লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চালকের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তা না হলে এটিসহ ১১ দফা দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে দাবি জানিয়ে সময় বেঁধে দেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, "আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে পরিবহন শ্রমিক মালিকরা।"
তিনি সমাবেশে সরকারের প্রতি ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, "প্রতিটি জেলায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি শুধু ফিল্ড টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে।"
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, "এই দাবিগুলোর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করবো।"
গত অগাস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান সম্পাদক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর অদক্ষ চালকদের গাড়ি চালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে। নৌমন্ত্রীর চাপে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অদক্ষ চালকদের পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সংবিলত খবরও প্রকাশ হয়। তবে নৌ ও যোগাযোগমন্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এক পর্যায়ে অদক্ষদের লাইসেন্স দেওয়া হবে না- যোগাযোগমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ঘোষণা দাবি করে অনশনের হুমকি দেন সাংসদ তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সমাবেশে বলেন, "এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করা চাইছেন।"
"পরিবহন শ্রমিকরা ঘাতক নয়-তারা জনগণের সেবক।"
"দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই দায়ী নয়," মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, "দুর্ঘটনার জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। যান্ত্রিক ত্র"টি ও সড়কের ত্র"টি এর মধ্যে অন্যতম।"
অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে তাও দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, "আমি বলতে চাই আমি পরীক্ষা ছাড়া কাউকেই লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলিনি। আমি বলেছি ট্রাফিক সাইন (চিহ্ন) না চিনলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ২০০০ সালের জুন মাসে ট্রাফিক গেজেটে এসব চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চালকদের অবশ্যই এসব চিহ্ন চিনতে হবে।"
তিনি সাংবাদিক মুনতাসির মামুনের লিখনীর সমালোচনা করে বলেন, "আমরা শ্রমিকরাও মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। আজ যারা শ্রমিকদের খান সেনা বলছেন তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করুন, নতুবা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।"
মুনতাসির মামুন একটি দৈনিক পত্রিকায় 'হুঁশিয়ার খান সেনারা আসছে' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে পরিবহন শ্রমিকদের সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রোড-ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক অ্যাক্ট অনুমোদনের আগে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ, সড়ক পরিবহনকে সেবা শিল্পের মর্যাদা দান, সড়ক পরিবহন খাতকে চাঁদাবাজি মুক্ত করা, টায়ার-টিউব ও জ্বালানিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু রমেশ চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু, শ্রমিক নেতা মোখলেসুর রহমান, খায়রুল আলম মোল্লা, মাহবুব আলম মিন্টু, মনসুর আলম বুলবুল প্রমুখ।
তা না হলে এটিসহ ১১ দফা দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে দাবি জানিয়ে সময় বেঁধে দেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, "আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে পরিবহন শ্রমিক মালিকরা।"
তিনি সমাবেশে সরকারের প্রতি ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, "প্রতিটি জেলায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি শুধু ফিল্ড টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে।"
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, "এই দাবিগুলোর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করবো।"
গত অগাস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান সম্পাদক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর অদক্ষ চালকদের গাড়ি চালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে। নৌমন্ত্রীর চাপে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অদক্ষ চালকদের পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সংবিলত খবরও প্রকাশ হয়। তবে নৌ ও যোগাযোগমন্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এক পর্যায়ে অদক্ষদের লাইসেন্স দেওয়া হবে না- যোগাযোগমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ঘোষণা দাবি করে অনশনের হুমকি দেন সাংসদ তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সমাবেশে বলেন, "এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করা চাইছেন।"
"পরিবহন শ্রমিকরা ঘাতক নয়-তারা জনগণের সেবক।"
"দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই দায়ী নয়," মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, "দুর্ঘটনার জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। যান্ত্রিক ত্র"টি ও সড়কের ত্র"টি এর মধ্যে অন্যতম।"
অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে তাও দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, "আমি বলতে চাই আমি পরীক্ষা ছাড়া কাউকেই লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলিনি। আমি বলেছি ট্রাফিক সাইন (চিহ্ন) না চিনলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ২০০০ সালের জুন মাসে ট্রাফিক গেজেটে এসব চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চালকদের অবশ্যই এসব চিহ্ন চিনতে হবে।"
তিনি সাংবাদিক মুনতাসির মামুনের লিখনীর সমালোচনা করে বলেন, "আমরা শ্রমিকরাও মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। আজ যারা শ্রমিকদের খান সেনা বলছেন তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করুন, নতুবা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।"
মুনতাসির মামুন একটি দৈনিক পত্রিকায় 'হুঁশিয়ার খান সেনারা আসছে' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে পরিবহন শ্রমিকদের সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রোড-ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক অ্যাক্ট অনুমোদনের আগে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ, সড়ক পরিবহনকে সেবা শিল্পের মর্যাদা দান, সড়ক পরিবহন খাতকে চাঁদাবাজি মুক্ত করা, টায়ার-টিউব ও জ্বালানিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু রমেশ চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু, শ্রমিক নেতা মোখলেসুর রহমান, খায়রুল আলম মোল্লা, মাহবুব আলম মিন্টু, মনসুর আলম বুলবুল প্রমুখ।
0 comments:
Post a Comment