মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত লোকবল চেয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৩ বাংলাদেশি কর্মী বৈধ হতে নাম নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬২২ জনেরই পাসপোর্ট নেই।
লোকবল চেয়ে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাসের পাঠানো জরুরি বার্তা রোববার মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান। ওই বার্তায় অতিরিক্ত ১৫ জন কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বর্তমানে সাত জন এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।
জাফর আহমেদ খান বলেন, "জনবল সঙ্কট কাটিয়ে সবাইকে পাসপোর্ট দেওয়া নিশ্চিত করতে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের চেষ্টা করছি। তবে হাইকমিশনের কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল হওয়া দরকার। স্থানীয়ভাবে লোকবল নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের অনেক আগেই বলা হয়েছে।"
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিবন্ধিত সব অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে।
বার্তায় বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করার পর থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিবন্ধিত কর্মীদের মধ্যে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৭ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, যাদের ৬৫ হাজার ৫০০ জনকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ৩০ হাজার ৬২২ কর্মী আবেদনই করেননি।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে ব্যয় বহন করে জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে মাসিক এক হাজার রিংগিত বেতনে ১৫ জন লোক নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ওই বার্তায়।
'পাসপোর্ট বিষয়ে প্রচার নেই'
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের বাধ্যতামূলক পাসপোর্ট নেওয়ার বিষয়ে তেমন প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কুয়ালালামপুরে বেসরকারি সংস্থা এফডব্লিউএমএমসি'র (ফরেন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার) উপদেষ্টা সাংবাদিক কায়সার হামিদ হান্নান।
তিনি টেলিফোনে বলেন, "শুরু থেকেই এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার দরকার ছিলো। যথাযথ প্রচার থাকলে অন্ততঃ এক লাখ শ্রমিকের ভাগ্য ঝুঁকির মুখে পড়তো না। পাসপোর্ট নেওয়ার ডেডলাইন শেষ হতে খুব অল্প সময় থাকলেও এখনো এক লাখ ৩০ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদনই করেননি।"
এখন দৈনিক দুই হাজারের মতো পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
"এভাবে চলতে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১ লাখ কর্মীর পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। বাকি কর্মীরা পাসপোর্ট শূন্য থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট না পেলে আগামী বছরের শুরুতে সবাইকে দেশে ফিরে আসতে হবে," আশঙ্কা কায়সারের।
অবশ্য প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান বলছেন, মালয়েশীয় পত্রিকায় এ নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য হাইকমিশনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।
'অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে'
এদিকে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আর্থিক কারণে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, "দালালের মাধ্যমে ছাড়া পাসপোর্ট নেওয়ার সুযোগ নেই হাইকমিশন থেকে। কাগজপত্র বিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের মাত্র ১০২ রিংগিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) খরচ করে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা। কিন্তু এজন্য ৩০০ থেকে ৫০০ রিংগিত পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।"
এরই মধ্যে অভিযোগ তদন্তে সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত ১১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সফর করেন।
তবে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কাগজপত্র বিহীন কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে সব উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হচ্ছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না।"
৬-পি কর্মসূচির আওতায় গত ১ অগাস্ট থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩১ আগস্ট শ্রমিক নিবন্ধন শেষ হয়। বর্তমানে পাসপোর্ট দেখিয়ে এসব কর্মীকে বৈধ করার প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে।
মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৩ বাংলাদেশি কর্মী বৈধ হতে নাম নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬২২ জনেরই পাসপোর্ট নেই।
লোকবল চেয়ে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাসের পাঠানো জরুরি বার্তা রোববার মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান। ওই বার্তায় অতিরিক্ত ১৫ জন কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বর্তমানে সাত জন এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।
জাফর আহমেদ খান বলেন, "জনবল সঙ্কট কাটিয়ে সবাইকে পাসপোর্ট দেওয়া নিশ্চিত করতে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের চেষ্টা করছি। তবে হাইকমিশনের কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল হওয়া দরকার। স্থানীয়ভাবে লোকবল নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের অনেক আগেই বলা হয়েছে।"
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিবন্ধিত সব অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে।
বার্তায় বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করার পর থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিবন্ধিত কর্মীদের মধ্যে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৭ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, যাদের ৬৫ হাজার ৫০০ জনকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ৩০ হাজার ৬২২ কর্মী আবেদনই করেননি।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে ব্যয় বহন করে জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে মাসিক এক হাজার রিংগিত বেতনে ১৫ জন লোক নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ওই বার্তায়।
'পাসপোর্ট বিষয়ে প্রচার নেই'
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের বাধ্যতামূলক পাসপোর্ট নেওয়ার বিষয়ে তেমন প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কুয়ালালামপুরে বেসরকারি সংস্থা এফডব্লিউএমএমসি'র (ফরেন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার) উপদেষ্টা সাংবাদিক কায়সার হামিদ হান্নান।
তিনি টেলিফোনে বলেন, "শুরু থেকেই এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার দরকার ছিলো। যথাযথ প্রচার থাকলে অন্ততঃ এক লাখ শ্রমিকের ভাগ্য ঝুঁকির মুখে পড়তো না। পাসপোর্ট নেওয়ার ডেডলাইন শেষ হতে খুব অল্প সময় থাকলেও এখনো এক লাখ ৩০ হাজার কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদনই করেননি।"
এখন দৈনিক দুই হাজারের মতো পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
"এভাবে চলতে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১ লাখ কর্মীর পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। বাকি কর্মীরা পাসপোর্ট শূন্য থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট না পেলে আগামী বছরের শুরুতে সবাইকে দেশে ফিরে আসতে হবে," আশঙ্কা কায়সারের।
অবশ্য প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান বলছেন, মালয়েশীয় পত্রিকায় এ নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য হাইকমিশনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।
'অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে'
এদিকে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আর্থিক কারণে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, "দালালের মাধ্যমে ছাড়া পাসপোর্ট নেওয়ার সুযোগ নেই হাইকমিশন থেকে। কাগজপত্র বিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের মাত্র ১০২ রিংগিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) খরচ করে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা। কিন্তু এজন্য ৩০০ থেকে ৫০০ রিংগিত পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।"
এরই মধ্যে অভিযোগ তদন্তে সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত ১১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সফর করেন।
তবে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কাগজপত্র বিহীন কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে সব উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হচ্ছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না।"
৬-পি কর্মসূচির আওতায় গত ১ অগাস্ট থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩১ আগস্ট শ্রমিক নিবন্ধন শেষ হয়। বর্তমানে পাসপোর্ট দেখিয়ে এসব কর্মীকে বৈধ করার প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে।
0 comments:
Post a Comment