SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

সম্মিলিতভাবে জলবায়ু উদ্বেগ তুলে ধরার আহ্বান হাসিনার

Posted by methun

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সপ্তদশ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের (কোপ ১৭) আগে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি মাসের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে এ সম্মেলন শুরু হবে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে হুমকিতে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বার্ষিক সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলার এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিছু দেশ 'ব্যাপক অবিচারের' মুখোমুখি হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে অবশ্যই তা স্বীকার করতে হবে।

"জলবায়ু পরিবর্র্তনের জন্য আমাদের খুবই সামান্য বা কোনো ভূমিকা না থাকলেও আমরা এর ক্ষতচিহ্ন বহন করছি। চরম অবিচারের শিকার আমরা, বিশ্বকে তা স্বীকার করতে হবে।"

২০০৯ সালে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় সভা হয় গত বছর কিরিবাতিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় হুমকিতে থাকা দেশগুলোতে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলোতে সহায়তা দেওয়ার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট তৎপরতা দেখা যায় না।

"জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গঠিত তহবিল ও প্রযুক্তিতে সরাসরি ও সহজে প্রবেশের কোনো প্রমাণ আমরা দেখি না। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড পরিচালনার জন্য ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কীভাবে তহবিল সংগ্রহ করা হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট কিছু আমরা দেখিনি।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৮ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডারবানে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনের আগেই এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরার জন্য হুমকিতে থাকা দেশগুলোর একত্রিত হওয়া উচিত।

"জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে আমাদের বৈশ্বিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করা এবং একটি কার্যকর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগোনো প্রয়োজন।"

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, ডারবানেই গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের তহবিল সংগ্রহ শুরু করা প্রয়োজন।

"গত বছর কানকুনে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো ডারবানে অবশ্যই তা শেষ করতে হবে। ফাঁকা বুলি কোনো কাজে আসবে না।"

তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা এসেছেন বান কি মুন।

গত বছর মেক্সিকোর কানকুনে কোপ ১৬ সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের তহবিল সংগ্রহ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয় সেগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দিতে ডারবানে অবশ্যই ক্ষয়ক্ষতির ওপর কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।"

"সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের মূল্য দিতে বলতে পারি না।"

ভবিষ্যতে বৃহৎ পরিসরে একটি স¤প্রসারিত জলবায়ু চুক্তি সম্ভব করতে সরকারগুলো কিয়োটো প্রটোকল নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ প্রধান।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, ১৯৯০ সালের একটি ঘূর্ণিঝড়ে যেখানে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায় সেখানে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মাত্র চার হাজার মানুষ মারা গেছে।

"শুধু বাইসাইকেল ও বাঁশির সাহায্যে স্বেচ্ছাসেবীরা ৩০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছিলো।"

এজন্য বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম-সিপিপি) প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দুই মিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বার্ষিক সভায় ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হবে।

লেগুনে মাছ চাষ বন্ধে ব্যর্থতা বেআইনি নয় কেন

Posted by methun

কদমতলিতে ওয়াসার লেগুনে মাছ চাষ বন্ধে প্রশাসনের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনে সোমবার বিচারপতি ফরিদ আহাম্মেদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।

আদালত একইসঙ্গে লেগুনায় মাছচাষ নিষিদ্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানতে চায়।

আগমী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, ওয়াসার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহনাগর পুলিশ কমিশনার, কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বিষাক্ত পানিতে মাছ উৎপাদন বন্ধে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতেও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।

স্বাস্থ্য সচিব, ওয়াসার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে এই নির্দেশনা পালন করতে বলে আদালত।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে শুনানি করেন, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু।

মালয়েশিয়ায় অবৈধদের পাসপোর্ট পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

Posted by methun

মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত লোকবল চেয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৩ বাংলাদেশি কর্মী বৈধ হতে নাম নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬২২ জনেরই পাসপোর্ট নেই।

লোকবল চেয়ে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাসের পাঠানো জরুরি বার্তা রোববার মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান। ওই বার্তায় অতিরিক্ত ১৫ জন কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বর্তমানে সাত জন এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।

জাফর আহমেদ খান  বলেন, "জনবল সঙ্কট কাটিয়ে সবাইকে পাসপোর্ট দেওয়া নিশ্চিত করতে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের চেষ্টা করছি। তবে হাইকমিশনের কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল হওয়া দরকার। স্থানীয়ভাবে লোকবল নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের অনেক আগেই বলা হয়েছে।"

২০১২ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিবন্ধিত সব অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে।

বার্তায় বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করার পর থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিবন্ধিত কর্মীদের মধ্যে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৭ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, যাদের ৬৫ হাজার ৫০০ জনকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ৩০ হাজার ৬২২ কর্মী আবেদনই করেননি।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে ব্যয় বহন করে জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে মাসিক এক হাজার রিংগিত বেতনে ১৫ জন লোক নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ওই বার্তায়।

'পাসপোর্ট বিষয়ে প্রচার নেই'

আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের বাধ্যতামূলক পাসপোর্ট নেওয়ার বিষয়ে তেমন প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কুয়ালালামপুরে বেসরকারি সংস্থা এফডব্লিউএমএমসি'র (ফরেন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার) উপদেষ্টা সাংবাদিক কায়সার হামিদ হান্নান।

তিনি টেলিফোনে বলেন, "শুরু থেকেই এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার দরকার ছিলো। যথাযথ প্রচার থাকলে অন্ততঃ এক লাখ শ্রমিকের ভাগ্য ঝুঁকির মুখে পড়তো না। পাসপোর্ট নেওয়ার ডেডলাইন শেষ হতে খুব অল্প সময় থাকলেও এখনো এক লাখ ৩০ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদনই করেননি।"

এখন দৈনিক দুই হাজারের মতো পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।

"এভাবে চলতে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১ লাখ কর্মীর পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। বাকি কর্মীরা পাসপোর্ট শূন্য থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট না পেলে আগামী বছরের শুরুতে সবাইকে দেশে ফিরে আসতে হবে," আশঙ্কা কায়সারের।

অবশ্য প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান বলছেন, মালয়েশীয় পত্রিকায় এ নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য হাইকমিশনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।

'অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে'

এদিকে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আর্থিক কারণে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, "দালালের মাধ্যমে ছাড়া পাসপোর্ট নেওয়ার সুযোগ নেই হাইকমিশন থেকে। কাগজপত্র বিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের মাত্র ১০২ রিংগিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) খরচ করে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা। কিন্তু এজন্য ৩০০ থেকে ৫০০ রিংগিত পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।"

এরই মধ্যে অভিযোগ তদন্তে সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত ১১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সফর করেন।

তবে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কাগজপত্র বিহীন কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে সব উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হচ্ছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না।"

৬-পি কর্মসূচির আওতায় গত ১ অগাস্ট থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩১ আগস্ট শ্রমিক নিবন্ধন শেষ হয়। বর্তমানে পাসপোর্ট দেখিয়ে এসব কর্মীকে বৈধ করার প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে।

ব্যাপক দরপতনে এসইসির সামনে বিক্ষোভ

Posted by methun

পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতনের প্রতিবাদে এবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৫ মিনিটেই সূচক ১০৭ পয়েন্ট কমে যায়। এক পর্যায়ে সূচক ২০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়।

লেনদেন শুরুর পরপরই ব্যাপক দরপতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনের রাস্তায় নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আরেকদল বিনিয়োগকারী দিলখুশায় এসইসি কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ শুরু করে। তারা অর্থমন্ত্রী ও এসইসির বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসইসি ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

ব্যাপক দরপতনের প্রতিবাদে ডিএসইর সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। সা¤প্রতিককালে এবারই প্রথম এসইসির সামনে বিক্ষোভ দেখাল তারা।

পরে দুপুর আড়াইটার দিতে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিনিয়োগকারীদের তিনজন প্রতিনিধি এসইসি চেয়ারম্যান ম. খায়রুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে ঢোকেন। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বৈঠক শেষ হয়।

বিনিয়োগকারীদের একজন নজরুল ইসলাম জানান, তারা পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা। তারা রোববার ও সোমবারের লেনদেন বাতিলেরও অনুরোধ জানান।

বৈঠক শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিনিয়োগকারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে এসেছে। তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করে দেখা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১২ টার দিকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে যান। তিনি এসইসির সদস্য আরিফ খানের সাথে দেখা করে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানান।

পুঁজিবাজার স্বাভাবিক করতে এসইসিকে আরও পদক্ষেপ নিতে বলেন তিনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ করে আরেক দল বিনিয়োগকারী।

তারা রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় বেলা ১২টার পর ডিএসই -এর সামনের দুই দিকের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন বিক্ষোভকারী শার্ট খুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুপুর তিনটার দিকে রাস্তা থেকে বিনিয়োগকারীরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঈদের ছুটির পর পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব থাকবে-বিনিয়োগকারীরা এমন আশা করলেও রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনও ব্যাপক দরপতন হয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে।

হাইকোর্টে গিয়ে বিফল টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভাই বাচ্চু

Posted by methun

নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হত্যা মামলার আসামি টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ তিন জনের আগাম জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে ফেরত পাঠানো হয়।

জামিন চাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এপিএস মুরাদ আহমেদ ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।

এর আগে রোববার এই তিন জন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম অংশ নেন।

গত ১ নভেম্বর রাতে নরসিংদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন দলটির শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। এর ৪৮ ঘণ্টা পর টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই বাচ্চুসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান।

'আপনাদের উচিত ছিল আত্মসমর্পণ করা'

আসামিদের ৩০ দিনের জন্য জামিন চেয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আদালতকে বলেন, "পরিস্থিতি খারাপ না হলে আমরা এখানে আসতাম না। আমাদের জীবনের ভয় আছে বলেই আদালতের শরণাপণœ হয়েছি।"

এ সময় আদালত বলে, "একজন জনপ্রিয় মেয়রকে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আপনাদের উচিত ছিলো নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করা। কিন্তু তা না করে সরাসরি হাইকোর্টে চলে আসলেন। এ ধরনের হত্যা মামলায় জামিন দিলে আরেকটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

"আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু জামিন দিতে পারলাম না। আমরা বিবেকের কাছে বন্দি। আবেদনটি নিয়ে যেতে পারেন। জামিন দেওয়া হলে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হবে।"

তখন আনিসুল হক বলেন, "পুলিশ ধরে নেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। আমাদের ওপর নির্যাতন হতে পারে। এজন্যই আদালতে এসেছি।"

জবাবে আদালত বলে, "দেশে তো এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আপনারা চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিই। নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে।"

জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, এ রকম একটি স্পর্শকাতর হত্যা মামলায় আদালত জামিন দিতে পারেন না। মেয়র লোকমান হোসেন মারা যাওয়ার আগে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলে গেছেন বলে এফআইআরএ উল্লেখ করা হয়েছে।

অবশ্য পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, "আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করেনি। আমরা আবেদনটি ফিরিয়ে নিয়েছি।"

এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় বিক্ষোভ কর্মসূচি বিএনপির

Posted by methun

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সারাদেশে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি বলছে, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে।

কর্মসূচির মধ্যে আছে- মঙ্গলবার জেলায় জেলায় এবং বুধবার বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।

গত ১০ নভেম্বর প্রতি লিটার ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন, পেট্রোল ও ফার্নেস অয়েলের দাম পাঁচ টাকা করে বাড়ায় সরকার।

ফখরুল বলেন, "আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে তেলের দাম কমছে, সেখানে সরকার গত ছয় মাসে তিন বার তেলের দাম বাড়িয়েছে। আমরা মনে করি, তাদের ব্যর্থতায় দেশের অর্থনীতি সঙ্কটে পড়ায় এভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, পরিবহন ব্যয় বেড়ে জনদুর্ভোগ বাড়বে।"

তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

রোববার রাতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিক্ষোভ কর্মসূচি চূড়ান্ত করে বিএনপি।

ভর্তুকি কমাতে তেলের দাম বৃদ্ধির সরকারি যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, "আমরা জানি, আমাদের কর্মসূচিতে সরকারের টনক নড়বে না। তারপরও এসব কর্মসূচি দিয়ে সারাদেশের জনগণকে আমরা সম্পৃক্ত করবো আন্দোলনে। এরপর বৃহত্তর কর্মসূচি দেবো।"

নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদের ঘোষিত কমসূচি ছাড়াও মাসব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ নভেম্বর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন, ১৯ নভেম্বর দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী পালনে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ২০ নভেম্বর দেশব্যাপী আলোচনা সভা, ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন, ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন দিবস পালন।

এছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। এজন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।

যুদ্ধাপরাধ: বান কি মুনকে নালিশ খালেদার

Posted by methun

'৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের 'ক্রটি' নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।

সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাতে সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান খালেদা।

তাদের ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁয়ের ৮তম তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুইটে এই বৈঠক হয়।

জাতিসংঘের মহাসচিব পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় বান কি মুনকে অভিনন্দন জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে জাতিসংঘের ভূমিকা, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনাদের সর্বাধিক অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে আলোচনা হয়।

রোববার তিনদিনের সফরে বান কি মুন ঢাকায় আসেন।

সাক্ষাতের সময় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধাপরাধ বিচার

বৈঠকে বান কি মুন বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে খালেদা জিয়ার মতামত জানতে চান বলে জানান শমসের মবিন।

তিনি বলেন, "বান কি মুন বেগম জিয়াকে বলেছেন, 'এই বিচার অবশ্যই আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হতে হবে।'"

"জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা চাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হোক। তবে বিচারের নামে অবিচার কিংবা প্রহসন যেন না হয়। বিচারপ্রার্থীরা যাতে সুবিচার পান তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু র্র্বতমান ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন নয়।"

শমসরে মবিন জানান, খালেদা জিয়া ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন কারিগরি ও আইনগত 'ত্র"টি' লিখিতভাবে জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান।

ট্রাইব্যুনালের 'ক্রটি' বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শমসের মবিন বলেন, "এই ক্রুটির মধ্যে আছে- অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো; যেমন বিবাদীর কৌঁসুলি, বিশেষ করে বিদেশি কৌঁসুলি আনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আরো ক্রটি তুলে ধরেছেন তিনি (খালেদা জিয়া)।"

বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

জামায়াতের আরো চার শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক রয়েছেন।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপিনেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উত্থাপনে সোমবার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে প্রসিকিউশন দল। এছাড়া জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীমকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।

নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহণ

শমসের মবিন বলেন, "খালেদা জিয়া জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে।"

"ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করার এখন কোনো উপায় নেই। এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে। এ জন্য জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখতে হবে।"

আগামী নির্বাচনে যদি বড় বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয় তাহলে ওই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেও জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন খালেদা জিয়া।

শমসের মবিন বলেন, "জবাবে বান কি মুন বলেছেন, 'আপনার (খালেদা জিয়া) বক্তব্য আমি নোট করেছি।' সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ যেন তৈরি করা যায়- সে ব্যাপারে তিনি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।"

গত ৩০ জুন পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর আগে সর্বোচ্চ আদালতও এ ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে।

এ ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি ব্যবস্থাটি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

অটিস্টিক শিশুদের সাহায্যের আশ্বাস ইউ (বেন) সুন-তায়েকের

Posted by methun

অটিস্টিক শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় গুরুত্ব দিয়ে এক্ষেত্রে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের স্ত্রী ইউ (বেন) সুন-তায়েক।

সোমবার তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে ঠিকমতো আচরণ করা হয় না।

অটিস্টিক শিশুদের প্রতি আরো যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন ইউ (বেন) সুন-তায়েক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, আজকের এই দিনটি বিএসএমএমইউ তে ' ইউ (বেন) সুন-তায়েক দিবস' হিসেবে পালন করা হবে।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য জাতিসংঘের আরো সহায়তাও চান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, জাতিসংঘের সহায়তায় শুধুমাত্র বাংলাদেশের অটিস্টিক শিশুরাই লাভবান হবে না, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের ফলে তা গোটা অঞ্চলের অটিস্টিক শিশুদের জন্যও কল্যাণকর হবে।

ইউ (বেন) সুন-তায়েককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনারারি ফ্যাকাল্টি' হিসেবে সম্মানিত করার প্রস্তাবও দেন ডা. মোদাচ্ছের আলী।

এর আগে ইউ (বেন) সুন-তায়েক অটিস্টিক শিশুদের স্কুল 'খেলাঘর' পরিদর্শন করেন।

অটিস্টিক শিশুদের বাবা-মা, বিএসএমএমইউ'র সেন্টার ফর নিউরো ডেভেলপমেন্ট অটিজম ইন চিলড্রেন এবং গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।