দেশের পাঁচটি জেলাকে প্রথমবারের মতো ফাইলেরিয়ামুক্ত হিসেবে মঙ্গলবার ঘোষণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জেলাগুলো হচ্ছে, মেহেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
এক সময় সাত কোটির বেশি মানুষ মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত ফাইলেরিয়া রোগের হুমকিতে ছিলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই পাঁচজেলায় ফাইলেরিয়া রোগের আক্রান্তের হার এক শতাংশে নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় জেলাগুলোকে ফাইলেরিয়া মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক বে-নজীর আহমেদ সোমবার বলেন, "কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ওষুধ প্রয়োগের পর ফাইলেরিয়া প্রবণ ১৯টি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলাকে মঙ্গলবার এ রোগে গুরুতর অসুস্থমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পরজীবী এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
বে-নজীর বলেন, "ফাইলেরিয়াকে পরাজিত করা যায় এটা দেখানোর জন্য আমরা রাজধানীতে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণকে উদযাপন করবো।"
এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে দুই থেকে তিন শতাংশ মানুষ অক্ষম হয়ে গেছে এবং তারা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফাইলেরিয়া দূর করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০১ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাপক ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। দরিদ্র্য দেশগুলোতেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বে-নজীর বলেন, "আমরা একটি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের কর্মকসূচিগুলো জোরদার করেছিলাম।"
কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বছরে একবার ওষুধ প্রয়োগ করে পাঁচ বছরের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "ওষুধ ব্যবহারের সফলতার ওপর নির্ভর করে কখনো কখনো এটা বেশি সময় নেয়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এ প্রক্রিয়ায় সফলতা পেয়েছে।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরজীবী মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লসিকাতন্ত্রে ঘাঁটি গাড়ে এবং রক্তে লসিকার প্রবাহ ব্যাহত করে যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক চিকিৎসা না হলে এ রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে এবং সে অবস্থায় খুব একটা চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। এ রোগ প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধকও নেই।
পরিচালক বে-নজীর বলেন, "এতে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং যৌনাঙ্গের মতো শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।"
এ রোগের উপসর্গ একবার দেখা দিলে তেমন আর কিছু করার থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জ্বর, সর্দি, কাঁপুনি, শ্বাস কষ্ট ও ব্যথা এবং বাহু, স্তন, অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, যোনিদ্বার ও পা ফুলে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।
ফাইলেরিয়া দূর করার কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী বছর আরো পাঁচটি জেলায় এ রোগের হার পর্যালোচনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে জানান বে-নজীর।
জেলাগুলো হচ্ছে, মেহেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
এক সময় সাত কোটির বেশি মানুষ মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত ফাইলেরিয়া রোগের হুমকিতে ছিলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই পাঁচজেলায় ফাইলেরিয়া রোগের আক্রান্তের হার এক শতাংশে নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় জেলাগুলোকে ফাইলেরিয়া মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক বে-নজীর আহমেদ সোমবার বলেন, "কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ওষুধ প্রয়োগের পর ফাইলেরিয়া প্রবণ ১৯টি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলাকে মঙ্গলবার এ রোগে গুরুতর অসুস্থমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পরজীবী এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
বে-নজীর বলেন, "ফাইলেরিয়াকে পরাজিত করা যায় এটা দেখানোর জন্য আমরা রাজধানীতে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণকে উদযাপন করবো।"
এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে দুই থেকে তিন শতাংশ মানুষ অক্ষম হয়ে গেছে এবং তারা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফাইলেরিয়া দূর করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০১ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাপক ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। দরিদ্র্য দেশগুলোতেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বে-নজীর বলেন, "আমরা একটি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের কর্মকসূচিগুলো জোরদার করেছিলাম।"
কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বছরে একবার ওষুধ প্রয়োগ করে পাঁচ বছরের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "ওষুধ ব্যবহারের সফলতার ওপর নির্ভর করে কখনো কখনো এটা বেশি সময় নেয়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এ প্রক্রিয়ায় সফলতা পেয়েছে।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরজীবী মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লসিকাতন্ত্রে ঘাঁটি গাড়ে এবং রক্তে লসিকার প্রবাহ ব্যাহত করে যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক চিকিৎসা না হলে এ রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে এবং সে অবস্থায় খুব একটা চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। এ রোগ প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধকও নেই।
পরিচালক বে-নজীর বলেন, "এতে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং যৌনাঙ্গের মতো শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।"
এ রোগের উপসর্গ একবার দেখা দিলে তেমন আর কিছু করার থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জ্বর, সর্দি, কাঁপুনি, শ্বাস কষ্ট ও ব্যথা এবং বাহু, স্তন, অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, যোনিদ্বার ও পা ফুলে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।
ফাইলেরিয়া দূর করার কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী বছর আরো পাঁচটি জেলায় এ রোগের হার পর্যালোচনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে জানান বে-নজীর।
0 comments:
Post a Comment