মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টি। তাতেই ভেসে গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন।
পরশু ভোররাতে ১ ঘণ্টা মুষলধারায় বৃষ্টি ঝরে। উইকেটসহ মাঠের চারদিকের ৫০ গজ ঢাকা ছিল পিচ কাভার দিয়ে। কিন্তু ওই কাভার বাঁচাতে পারেনি আউটফিল্ড। সকালে মাঠে এসে পানি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন দুই আম্পায়ার নাইজেল লং, কুমারা ধর্মাসেনা এবং ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফট। দেখেন গ্রাউন্ডসম্যানরা দুই হাতে পানি সেচছেন। আর মাঠে পা রেখেই দেখেন দেবে যাচ্ছে। মাঠের এমন কন্ডিশনে সময় নেয় দেড় ঘণ্টা। বেলা ১১টায় মাঠ পরিদর্শন করেন ম্যাচ রেফারি এবং ১৫ মিনিট পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন। জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে এবারই প্রথম কোনো টেস্ট বা ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়নি বৃষ্টিতে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ-ভারত ড্র টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন একটিও বল গড়ায়নি মাঠে। ওই বৃষ্টির ধাক্কায় মাঠ শুকাতে লেগেছিল পুরো দেড় দিন। ফলে চতুর্থ দিন মাত্র ১৪ এবং পঞ্চম দিন ২৮ ওভার খেলা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই সিরিজেই ১৫ মে দুই দেশের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে কোনো বল গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বিরাট অঙ্কের ক্ষতি হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের। ম্যাচ না হওয়ায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান নিমবাস একটা মোটা অঙ্কের অর্থ কেটে নিয়েছিল। তখনই ক্রিকেট বোর্ড জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ-ব্যবস্থার উন্নতির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর পরও সেই একই অবস্থা রয়ে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১ উপলক্ষে ৭১ কোটি টাকার শোভাবর্ধন ও সংস্কারকাজ হয়েছে স্টেডিয়ামের। তবে কোনো উন্নতি হয়নি ড্রেনেজ পদ্ধতির। বরং সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে জমে থাকছে পানি। নিষ্কাশনের কোনো সুবিধা না থাকায় পানি বের হতে পারছে না। গতকালে বৃষ্টির পানিও সেই একই অবস্থায় রয়ে যায়। এর ফলে ম্যাচ রেফারি সকালেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
অবশ্য মাঠ সংস্কার নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে একটি ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। পানি নিষ্কাশনসহ মাঠের উন্নতির জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই পক্ষের টানাহেঁচড়ায় শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার আবদুল বাতেন বলেন, 'বিশ্বকাপের পরপরই মাঠ সংস্কারের জন্য ক্রিকেট বোর্ড চিঠি দিয়েছিল ক্রীড়া পরিষদকে। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী অর্থবছরে নতুন করে অর্থ বরাদ্দের পরই মাঠের সংস্কারকাজ করা হবে।' ম্যাচ রেফারি সকালে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিসিবির গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার বলেন, 'সকালে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুপুরে আরও কয়েকবার মাঠ পরিদর্শন করা উচিত ছিল।' একই কথা পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভারও। তিনি বলেন, 'উইকেট খেলার উপযোগী ছিল। কিন্তু আউটফিল্ড ভারী ছিল। তাই খেলা সম্ভব হয়নি।'
পরশু ভোররাতে ১ ঘণ্টা মুষলধারায় বৃষ্টি ঝরে। উইকেটসহ মাঠের চারদিকের ৫০ গজ ঢাকা ছিল পিচ কাভার দিয়ে। কিন্তু ওই কাভার বাঁচাতে পারেনি আউটফিল্ড। সকালে মাঠে এসে পানি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন দুই আম্পায়ার নাইজেল লং, কুমারা ধর্মাসেনা এবং ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফট। দেখেন গ্রাউন্ডসম্যানরা দুই হাতে পানি সেচছেন। আর মাঠে পা রেখেই দেখেন দেবে যাচ্ছে। মাঠের এমন কন্ডিশনে সময় নেয় দেড় ঘণ্টা। বেলা ১১টায় মাঠ পরিদর্শন করেন ম্যাচ রেফারি এবং ১৫ মিনিট পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন। জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে এবারই প্রথম কোনো টেস্ট বা ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়নি বৃষ্টিতে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ-ভারত ড্র টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন একটিও বল গড়ায়নি মাঠে। ওই বৃষ্টির ধাক্কায় মাঠ শুকাতে লেগেছিল পুরো দেড় দিন। ফলে চতুর্থ দিন মাত্র ১৪ এবং পঞ্চম দিন ২৮ ওভার খেলা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই সিরিজেই ১৫ মে দুই দেশের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে কোনো বল গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বিরাট অঙ্কের ক্ষতি হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের। ম্যাচ না হওয়ায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান নিমবাস একটা মোটা অঙ্কের অর্থ কেটে নিয়েছিল। তখনই ক্রিকেট বোর্ড জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ-ব্যবস্থার উন্নতির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর পরও সেই একই অবস্থা রয়ে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১ উপলক্ষে ৭১ কোটি টাকার শোভাবর্ধন ও সংস্কারকাজ হয়েছে স্টেডিয়ামের। তবে কোনো উন্নতি হয়নি ড্রেনেজ পদ্ধতির। বরং সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে জমে থাকছে পানি। নিষ্কাশনের কোনো সুবিধা না থাকায় পানি বের হতে পারছে না। গতকালে বৃষ্টির পানিও সেই একই অবস্থায় রয়ে যায়। এর ফলে ম্যাচ রেফারি সকালেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
অবশ্য মাঠ সংস্কার নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে একটি ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। পানি নিষ্কাশনসহ মাঠের উন্নতির জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই পক্ষের টানাহেঁচড়ায় শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার আবদুল বাতেন বলেন, 'বিশ্বকাপের পরপরই মাঠ সংস্কারের জন্য ক্রিকেট বোর্ড চিঠি দিয়েছিল ক্রীড়া পরিষদকে। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী অর্থবছরে নতুন করে অর্থ বরাদ্দের পরই মাঠের সংস্কারকাজ করা হবে।' ম্যাচ রেফারি সকালে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিসিবির গ্রাউন্সড কমিটির ম্যানেজার বলেন, 'সকালে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুপুরে আরও কয়েকবার মাঠ পরিদর্শন করা উচিত ছিল।' একই কথা পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভারও। তিনি বলেন, 'উইকেট খেলার উপযোগী ছিল। কিন্তু আউটফিল্ড ভারী ছিল। তাই খেলা সম্ভব হয়নি।'
0 comments:
Post a Comment