SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

'না বুঝলে' মুহিত এখনো আছেন কেন, প্রশ্ন খালেদার

Posted by methun

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন কেন?

শেয়ারবাজারের অস্থিরতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার বলেন, এ পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব তা তিনি জানেন না।

বাজারের এ অস্থিরতা নিয়ে বুধবার খালেদা জিয়া বলেন, "৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের মুদ্রার দাম কমে গেছে। অন্যদিকে ডলার-পাউন্ডের দাম বেড়ে গেছে। যারা শেয়ার বাজার লুণ্ঠন করেছে তাদের বিচার হয়নি।

"এখন অর্থমন্ত্রী বলছেন, তিনি শেয়ারবাজার বোঝেন না। তাহলে তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন কেন?"

বুধবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, "প্রাইমারি বাজার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা সেকেন্ডারি বাজার নিয়ে।"

"সেকেন্ডারি বাজার ঠিক করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে না। কীভাবে ঠিক হবে আমি জানি না," যোগ করেন মুহিত।

পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা গত রোববার অনশন শুরু করে। সোমবার আয়কর রেয়াতের মতো প্রণোদনা ঘোষণাসহ একটি উপদেষ্টা কমিটি করার কথা জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কমিটিতে অর্থমন্ত্রীও থাকছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বুধবারের জনসভা আয়োজন চার দলীয় জোট। নওগাঁর পথসভার পর রোড মার্চ করে বিকাল ৫টা আট মিনিটে খালেদা জিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভাস্থলে পৌঁছান। প্রায় ৪০ মিনিট তিনি বক্তব্য দেন।

জনসভার মধ্য দিয়ে দুই দিনের রোড মার্চ কর্মসূচির সমাপ্তি টানেন খালেদা জিয়া। রাত সোয়া ৮টা নাগাদ তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চার দলের জনসভা থেকে রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গত ১০ অক্টোবর তার নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট রোড মার্চ করে চার দল।

'মা-বোনদের থাকতে হবে'

সরকার হঠাতে আরো কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি আসবে বলেও রোড মার্চ-পরবর্তী এ জনসভায় ঘোষণা দেন খালেদা।

তিনি বলেন, ''রোড মার্চ চলছে, আরো হবে। এরপর এই জালেম সরকারকে হঠাতে আরো কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। মা- বোনসহ সবাইকে ওই কর্মসূচি থাকতে হবে।"

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই তার দল সরকার হটানোর এই আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে এটি খালেদা জিয়ার প্রথম জনসভা।

জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে দুপুর আড়াইটায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়।

এই জনসভার মঞ্চে চার দলের শীর্ষ নেতারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার ঢাকা থেকে রোড মার্চ শুরু করে বগুড়ায় রাতে যাত্রাবিরতি করেন খালেদা। বুধবার সকাল ১১টায় বগুড়া সার্কিট হাউজ থেকে বিরোধীদলীয় নেতা চাঁপাই নবাবগঞ্জ অভিমুখে রোড মার্চ শুরু করেন। পথে নওগাঁ এ টিম খেলার মাঠে পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

এরপর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রাজশাহীর ওপর দিয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ অতিক্রমের সময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গগঠন এবং জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানায়।

'একতরফা সর্ম্পক হয় না'

নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভায় সরকারের 'ভারতপ্রীতি' রয়েছে দাবি করে এর সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, "এ সরকার বাংলাদেশকে শৃঙ্খলিত করে ফেলেছে। তারা দেশটাকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থনীতি অন্য দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশের বিরুদ্ধে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র।"

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে বর্তমান 'পরাধীন সরকারের' বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।

ভারতের সঙ্গে সমতা ভিত্তিতে সুসম্পর্ক স্থাপনের কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, "কাঁটাতারের ফেলানি লাশ কেন ঝুলে থাকবে। সীমান্তে হত্যা হবে নির্বিচারে। ভারতের পণ্য অবাধে প্রবেশ করছে, কিন্তু আমাদের দেশের পণ্য সেদেশে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে না। এভাবে একতরফা সর্ম্পক হয় না।"

যোগাযোগমন্ত্রীর সমালোচনা

যোগাযোগমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া জনসভায় বলেন, "রোড মন্ত্রী দেশের রাস্তাঘাটের কোনো সংস্কার করতে পারেননি। সব টাকা নিজের পকেটে নিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগেই সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।"

সরকারের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকা অর্থায়ন বন্ধ করেছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, "সেতু নির্মাণ হওয়ার আগে সরকার সব অর্থ গিলে খেয়ে ফেলেছে।"

তবে সরকারি ভাষ্যমতে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য প্রতিশ্র"ত ঋণের কোনো অর্থ দাতা সংস্থাগুলো এখনো ছাড় করেনি।

এর আগে নওগাঁর জনসভায়ও খালেদা মন্তব্য করেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থ সরকার 'গিলে খেয়ে ফেলেছে'।

নির্বাচন কমিশন

বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ বলে আবারো ন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা।

তিনি বলেন, "গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সঠিক সময়ে আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু তা হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন এদেশে হতে দেওয়া হবে না। গঠন করতে হবে নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন।"

"সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।"

গত ১১ অক্টোবর সিলেটের জনসভায়ও একই অভিযোগ করেছিলেন খালেদা।

গত ৩০ জুন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর আগে সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যবস্থা বাতিল করে।

সংবিধান সংশোধনের আগ থেকেই বিএনপি এ ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরে এ ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি তুলে চলেছে দলটি।

প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

"দেশের মানুষ খেতে পায় না। ডাস্টবিনের খাদ্য খায়," দাবি করে খালেদা বলেন, "সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করে বেড়ান। তার পরিবারের সদস্যরা দেশে থাকেন না। বিদেশিদের সঙ্গে আত্মীয়তা করেন। যাদের দেশে কেউ থাকেন না তাদের দেশপ্রেমও নেই। দেশের প্রতি তাদের দায়িত্বও নেই।"

তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা বিয়েও করেন বিদেশি।"

নতুন প্রজন্মের প্রতি আবারো আহবান

গত ১১ অক্টোবরের সিলেট জনসভার পর বুধবারের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বনসভায়ও তরুণ প্রজন্মকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান খালেদা।

তিনি বলেন, "বর্তমান সরকার নতুন প্রজন্মের জন্য কিছুই করবে না। তোমাদের (যুবক) বলছি, তোমরা কি কেবল স্লোগান দেবে, রাস্তায় থাকবে। তোমাদের নেশা করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে ক্ষমতাসীন দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করছে। এটা চলতে পারে না।"

তার দল ক্ষমতায় গেলে তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

গত ১১ অক্টোবর সিলেটে চার দলের জনসভায় খালেদা বলেছিলেন, তার দল আগামীতে ক্ষমতায় গেলে একটি কমিটি করে তরুণদের হাতে দায়িত্ব দেবে।

বিএনপি জেলা সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখও বক্তব্য দেন।

জনসভার পর খালেদা জিয়া সার্কিট হাউজে যান। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানান তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।

মেট্রো রেল ভুরুঙ্গামারীর কী কাজে লাগবে, জানতে চান মকসুদ

Posted by methun

এক মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবার অবস্থান নিয়েছেন প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে।

বিমানবাহিনীর বিরোধিতার কারণে গণমাধ্যমে উঠে আসা মেট্রো রেল সম্পর্কে প্রথম আলোর এই কলাম লেখক বুধবার এক আলোচনা সভায় বলেছেন, "মেট্রো রেল প্রকল্প ভুরুঙ্গামারী কিংবা মানিকগঞ্জের কৃষক কিংবা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারি জনগোষ্ঠীর কী কাজে লাগবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।"

রাজধানীর যানজট নিরসন ও জনযাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার প্রতিশ্র"তি দিয়ে সরকারের নেওয়া মেট্রো রেল প্রকল্পের সমালোচনা করে মকসুদ বলেন, "মেট্রো রেল দেশের খুব বেশি মানুষের কাজে আসবে না।"

এ প্রকল্পকে সরকারের 'উচ্চাভিলাষী' প্রকল্প হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

রাজধানীতে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত 'যাতায়াতে জনদুর্ভোগ : উচ্চভিলাষী প্রকল্প' শিরোনামের এক গোলটেবিলে কথা বলছিলেন মকসুদ।

উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত মেট্রো রেলের রুট পরিবর্তনের বিষয়টি স¤প্রতি গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে।

উচ্চতার কারণ দেখিয়ে রেল রুটের বিজয় সরণী অংশটিকে সংসদ ভবন হয়ে খামারবাড়ি দিয়ে ফার্মগেট নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিমান বাহিনী। তাদের মতে, রেল রুট বিজয় সরণী দিয়ে গেলে তেজগাঁও বিমানবন্দর ব্যবহার করা যাবে না।

যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঈদুল ফিতরের দিন (গত ৩১ অগাস্ট) একটি অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আবুল মকসুদ।

পদ্মা সেতু জটিলতার কারণ বিএনপির দুর্নীতি: হাসিনা

Posted by methun

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আমলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।

বুধবার লালমনিরহাটে এক জনসভায় তিনি বলেন, "আমার কাছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে দুর্নীতির ডকুমেন্ট দিয়েছে, তা তাদের (চারদলীয় জোট সরকার) আমলের যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুটি ডকুমেন্টই বিএনপির যোগাযোগমন্ত্রীর ডকুমেন্ট। চোরের মায়ের বড় গলা।"

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক কিছু দিন আগেই অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। বিরোধী দল দাবি করছে, সরকারের দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু নিয়ে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ ইতোমধ্যে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি দমন কমিশন কাজও শুরু করেছে।

দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাওয়ার পথ তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শনের পর পাটগ্রাম সরকারি জসিমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার রোড মার্চ কর্মসূচির সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি শিগগিরই হবে বলে জানান তিনি। তিস্তার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী।

লালমনিরহাটে আড়াইশ প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাট সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স এবং পাটগ্রাম কলেজে অনার্স কোর্স চালু করা হবে।

এছাড়া এ জেলায় একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটও স্থাপন করার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের এ জনসভায় মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহারা খাতুন, দীপু মনি, মোতাহার হোসেন, এ বি এম তাজুল ইসলাম।

পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজুর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়া, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানও বক্তব্য রাখেন।

বুধবার সকালে বিমানে করে সৈয়দপুর যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে লালমনিরহাট পৌঁছান তিদনি। এরপর দহগ্রাম দ্বিমুখী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রম, দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ১০ শয্যার দহগ্রাম হাসপাতাল উদ্বোধন করেন তিনি।

দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তিন বিঘা করিডোরে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। করিডোর পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি লিচু গাছের চারা রোপণ করেন।

'সব গাড়ির নম্বর আছে'

জনসভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী চারদলীয় জোটের রোড মার্চের সমালোচনা করে বলেন, "বিরোধী দলের নেতা রোড মার্চ করছেন, কিন্তু এটা রোড মার্চ নয়, এটা হলো গাড়ির শোডাউন। ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করে কত টাকা করেছেন, তার প্রমাণ আছে। রোড মার্চের গাড়ির নম্বর আমাদের কাছে আছে। এগুলোর তদন্ত করা হবে।"

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বুধবারই উত্তরাঞ্চলে রোড মার্চ শেষ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এর আগে ঢাকা-সিলেট রোড মার্চ করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, "উনার (খালেদা) ছেলেরা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না, উনি দুর্নীতি করতে পারছেন না। এটাই তার দুঃখ। মানুষ যখন শান্তিতে থাকেন, বিএনপির নেত্রী তখন অশান্তিতে থাকেন।"

খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকির জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছে। মানুষ শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। পেট ভরে ভাত খাচ্ছেন। এটা খালেদার সহ্য হচ্ছে না। তাই তিনি মানুষের ঘরে ঘরে আগুন জ্বালানোর কথা বলেছেন।

"আপনি মানুষের ঘরে আগুন দিয়ে কেন ধ্বংস করতে চান। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ঘরে ঘরে আগুন দেওয়া কেন, কারো শান্তিও বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না।"

'উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা'

শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের 'রক্ষা'ই খালেদার জিয়ার সরকার পতনের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।

"যুদ্ধাপরাধী, খুনি, রাজাকার ও মানবতাবিরোধীদের রক্ষায় তিনি (খালেদা) উঠেপড়ে লেগেছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র"য়ারি ভোট চুরি করে এদের তিনি জাতীয় সংসদেও বসিয়েছিলেন। কারণ তিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, দেশের কল্যাণেও বিশ্বাস করেন না।"

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির সাবেক ও বর্তমান দুই সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। খালেদা জিয়া তাদের মুক্তি দাবি করে আসছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু বিরোধী নেত্রী চান, মাথা হেঁট করে চলতে। দুর্নীতি তার নীতি। তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়েই থাকতে চান।

'দেশের প্রতি তার ভালোবাসা নেই'

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, "উনি আমার ধর্ম নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু আমি আমার ১৪ পুরুষের নাম বলতে পারবো।"

"উনাকে তার নানার নাম বলতে বললে বলতে পারবেন না। তিনি জিয়াউর রহমানের বাবা-মায়ের নাম এমনকি কোথায় তাদের কবর আছে, তাও বলতে পারবেন না। তার দেশের প্রতিও দায়িত্ব ও ভালোবাসা নেই।"

দুর্গাপূজার সময় শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়া সিলেটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

হাসিনা বলেন, "বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতনের মামলাগুলো চালু করে তাদের বিচার করা হবে।"

২০০১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী বিএনপির হত্যা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, "আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই না। আইন তার আপন গতিতে চলবে।"

'ছিটমহল-তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে'

তিন বিঘা করিডোর দিন-রাত খোলা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিএনপি এ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়ায় বন্দিদশা থেকে এখানকার মানুষ মুক্তি পেয়েছেন।"

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি ছিটমহলের সমস্যার সমাধান করা হবে এবং সীমানা পুনর্র্নিধারণের কাজও চলছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই দিনের মাথায় ৮ সেপ্টেম্বর সব সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার প্রবেশদ্বার তিন বিঘা করিডোর।

এর আগ পর্যন্ত ওই করিডোর দিয়ে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারার মধ্যে কেবল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করতে পারতো বাংলাদেশিরা। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যেতো 'তিন বিঘা গেইট'।

তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শনের সময় শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, "ভারতের সঙ্গে বর্তমান সময়ের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলে এক দিন সব সমস্যার সমাধান হবে। আশা করছি, শিগগির তিস্তা চুক্তি করতে পারবো।"

ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, "ইতোমধ্যে প্রটোকল সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, এ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে।"

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি শিগগিরই হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছে। তিস্তার ন্যায্য হিস্যাও আদায় করা হবে।"

আমার বিরোধিতা করে আপনি গণতন্ত্র এনেছেন: এরশাদ

জনসভায় সামরিক শাসক এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর সফলতা কামনা করে বলেন, "আমার বিরোধিতা করে আপনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সংগ্রাম করে যান। জয়ী হউন।"

দেশের অন্য ছিটমহলবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, "আমি আশা করবো, আপনি তাদের মুক্ত করবেন।"

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, "নির্বাচনে আসুন, জয়ী হোন। দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংসদে বিল উত্থাপন করেন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পরিবর্তন করুন।"

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করে বিরোধী দল দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অগ্রণী ব্যাংকে ২ লাখ টাকা চুরি

Posted by methun

ময়মনসিংহ শহরে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে এক গ্রাহকের দুই লাখ টাকা চুরি হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ব্যাংকটির ক্যাশ কাউন্টার থেকে এই টাকা চুরি হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ওই শাখার ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শহরের গঙ্গাদাস রোডের মেসার্স শাহজাহান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক অজয় কুমার সরকার দুপুর ১২টায় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের ভিতরে রাখেন।

পরে ক্যাশ অফিসার মাহমুদা বেগম টাকা গ্রহণ করার সময় সেখানে দুই লাখ টাকা কম আছে বলে জানান।

ব্যবস্থাপক আরো বলেন, এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু চোরকে সনাক্ত করা যায়নি।

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত

Posted by methun

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিুচাপের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, গভীর নিুচাপটি দুর্বল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে সরে রাত ৯টায় কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে। ওই সময় স্থল নিুচাপ হিসেবে এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ওপর অবস্থান করছিলো।

বুলেটিনে বলা হয়, এটি স্থলভাগের ওপর আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। নিুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরগুলো এবং বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিুচাপে পরিণত হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা থেকে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়।

'৯৯ শতাংশ বাচ্চাই বাবা-মায়ের মার খায়'

Posted by methun

দেশের সুপরিচিত একজন মনোবিজ্ঞানী বলেছেন, বাংলাদেশে ৯৯ শতাংশ শিশু ঘরে নির্যাতিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক গোলটেবিলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম বলেন, "বিদ্যালয়গামী শিশুদের ৯১ শতাংশ এবং শ্রমজীবী শিশুদের ৬০ শতাংশ কর্মস্থলে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।"

ইউনিসেফের সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

"বাবা-মায়ের তার সন্তানকে চড় মারার অধিকার রয়েছে," মন্তব্য করে তিনি বলেন, "কিন্তু এটা শিশুদের মনে কীরকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এটাও বাবা-মাকে বুঝতে পারতে হবে"।

"তাই বাবা-মাকে শিশুদের মনের অবস্থা বুঝে তাদের শাসন করতে হবে।"

সিনেট ভবনে 'মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার-মানবাধিকার' শিরোনামে এ বৈঠক যৌথভাবে আয়োজন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি ঢাবি এবং ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর ঢাবি।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এ গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।

শিশু সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন মেহতাব খানম বলেন, "এটা শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং বাবা-মা সম্পর্কে শিশুদের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে।"

মনোরোগের চিকিৎসা সম্পর্কে তিনি বলেন, "মনোবিজ্ঞানী বা মনো চিকিৎসক একা এ রোগ সারাতে পারবে না এর জন্য দরকার পরিবারের সহযোগিতা।"

Hasina blames BNP for Padma mess

Posted by methun

The World Bank suspended funding for the Padma bridge project due to 'corruption during the BNP's tenure', prime minister Sheikh Hasina has said.

"Corruption in the communications ministry during the last BNP government led to the halting of funding," she told a public meeting at Patgram on Wednesday.

Several cases over charges of corruption had been filed against Nazmul Huda—the communications minister of the last BNP-led four-party alliance government—during the caretaker government's tenure.

On a visit to Lalmonirhat to declare officially Tin Bigha corridor open round the clock, the prime minister said the difficulties in signing of Teesta deal and swapping enclaves with India would be overcome soon.

She also inaugurated Dahagram-Angorpota power distribution line at Dahagram School ground.

After the inauguration, she assured residents of Dahagram-Angorpota enclaves that the government would provide all help to improve their living standard.

In her speech, Hasina also slammed BNP chairperson Khaleda Zia.

"We want that there are no hartals, killings or militancy in the country so that people can live peacefully. We want our people to live with pride, but Khaleda Zia wants the people of the country walk with their heads down. She lives with terrorists and criminals," she said.

Banks meet Thursday over stocks exposure

Posted by methun

—An association of managing directors of banks will sit on Thursday to decide on raising exposure of banks in the stock market.

The meeting will call on commercial banks to raise their stock market investments within the legal limit, Association of Bankers, Bangladesh (ABB) president K Mahmud Sattar told on Wednesday evening.

"We'll ask banks with exposure below the legal limit to raise investments," he said.

"The PE is quite low in the market…it's a good time for investment."

ABB's meeting follows a call from the Bangladesh Bank governor for private banks to 'do what they can for the share market.'

At a meeting with ABB vice-president Nurul Amin, Atiur Rahman urged private banks to invest more in the market.

The exposure limit for banks in the capital market is up to 10 percent of their liabilities. Many banks were, however, investing well above this limit last year.

They pulled out in swarms as the market slumped at the beginning of this year. At present, the banks are investing three percent of their liabilities on an average.

Analysts think banks were the chief cause of the share market bubble and they should now help revive it.

Dhaka Stock Exchange (DSE) senior vice-president Ahsanul Islam told : "In 2010, banks and non-bank financial institutions made a Tk 34 billion profit from the stock market.

"This is public money and they are obliged to bring it back to the market," he added.

He said the banks currently had about Tk 190 billion in investments, of which Tk 70 to 80 billion were in margin loans distributed through brokerage houses.

When asked how much more was required to bring back stability to the market, he said another Tk 70 to 80 billion would be enough.

"But they cannot be allowed to give margin loans from that money. Either they'll have to go to portfolio investment or increase the capacity of their subsidiaries," Ahsanul added.

On Dec 5 last year, the DSE general index reached a record 8918 points. Unrest began in the market from the following day. December and January saw rapid freefall.

Following the budget in June where the government allowed undisclosed income into the market, it saw a month of improvement. The seesaw returned by the end of July.

In the last three months the index has fallen about 1452 points.

Abul Hossain ran first to get ministry!

Posted by methun

A ruling party MP has made a startling claim that the communications minister won his office by winning a race set no-one else but by prime minister Hasina.

The Awami League deputy, Golam Maola Rony, said at a talk show on a private TV channel on Monday, "This is a gift from the prime minister. We know, because we are so close to him."

When asked about the truthfulness of his story, he told on Wednesday: "Why would I lie on a TV talk show?"

Patuakhali MP Rony's statements, shown on Tritiya Matra, a talk show on Channel i, stirred a storm on the social media website Facebook and blogs. The video has been shared countless times on Facebook.

At one stage of the show, Rony described to his host and co-discussant how Abul Hossain had become the communications minister.

"When she was the opposition leader, she went to China once, around 2004/05/06.

"You know the prime minister is a simple person. Sometimes she chats and sings with others, creates a homely environment.

"At West Lake, she said, 'Get me a whistle'. Saber Hossain Chowdhury, Obaidul Quader and Syed Abul Hossain were there.

"She said, 'I'll blow this whistle and the three of you will run. Whoever is first will be a minister.

"Now she's the party chief, so Quader and Saber complied and ran. But Abul Hossain took it very seriously. He ran really fast and became first."

"Then he came to the prime minister and said, 'you have made a commitment, so you must make me the communications minister.'
"The prime minister resisted, saying it was a joke, that she was the opposition leader and there was no guarantee she would become the prime minister.



"But he got that commitment from her. Later he reminded the prime minister of the commitment when he became an MP.

"This is the true history of his becoming the communications minister. Whatever else he says, it did not happen in reality. We know, because we are so close to him."

However, Rony said he was not accompanying Hasina on that tour.

In another incident, Rony said Abul Hossain had told him, "Across the globe transport minister means the aviation ministry is under him, communications ministry and water transport ministry. The truth is that, despite running my work with such skill, I get a lot of spare time.

"If they can't run the aviation, they should give it to me. Water transport minister should give his ministry to me if he can't manage.

"I can run all of them. I want to show them how to work."

Rony also described the behaviour of the communications minister in parliament, adding, "He does not understand that people are joking with him. He thinks they laugh because they are appreciative."

Rony reassured  on Wednesday about the truth in his story.

"Ask the communications minister. If he denies, I will talk again."

Saber Hossain Chowdhury and Obaidul Qader were unavailable for comment on Rony's extraordinary tale.

EXCLUSIVE GP must pay: BTRC chief

Posted by methun

—Grameenphone must pay the Tk 30 billion in 'unpaid revenue, SIM taxes and interest', but there is still time for talks, the BTRC chairman said on Wednesday – just five days before the regulator's deadline.

"They have to pay," retired major general Zia Ahmed told  in an exclusive interview, "the doors for discussions are still open."

The BTRC deadline for GP ends on Oct 24, but both parties refused to soften their positions, fighting a war of words through the media since the Tk 3034 crore letter arrived at the operator's imposing headquarters in capital's Baridhara on Oct 3.

"Grameenphone can always get a copy of the audit report if they want," Zia Ahmed insisted.

"They can also bring international experts to negotiations with us," he added.

Zia Ahmed was responding to GP offensive in the past few days when Norway's Telenor-controlled mobile operator termed the audit "flawed" and said the auditors lacked sufficient knowledge of the industry.

Three days earlier, Sigve Brekke, the Bangkok-based chairman of Grameenphone, said on Sunday he did not see any reason for the company to pay that sum and alleged that the audit by the regulators was 'flawed'.

"We would like to see the audit report," Brekke had told a press conference.
"We are not questioning the regulator's right to conduct audit but we have concerns about the process," said the Telenor official. "They have to follow best practices and international standards."

The GP chairman said he wanted international auditors to do the job. "As an investor, we will protect our investment, as well as the interest of our thousands of shareholders and 35 million customers."

"If they can prove that some parts of the audit report exaggerate the claims, we'll obviously deduct that amount," Zia Ahmed said in Wednesday's interview.

"Grameenphone must sit for negotiations by Oct 24," he told . "I firmly believe that Grameenphone will pay up."

GP has been saying it is ready for talks but only after the 'withdrawal' of the Oct 3 letter. The BTRC says the taking the letter back has not been on the cards.

The BTRC chairman defended the audit process. "Grameenphone hadn't raised any objections when the audit began six months ago. Why are they talking about international audit now?"

On Sunday, the telecoms minister Raziuddin Ahmed Razu said at a function: "The government will act within the law."

In the wake of the deadlock, Jon Fredrik Baksaas, the group CEO of Telenor, the majority owners of Grameenphone, met prime minister Sheikh Hasina on Saturday and expressed concern about the fate of its investment in Bangladesh.

A day later, Brekke, also the Asia chief of the Norwegian company, said he saw "a huge potential" for Bangladesh's telecom industry, with high demand for voice and data connectivity.

Telenor owns 55.8 percent stake in GP, Grameen Telecom 34.2 and the rest 10 percent is held by public and GP employees.