SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

অভিষেক ম্যাচে মুশফিকের অসাধারণ অধিনায়কত্ব

Posted by methun

টি-২০ ক্রিকেটে পরে ব্যাটিং করাটা আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয় মাঝে মাঝেই। গতকাল মুশফিকুর রহিম অধিনায়ক হিসেবে তার অভিষেকের দিনে সেই আশীর্বাদই পেতে চাইলেন। টস জয় করে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। কে জানে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়কের প্রথম সিদ্ধান্তটি কেমন হলো! ভক্তদের এমন চিন্তার মাঝেই মুশফিক আরও একটি দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথম পাঁচ ওভারেই তিনি ব্যবহার করলেন চারজন বোলারকে। আবদুর রাজ্জাককে দিয়ে শুরু। শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল, সাকিব এবং উইকেট। সাকিবকে বোলিংয়ে এনেই সফলতা পেয়ে গেলেন মুশফিক। ক্যারিবীয়রা ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ম্যাচের শুরুতে ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ের জৌলুস দেখার যে ভয় করেছিলেন ভক্তরা তা শেষ হয়ে গিয়েছিল মুশফিকের অসাধারণ অধিনায়কত্বে। কিন্তু স্যামুয়েলস বাংলাদেশি বোলারদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়েই দেখা দিলেন। ষষ্ঠ ওভারে রান উঠল ১৭! পঞ্চম ওভার শেষে রান ছিল ৩০-১। ষষ্ঠ ওভার শেষে রান দাঁড়াল ৪৭/১! রুবেল, সাকিব এবং শফিউলের পর আবারও মুশফিক বল দিয়ে দিলেন রাজ্জাকের হাতে। এবং উইকেট। নবম ওভারের শেষ বলে সিমন্সের রানের চাকা থামিয়ে দেন রাজ্জাক। দলীয় রান তখন ৬১-২। পেস বোলিংয়ের ফাঁকে স্পিন আক্রমণ। ক্যারিবীয়দের চাপের মাঝে বোলিংয়ে এসে দারুণ করলেন নাঈমও। বার বার বোলারদের প্রান্ত পরিবর্তন করিয়ে ব্যাটসম্যানদের সামনে মুশফিকুর রহিম এক কঠিন চ্যালেঞ্জই দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ ক্যারিবীয়রা নিতে পারেনি। যে দল কিছুদিন আগে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ২১৭ এবং ১৯৫ রানের ইনিংস খেলেছে, তারাই কিনা আটকে গেল ১৩২ রানে! এই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অভিষিক্ত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পেসারদের চাপে উইকেট পেয়েছেন স্পিনাররা। আবার উল্টোটাও সত্যি। বিশেষ করে শেষ ওভারে শফিউলের দুটি উইকেট ছিল বোনাস। ক্যারিবীয়দের ৮টি উইকেটের মাঝে স্পিনারদের দখলে ৫টি। আবদুর রাজ্জাক এবং সাকিব আল হাসান পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। নাঈম ইসলাম পেয়েছেন একটি উইকেট। পেসারদের মাঝে শফিউল দুটি এবং রুবেল একটি উইকেট পেয়েছেন। ম্যাচে সবচেয়ে লক্ষণীয় ছিল ক্যারিবীয় দলের রান রেট। তৃতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারেই কেবল রান রেট সাতের উপর ছিল। বাকি সময় জুড়ে মুশফিক প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছিলেন সাতের ভেতরেই। ক্যারিবীয় ইনিংসকে মুশফিক ৬.৬ রান রেটেই বেঁধে ফেলেছিলেন। মুশফিকুর রহিম তার অধিনায়কত্বের প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের উপযুক্ততা বেশ ভালোই বুঝিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়কের অনেক কিছুই করার থাকে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানদের ওপর চলে আসে সব দায়িত্ব। সেখানে একজন অধিনায়ক দর্শকের চেয়ে বেশি কিছু নন। বোলিং নিয়ন্ত্রণে সফল মুশফিক দলীয় ব্যাটিং থেকে কতটা সফলতা পেয়েছেন তাও এতক্ষণে জেনে গেছেন ভক্তরা।




0 comments:

Post a Comment