SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

আরেকটি ১৫ ফেব্রুয়ারি চেয়েছিলেন খালেদা

Posted by methun

২০০৭ সালের শুরুর দিনগুলোতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র"য়ারির মতো একটি একতরফা নির্বাচন করে বিরোধী দলহীন স্বল্পমেয়াদী একটি সরকার গঠনের কথা ভেবেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিসের গোপন তারবার্তা থেকে জানা গেছে এ তথ্য; উইকিলিকস যা প্রকাশ করেছে।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের হৈ চৈ ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত ৩০ অগাস্ট প্রায় দেড় লাখ নতুন কেবলের সঙ্গে বিউটেনিসের এ সংক্রান্ত দুটি বার্তাও প্রকাশ করেছে।

২০০৭ এর ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়জউদ্দিন আহম্মদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে 'ওয়ান ইলেভেন' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুই দিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী 'বিশ্বাসভঙ্গ' করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পরে- এমন কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

এ দুটি 'গুজব' উড়িয়ে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাও। বরং তিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, কেননা তাতে তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।

তখনকার নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপির অনমনীয় অবস্থান; আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ব্যর্থতার মধ্যে ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী।

উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভবনাগুলো নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে 'সতর্ক' করে 'রাজনৈতিক সমঝোতার' প্রস্তাব দেন এই দুই কূটনীতিক।

দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরাধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।

বিউটেনিস ও আনোয়ার এও বলেন- কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে। তাদের রাজনৈতিক সমঝোতা হলেই দেশজুড়ে সহিংসতা এবং সামরিক অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।

'খালেদার প্রস্তাব'

৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া পাল্টা অভিযোগ তোলেন- কথিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যই এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তবে দুই রাষ্ট্রদূতই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিউটেনিসের পাঠানো বার্তায়।

খালেদা দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই সাড়া দেননি।

"এখন অনেক 'দোরি হয়ে গেছে' উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন। এর বদলে খালেদা প্রস্তাব দেন, পুনর্র্নিবাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী ভোটার পরিচয়পত্র প্রবর্তনসহ নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে তিনি আবারো নির্বাচন দিতে পারেন।"

এর আগে ১৯৯৬ সালেও এভাবে একতরফা নির্বাচন করে সংক্ষিপ্ত মেয়াদের জন্য সরকার গঠন করেছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুর দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ওই বছর ১৫ ফেব্র"য়ারির নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি অবশ্যম্ভাবীভাবে পুনর্র্নিবাচিত হয়। ওই সরকারের সংক্ষিপ্ত মেয়াদে সংবিধান সংশোধন করে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু করে এবং জুনে আবারো নির্বাচন দেয়, যাতে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

উইকিলিকসের প্রকাশিত বার্তায় বিউটেনিস লিখেছেন, ২০০৭ এর ২২ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন হলে অনেকেই যে প্রশ্ন তুলবে- সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন খালেদা। তবে তার যুক্তি ছিল, প্রশ্ন উঠলেও তার সেই সম্ভাব্য সরকার হবে সাংবিধানিকভাবে বৈধ।

আলোচনার এক পর্যায়ে বিউটেনিস প্রশ্ন রাখেন, দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার যদি ২২ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে না নেয়, সেক্ষেত্রে বিএনপি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে কি-না।

"কিন্তু দেশের মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেবে- এমন সম্ভবনা হেসেই উড়িয়ে দেন খালেদা জিয়া। বড় ধরনের গণ আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সামর্থ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।"

দুই কূটনীতিক বিএনপি চেয়ারপার্সনকে জানান, সংবিধান পরিপন্থী যে কোনো ঘটনা এড়াতেই তারা রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। এসব বিষয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।

নিজের সরকারের কাছে পাঠানো বার্তায় মন্তব্যের অংশে বিউটেনিস লিখেছেন, বিএনপির একতরফা নির্বাচন পরিকল্পনার সমালোচনা করায় খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তারা। খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যি সত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।

'তার চেয়ে সেনা হস্তক্ষেপ শ্রেয়'

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার আগের দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে বসে তাকে একই বিষয়ে সতর্ক করে সমঝোতার প্রস্তাব দেন বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী। কিন্তু নির্বাসনে পাঠানোর সম্ভবনার বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দেন হাসিনা। সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা নিয়েও দুই কূটনীতিকের সঙ্গে হালকা মেজাজে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

৮ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, "হাসিনা পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি দেশত্যাগে বাধ্য করার গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি রনিসকতা করে বলেছেন, সেরকম কিছু হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। নিজের নিরাপত্তার বিষয়টিতেও খুব একটা গুরুত্ব দেননি তিনি। সরাসরি সেনা হস্তক্ষেপ বা জরুরি অবস্থা জারির সম্ভবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী যদি হস্তক্ষেপ করেই এবং তারা যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই পারে- তাহলে সেটা ভালোই হবে।"
একবার ক্ষমতায় আসলে সেনাবাহিনী স্বেচ্ছায় আবার রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে- এমনটা কেন ভাবছেন জানতে চাইলে হাসিনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তেমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলেই তার বিশ্বাস, কেননা অভ্যুত্থান করার মতো বলিষ্ঠ কোনো নেতা সেনাবাহিনীতে নেই বলে মনে করেন তিনি।

তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে যে সময় প্রয়োজন তার বেশি সেনাবাহিনী ক্ষমতায় থাকতে চাইলে জনগণও তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

দুই কূটনীতিককে তিনি বলেন, তেমন কিছু ঘটার পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হলে 'দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে, রক্তপাত হবে, পুরো রাষ্ট্রই ভেঙে পড়বে'।

২০০৬ সালের শেষ দিকে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলে যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়- সে জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপি জানতো যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই জিতবে। এ কারণে তারা যাতে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে- সুপরিকল্পিতভাবে তেমনন পরিস্থিতিই সৃষ্টি করেছে বিএনপি।

রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ আবার বিএনপির হাতে ক্ষমতা তুলে দিতেই ২২ জানুয়ারি নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন হাসিনা।

আপাতত একতরফা নির্বাচন হলেও বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের দাবি পূরণ করে এক বছরের মধ্যে আবারো নির্বাচন দিতে পারে- এমন সম্ভবনার কথা তুলে ধরে দুই কূটনীতিক শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান- খালেদা জিয়া কোনো সমঝোতার প্রস্তাব দিলে আওয়ামী লীগ তা মানবে কি না।

"জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বরং সামরিক হস্তক্ষেপের মতো বিকল্প নিয়ে ভাবতে রাজি, বিএনপিকে আবারো ক্ষমতায় যেতে দিতে নয়," লিখেছেন বিউটেনিস।

হাসিনা-খালেদাকে জাতিসংঘে পাঠানো যেতে পারে: ইউনূস

Posted by methun

শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে জোরালো মত ছিলো মুহাম্মদ ইউনূসের।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই মত প্রকাশের পাশাপাশি তিনি নিজের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছিলেন।

সম্প্রতি উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গোপন তারবার্তা থেকে এ কথা জানা গেছে।

কৌতুক করে তিনি বলেছিলেন, "তাদেরকে (হাসিনা-খালেদা) জাতিসংঘে কাজ করতে পাঠানো যেতে পারে।"

২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়, সে বছর ৮ এপ্রিল মিশনের উপ-প্রধান, রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা মনপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশংসা করেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।

মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইউনূস বলেন, "এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন। এদের এজেন্ডাগুলো চমৎকার।"

তিনি বলেন, এ সরকারের ব্যাপক জনসমর্থন আছে এবং দেশে রাজনৈতিক সংস্কার করতে যে সময় লাগবে জনগণ সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।

দূতাবাসের তৎকালীন উপ-প্রধান গীতা পাসির পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়, ইউনূস বলেন, সংস্কারে সফলতা পেতে হলে 'দুই ভদ্রমহিলা' সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে হবে।


দুই মহিলা রাজনীতিতে ফিরলে এই সরকারের জনপ্রিয়তা বিপর্যস্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানেরও প্রশংসা করেন ইউনূস। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকার ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তারবার্তায় বলা হয়, "সরকার কয়েকটি ভুল করেছে বলে ইউনূস মনে করেন- যেমন ব্যাপকভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।"

এ সময় রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সরকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দল খুলবেন।

সাভারে গণপিটুনি: তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি টিআইবির

Posted by methun

ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

ছাত্র হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রশাসন) আমির উদ্দিন রোববার পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ এবং এটি সুশাসনের প্রধানতম অন্তরায়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি সর্ম্পকে আলোকপাত করে পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ব্যতিক্রমধর্মী পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রাখলেও আমরা পুরো প্রতিবেদনটি জনসম্মুখে প্রকাশের জোর দাবি জানাই।"

এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রতীকী ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

গত ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারের বরদেশী এলাকায় ডাকাত সন্দেহে ঢাকার ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় একজন।

ওই ঘটনায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারায় স¤প্রতি সাভার মডেল থানার আট পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।

বাংলাদেশ ফান্ডের শেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই

Posted by methun

দুই সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ ফান্ডের পাবলিক শেয়ার বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান।

সোমবার আইসিবিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "২ অক্টোবর থেকেই আমরা বাংলাদেশ ফান্ডের পাবলিক অংশটি বিক্রি শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করতে পারব যা পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কমাতে অনেকটাই ভূমিকা রাখবে।"

সকালে ফান্ডের অংশীদার ৮টি প্রতিষ্ঠানের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তহয়।

আইসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ফান্ড নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আনার এখনি সেরা সময়।

"অনেকেই এখন বিনিয়োগ না করে বসে রয়েছেন। কিন্তু এটা বলা যায়, বর্তমানে বাজার যেখানে রয়েছে, সেটা কেনার জন্যে সেরা সময়।"

তিনি আরো বলেন, "পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে আমরা বসেছিলাম। আমরা কিছূ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা বিনিয়োগ করবে। মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে তারা বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ সেবা দেবে।

ফান্ডের উদ্যোক্তা অংশ (দেড় হাজার কোটি টাকা) প্রায় সবটাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

বাজারের দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৬ মার্চ পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন 'বাংলাদেশ ফান্ড' গঠনের ঘোষণা দেয় আইসিবি। এর উদ্যোক্তা ৮টি প্রতিষ্ঠান মিলে দেড় হাজার কোটি টাকার যোগান দিয়েছে। বাকি টাকা বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে।

Khaleda sits with senior leaders

Posted by methun

BNP chairperson Khaleda Zia has held an emergency meeting with the top policymakers on the country's present condition.

"The agenda of the meeting will be briefed at a press meet at 12pm on Tuesday at the party central office at Naya Paltan," BNP acting secretary-general Mirza Fakhrul Islam Alamgir told reporters on Monday after the meeting.

The meeting started at Khaleda's Gulshan political office from 10:30pm and ended at 11:45pm.

Responding to a query from the press, Fakhrul said, "The meeting's discussion included the country's current situation and the four-party alliance rally on Sept 27 at Paltan ground."

Apart from Fakhrul, party standing committee member Khandaker Mosharraf Hossain, Mirza Abbas, Goyeshwar Chandra Roy, Nazrul Islam Khan and vice-president Sadeque Hossain Khoka attended the meeting.

The meeting began hours after police arrested BNP ally Jamaat-e-Islami's acting secretary-general A T M Azharul Islam, publicity secretary Tasneem Alam, central working committee member Mohammad Ijjat Ullah and six other members from its Moghbazar headquarters.

The arrests were followed by clashes between Jamaat activists and police at the city's Bijoynagar. The opposition activists in Dhaka set at least 15 cars on fire, including a police vehicle and ransacked another 25 at Dhaka's Bijoynagar during a fierce clash with the law-enforcers.

Detective Branch senior assistant commissioner S M Ashrafuzzaman told bdnews24.com said that they were arrested on charges of assault on police, arson and vandalism.

The clash in Dhaka has left at least 50 injured including police officials. Until 9pm, police arrested 78 while another 26 were arrested in Chittagong.

They were arrested eight days before the Sept 27 public rally of the four-party alliance where Khaleda would announce the fresh anti-government agitation programme.

Hasina wants UN-led anti-terror drive

Posted by methun

Prime minister Sheikh Hasina has reiterated Bangladesh's firm stance against terrorism and proposed United Nations-led counter-terrorism initiatives with 'a universal agreement on legal definition for terrorism'.

She also called for finalising the UN draft of the Comprehensive Convention on International Terrorism with a 'clear' distinction between people's legitimate struggle for independence and foreign occupation in her seven-point recommendation made while delivering the keynote speech at a symposium.

UN secretary-general Ban Ki-moon organised the symposium on 'Counter-terrorism Cooperation' on the sidelines of the 66th UN General Assembly.

Hasina described economic disparity, political and economic exclusion, prolonged and unresolved conflicts, and climate-induced loss of livelihood as the 'root' causes of terrorism, "which must be addressed through regional and global cooperation".

Condemning terrorism in all forms, Hasina said, "Countering terrorism and promoting global peace and security is our constitutional and foreign policy priority."

"Our foreign policy does not allow our territory to be used for terrorism or subversive activities against another state.

"Our government is determined to ensure a democratic, secular, tolerant, inclusive and equitable society," she said and added that Bangladesh subscribes to 13 universal anti-terrorism mechanisms, and maintains a 'zero-tolerance' policy against terrorism and religious extremism.

She also reminded the world leaders of the importance to keep 'the respect for human rights and the rule of law' high on the agenda for their fight against terrorism.

The prime minister also stressed on the need to keep the national capacity building of developing countries and LDCs, like Bangladesh, on top of the UN counter-terrorism agenda.

She went on to propose for a centre for counter-terrorism under the UN with a 'comprehensive' global database on terror outfits and suspects for coordination and intelligence sharing among various states.

She said, "Our commitment is also reflected in our position as a top UN peacekeeper and a trusted UN partner in the maintenance of global peace and development."

Hasina also talked of Bangladesh's success in destroying most of the 'known terrorist networks' together with their arms and ammunition, and the ban imposed by Dhaka on all terrorist groups blacklisted by the UN Security Council.

She said her government was currently implementing a national counter-radicalisation strategy through education, women's empowerment, and propagation of secular and moderate cultural values.

"Imams or religious leaders are playing an active role with the media in raising awareness against terrorism and religious extremism," she said and that she would not allow extremists to 'abuse' Islam as a pretext for acts of terror.

The prime minister extolled US secretary of state Hillary Clinton for her 'pioneering' role in ensuring her country's engagement in countering terrorism globally.

She recalled the Aug 21, 2004 grenade attack on an Awami League anti-terrorism rally in Dhaka and said, "Twenty-four people lost their life and over 500 got wounded by a grenade lobbed at us by a terrorist group, sponsored by a political party.

"I was lucky to escape unhurt, but only after impairing my hearing permanently."

She expressed her sympathy for the families of 2,997 people, including 60 Bangladeshis, who died in Sep 11, 2001 attacks on the twin towers in New York.

CNG price raise 'a precaution'

Posted by methun

Authorities have raised CNG price as a precaution as they believe an inconsistent rise in public transport fares could cause unrest.

A day after the government raised diesel, petrol, octane, kerosene and furnace oil prices, the Bangladesh Energy Regulatory Commission (BERC) also raised the price of CNG to Tk 30 per unit on Monday.

The new price of CNG, a 20 percent rise, was declared to be effective from midnight.

A BERC circular said it hiked the price fearing that some CNG-fuelled transports could raise their fares even though CNG prices had not been raised. This would have caused law and order situation to deteriorate, the circular said.

The circular also explained why the standard procedure for price raise – public hearing – had been overridden for this decision. It said the tariff review process was so lengthy that the government might lose a large amount of revenue before a decision was reached.

State-owned oil-gas and minerals corporation Petrobangla proposed the government a price-hike of Tk 5 on feed gas in the morning. When approved, it sent a proposal to the BERC to raise prices at the consumer level.

The last CNG price hike was on May 12, by 49.25 percent – to Tk 24.90 from Tk 16.75 per unit.

Meanwhile, the price of feed gas (gas fields to distributors) has also been raised to Tk 23 from Tk 18.

The government on Sunday increased prices of all fuels by Tk 5 to Tk 8.

However, the CNG price raise has drawn criticism from many quarters.

CNG filling station and conversion workshop owners' leader Jakir Hossain Nayan told bdnews24.com the filling stations would face losses due to this raise.

Energy expert professor M Shamsul Alam, a teacher of Chittagong University of Engineering and Technology, said the government raising the price was out of order, as only the regulatory body was vested with that power.

"And not even the BERC can raise prices at their will. They must do it following a standard procedure," he added.

Jamaat's Azharul, Tasneem arrested

Posted by methun

Following daylong clashes with the Jamaat-e-Islami activists in capital Dhaka and Chittagong, police have arrested the party's acting secretary general A T M Azharul Islam.

Ramna deputy commissioner Krishnapada Roy told bdnews24.com on Monday that he was detained in the evening from the party's Maghbazar headquarters.

Detective Branch senior assistant commissioner S M Ashrafuzzaman told bdnews24.com the party's publicity secretary Tasneem Alam, central working committee member Mohammad Ijjatullah and six other members had also been arrested at the office.

He said they were arrested on charges of assault on police, arson and vandalism.

Azharul is one of the six senior Jamaat leaders who are charged with crimes against humanity during the Liberation War of 1971 in the International Crimes Tribunal (ICT).

Five other senior Jamaat leaders – party chief Matiur Rahman Nizami, secretary general Ali Ahsan Mohammad Mojaheed, executive council member Delwar Hossain Sayedee and assistant secretaries general Mohammad Kamaruzzaman and Abdul Quader Molla – have all been arrested and are now behind bars.

THE CLASHES

Rampant clashes between Jamaat activists and police broke out earlier in the day and continued for several hours in Dhaka's Bijoynagar and Muradpur in Chittagong.

The opposition activists in Dhaka set at least 15 cars on fire, including a police vehicle and ransacked another 25 at Dhaka's Bijoynagar during a fierce clash with the law-enforcers.

The clash in Dhaka has left at least 50 injured including police officials. Until 9pm, police arrested 78 while another 26 were arrested in Chittagong.

A Paltan Police Station duty officer told bdnews24.com in the afternoon that the clash had erupted after police had intercepted the pre-planned processions of Jamaat activists taken out from Motijheel and nearby areas.

The opposition activists, aided by student front Islami Chhatra Shibir, set fire to 15 vehicles, including a prison van, two motorcycles and some bus, cars and pick-ups, during the two-hour clash took place at Bijoynagar, Kakrail and Shantinagar.

Police fired some teargas shells to control the situation.

Superintendent Nizam Uddin of the city's Police Lines Hospital told bdnews24.com that at least 10 police officials have been admitted there with injuries sustained in the clash.

bdnews24.com senior correspondent Mohsinul Karim said police raided several buildings of the area around 5pm after the clash looking for Jamaat activists and picked some up.

CLASH IN CHITTAGONG

Adherents of Jamaat and Chhatra Shibir also clashed with police at the port city's Muradpur Monday afternoon.

They vandalised at least eight vehicles including two buses and a private car during the clash which started around 5pm.

The clash also left four police officials including Chittagong Metropolitan Police (Panchlaish zone) assistant commissioner Abdul Mannan injured.

Police and witnesses said the clash broke out when petrol police stopped a procession of over a hundred Shibir activists at Muradpur intersection.

Panchlaish Police Station sub-inspector (SI) Mohammad Akter, one of the injured, said 26 Jamaat and Shibir activists were arrested in the area following the clash.

Additional police have been deployed after the situation was brought under control around 6pm.

AC Mannan was taken to the city's Center for Specialised Care & Research (CSCR), a private clinic, with critical injuries in the head. He is now at the intensive care unit of the hospital.

Among the other injured SI Akter and Mannan's driver 'Ashraf' were released after they had been given first-aid while his bodyguard 'Ridwan' was admitted to Damparha Police Line Hospital.