SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির পুত্রপ্রীতি!

Posted by methun

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে সম্প্রতি দুজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত ১৩ আগস্ট ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদের ছেলে ইশতিয়াক রশিদের অবস্থান ১১তম। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীরা ফলাফলের দিক হতে প্রথমদিকে থাকলেও সিলেকশন তালিকায় ইশতিয়াকের নাম সবার প্রথমে রাখা হয়। যার ফলে সিলেকশন কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কমিটির চার সদস্যের মতের মিল না থাকায় শিক্ষক নিয়োগ এখনো সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ উঠেছে ইশতিয়াককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে উপ-উপাচার্যসহ কিছু শিক্ষক উঠে পরে লেগেছে। ক্ষমতাসীন দলের ব্যানারে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এর পুরো কাজটিই করছেন, উপ-উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ নিজেই। জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনের সভাপতিত্বে সিলেকশন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়। নিজের ছেলে প্রার্থী হওয়ায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ওই সভার সভাপতিত্ব করতে পারেননি। সিন্ডিকেট মনোনীত সিলেকশন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. আফতাব উদ্দিন, বিভাগের শিক্ষক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ ও অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। চার সদস্যের নিয়োগ কমিটির মধ্যে দুজন শিক্ষক উপ-উপাচার্যের ছেলের নিয়োগের বিপক্ষে এবং অপর দুই সদস্য পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এ বিলম্ব দেখা দিয়েছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। সূত্র জানায়, ১৮ আগস্ট পুনরায় সিলেকশন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মতবিরোধ থাকায় ওই সভা হয়নি। সিলেকশন কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, 'ইশতিয়াক স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পাওয়া ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১তম। আর যাদের ফলাফল সবচেয়ে ভালো, তাদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা পাঁচ বছর এই শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছি। বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আমরাই জানি কে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে; কে মেধাবী আর কে নয়।' এদিকে অভিযোগ উঠেছে, উপ-উপাচার্যের ছেলেকে নিয়োগে বিরোধিতা করায় কমিটির দুই শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ইশতিয়াককে নিয়োগের পক্ষে মত দেওয়া কমিটির আরেক সদস্য জানান, সহ-উপাচার্যের ছেলে বলে তাকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, এই দৃষ্টিভঙ্গি অন্যায়। তিনি বলেন, ইশতিয়াক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে চাকরি করছেন। এর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। এসব অভিজ্ঞতা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহিদ আকতার হুসাইন দলীয় তোড়জোড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন জটিলতায় সিলেকশন কমিটির প্রথম সভার পর আর সভা হয়নি। এখানো কোনো প্রার্থীও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে।

0 comments:

Post a Comment