SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

দামি গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ে নেমেছে ওরা ঈদকে সামনে রেখে ঝুঁকিতে রাতের ঢাকা

Posted by methun

সাইফুল আজিমের বাবা বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা। বাসা মহাখালী এলাকায়। বাসা থেকে কলেজের দূরত্ব হেঁটে যাওয়ার পথ তবুও বাবা শখ করে ছেলেকে কিনে দিয়েছেন একটি দামি মোটরবাইক। সম্প্রতি ওই বাইক নিয়ে ছিনতাই করতে গিয়ে আরও দুই সহযোগীসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় সাইফুল।

শুধু সাইফুল আজিমই নয়, তার মতো বখে যাওয়া অভিজাত পরিবারের দুলালরা রাত হলেই দামি প্রাইভেট কার ও হাল ফ্যাশনের মোটরবাইক নিয়ে ছিনতাইয়ের জন্য নেমে পড়ে। মোড়ের চায়ের দোকান কিংবা নির্জন এলাকায় বসে সিগারেট টানার পাশাপাশি খুঁজতে থাকে শিকার।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জানান, রাত হলেই যারা মোটরবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করতে বেরোয় তারা মূলত মাদকসেবি। হাতে টাকা কম থাকলেই তারা ছিনতাইয়ের মতো মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এ ছাড়াও আরও একটি পেশাদার গ্রুপ মোটরবাইক ও গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করে থাকে। এরাই বেশি ভয়ঙ্কর। প্রয়োজনে গুলি করতেও তাদের বুক কাঁপে না। ছিনতাই কাজে এরা যে মোটরবাইক ও গাড়ি ব্যবহার করে তার অধিকাংশে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। কেউ কেউ আবার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে।

ছিনতাইকারীর শিকার হওয়া ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের এক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টায় অফিসের কাজ শেষে মোটরবাইকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফেরার সময় বঙ্গভবনের সামনে দুটি বাইকে চার ছিনতাইকারী এসে তার গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বাজাজ কোম্পানির পালসার ব্র্যান্ডের একটি দেড়শ সিসির বাইক ছিনিয়ে নেয়। নতুন বাইকটি তিনি কিনে ছিলেন ঘটনার তিন দিন আগে।

ধানমন্ডির বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে তিনি গুলশানের অফিসে কাজ শেষ করে নিজের প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে পেঁৗছলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার সামনে গিয়ে তার পথরোধ করে। পরে তিন অস্ত্রধারী তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। টি শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা দুই ছিনতাইকারী তার হাত থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফার্মগেটের দিকে চলে যায়। একুশ দিন পর দালালের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের হাতে ছয় লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা গাড়িটি বাড্ডা থানার পাশে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গাড়ি ও মোটরবাইক ছিনতাইয়ের সঙ্গে দুই ধরনের অপরাধী জড়িত। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ পেশাদার। অপরটি অভিজাত পরিবারের বখে যাওয়া মাদকাসক্ত সন্তান। পেশাদার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সহজ হলেও মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানান, রাজধানীতে গড়ে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৪৫টি গাড়ি ও মোটরবাইক ছিনতাই হয়ে থাকে। প্রতিটি ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় একই রকম। হয় প্রাইভেট কার অথবা মোটরবাইক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ছিনতাই করা হলেও থানায় অধিকাংশ মামলা নেওয়া হয় চুরির। পরে তা তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ডিবিতে।

0 comments:

Post a Comment