নারায়ণগঞ্জে ভোট গণনায় পিছিয়ে থাকা ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান ফলাফলের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন না। বাড়ি থেকেও বের হচ্ছেন না তিনি।
রোববার দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে বিকালে শহরের জামতলায় নিজের বাড়িতে ঢোকেন শামীম। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হননি তিনি।
ওই সময় পর্যন্ত ১৬৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট। তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রাতে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে বাড়ি থেকে জানানো হয়, তিনি এখন আর কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।
ভোটের সময় প্রার্থী হিসেবে শামীমের সঙ্গে থাকা পুলিশের দলটিকেও গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিকাল থেকে পুলিশের গাড়িটি ওই বাড়ির সামনেই ছিলো।
ওই দলের পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি (শামীম) আর বের হবেন না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।"
ভোটের সময় সর্বশেষ বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।
তিনি তখন অভিযোগ করেন, কারচুপি করে তাকে হারানো হচ্ছে। আর তাতে তার দলেরই কোনো অংশের সমর্থন রয়েছে।
"শামীমকে হারাতে ওয়ান-ইলেভেন, বিএনপি, জামায়াত সবাইকে এক হতে হয়। এখানে আইভীকে জেতাতে তাই হয়েছে। জামায়াত ফাইন্যান্স করছে, সে টাকা পেয়েছে পুলিশ," বলেন শামীম।
নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য চলছে দাবি করে তিনি বলেন, "এ সব বিষয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, দলের সমর্থন না থাকলে এ চুরি করতে পারতো না।"
সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী হওয়ার সমস্যা তুলে ধরে শামীম বলেন, "আমাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি না পারছি বলতে, না পারছি সইতে।"
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর ফলাফল মেনে নেবেন কি না- জানতে চাওয়া হলে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম বলেন, "বিলিভ মি (বিশ্বাস করুন), জয়-পরাজয় যাই হোক, আমি খুশি মনে মেনে নিতাম। কিন্তু এখন মানতে কষ্ট হবে।"
শামীমের দাবি, কালো টাকার কাছে পুলিশসহ সবাই 'আত্মসমর্পণ' করেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পুলিশ কমপ্লিটলি বায়াজড, বায়াজড, বায়াজড।"
ভোটের চিত্র দেখে সকালে কোনো অভিযোগ না তুললেও দুপুর থেকে অনিয়মের কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।
দুপুর ১টার দিকে শহরের রাইফেলস ক্লাবে শামীম সাংবাদিকদের বলেন, "গত এক ঘণ্টায় ভোটের চিত্র উল্টে গেছে। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, পুলিশ ওপেন আইভীর পক্ষে ভোট চাচ্ছে।"
সকাল ৯টার দিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পক্ষে কথা বললেও দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।
এ নির্বাচনে মেয়র পদের ছয় প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী দোয়াত-কলম প্রতীকে লড়ছেন।
শামীমের অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন দুপুরের পর সাংবাদিকদের বলেন, "এগুলো প্রার্থীদের স্ট্যান্ড, এগুলো রিউমার।"
ইভিএম নিয়ে শামীমের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি'র পরিচালক, অধ্যাপক লুৎফুল কবির বলেন, "ইভিএমে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে যাওয়া অসম্ভব। সব কেন্দ্রেই ভালোভাবে ভোট হচ্ছে।"
রোববার দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে বিকালে শহরের জামতলায় নিজের বাড়িতে ঢোকেন শামীম। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হননি তিনি।
ওই সময় পর্যন্ত ১৬৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট। তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রাতে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে বাড়ি থেকে জানানো হয়, তিনি এখন আর কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।
ভোটের সময় প্রার্থী হিসেবে শামীমের সঙ্গে থাকা পুলিশের দলটিকেও গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিকাল থেকে পুলিশের গাড়িটি ওই বাড়ির সামনেই ছিলো।
ওই দলের পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি (শামীম) আর বের হবেন না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।"
ভোটের সময় সর্বশেষ বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।
তিনি তখন অভিযোগ করেন, কারচুপি করে তাকে হারানো হচ্ছে। আর তাতে তার দলেরই কোনো অংশের সমর্থন রয়েছে।
"শামীমকে হারাতে ওয়ান-ইলেভেন, বিএনপি, জামায়াত সবাইকে এক হতে হয়। এখানে আইভীকে জেতাতে তাই হয়েছে। জামায়াত ফাইন্যান্স করছে, সে টাকা পেয়েছে পুলিশ," বলেন শামীম।
নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য চলছে দাবি করে তিনি বলেন, "এ সব বিষয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, দলের সমর্থন না থাকলে এ চুরি করতে পারতো না।"
সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী হওয়ার সমস্যা তুলে ধরে শামীম বলেন, "আমাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি না পারছি বলতে, না পারছি সইতে।"
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর ফলাফল মেনে নেবেন কি না- জানতে চাওয়া হলে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম বলেন, "বিলিভ মি (বিশ্বাস করুন), জয়-পরাজয় যাই হোক, আমি খুশি মনে মেনে নিতাম। কিন্তু এখন মানতে কষ্ট হবে।"
শামীমের দাবি, কালো টাকার কাছে পুলিশসহ সবাই 'আত্মসমর্পণ' করেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পুলিশ কমপ্লিটলি বায়াজড, বায়াজড, বায়াজড।"
ভোটের চিত্র দেখে সকালে কোনো অভিযোগ না তুললেও দুপুর থেকে অনিয়মের কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম।
দুপুর ১টার দিকে শহরের রাইফেলস ক্লাবে শামীম সাংবাদিকদের বলেন, "গত এক ঘণ্টায় ভোটের চিত্র উল্টে গেছে। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, পুলিশ ওপেন আইভীর পক্ষে ভোট চাচ্ছে।"
সকাল ৯টার দিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পক্ষে কথা বললেও দুপুরে তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে।
এ নির্বাচনে মেয়র পদের ছয় প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী দোয়াত-কলম প্রতীকে লড়ছেন।
শামীমের অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন দুপুরের পর সাংবাদিকদের বলেন, "এগুলো প্রার্থীদের স্ট্যান্ড, এগুলো রিউমার।"
ইভিএম নিয়ে শামীমের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি'র পরিচালক, অধ্যাপক লুৎফুল কবির বলেন, "ইভিএমে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে যাওয়া অসম্ভব। সব কেন্দ্রেই ভালোভাবে ভোট হচ্ছে।"
0 comments:
Post a Comment