রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে 'সহযোগিতা চুক্তি' করেছে বাংলাদেশ।
এ চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ কাজ, জনশক্তি উন্নয়ন ও আইনি কাঠামো তৈরিসহ বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে রাশিয়া।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে এই চুক্তিতে সই করেন ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই ভি কিরিয়েঙ্কো ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এই চুক্তির আওতায় রূপপুরে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে ১ হাজার মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থাকবে।
জাপানের ফুকোশিমা দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে রূপপুরে সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, "আমরা এ সরকারের সময়েই নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।"
পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এই নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে।
নিরাপত্তা
কিরিয়েঙ্কো বলেন, এ চুক্তির আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ, ব্যবহৃত জ্বালানি ফিরিয়ে নেওয়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থায়ন, আইনি কাঠামো তৈরি করা এবং নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে বলা হয়েছে।
"সাধারণ চুক্তিতে কেবল নির্মাণ কাজের অংশটুকুই থাকে", ব্যাখ্যা করেন তিনি।
রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, "ফুকোশিমা দুর্ঘটনার পর নতুন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা নতুন নকশায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবো। এতে পাঁচটি নতুন ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।"
নির্মাণ ব্যয়
এই পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতো ব্যয় হবে জানতে চাইলে কিরিয়েঙ্কো বলেন, "সম্ভাব্য খরচ বের করতে হলে কিছু কারিগরি দিক চূড়ান্ত করতে হবে। তাই প্রকল্প ব্যায় জানাতে আরও সময় লাগবে।"
তিনি জানান, রুশ সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ঋণ দেবে। অর্থায়ন নিয়ে পরে চুক্তি হবে।
একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর খরচ উঠে আসতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে।
নির্মাণ
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগে।
কিরিয়েঙ্কো বলেন, "চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার নকশাতেই এ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আমরা রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশে ২৯টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছি। একই নকশা এখানেও ব্যবহৃত হবে।
এই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও যুক্ত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জ্বালানি
কিরিয়েঙ্কো জানান, পরমাণু বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া। ব্যবহৃত হওয়ার পর জ্বালানি ফেরতও নেবে তারা।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক গ্রাম ইউরোনিয়াম থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে হলে তিন টন কয়লা লাগবে।
মানবসম্পদ
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া।
কিরিয়েঙ্কো বলেন, "আগামী বছর থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।"
এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ২০০৯ সালের ১৩ মে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২১ মে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ বছরের পহেলা অগাস্ট মন্ত্রীসভা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করে। ৩১ অক্টোবর অনুমোদন করা হয় নিরাপত্তা ও আইনি রূপরেখা উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি।
এ চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ কাজ, জনশক্তি উন্নয়ন ও আইনি কাঠামো তৈরিসহ বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে রাশিয়া।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে এই চুক্তিতে সই করেন ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই ভি কিরিয়েঙ্কো ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এই চুক্তির আওতায় রূপপুরে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে ১ হাজার মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থাকবে।
জাপানের ফুকোশিমা দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে রূপপুরে সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, "আমরা এ সরকারের সময়েই নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।"
পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এই নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে।
নিরাপত্তা
কিরিয়েঙ্কো বলেন, এ চুক্তির আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ, ব্যবহৃত জ্বালানি ফিরিয়ে নেওয়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থায়ন, আইনি কাঠামো তৈরি করা এবং নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে বলা হয়েছে।
"সাধারণ চুক্তিতে কেবল নির্মাণ কাজের অংশটুকুই থাকে", ব্যাখ্যা করেন তিনি।
রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, "ফুকোশিমা দুর্ঘটনার পর নতুন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা নতুন নকশায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবো। এতে পাঁচটি নতুন ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।"
নির্মাণ ব্যয়
এই পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতো ব্যয় হবে জানতে চাইলে কিরিয়েঙ্কো বলেন, "সম্ভাব্য খরচ বের করতে হলে কিছু কারিগরি দিক চূড়ান্ত করতে হবে। তাই প্রকল্প ব্যায় জানাতে আরও সময় লাগবে।"
তিনি জানান, রুশ সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ঋণ দেবে। অর্থায়ন নিয়ে পরে চুক্তি হবে।
একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর খরচ উঠে আসতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে।
নির্মাণ
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগে।
কিরিয়েঙ্কো বলেন, "চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার নকশাতেই এ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আমরা রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশে ২৯টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছি। একই নকশা এখানেও ব্যবহৃত হবে।
এই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও যুক্ত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জ্বালানি
কিরিয়েঙ্কো জানান, পরমাণু বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া। ব্যবহৃত হওয়ার পর জ্বালানি ফেরতও নেবে তারা।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক গ্রাম ইউরোনিয়াম থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে হলে তিন টন কয়লা লাগবে।
মানবসম্পদ
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া।
কিরিয়েঙ্কো বলেন, "আগামী বছর থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।"
এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ২০০৯ সালের ১৩ মে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২১ মে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ বছরের পহেলা অগাস্ট মন্ত্রীসভা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করে। ৩১ অক্টোবর অনুমোদন করা হয় নিরাপত্তা ও আইনি রূপরেখা উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি।
0 comments:
Post a Comment