পরীক্ষার হলে যথারীতি সবাই উপস্থিত, নেই শুধু রূপা। পরীক্ষা শুরুর পনের মিনিট আগে বাস চাপায় মারা গেছে সে।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সাব-এরিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর (বাণিজ্য) শিক্ষার্থী রূপা চৌধুরী। ১০টায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, রূপা নিহত হওয়র খবরে সহপাঠীরা বিমর্ষ। ছলছল চোখে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না- 'রূপা নেই'। হলে ফাঁকা পড়ে আছে তার জন্য নির্ধারিত আসনটি।
প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচনী পরীক্ষা।
"সবাই এসেছে, শুধু রূপা নেই। তার সিট ফাঁকাই পড়ে আছে" খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন শিক্ষক আতাউর।
এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাশ ছুটি দিয়ে দেয় সোমবার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জয় টেলিকমের মালিক জয় চৌধুরী জানান, রাস্তার এক পাশ দিয়ে দুই সহপাঠীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলো রূপা। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা বাসটি তাকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০ গজ পশ্চিমে রূপাদের বাসা। বাবার নাম উজ্জ্বল চৌধুরী। বেলা ১১টায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রূপার মা শিল্পী চৌধুরী শোকে মূহ্যমান। স্বজনদের আহাজারির মাঝে ছোট ভাই ইমন চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে বাকরুদ্ধ হয়ে।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে। চালক মো. শফিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় একই রুটে (১ নম্বর সিটি সার্ভিস) চলাচলকারী আরো একটি বাস ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। তাদের অবরোধে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুর মোরশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত গাড়ি চালক শফিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সাব-এরিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর (বাণিজ্য) শিক্ষার্থী রূপা চৌধুরী। ১০টায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, রূপা নিহত হওয়র খবরে সহপাঠীরা বিমর্ষ। ছলছল চোখে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না- 'রূপা নেই'। হলে ফাঁকা পড়ে আছে তার জন্য নির্ধারিত আসনটি।
প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচনী পরীক্ষা।
"সবাই এসেছে, শুধু রূপা নেই। তার সিট ফাঁকাই পড়ে আছে" খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন শিক্ষক আতাউর।
এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাশ ছুটি দিয়ে দেয় সোমবার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জয় টেলিকমের মালিক জয় চৌধুরী জানান, রাস্তার এক পাশ দিয়ে দুই সহপাঠীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলো রূপা। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা বাসটি তাকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০ গজ পশ্চিমে রূপাদের বাসা। বাবার নাম উজ্জ্বল চৌধুরী। বেলা ১১টায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রূপার মা শিল্পী চৌধুরী শোকে মূহ্যমান। স্বজনদের আহাজারির মাঝে ছোট ভাই ইমন চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে বাকরুদ্ধ হয়ে।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে। চালক মো. শফিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় একই রুটে (১ নম্বর সিটি সার্ভিস) চলাচলকারী আরো একটি বাস ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। তাদের অবরোধে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুর মোরশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত গাড়ি চালক শফিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment