দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আগে অনুমতি নেওয়ার বিধান না রাখার পক্ষে সংসদীয় কমিটি।
রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৪৬তম বৈঠক শেষে সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এসে ২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৫ দফা সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল।
"ওই তিন দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত সংস্থাটি অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকোয়রি, ইনভেস্টিগেশন বা প্রসিকিউশনে কোনো পূর্বানুমতির বিধান নেই সেখানে। নিজস্ব জনবল দিয়েই তারা এসব কাজ করে। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরাও কমিটিকে প্রতিবেদন দিয়েছি।"
অন্যান্য দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে গত ১০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ওই তিন দেশ সফর করেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল।
সুরঞ্জিত বলেন, দুদক ১৯৪৭ সাল থেকেই ছিল। আগে ছিল (দুর্নীতি দমন ব্যুরো) সরকারের অধীনে। বর্তমানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাধীন এ সংস্থা। দীর্ঘদিন এ আইনের সংস্কার না হওয়ায় এর অসঙ্গতিগুলো দূর করে যুযোপযোগী করতে এই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্র"য়ারি সংসদে তোলা এই সংশোধনী প্রস্তাব বর্তমানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।
বিলের ৩২(ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়, এ আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। যদিও, বিদ্যমান আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুদককে অনুমতি নিতে হয় না।
গত ২৬ জুন কমিটির ৪০তম বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশ ঘুরে পর্যালোচনার মাধ্যমে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়। আর বিদেশ ঘুরে আসা প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় শনিবারের বৈঠকে।
ওই প্রতিবেদনের অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং জন প্রশাসন সচিবকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সুরঞ্জিত বলেন, "বিল ও কমিটির মতের সঙ্গে এই প্রতিবেদনের যোজন যোজন ফারাক। আমরা অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও হিসাব কমিটির সভাপতির বক্তব্য আবার নেবো। আশা করি, দুই পক্ষের দূরত্ব কমে আসবে।"
যত দ্রত সম্ভব বিলটি সংশোধিত আকারে সংসদে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আদালত অবমানা বিল
সুরঞ্জিত জানান, বৈঠকে আদালত অবমাননা বিল, ২০১১ নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের মতামতা তুলে ধরেন।
বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে আহবায়ক এবং মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি সাব-কমিটি করা হয় এ বৈঠকে।
কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. জিয়াউল হক মৃধা, মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং শেখ ফজলে নূর তাপস এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৪৬তম বৈঠক শেষে সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এসে ২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৫ দফা সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল।
"ওই তিন দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত সংস্থাটি অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকোয়রি, ইনভেস্টিগেশন বা প্রসিকিউশনে কোনো পূর্বানুমতির বিধান নেই সেখানে। নিজস্ব জনবল দিয়েই তারা এসব কাজ করে। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরাও কমিটিকে প্রতিবেদন দিয়েছি।"
অন্যান্য দেশে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে গত ১০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ওই তিন দেশ সফর করেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল।
সুরঞ্জিত বলেন, দুদক ১৯৪৭ সাল থেকেই ছিল। আগে ছিল (দুর্নীতি দমন ব্যুরো) সরকারের অধীনে। বর্তমানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাধীন এ সংস্থা। দীর্ঘদিন এ আইনের সংস্কার না হওয়ায় এর অসঙ্গতিগুলো দূর করে যুযোপযোগী করতে এই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্র"য়ারি সংসদে তোলা এই সংশোধনী প্রস্তাব বর্তমানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।
বিলের ৩২(ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়, এ আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। যদিও, বিদ্যমান আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুদককে অনুমতি নিতে হয় না।
গত ২৬ জুন কমিটির ৪০তম বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশ ঘুরে পর্যালোচনার মাধ্যমে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়। আর বিদেশ ঘুরে আসা প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় শনিবারের বৈঠকে।
ওই প্রতিবেদনের অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং জন প্রশাসন সচিবকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সুরঞ্জিত বলেন, "বিল ও কমিটির মতের সঙ্গে এই প্রতিবেদনের যোজন যোজন ফারাক। আমরা অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও হিসাব কমিটির সভাপতির বক্তব্য আবার নেবো। আশা করি, দুই পক্ষের দূরত্ব কমে আসবে।"
যত দ্রত সম্ভব বিলটি সংশোধিত আকারে সংসদে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আদালত অবমানা বিল
সুরঞ্জিত জানান, বৈঠকে আদালত অবমাননা বিল, ২০১১ নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের মতামতা তুলে ধরেন।
বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে আহবায়ক এবং মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি সাব-কমিটি করা হয় এ বৈঠকে।
কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. জিয়াউল হক মৃধা, মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং শেখ ফজলে নূর তাপস এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment