বিগত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবেই বিবেচনা করেছিল প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। তবে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প চিন্তাও করে রাখে আওয়ামী লীগ। কেননা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সরে দাঁড়ালে তৃতীয় বড় দল হিসেবে জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উপযুক্ত। তাই মহাজোটভুক্ত করার পাশাপাশি জাপাকে বিরোধী দল হিসেবেও ভেবে রাখা হয়েছিল। অবশ্য এর যাই হোক না কেন, পরবর্তী সরকারে শক্ত অবস্থানে থাকার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন জাতীয় পার্টি নেতারা। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন তারবার্তায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সাড়াজাগানো ভিন্নধারার গণমাধ্যম উইকিলিকিস সম্প্রতি ওই তারবার্তা প্রকাশ করে। তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, 'সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের তৃতীয় বড় রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এ দলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সুযোগে এরশাদও দুই জোটের সঙ্গে দেনদরবার করছেন। চেষ্টা করছেন তার দলের প্রার্থী বাড়ানোর। এরই মধ্যে জাপার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে রাষ্ট্রপতি করা ও মামলা প্রত্যাহারসহ বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেগুলো না মানলে চারদলীয় জোটভুক্ত হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।' শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এরশাদ এসব শর্ত দেন বলে মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন।
মরিয়ার্টি আরও লেখেন, 'জাতীয় পার্টি কার্যত দ্বৈতনীতি অনুসরণ করছে। একদিকে দলটি নির্ধারিত তারিখে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে ওই তারিখে নির্বাচন ভণ্ডুলে বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছে।' তারবার্তায় বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি এ দফায় সরকারে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কেননা ১৭ বছর ধরে দলটি ক্ষমতার বাইরে। এ অবস্থায় ক্ষমতায় যেতে যে কোনো জোটেই তারা শামিল হতে পারে। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা বন্ধু বলে কোনো কথা নেই।' তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি নির্বাচন ও পরবর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। তবে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা মনে করছেন, দলটি ১৫টি আসনের বেশি পাবে না। যদিও তারা ৫০টিরও বেশি আসনে মনোনয়ন চায়। অবশ্য এর পরও আওয়ামী লীগ মনে করে, জাপা নির্বাচনে বড় একটি ফ্যাক্টর। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।'
মরিয়ার্টি আরও লেখেন, 'জাতীয় পার্টি কার্যত দ্বৈতনীতি অনুসরণ করছে। একদিকে দলটি নির্ধারিত তারিখে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে ওই তারিখে নির্বাচন ভণ্ডুলে বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছে।' তারবার্তায় বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি এ দফায় সরকারে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কেননা ১৭ বছর ধরে দলটি ক্ষমতার বাইরে। এ অবস্থায় ক্ষমতায় যেতে যে কোনো জোটেই তারা শামিল হতে পারে। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা বন্ধু বলে কোনো কথা নেই।' তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, 'জাতীয় পার্টি নির্বাচন ও পরবর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। তবে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা মনে করছেন, দলটি ১৫টি আসনের বেশি পাবে না। যদিও তারা ৫০টিরও বেশি আসনে মনোনয়ন চায়। অবশ্য এর পরও আওয়ামী লীগ মনে করে, জাপা নির্বাচনে বড় একটি ফ্যাক্টর। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।'
0 comments:
Post a Comment