নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হত্যা মামলার আসামি টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ তিন জনের আগাম জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে ফেরত পাঠানো হয়।
জামিন চাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এপিএস মুরাদ আহমেদ ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে রোববার এই তিন জন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম অংশ নেন।
গত ১ নভেম্বর রাতে নরসিংদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন দলটির শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। এর ৪৮ ঘণ্টা পর টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই বাচ্চুসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান।
'আপনাদের উচিত ছিল আত্মসমর্পণ করা'
আসামিদের ৩০ দিনের জন্য জামিন চেয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আদালতকে বলেন, "পরিস্থিতি খারাপ না হলে আমরা এখানে আসতাম না। আমাদের জীবনের ভয় আছে বলেই আদালতের শরণাপণœ হয়েছি।"
এ সময় আদালত বলে, "একজন জনপ্রিয় মেয়রকে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আপনাদের উচিত ছিলো নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করা। কিন্তু তা না করে সরাসরি হাইকোর্টে চলে আসলেন। এ ধরনের হত্যা মামলায় জামিন দিলে আরেকটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
"আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু জামিন দিতে পারলাম না। আমরা বিবেকের কাছে বন্দি। আবেদনটি নিয়ে যেতে পারেন। জামিন দেওয়া হলে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হবে।"
তখন আনিসুল হক বলেন, "পুলিশ ধরে নেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। আমাদের ওপর নির্যাতন হতে পারে। এজন্যই আদালতে এসেছি।"
জবাবে আদালত বলে, "দেশে তো এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আপনারা চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিই। নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে।"
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, এ রকম একটি স্পর্শকাতর হত্যা মামলায় আদালত জামিন দিতে পারেন না। মেয়র লোকমান হোসেন মারা যাওয়ার আগে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলে গেছেন বলে এফআইআরএ উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্য পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, "আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করেনি। আমরা আবেদনটি ফিরিয়ে নিয়েছি।"
এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে ফেরত পাঠানো হয়।
জামিন চাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এপিএস মুরাদ আহমেদ ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে রোববার এই তিন জন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম অংশ নেন।
গত ১ নভেম্বর রাতে নরসিংদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন দলটির শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। এর ৪৮ ঘণ্টা পর টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই বাচ্চুসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান।
'আপনাদের উচিত ছিল আত্মসমর্পণ করা'
আসামিদের ৩০ দিনের জন্য জামিন চেয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আদালতকে বলেন, "পরিস্থিতি খারাপ না হলে আমরা এখানে আসতাম না। আমাদের জীবনের ভয় আছে বলেই আদালতের শরণাপণœ হয়েছি।"
এ সময় আদালত বলে, "একজন জনপ্রিয় মেয়রকে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আপনাদের উচিত ছিলো নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করা। কিন্তু তা না করে সরাসরি হাইকোর্টে চলে আসলেন। এ ধরনের হত্যা মামলায় জামিন দিলে আরেকটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
"আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু জামিন দিতে পারলাম না। আমরা বিবেকের কাছে বন্দি। আবেদনটি নিয়ে যেতে পারেন। জামিন দেওয়া হলে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হবে।"
তখন আনিসুল হক বলেন, "পুলিশ ধরে নেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। আমাদের ওপর নির্যাতন হতে পারে। এজন্যই আদালতে এসেছি।"
জবাবে আদালত বলে, "দেশে তো এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আপনারা চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিই। নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে।"
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, এ রকম একটি স্পর্শকাতর হত্যা মামলায় আদালত জামিন দিতে পারেন না। মেয়র লোকমান হোসেন মারা যাওয়ার আগে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলে গেছেন বলে এফআইআরএ উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্য পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, "আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করেনি। আমরা আবেদনটি ফিরিয়ে নিয়েছি।"
এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
0 comments:
Post a Comment