by methun

জেনারেটরের মাধ্যমে শব্দ দূষণ করায় কারুপণ্যের নামি প্রতিষ্ঠান আড়ংকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

একইসঙ্গে উত্তরায় আড়ং সেন্টারের কর্মকর্তাদের তলব করে জেনারেটর বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।

শব্দ দূষণের বিষয়টি স্বীকার করে আড়ং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরার ওই ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সড়কে আড়ং সেন্টারের বেজমেন্টে ৬৩৫ ও ৩৫০ কেভিএ ক্ষমতার দুটি ডিজেল জেনারেটর মারাত্মক শব্দ দূষণ করে আসছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল সোমবার পরীক্ষা করে দেখতে পান জেনারেটর দুটি ৭৪ থেকে ১০১ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ তৈরি করছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

উত্তরায় আড়ং সেন্টারের ম্যানেজার ইশতিয়াক মাহামুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা সোমবার পরিদর্শনে এসেছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুনীর চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার আড়ং কর্মকর্তাদের তলব করেন তিনি। কর্মকর্তারা তার কাছে স্বীকার করেন যে, ক্যানোপি না থাকায় জেনারেটর থেকে শব্দ দূষণ ঘটেছে। এরপর তাদের ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তারা জেনারেটর বন্ধ রাখার এবং দ্রুত 'প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা' নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বলেও উল্লেখ করেন মুনীর।

এ বিষয়ে আড়ংয়ের পরিচালক তামারা আবেদ মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, "গত মার্চে উত্তরায় ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট উদ্বোধনের সময় আমরা একটি ক্যানোপিসহ নতুন জেনারেটর বসিয়েছিলাম। কিন্তু ওই ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় অতি ব্যবহারে জেনারেটরটি সম্প্রতি বিকল হয়ে যায়। এ কারণে আমাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্যানোপি ছাড়া একটি জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে।

"আমরা জানি যে, এই জেনারেটরের কারণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। কোন পরিস্থিতিতে আমাদের এটা করতে হচ্ছে তা আমাদের ক্রেতা, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা অনুধাবন করতে পারবেন বলেই আশা করছি।"

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগী সংস্থা আড়ং ১৯৭৬ সালে মানিকগঞ্জে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৮টি আউটলেটে পোশাক, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন কারুপণ্য বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও তাদের তাদের একটি শাখা আছে।

পিন্টুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক

Posted by methun

আইনজীবী পরিচয় দিয়ে পিলখানা হত্যামামলার আসামি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর সঙ্গে কথা বলার সময় ঢাকার এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা মহানগরের চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার সকালে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে ঢাকার জজ আদালতের বিশেষ এজলাস থেকে নাহিদকে আটক করা হয়। পিলখানা হত্যামামলার শুনানি সেখানেই চলছে।

চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবী পরিচয় দিয়ে পিন্টুসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলার সময় নাহিদকে আটক করা হয়েছে। তিনি আসলে আইনজীবী নন।

নাহিদ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পিন্টুর সঙ্গে কথা বলার কথা স্বীকার করেছেন। নাহিদ দাবি করেছেন, তিনি সিটি ল কলেজে এলএলবি পড়ছেন।

আড়াই বছর আগের বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় সংঘটিত হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার এ বছরই ঢাকার জজ আদালতে শুরু হয়। বিদ্রোহের বিচার হয়েছে বিডিআর আদালতে।

এ মামলায় আসামির সংখ্যা ৮ শতাধিক হওয়ায় বিচারের সুষ্ঠুভাবে করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশেই এজলাস বসানো হয়েছে।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রতি শুনানির দিনে আসামিদের আদালতে আনা হয়। বুধবার আদালতে আনার পর পিন্টুসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই আটক হলেন নাহিদ।

বুধবার শুনানিতে মামলার তৃতীয় সাক্ষী কর্নেল আবু তাসলিমের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর সাক্ষ্য দেন চতুর্থ সাক্ষী কর্নেল শামসুল আলম চৌধুরী।

সাক্ষ্য দেওয়ার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শামসুলকে জেরা করেন। এরপর শুনানি ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেন বিচারক জহুরুল হক।

9 Shibir activists arrested

Posted by methun

Police have detained nine activists of Jamaat-e-Islami's student wing Islami Chhatra Shibir from Dhaka's Pallabi area when they were holding a meeting on a boat.

Pallabi police chief K M Shahabuddin told , "The ICS activists were detained on Monday night when they were meeting on a boat near Mirpur embankment."

He, however, declined to elaborate what charges they were detained on.

Those detained are Habibur Rahman, 26, Ahmed Ismail, 24, Shahadat Hossain, 25, Abdus Salam, 24, 'Muhibullah', 22, Barkat Ullah, 24, Abdullah Al Masud, 21, Nurul Islam, 21, and Abbas Uddin, 26.

The police chief added that they had been produced before the court.

Shahabuddin said he would be able to elaborate on whether they were tied to the Sep 19 clash between Jamaat activists and police if the court granted police custody to question them.

On Sep 19, activists of Jamaat-e-Islami and its student wing clashed with the police at Dhaka and Chittagong. In addition to attacking police personnel on that day, the activists also vandalised vehicles and property.

Many activists and leaders of Jamaat-e-Islami have been detained across the country since the Sep 19 incident, which police claim was pre-planned and aimed at creating anarchy.

Oli suggests cross-country sit-ins

Posted by methun

Liberal Democratic Party (LDP) president Oli Ahmed has asked BNP chairperson Khaleda Zia to organise sit-in programmes at 1,500 spots across the country simultaneously to remove the government from office.

"The government will be forced to quit by this sort of demonstration. The sit-in programmes will continue until the government steps down," Oli told a public meeting, also addressed by Khaleda, in Sylhet on Tuesday.

BNP-led four-party alliance organised the meeting at the city's Alia Madrasa ground after a road-march programme from Dhaka to Sylhet.

Oli said the government will be ousted by Khaleda's leadership soon.

LDP for the first time joined any public meeting organised by the four-party alliance. The party earlier announced to be with BNP in its move against the annulment of the caretaker government system.

Other LDP leaders, including Redwan Ahmed and Shahadat Hossain Selim, joined the march to Sylhet.

Oli mentioned BNP founder Ziaur Rahman's role during the Liberation War in Sylhet and said, "Sylhet was freed on Dec 14 under his leadership. [Khaleda] Zia started the programme to overthrow the government from Sylhet as she has a spiritual relationship with this city."

The opposition chief had begun her campaign for the ninth general elections from Sylhet in 2008.

BNP's ally Bangladesh Jatiya Party (BJP) chairman Andalib Rahman Partha harshly criticised the government's alleged corruption in the power sector during his speech.

He also demanded avenging the politicians for their harassment during this government's tenure.

Partha said, "I put my demand before the opposition leader: if you come to power, shackle the digital ministers of this government just like it has harassed politicians and chained the Jamaat-e-Islami leaders."

IVY, Osman centre NCC poll hype

Posted by methun

Ruling Awami League's lack of a decision over Narayanganj City Corporation nominations has seen Shamim Osman and Selina Hayat Ivy centring the discussions, even on the last withdrawal date for contenders.

Multiple meetings regarding these two AL leaders, over the last week, failed to bring any results and it was said that the matter would be cleared up on Wednesday with an understanding that either Ivy or Osman would withdraw their nominations.

However, a lack of consensus between the two mayoral contenders will lead to both competing, which ruling party activists and supporters believe would hike the chances for BNP-backed contender Taimur Alam Khandker to secure the mayoral post.

Former parliamentarian Osman and mayor of the defunct Narayanganj municipality Ivy's competition have also centred Tuesday's talks about the polls.

Both the Awami League members went to Ganabhaban, the prime minister's official residence, on Monday evening to seek blessings from the party president Sheikh Hasina. They sat in separate meetings

"Having two party candidates will split the votes," joint general secretary Mahbub-ul-Alam Hanif said after the meetings, "Winning the election will be difficult. So we've advised one of them to withdraw their candidacy."

However, despite the party's insistence, both candidates were adamant that they would win the vital Narayanganj City Corporation (NCC) mayor polls, a source within the party said.

The two have held several meetings with top leaders amid warnings from the Election Commission about party interference in the city elections, which are stipulated to be 'non-partisan'.

"According to the electoral code of conduct, we cannot back any candidate. Wait until Oct 12," the joint general-secretary said.

The deadline for withdrawing nominations is 5pm on Wednesday. Candidates can withdraw their papers from Chashara Shahid Zia Hall. The polls will be held on Oct 30.

All eight nomination papers submitted for the mayorship were approved by the EC along with 311 nominations for contest for the post of Councillor and reserved seats.

Dipu Moni meets Hillary Clinton today

Posted by methun

Foreign minister Dipu Moni will call on secretary of state Hillary Clinton today (Wednesday).

The meeting will take place at 3pm Washington time, Bangladesh ambassador to the US Akramul Qader told bdnews24.com on Wednesday morning.

"It will be an open meeting as no specific agenda has been fixed," he said.

This will be the first foreign ministerial-level meeting between the two countries since the strife over removal of noble laureate Muhammad Yunus from his role as the Grameen Bank chief in the beginning of this year.

Washington expressed dissatisfaction over the move and US assistant secretary Robert Blake visited Dhaka to explain the US stance on the matter. However, Bangladesh remained firm on its stance and said that Yunus' removal was an internal matter of the country.

Earlier, Blake attended a dinner hosted by Bangladeshi Ambassador Qader in the honour of the Bangladeshi foreign minister at Bangladesh House on Tuesday night.

BANGABANDHU KILLER

The Bangladeshi envoy said he had handed over a letter to the US authorities to deport Bangabandhu killer Rashed Chowdhury.

On Oct 5, Dipu Moni sent two letters to Hillary Clinton and Canadian foreign affairs minister John Baird through diplomatic channels to seek their help to deport two Bangabandhu killers.

Death sentence convicts Lt Col (retd) M Rashed Chowdhury and Noor Chowdhury are in the US and Canada, respectively.

"We still don't know the immigration status of Rashed Chowdhury ... we requested the authorities to inform us on the issue," he said.

Qader said, "He (Rashed) is a killer and we must explore all possibilities to bring him back to Bangladesh."

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and his family were brutally killed in Aug 1975 by some army officials. Out of the 12 convicts, five were hanged in 2010, one died and six are absconding.

Colonel (retd) Khandkar Abdur Rashid, Lt Col (retd) Shariful Haque Dalim, Abdul Mazed and Moslehuddin are absconding, while Abdul Aziz Pasha died in Zimbabwe.

Interpol has issued a warrant of arrest against the absconders.

The rest convicts – Syed Faruque Rahman, Sultan Shahriar Rashid Khan, Bazlul Huda, Mohiuddin Ahmed and AKM Mohiuddin – were hanged on Jan 28 last year.

CRICKET

Posted by methun

BANGLADESH WON T20

Minister against healthcare with civic bodies

Posted by methun

The health minister has suggested putting urban primary healthcare under the health department insisting that local government division, which oversees the service, could not ensure care for poor slum dwellers.

"Keep health under the health department… We've the expertise that they [local government division] don't," AFM Ruhal Haque said in a discussion on Tuesday.

He does not feel the local government ministry would 'disagree' with his idea.

The minister solicited suggestions to solve the issue, at the discussion in the capital on the draft National Urban Health Strategy 2011, first of its kind in Bangladesh.

But experts opposed the minister's idea saying local government bodies have a long history of giving primary healthcare within their jurisdiction and the 2009 local government ordinance also mandated that.

"Don't put all axes in one basket," health analyst Dr Muhammad Abdus Sabur told and that: "They (health ministry) cannot do their own task. How they will carry out responsibilities of others?"

"Better share the risks," he quipped and suggested coordination between the two ministries for the sake of public health.

To justify his idea, the health minister said: "When diarrhoea breaks out, nobody asks local government bodies. I can assure their (diarrhoea patients') treatment, but if you ask me to supply water, I cannot do it."

"Same way if you ask local government to manage diarrhoea, they would not be able."

Ruhal said there are many divisions and if they do the same work, problems would be created.

"I asked you to solve it," he told the participants comprising government officials of the two ministries, former secretaries, health experts, demographers and local government representatives.

Former health secretary and adviser to the caretaker government Dhiraj Kumar Nath told bdnews24.com that there was a need for a body that would coordinate between the two ministries (health and local government) in carrying out common responsibilities.

"By government rules, city corporations and municipalities see healthcare like family planning, reproductive health services and emergency care within their areas. You cannot ignore that," he said.

"But they (local government) should make their presence visible to the people," he said.

The government is formulating the urban health strategy as demographers predict equal number of urban and rural population within the next 20 years in the country with increasing trend of internal migration to make a living.

The Bangladesh Urban Health Survey 2008 and Bangladesh Demographic and Health Survey 2007, however, showed growing disparity between the health conditions of the urban poor and the rich.

Infant mortality rate in urban slums is 63 per 1000 births while it is only 29 in non-slum areas. Nearly 80 percent deliveries are assisted by unskilled attendants in slums.

Child malnutrition is 55 percent in slums while it is 40 percent in non-slum areas.

"The strategy aims to see urban people, particularly the poor, healthier, happier and economically productive," said Dr AMM Shawkat Ali, an urban health expert of Asian Development Bank while presenting the key points of the draft strategy.

For universal healthcare coverage, the draft keeps provision for giving free health cards to the poor.

Local government division's secretary Abu Alam Md Shahid Khan hoped they would be able to place the strategy before cabinet by December.

HC questions govt role

Posted by methun

The High Court has questioned whether the government had taken adequate steps to save the eight Bangladeshis executed in Saudi Arabia. It also asked the government to respond within four weeks.

The bench of justices Farid Ahmed and Sheikh Hassan Arif questioned the government's role on Wednesday in response to a petition filed by rights body, Human Rights and Peace for Bangladesh.

The foreign secretary, overseas employment secretary, director of the Middle East affairs section of the foreign ministry, ambassador to Saudi Arabia and the labour council have been asked to respond.

The court also asked why it should not order the government to extend assistance to expatriates when they need it in future.

Eight Bangladeshis were beheaded in public in Riyadh on Oct 7 after they confessed robbing a warehouse and killing the Egyptian security guard, Hussein Saeed Mohammed Abdulkhaleq, in April 2007.

The Saudi Arabian ambassador to Bangladesh on Monday explained that the execution was carried out in line with 'the law of Saudi Arabia' based on 'their confession of the crime'.

Both the Saudi government and the Bangladesh embassy in Saudi Arabia said they could not secure clemency for the convicts, as the law states that only the victim's family can pardon such crime, and the family declined to oblige.

But rights bodies across the world have severely criticised the incident, with Amnesty International pointing out that the confessions might have been made under duress.

The court also ordered formation of two committees to probe the role of the Bangladeshi embassy in Saudi Arabia. The foreign secretary and the overseas employment secretary will form these committees. Reports will have to be submitted within eight weeks.

The court also asked the Bangladeshi ambassador to Saudi Arabia to submit a report, through the Supreme Court registrar within two weeks, detailing the steps they had taken to save the executed Bangladeshis.

Asaduzzaman Siddique filed the petition on Tuesday on behalf of Human Rights and Peace for Bangladesh. Manzill Murshid argued for the petitioner on Wednesda

Muhith hopeful of WB nod on Padma bridge

Posted by methun

The complications arising over Padma bridge "will soon be resolved", finance minister says.

The World Bank, one of the main lenders of the $3 billion project, has suspended funding raising allegations about the tender process of the mega project.

The finance minister had an hour-long meeting with the lender's country head in this regard on Wednesday.

Abul Maal Abdul Muhith told after his meeting with Ellen Goldstein: "We are taking a number of steps in this regard and problem I hope that problems will soon be resolved."

Tax rebate on stock investment

Posted by methun

BREAKING NEWS
The National Board of Revenue has agreed to provide income tax rebate on stock market investment. Source tax on stock market brokerage commission will also be halved from the current 0.10 percent.

Capital market regulator, Securities and Exchange Commission chairman told reporters that the revenue board had agreed to provide the exemption.

SEC chief M Khairul Hossain's announcement comes in the face of fourth consecutive days of demonstrators by investors on Wednesday.

He also announced that the stockbrokers' commission would be halved to 0.05 percent from 0.10 percent.

Within half an hour into Wednesday's trade, the Dhaka index shed 141.75 points to stand at 5,151.56 around 11.24am. This is the lowest point since Jan 21, 2010 when the index plummeted to 5,095.21.

However, the agitation seemed to have lit up the charts with the index moving up, gaining 6.27 points to 5299.58 at around 12.30pm.

SEC meets the press at 2pm

Posted by methun

The capital market regulators have called an emergency meeting at 2pm.

The Securities and Exchange Commission's executive director Saifur Rahman told bdnews24.com on Wednesday that his chairman M Khairul Hossain would address the briefing.

He said the watchdog chief would brief the media about the current situation of the stock market.

The stock market has been consistently falling over the last few days. The latest downward spiral began last week and still appears to continue.

On Wednesday the index fell by 154 points within the first half hour of trade. On Tuesday the Dhaka stock market's general index had fallen over 225 points market a four percent drop. The Chittagong index fell by 387.31 points.

Sunday saw the Dhaka index fall by 194 point and Monday by 14 points. The bourse had fallen by just over three percent last week.

অভিষেক ম্যাচে মুশফিকের অসাধারণ অধিনায়কত্ব

Posted by methun

টি-২০ ক্রিকেটে পরে ব্যাটিং করাটা আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয় মাঝে মাঝেই। গতকাল মুশফিকুর রহিম অধিনায়ক হিসেবে তার অভিষেকের দিনে সেই আশীর্বাদই পেতে চাইলেন। টস জয় করে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। কে জানে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়কের প্রথম সিদ্ধান্তটি কেমন হলো! ভক্তদের এমন চিন্তার মাঝেই মুশফিক আরও একটি দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথম পাঁচ ওভারেই তিনি ব্যবহার করলেন চারজন বোলারকে। আবদুর রাজ্জাককে দিয়ে শুরু। শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল, সাকিব এবং উইকেট। সাকিবকে বোলিংয়ে এনেই সফলতা পেয়ে গেলেন মুশফিক। ক্যারিবীয়রা ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ম্যাচের শুরুতে ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ের জৌলুস দেখার যে ভয় করেছিলেন ভক্তরা তা শেষ হয়ে গিয়েছিল মুশফিকের অসাধারণ অধিনায়কত্বে। কিন্তু স্যামুয়েলস বাংলাদেশি বোলারদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়েই দেখা দিলেন। ষষ্ঠ ওভারে রান উঠল ১৭! পঞ্চম ওভার শেষে রান ছিল ৩০-১। ষষ্ঠ ওভার শেষে রান দাঁড়াল ৪৭/১! রুবেল, সাকিব এবং শফিউলের পর আবারও মুশফিক বল দিয়ে দিলেন রাজ্জাকের হাতে। এবং উইকেট। নবম ওভারের শেষ বলে সিমন্সের রানের চাকা থামিয়ে দেন রাজ্জাক। দলীয় রান তখন ৬১-২। পেস বোলিংয়ের ফাঁকে স্পিন আক্রমণ। ক্যারিবীয়দের চাপের মাঝে বোলিংয়ে এসে দারুণ করলেন নাঈমও। বার বার বোলারদের প্রান্ত পরিবর্তন করিয়ে ব্যাটসম্যানদের সামনে মুশফিকুর রহিম এক কঠিন চ্যালেঞ্জই দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ ক্যারিবীয়রা নিতে পারেনি। যে দল কিছুদিন আগে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ২১৭ এবং ১৯৫ রানের ইনিংস খেলেছে, তারাই কিনা আটকে গেল ১৩২ রানে! এই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অভিষিক্ত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পেসারদের চাপে উইকেট পেয়েছেন স্পিনাররা। আবার উল্টোটাও সত্যি। বিশেষ করে শেষ ওভারে শফিউলের দুটি উইকেট ছিল বোনাস। ক্যারিবীয়দের ৮টি উইকেটের মাঝে স্পিনারদের দখলে ৫টি। আবদুর রাজ্জাক এবং সাকিব আল হাসান পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। নাঈম ইসলাম পেয়েছেন একটি উইকেট। পেসারদের মাঝে শফিউল দুটি এবং রুবেল একটি উইকেট পেয়েছেন। ম্যাচে সবচেয়ে লক্ষণীয় ছিল ক্যারিবীয় দলের রান রেট। তৃতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারেই কেবল রান রেট সাতের উপর ছিল। বাকি সময় জুড়ে মুশফিক প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছিলেন সাতের ভেতরেই। ক্যারিবীয় ইনিংসকে মুশফিক ৬.৬ রান রেটেই বেঁধে ফেলেছিলেন। মুশফিকুর রহিম তার অধিনায়কত্বের প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের উপযুক্ততা বেশ ভালোই বুঝিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়কের অনেক কিছুই করার থাকে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানদের ওপর চলে আসে সব দায়িত্ব। সেখানে একজন অধিনায়ক দর্শকের চেয়ে বেশি কিছু নন। বোলিং নিয়ন্ত্রণে সফল মুশফিক দলীয় ব্যাটিং থেকে কতটা সফলতা পেয়েছেন তাও এতক্ষণে জেনে গেছেন ভক্তরা।




বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে জাপাই হতো বিরোধী দল

Posted by methun

বিগত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবেই বিবেচনা করেছিল প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। তবে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প চিন্তাও করে রাখে আওয়ামী লীগ। কেননা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সরে দাঁড়ালে তৃতীয় বড় দল হিসেবে জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উপযুক্ত। তাই মহাজোটভুক্ত করার পাশাপাশি জাপাকে বিরোধী দল হিসেবেও ভেবে রাখা হয়েছিল। অবশ্য এর যাই হোক না কেন, পরবর্তী সরকারে শক্ত অবস্থানে থাকার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন জাতীয় পার্টি নেতারা। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন তারবার্তায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সাড়াজাগানো ভিন্নধারার গণমাধ্যম উইকিলিকিস সম্প্রতি ওই তারবার্তা প্রকাশ করে। তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, 'সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের তৃতীয় বড় রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এ দলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সুযোগে এরশাদও দুই জোটের সঙ্গে দেনদরবার করছেন। চেষ্টা করছেন তার দলের প্রার্থী বাড়ানোর। এরই মধ্যে জাপার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে রাষ্ট্রপতি করা ও মামলা প্রত্যাহারসহ বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেগুলো না মানলে চারদলীয় জোটভুক্ত হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।' শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এরশাদ এসব শর্ত দেন বলে মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন।

মরিয়ার্টি আরও লেখেন, 'জাতীয় পার্টি কার্যত দ্বৈতনীতি অনুসরণ করছে। একদিকে দলটি নির্ধারিত তারিখে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে ওই তারিখে নির্বাচন ভণ্ডুলে বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছে।' তারবার্তায় বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি এ দফায় সরকারে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কেননা ১৭ বছর ধরে দলটি ক্ষমতার বাইরে। এ অবস্থায় ক্ষমতায় যেতে যে কোনো জোটেই তারা শামিল হতে পারে। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা বন্ধু বলে কোনো কথা নেই।' তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি নির্বাচন ও পরবর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। তবে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা মনে করছেন, দলটি ১৫টি আসনের বেশি পাবে না। যদিও তারা ৫০টিরও বেশি আসনে মনোনয়ন চায়। অবশ্য এর পরও আওয়ামী লীগ মনে করে, জাপা নির্বাচনে বড় একটি ফ্যাক্টর। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।'




আইসিসির পরবর্তী সভাপতি পদ বাংলাদেশের

Posted by methun

আইসিসির সভাপতি হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের। গতকাল আইসিসির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা শেষে এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪'র পরে আইসিসির সভাপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের বলে-মাস তিনেক আগে হংকংয়ে আইসিসি সভা শেষে দেশে ফিরে এমনটাই জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মুস্তাফা কামাল। আইসিসি সভাপতি হওয়ার এ সুযোগটাকে কাজে লাগাতে প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেও জানান বিসিবি সভাপতি।

নিয়ম অনুযায়ী সহসভাপতি হবেন পরবর্তী সভাপতি। বর্তমান সহসভাপতি নিউজিল্যান্ডের অ্যালান আইজাক আগামী জুনে ভারতের শরদ পাওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আইজাকের মেয়াদ ২০১৪-এর জুন পর্যন্ত নিয়মানুযায়ী সহসভাপতি পদে বসবেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যে কোনো একজন। দুই দেশের যিনি সহসভাপতি হবেন, তিনি হবে আইসিসির পরবর্তী টার্মের (২০১৪-২০১৬) সভাপতি। গতকাল দুবাইয়ে আইসিসি নির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে সহসভাপতি পদে প্রার্থীর নাম পাঠাতে। সে হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য এর জন্য ক্রিকেট বোর্ডকে তার নাম মনোনীত করতে হবে। এদিকে আগামী ২০১২-এর নভেম্বরে বিসিবির পরবর্তী নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। আইসিসির হংকংয়ের সেই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আইসিসির সদস্য দেশগুলোর সভাপতি পদে নির্বাচন করার। বাংলাদেশের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার একমাত্র কারণ, ২০০৩-২০০৪ সালে আইসিসির তৎকালীন সভাপতি এহসান মানিকে সমর্থন দিয়েছিল বাংলাদেশ। যদি পাকিস্তান নাম প্রত্যাহার না করে, তাহলে ভোটাভুটি হবে। এ প্রসঙ্গে মুস্তাফা কামাল বলেছেন, 'সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় আইসিসিকে ধন্যবাদ। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছি। পিসিবি আমাদের সমর্থন দেবে বলে আমরা আশা করছি।' মুস্তাফা কামাল বর্তমানে আইসিসির ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেখিয়ে দিলেন ইলিয়াস আলী

Posted by methun

বৃহত্তর সিলেটে এবার স্মরণকালের এক 'খেলা' দেখালেন বিএনপির কেন্দ ীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তিনি। দলীয় কোন্দল ও বিরোধের অবসান ঘটিয়ে তিনি এবার ঘুমন্ত বিএনপিকে জাগিয়ে তুললেন সমগ্র সিলেট বিভাগে। সুন্দর, সুষ্ঠু ও পরিপাটি আয়োজনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এক জনসভার আয়োজন করলেন দেশের আধ্যাতি্নক রাজধানী সিলেটে। নজিরবিহীন গণজমায়েত বৃহত্তর সিলেটে এবার স্মরণকালের এক 'খেলা' দেখালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তিনি। দলীয় কোন্দল ও বিরোধের অবসান ঘটিয়ে তিনি এবার ঘুমন্ত বিএনপিকে জাগিয়ে তুললেন সমগ্র সিলেট বিভাগে। সুন্দর, সুষ্ঠু ও পরিপাটি আয়োজনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এক জনসভার আয়োজন করলেন দেশের আধ্যাতি্নক রাজধানী সিলেটে। নজিরবিহীন গণজমায়েত ঘটালেন তিনি স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে। কয়েক সপ্তাহের ধকলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও ইলিয়াস সেই অসুস্থতা নিয়েই কাজ করে যান অবিরাম। ঢাকা থেকে আগত হাজার হাজার অতিথিকে আপ্যায়ন করালেন সাধ্যমত। শহরের সমস্ত আবাসিক হোটেল ও ১০টি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে জায়গা করে দিলেন থাকা-খাওয়ার। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইলিয়াস আলীর এমন তৎপড়তায় যারপর নাই অভিভূত। সার্কিট হাউসে ডেকে নিয়ে বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন তাকে। মহাজোট সরকারের প্রায় তিন বছরের মাথায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সিলেটে প্রথমবারের মত বৃহৎ এ কর্মসূচি ছিল।

অন্যদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও বৃহত্তর সিলেটের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর এই প্রথম বিএনপির এত বড় আকারের কোনো কর্মসূচির আয়োজন করলেন ইলিয়াস আলী। গতকালের জনসভা দেখার পর সিলেটে তার প্রতিপক্ষের লোকজনও এ কর্মসূচির আয়োজনের প্রশংসা করেছেন দ্বিধাহীন কণ্ঠে।

'প্রথম আলো সম্পাদক দালাল, গ্রেনেড হামলায় জড়িত'

Posted by methun

দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের মাথা থেকেই 'মাইনাস টু ফর্মুলা' বের হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিরোধী দল ও জামায়াত চক্র যে কথা বলে না, প্রথম আলো সেসব কথা বলছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় শীর্ষ নেতাদের চরিত্র কলুষিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। খুলনা আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে প্রথম আলোয় প্রকাশিত অসত্য সংবাদের প্রতিবাদে গতকাল সকালে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ খুলনা জেলা ও মহানগর আয়োজিত এ মানববন্ধন চলাকালে এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের মহানগর আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন আজাদ। সমাবেশে বক্তৃতায় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ মো. শামীম বলেন, সম্প্রতি প্রথম আলো খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলু, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের জনপ্রিয় তরুণ নেতা শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে; যার কোনো সত্যতা নেই। মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত এসব জনপ্রিয় নেতাকে হেয় করেছে পত্রিকাটি। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রথম আলোকে প্রমাণ করতে হবে, নইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক একজন চিহ্নিত দালাল। গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধী দল ও জামায়াত চক্র যে কথা বলে না, প্রথম আলো সেসব কথা বলছে। দেশের জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যে ভরা সংবাদ প্রকাশ করে তাদের হেয় করছে। আগামী দিনে যদি এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাহলে খুলনা অঞ্চলে প্রথম আলো প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মহিলা প্রজন্ম লীগের মহানগর আহ্বায়ক নওমী বিশ্বাস সাথী বলেন, বর্তমান সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে তখন প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। মহানগর যুবলীগ নেতা মুন্সী নাহিদুজ্জামান বলেন, প্রথম আলো হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে। এটা করে পার পাওয়া যাবে না। মহানগর বাস্তুহারা লীগ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন সোহেল বলেন, প্রথম আলোর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ভবিষ্যতে অকল্যাণ বয়ে আনবে। মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি দেবদুলাল বাপ্পী বলেন, জাতির বিবেক সাংবাদিক ও সংবাদপত্র যদি ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তার জন্য জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য শত ধিক্কার জানাই। প্রথম আলোকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে গোটা সাংবাদিক সমাজকে হেয় করবেন না। মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেনুজ্জামান হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে। তার ধারাবাহিকতায় প্রথম আলোও ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে।

মহানগর শ্রমিক লীগের সদস্যসচিব রণজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য মাইনাস টু ফর্মুলা বের করেন। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার আওয়ামী লীগ নেতাদের হেয় করতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সরকার পতন না ঘটিয়ে ফিরবো না সিলেটের জনসমুদ্রে বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা

Posted by methun

সরকারবিরোধী রোডমার্চ শেষে পুণ্যভূমি সিলেটের জনসমুদ্রের মঞ্চ কাঁপিয়ে মহাজোট সরকারের পতনের ডাক দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আগে বলেছিলাম স্বৈরাচারী সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরব না। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। আজ বলছি এই অত্যাচারী সরকারকে বিদায় না করে ঘরে ফিরব না। আপনারা আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন। তিনি জোরালো কণ্ঠে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, এ সরকার যদি দেশবিরোধী কোনো চুক্তি বাস্তবায়ন করে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায় তবে আমাদের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। এ যুদ্ধে আমি আপনাদের পাশে থাকব। বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, এই পুণ্যভূমি সিলেট থেকে অনেক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। দেশের মাটি ও সীমান্তের গ্রাম রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সিলেটবাসীকে সালাম জানান। তিনি বলেন, জনগণ ভালো নেই, ভালো আছে সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপি-নেতারা। দুর্নীতির টাকায় তারা চার বেলায় ভাত খান। সোমবার রোডমার্চ করে খালেদা জিয়া সিলেটে আসেন। গতকাল বিকালে আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানের জনসমুদ্রে ৫২ মিনিটের বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকীব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, জামায়াতের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, সুজাত মিয়া এমপি, সাবেক এমপি খালেদা রব্বানী, শফি আহমেদ চৌধুরী, কলিমউদ্দিন মিলন, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, শাম্মী আক্তার এমপি, দিলদার হোসেন সেলিম, শাহীনূর পাশা, মুশফিকুল ফজল আনসারী, মহানগর বিএনপি সভাপতি এম এ হকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জনসভা পরিচালনা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমেদ ও মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

জনসভার স্লোগান : গতকাল সিলেটের বিশাল জনসভার মূল স্লোগান ছিল 'শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ'। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জনসভা অভিমুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল আসতে শুরু করে। এসব মিছিলে বিভিন্ন রঙের ব্যানার হাতে দলীয় নেতা-কর্মীরা 'খালেদা জিয়া এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে' 'তারেক রহমান আসবে দেশে, বীরের বেশে', 'এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার' ইত্যাদি স্ল্লোগানে মুখরিত করে তোলে। মিছিল ও ব্যান্ড সংগীতের মূর্ছনায় পুরো শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। সিলেট মহানগর ছাড়াও হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ জেলা থেকে বিএনপিসহ চারদলের নেতা-কর্মীরা বাস-ট্রাকে করে এই জনসভায় যোগ দেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সোমবার রাতে আসা রোডমার্চের গাড়িবহরে নেতা-কর্মীরা জনসভায় অংশ নেন। রোডমার্চে আসা দলীয় নেতা-কর্মীরা আগের রাতে সিলেটের শতাধিক আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি রাতযাপন করেন। অনেকে রাতে এবং সকালে হজরত শাহজালাল ও শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। পুরো শহরের প্রধান সড়কগুলোয় বেলা ২টার পর থেকে মিছিলের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে বন্দর সড়ক, আম্বরখানা, দরগা রোড, হাসপাতাল রোড, চৌহাট্টা প্রভৃতি সড়কে ছিল কেবল মিছিল আর মিছিল। জনসভায় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল ব্যাপক।

মঞ্চ ও আশপাশে ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা : চারদলীয় জোটের উদ্যোগে জনসভায় মঞ্চের চারপাশে বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা সোমবার থেকে জনসভাস্থলটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসেন। পুলিশের পাশাপাশি বিএনপিও নিয়োগ করে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয় বিশাল মঞ্চ। মঞ্চে টানানো ব্যানারে খালেদা জিয়ার বিশাল প্রতিকৃতির পাশেই ছিল শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি। মূলমঞ্চে চার দলের শীর্ষ নেতা, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ সমমনা দলের নেতারা বসেন। মঞ্চের নিচে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত চার দলের নেতা ও সাংবাদিকদের জন্য আসন নির্ধারণ করা ছিল। জনসভা উপলক্ষে পুরো শহরে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে তৈরি করা হয় শতাধিক তোরণ। এসব তোরণে তারেক রহমানের হাত নাড়ানো ছবিও স্থান পায়।

যানজট ও জনদুর্ভোগ : সিলেটের এই বিশাল জনসভার কারণে দুপুরের পর থেকেই প্রধান প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। শহরের প্রবেশদ্বার সুরমা কিন ব্রিজ, শাহজালাল সেতু সড়ক, বন্দর বাজার, এয়ারপোর্ট রোড, তাবাবিল সড়ক ও সুনামগঞ্জ সড়কে যানজটের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর এটি ছিল সিলেটে বেগম জিয়ার প্রথম জনসভা। এ জন্য তার বক্তব্য শুনতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। বিএনপি চেয়ারপারসন পরিষ্কার ভাষায় বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি শান্তি চান তবে জনদাবি মেনে নিন। আলোচনার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের মাধ্যমে নির্বাচন দিন। বেশি দেরি করলে এরও সময় পাবেন না। জনগণের ধাক্কায় পড়ে যাবেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের কমিশন মানি না। এ কমিশন বাতিল করে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। ইভিএম পদ্ধতিকে ভোট চুরির নতুন কৌশল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, অনেক দেশ এ পদ্ধতি চালু করে পরে তা বাতিল করে।

বেগম জিয়া বলেন, আমরা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী মনে করি না। আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের আজ নাভিশ্বাস উঠেছে। ভালো আছেন শুধু সরকারের মন্ত্রী-এমপি আর দলীয় নেতারা। তারা দুর্নীতির টাকা দিয়ে এখন চার বেলা করে ভাত খান। সরকারকে আপাদমস্তক 'দুর্নীতিগ্রস্ত' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সেতু নির্মাণের আগেই অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে নির্মাণকাজ বিঘি্নত করেছে সরকার। বিশ্বব্যাংক এতে শুধু অর্থায়নই বন্ধ করেনি, দুর্র্নীতির তদন্তও শুরু করেছে। সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। মানুষকে না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে এদের ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে।

বেগম জিয়া আরও বলেন, ভোটের জন্য নয়, তাঁবেদার জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছি। রোডমার্চের পর কঠোর কর্মসূচি দেব। আপনারা দেশরক্ষার এ আন্দোলনে অংশ নেবেন। সুদিন আপনাদের অবশ্যই আসবে এবং বিজয় আপনাদের সনি্নকটে। সরকারের ব্যর্থতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, গত তিন বছরে সরকার একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে। আইনশৃক্সখলার অবনতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুন, গুম, রাহাজানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের চরিত্রই হলো এটা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েও লাল ও নীল বাহিনী গঠন করে তারা ৪০ হাজার রাজনৈতিক কর্মী হত্যা করেছিল।

মানবতাবিরোধী এ কর্মকাণ্ডেরও বিচার হওয়া দরকার। আগে তারা বলেছিল ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ অনেক কিছুই পাবে। ট্রানজিটের নামে তারা পাশের দেশকে করিডর দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, বরং উল্টো পাশের দেশের ব্যবসায়ীরা বিনাশুল্কে জাহাজ ভরে মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। তিনি বলেন, দেশের জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তাঘাট মেরামত করা হয় না। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাশের দেশের যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে।

সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস তুলে নেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের (সরকারের) আল্লাহর ওপর কোনো বিশ্বাস নেই। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে মা দুর্গার ওপর। এ জন্য তারা সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস তুলে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোন্ ধর্মে বিশ্বাস করেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পূজামণ্ডপে গিয়ে তিনি বলেছেন, আমাদের মা দুর্গা গজে এসেছেন।




জিলাপি চানাচুরে মবিল মাছ দুধে ফরমালিন

Posted by methun

মাছেও ফরমালিন, দুধেও ফরমালিন, ফল-ফলাদিতে দেওয়া হচ্ছে কার্বাইডসহ নানা বিষাক্ত কেমিক্যাল। সবজিতে রাসায়নিক কীটনাশক, জিলাপি-চানাচুরে মবিল, বিস্কুট, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংস, জুস, সেমাই, আচার, নুডুলস এবং মিষ্টিতে টেক্সটাইল-লেদারের রঙ, মুড়িতে ইউরিয়া-হাইড্রোজ, পানিতে থাকছে আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম-লেড-ইকোলাই। শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধও ভেজালমুক্ত রাখা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত রেডিয়েশনযুক্ত গুঁড়োদুধ আমদানি হচ্ছে দেদার, সয়লাব হয়ে আছে হাটবাজার। আইসক্রিম, মিষ্টিসহ অনেক পণ্যেই চিনির পরিবর্তে অহরহ ব্যবহার হচ্ছে সোডিয়াম সাইক্লাইমেট। কাউন ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মশলা তৈরি করা হয়। এভাবেই নানা কৃত্তিমতায় খাদ্যদ্রব্যাদি যেমন ভেজাল ও বিষে পরিণত করা হচ্ছে, তেমনি সেসব হয়ে পড়ছে স্বাদ-গন্ধহীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফরমালিন উচ্চমাত্রার বিষাক্ত পদার্থ। এর কারণে দ্রুত কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার, লিভারব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুদের হার্টের রোগ হতে ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। গর্ভজাত মায়ের শিশুও বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

দুধ-মাছ থেকে শুরু করে ফলমূল পর্যন্ত বেশির ভাগ খাদ্যদ্রব্যে যে বিপজ্জনক রাসায়নিক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হলো ফরমালিন-কার্বাইড। দামে সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফল পাকানোর কাজে কার্বাইডের যথেচ্ছ ব্যবহার করেন। ১ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বাইডের মূল্য ৬০-৭০ টাকা মাত্র, যা দিয়ে ১০ টন ফল পাকানো সম্ভব। তবে ব্যবসায়ীরা সাধারণত ৫০ কেজি ফলের জন্য ১০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করেন। এতসব কীটনাশক, ফরমালিন, কার্বাইডসহ নানা রাসায়নিক পদার্থে বিষাক্ত হয়ে পড়া মাছকে ঘিরে কোনো মাছির আনাগোনা দেখা যায় না, রসে টইটম্বুর ফলমূল ঘিরে থাকে না মৌমাছির গুঞ্জন। বাস্তবে ফরমালিনের মতো ভয়াবহ ক্ষতিকর কিছুর ধারেকাছেও মাছি-মৌমাছি যায় না। শাকসবজিসহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য উৎপন্নে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশের সর্বত্র সবজিবাগানে বিভিন্ন রাসায়নিক কীট ও বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। কীটনাশকের মধ্যে রিনকর্ড, সিমবুন, সুমিসাইডিন, হেপ্টাক্লোর, থায়াডিন, ডিডিটি ইত্যাদি বেশি বিপজ্জনক। অন্যদিকে নগস, সুমিথিয়ন, ডাইমেক্রন, ম্যালালাথিয়ন, অ্যারোম্যাল ইত্যাদি মানবদেহে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতি করে থাকে। এতে ভোক্তারা বাজারে পাচ্ছেন বিষাক্ত শাকসবজি।

খাদ্যে ভেজাল মেশানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাল, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, দুধ থেকে শুরু করে রুটি, কেক, মিষ্টি, বিস্কুট কিছুই ভেজালের ছোবল থেকে বাদ যায় না। খাদ্যে রঙের ব্যবহারও চলছে বিপজ্জনকভাবে। মহাখালী পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারের তথ্যানুযায়ী দেশের ৪৫ ভাগ এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী দেশের ৫৪ ভাগ খাবারে ভেজাল। এসব খাদ্যদ্রব্য মৌসুমের আগেই বিক্রিযোগ্য করতে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো হয়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের এক গবেষণাসূত্রে জানা যায়, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। বিষাক্ত ও ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ আন্দোলনকারী সংগঠন 'পরিবেশ বাঁচাও'-এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, 'বিষাক্ত খাদ্যপণ্য রোধ করা না গেলে খুব শীঘ্রই দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ১২ ভাগে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।' তার মতে, যারা প্রতিনিয়ত খাবারে ভেজাল দিয়ে মানুষ হত্যা করে চলেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড।

ভেজাল খাদ্যের তালিকা : বিষাক্ত সাইক্লোমেট দিয়ে তৈরি টোস্ট বিস্কুট, বিষাক্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল (আম, কলা, আনারস ইত্যাদি), বিষাক্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি রুটি, বিস্কুট, সেমাই, নুডলস, ক্ষতিকর রঙ দেওয়া ডিম, মেয়াদোত্তীর্ণ আইসক্রিম, বিভিন্ন রকম মিষ্টান্ন, ডিডিটি দেওয়া শুঁটকি, ইউরেনিয়াম দেওয়া চাল, ক্ষতিকর ফরমালিন দেওয়া মাছ-সবজি, মবিল দিয়ে ভাজা চানাচুর, জিলাপি, ক্ষতিকর রঙ দেওয়া ডাল, ডালডা ও অপরিশোধিত পামওয়েলমিশ্রিত সয়াবিন তেল, ভেজালমিশ্রিত সরিষা তেল, রঙ ও ভেজালমিশ্রিত ঘি, পামওয়েলমিশ্রিত কনডেন্স মিল্ক, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাকেটজাত জুস, মিনারেল ওয়াটার, মরা মুরগির মাংস, গন্ধকের ধোঁয়া দেওয়া সুপারি, স্যাকারিন দেওয়া চা, রাসায়নিক পদার্থমিশ্রিত জর্দা, আয়োডিনবিহীন লবণ, ইউরিয়া সারের পানি দেওয়া চিঁড়া-মুড়ি। বিভিন্ন নাম না জানা কেমিক্যাল আর পিয়াজের রস মিশিয়ে তৈরি করা হয় ১ নম্বর খাঁটি সরিষার তেল। দুধে আটা, ময়দা, ভাতের মাড়, এরারুট মেশানো হয়। দুধের মধ্যে রাসায়নিক কেমিক্যাল ফরমালিন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, বোরিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক, ইউরিয়া, চিনি, লবণ, সোডিয়াম বেনজোয়েট, সোডিয়াম কার্বনেট, ফেভার, ক্ষতিকর রঙ, আলকাতরার রঙ, আটা-ময়দা, ভাতের মাড়, শ্বেতসার ও স্কিম মিল্ক পাউডার মিশ্রণ করে বাজারজাত করা হচ্ছে। মরিচের গুঁড়ায় ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক রঙ ও ইটের গুঁড়ো।

Heavy share fall sparks protests

Posted by methun

The main indices of the two bourses dropped around four percent on Tuesday, leading the investors to take to the streets.

The Dhaka Stock Exchange general index lost 225.53 points or 4.08 percent, closing at 5293.31, with prices of 249 issues falling, only eight rising and two remaining unchanged. The turnover was Tk 3.35 billion.

This is the second-biggest fall since May 25 this year when the benchmark index shed about 151 points or 2.78 percent to close at 5292.53 points.

The Chittagong Stock Exchange (CSE) selective categories index (CSCX) lost 387.32 points or 3.89 percent to close at 9555.21 points.

Of the 187 issues changing hands, only five gained, 180 lost and two remained unchanged. The turnover was Tk 502 million.

Agitated investors blocked the streets and chanted slogans repeating demands for the resignation of the finance minister and the central bank governor.

The retail investors blocked the street in front of the DSE building when the general index shed 118.28 points in the first hour of trading. They formed a human chain under the banners of Bangladesh Share Investors' Forum and Capital Market Investors Unity Council.

The index hit 5272.22 points, the day's lowest, around 1:55pm. The investors were seen lying on the street protesting against the heavy fall. Traffic in the area became normal when they left the street around 3:30pm.

The Capital Market Investors Unity Council called a three-day token hunger strike from Wednesday protesting the continuous fall.

Meanwhile, Chittagong Investors' Forum staged a procession and a rally in front of the CSE building. The forum demanded that the brokerage houses and merchant banks stop forced sale of shares.

They called a sit-in programme on Wednesday and a human chain programme on Thursday.

Since the start for the week on Sunday, the DSE general index has lost 194.40 points or 3.39 percent to close at 5533.39 points.

Even though the general index posted some gains after around three hours of fall, it again lost 14.54 points or 0.26 percent to close at 5518.85 points on Monday.

The stock market has been on a low for almost a year now, and no measure by regulators, government or major investors seems to be able to prop the market up.

Spiralling fall in the last two-and-a-half months has shaved 1000 points off the DSE general index.

The index has been falling since January. It turned around once in July but has since faced a massive fall.

'NEW INVESTMENT NEEDED'

Asked about the slide, DSE senior vice president Ahsanul Islam told that the market would not recover until new money is pumped in.

He said Tk 40-50 billion is caught in the 'net of margin loan'. "Both borrowers and lenders are in an awful situation."

"The borrowers sell off shares in panic when they see the money in their portfolios fall every day. This impacts the market," he said.

The DSE official said the Bangladesh Bank and the Securities and Exchange Commission should take immediately intervene to this end.

"The National Board of Revenue also has something to do. Several taxes have been imposed on stakeholders including in the mutual funds. These should be withdrawn," he added

Rahim reign starts in style

Posted by methun

Bangladesh skipper Mushfiqur Rahim's dramatic six off the penultimate ball secured the Tigers a tense three-wicket win over West Indies on Tuesday.

It ended a miserable sequence of results for Bangladesh, who had previously beaten Zimbabwe and Kenya in this type of cricket in the last four years.

Needing 133 runs for victory in the lone Twenty20 international, Bangladesh scored 135-7 in 19.5 overs. Rahim remained unbeaten on 41 off 26 balls.

He featured in a match-winning stand of 35 runs for the seventh wicket with Nasir Hossain, who contributed 18.

The Tigers got off to decent start before Tamim Iqbal (11) fell in the third over.

Although Imrul Kayes (22), Shakib Al Hasan (0), Mohammad Ashraful (24) and Alok Kapali (2) came and went, it only drove Rahim to play his shots with gusto.

The turning point of the match came in the 19th over bowled by right-arm pacer Carlos Brathwaite. He was asked to defend 22 runs, but ended up conceding 14 runs.

Even the dismissal of Nasir Hossain, with three balls to go, failed to stem the Rahim's momentum. His captain's knock earning the player of the match award.

Abdur Razzak managed to squeeze a single, leaving Rahim two balls to find a boundary off Ravi Rampaul.

And the Bangladesh captain's eyes lit up seeing a length ball which the pint-sized Rahim duly dispatched over the deep midwicket boundary sending Mirpur into raptures.

It was only Bangladesh's fourth overall success in 17 T20 matches and second against West Indies.

Earlier, after Rahim won his first toss as the full-time Bangladesh captain, and chose to bowl on a slow Sher-e-Bangla National Stadium wicket West Indies struggled to make 132-8.

Marlon Samuels once again showed his prowess with a 42-ball 58, studded with two fours and four sixes.

Apart from Samuels, opener Lendl Simmons made 23, Adrian Barath 15 and Denesh Ramdin 10 were only batsmen to contribute for the tourists who would have fancied their chances after winning both warm-up games going into the lone T20 match.

Shakib Al Hasan, Abdur Razzak and Shafiul Islam grabbed two wickets each.

Naeem Islam and Rubel Hossain took one wicket each.

Both sides will now turn their attention to the three-match one-day series that kicks off on Thursday. All matches will be day-nighters.

Humayun Ahmed writing new book

Posted by methun

With two chemo cycles over and feeling much better than before, writer Humayun Ahmed has already turned out almost 25 pages of a new book on his experiences in New York.

"It is not quite a novel or fiction. More of a biographical piece," Anyaprokash CEO Mazharul Islam told bdnews24.com on Tuesday.

The famous writer's publisher said this new book, with a title roughly translating to 'Bright sun on the New York sky' (New York-er akashe jhokjhoke rod), will have different chapters on Humayun's experiences during his treatment at the Memorial Sloan-Kettering Cancer Center.

One of the chapters of the book will have the same name as the title. "It's all about the things he has done and gone through," said the Anyaprokash chief executive.

Those include diverse topics like his chemo sessions and renting the house and setting up another home away from home. "He is going about in his typically humorous style of course."

However, it is still uncertain whether the book will be out before next February at the largest book fair of Bangladesh.

But chapters will be sent out to daily newspapers as and when they are complete, said Mazhar who has been living with the writer and his family at the same three-bedroom apartment in Jamaica, New York.

Humayun Ahmed was diagnosed with colon cancer during a routine check-up early September at Singapore's Mount Elizabeth Hospital. He flew to New York for treatment soon after returning home. Mazhar has been with him since then.

Bangladesh's T20 win over the West Indies was a source of joy for writer Humayun Ahmed who watched his favourite team on the internet.

"We found out that ESPN would not broadcast the match here, so we called up people found out that the Cricinfo website would show it live," said Mazhar.

The publisher said Humayun was almost obsessed with the Bangladesh cricket team. And everything else comes to a halt whenever the Tigers are taking to the field.

"He even stops shooting or whatever other work he has at hand. This one time in Switzerland where he was shooting a TV drama, we scoured around and finally located an Irish pub where we watched the match."

It is not that Humayun is particularly interested in cricket. It's the team that matters. "I doubt he would be that interested in the cricket World Cup final unless Bangladesh were in it," said Mazharul Islam.

Won't return before ousting govt: Khaleda

Posted by methun

BNP chairperson Khaleda Zia says they will not return home before ousting the government.

"You [government] have time…arrange elections under caretaker government if [you] want peace to prevail and democracy to stay. Don't linger things any more. Otherwise people will throw you out," she told a public meeting at the city's Alia Madrasa ground on Tuesday.

The meeting, organised by the BNP-led four-party alliance, was the concluding part of the opposition's road march to Sylhet.

Khaleda, in her one-hour speech that started at 4:35pm demanded restoration of the caretaker government through discussion.

She also demanded the Election Commission be reformed and spoke on issues like hike in prices of essentials, law and order situation, economy, war crimes trial and foreign policy.

The BNP chairperson said that "the opposition's victory is sure". She also exhorted countrymen to be ready for the next level of agitation.

"Come, let us rise to the occasion to ensure independence, democracy and safety of our mothers and sisters. Rise up, people of Bangladesh! We won't return home before ousting the government," she said.