বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ আর অসৎ মন্ত্রী থাকতে পারে না। এদের বের করে দিতে হবে। ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল এমপি, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের অন্যতম নায়ক খালেদ মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল বোস, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম এ রশীদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এমপি।
বক্তারা বলেন, সরকারের ব্যর্থতা চাই না, সফলতা চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য চাই, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির পরিহার চাই, অবসান চাই। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে আজ মোসাহেবদের সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ আজ অনেক দূরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হয় আর আজ তার আদর্শকেই হত্যার আলামত শুরু হয়েছে। ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী ছিলাম_ এই পরিচয়টাকেই বড় করে দেখি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তা আমরা পালন করবই, এটি কারও দয়ামায়ার বিষয় নয়, আমাদের অধিকার। তিনি বলেন, যারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন তারা জনগণের সেবক মাত্র, ক্ষমতা তাদের হাতে নয়, ক্ষমতা তো সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে অর্থাৎ জনগণের কাছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মারা গেছেন কিন্তু তার আদর্শ মারা যায়নি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা এখনো ঐক্যবদ্ধ। সংবিধান সংশোধন করে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। সব জায়গায় দলীয়করণ কেন, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।
ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ, মন্ত্রী থাকতে পারে না, এদের বের করে দিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারে যারা আছেন তারা মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এমন কোনো সদস্য থাকবে না যাদের কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ তাদেরই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে একটি গোষ্ঠী ঘিরে রেখেছিল একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকেও ঘিরে রেখেছে একটি গোষ্ঠী। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার চারপাশে যারা আছেন তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, ওরা মিষ্টি কথা বললেও তার আড়ালে অন্য কিছু থাকতে পারে।
আবদুল জলিল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলায় শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্লাটফর্ম হিসেবে বাকশাল করেছিলেন। তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চেতনা ছিল সর্বজনীন। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বিশ্ব রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি দৈহিকভাবে আর এখন হারাতে যাচ্ছি রাজনৈতিকভাবে। তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে সংসদে এসেছেন, এমনকি সংসদীয় স্থাযী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছেন; তারাই আবার মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে দল এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতক মোশতাকই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক আর তাজউদ্দিন ছিলেন অনেক দূরে। তাজউদ্দিন জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তার চেয়ে বড় কোনো বন্ধু বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে মোসাহেবদের জয়জয়কার। তিনি বলেন, আমি সরকারের সমালোচক, শত্রু নই। সরকারের পতন চাইতে আসিনি, সংশোধন চাইতে এসেছি। সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যারা একদিন বঙ্গবন্ধুর হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি আর চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন তারাই আজ শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী। আর যারা সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিবেদিত তারা আজ অনেক দূরে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল এমপি, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের অন্যতম নায়ক খালেদ মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল বোস, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম এ রশীদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এমপি।
বক্তারা বলেন, সরকারের ব্যর্থতা চাই না, সফলতা চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য চাই, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির পরিহার চাই, অবসান চাই। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে আজ মোসাহেবদের সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ আজ অনেক দূরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হয় আর আজ তার আদর্শকেই হত্যার আলামত শুরু হয়েছে। ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী ছিলাম_ এই পরিচয়টাকেই বড় করে দেখি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তা আমরা পালন করবই, এটি কারও দয়ামায়ার বিষয় নয়, আমাদের অধিকার। তিনি বলেন, যারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন তারা জনগণের সেবক মাত্র, ক্ষমতা তাদের হাতে নয়, ক্ষমতা তো সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে অর্থাৎ জনগণের কাছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মারা গেছেন কিন্তু তার আদর্শ মারা যায়নি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা এখনো ঐক্যবদ্ধ। সংবিধান সংশোধন করে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। সব জায়গায় দলীয়করণ কেন, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।
ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ, মন্ত্রী থাকতে পারে না, এদের বের করে দিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারে যারা আছেন তারা মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এমন কোনো সদস্য থাকবে না যাদের কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ তাদেরই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে একটি গোষ্ঠী ঘিরে রেখেছিল একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকেও ঘিরে রেখেছে একটি গোষ্ঠী। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার চারপাশে যারা আছেন তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, ওরা মিষ্টি কথা বললেও তার আড়ালে অন্য কিছু থাকতে পারে।
আবদুল জলিল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলায় শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্লাটফর্ম হিসেবে বাকশাল করেছিলেন। তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চেতনা ছিল সর্বজনীন। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বিশ্ব রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি দৈহিকভাবে আর এখন হারাতে যাচ্ছি রাজনৈতিকভাবে। তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে সংসদে এসেছেন, এমনকি সংসদীয় স্থাযী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছেন; তারাই আবার মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে দল এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতক মোশতাকই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক আর তাজউদ্দিন ছিলেন অনেক দূরে। তাজউদ্দিন জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তার চেয়ে বড় কোনো বন্ধু বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডানে-বামে মোসাহেবদের জয়জয়কার। তিনি বলেন, আমি সরকারের সমালোচক, শত্রু নই। সরকারের পতন চাইতে আসিনি, সংশোধন চাইতে এসেছি। সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যারা একদিন বঙ্গবন্ধুর হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি আর চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন তারাই আজ শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী। আর যারা সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিবেদিত তারা আজ অনেক দূরে।
0 comments:
Post a Comment