'৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের 'ক্রটি' নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাতে সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান খালেদা।
তাদের ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁয়ের ৮তম তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুইটে এই বৈঠক হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় বান কি মুনকে অভিনন্দন জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে জাতিসংঘের ভূমিকা, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনাদের সর্বাধিক অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে আলোচনা হয়।
রোববার তিনদিনের সফরে বান কি মুন ঢাকায় আসেন।
সাক্ষাতের সময় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধ বিচার
বৈঠকে বান কি মুন বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে খালেদা জিয়ার মতামত জানতে চান বলে জানান শমসের মবিন।
তিনি বলেন, "বান কি মুন বেগম জিয়াকে বলেছেন, 'এই বিচার অবশ্যই আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হতে হবে।'"
"জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা চাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হোক। তবে বিচারের নামে অবিচার কিংবা প্রহসন যেন না হয়। বিচারপ্রার্থীরা যাতে সুবিচার পান তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু র্র্বতমান ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন নয়।"
শমসরে মবিন জানান, খালেদা জিয়া ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন কারিগরি ও আইনগত 'ত্র"টি' লিখিতভাবে জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান।
ট্রাইব্যুনালের 'ক্রটি' বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শমসের মবিন বলেন, "এই ক্রুটির মধ্যে আছে- অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো; যেমন বিবাদীর কৌঁসুলি, বিশেষ করে বিদেশি কৌঁসুলি আনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আরো ক্রটি তুলে ধরেছেন তিনি (খালেদা জিয়া)।"
বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতের আরো চার শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক রয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপিনেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উত্থাপনে সোমবার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে প্রসিকিউশন দল। এছাড়া জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীমকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।
নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহণ
শমসের মবিন বলেন, "খালেদা জিয়া জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে।"
"ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করার এখন কোনো উপায় নেই। এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে। এ জন্য জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখতে হবে।"
আগামী নির্বাচনে যদি বড় বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয় তাহলে ওই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেও জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন খালেদা জিয়া।
শমসের মবিন বলেন, "জবাবে বান কি মুন বলেছেন, 'আপনার (খালেদা জিয়া) বক্তব্য আমি নোট করেছি।' সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ যেন তৈরি করা যায়- সে ব্যাপারে তিনি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।"
গত ৩০ জুন পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর আগে সর্বোচ্চ আদালতও এ ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে।
এ ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি ব্যবস্থাটি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাতে সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান খালেদা।
তাদের ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁয়ের ৮তম তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুইটে এই বৈঠক হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় বান কি মুনকে অভিনন্দন জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে জাতিসংঘের ভূমিকা, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনাদের সর্বাধিক অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে আলোচনা হয়।
রোববার তিনদিনের সফরে বান কি মুন ঢাকায় আসেন।
সাক্ষাতের সময় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধ বিচার
বৈঠকে বান কি মুন বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে খালেদা জিয়ার মতামত জানতে চান বলে জানান শমসের মবিন।
তিনি বলেন, "বান কি মুন বেগম জিয়াকে বলেছেন, 'এই বিচার অবশ্যই আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হতে হবে।'"
"জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা চাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হোক। তবে বিচারের নামে অবিচার কিংবা প্রহসন যেন না হয়। বিচারপ্রার্থীরা যাতে সুবিচার পান তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু র্র্বতমান ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন নয়।"
শমসরে মবিন জানান, খালেদা জিয়া ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন কারিগরি ও আইনগত 'ত্র"টি' লিখিতভাবে জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান।
ট্রাইব্যুনালের 'ক্রটি' বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শমসের মবিন বলেন, "এই ক্রুটির মধ্যে আছে- অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো; যেমন বিবাদীর কৌঁসুলি, বিশেষ করে বিদেশি কৌঁসুলি আনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আরো ক্রটি তুলে ধরেছেন তিনি (খালেদা জিয়া)।"
বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতের আরো চার শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক রয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপিনেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উত্থাপনে সোমবার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে প্রসিকিউশন দল। এছাড়া জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীমকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।
নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহণ
শমসের মবিন বলেন, "খালেদা জিয়া জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে।"
"ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করার এখন কোনো উপায় নেই। এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে। এ জন্য জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখতে হবে।"
আগামী নির্বাচনে যদি বড় বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয় তাহলে ওই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেও জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন খালেদা জিয়া।
শমসের মবিন বলেন, "জবাবে বান কি মুন বলেছেন, 'আপনার (খালেদা জিয়া) বক্তব্য আমি নোট করেছি।' সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ যেন তৈরি করা যায়- সে ব্যাপারে তিনি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।"
গত ৩০ জুন পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর আগে সর্বোচ্চ আদালতও এ ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে।
এ ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি ব্যবস্থাটি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
0 comments:
Post a Comment