SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

দশ ট্রাক অস্ত্র নিজামী-বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

Posted by methun

চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামী ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

দুই দিন শুনানির পর মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা এবং সিনিয়র বিশেষ জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

আগামী ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার শুরুর দিন রেখেছেন তিনি।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই'র সাবেক দুই প্রধানসহ ১১ আসামি এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে। তদন্তের পর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা একটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

বেশ কয়েকবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর সিআইডি'র সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী গত জুনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে নিজামী, বাবর ও এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধানসহ নতুন ১১ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা মঙ্গলবার।

এই ১১ জন হলেন- এনএসআইর তৎকালীন ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফা নেতা পরেশ বড়–য়া।

এদের মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফানেতা পরেশ বড়–য়া পলাতক রয়েছেন।

সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত নয় আসামি ছাড়াও আগের চার্জশিটে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সোম ও মঙ্গলবার আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি (১) (ডি) ধারায় দুটি অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলাকে 'চাঞ্চল্যকর' উল্লেখ করে কামাল বলেন, আসামিপক্ষ বলেছে তাদের মক্কেলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছে তারা।

তিনি বলেন, "সাতটি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। অধিকতর তদন্তে রাজনৈতিক ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। এর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।"

সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্রুত এ মামলার বিচার কাজ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, অভিযোগ গঠনের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবরের আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া  বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকার পরও অভিযোগ গঠন হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় মহানগর দায়রা জজ মজিবুর রহমান বলেন, রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো আসামিকে দোষী বলা যাবে না। সাক্ষীর বক্তব্য শোনা ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ারও সুযোগ নেই।

৯ আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান মামলার অভিযোগ গঠন করেন তিনি।

এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হলেও পরে মামলা দুটিতে অধিকতর তদন্ত হয়।

আগের ও সম্পূরক অভিযোগপত্র মিলিয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় আসামির সংখ্যা হয়েছে ৫০ জন। আর চোরাচালান মামলায় আসামি ৫২ জন।

0 comments:

Post a Comment