SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বান কি মুনের বিশেষ 'নজর' চায় সিএইচটি কমিশন

Posted by methun

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের কাছে উত্থাপন করতে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিএইচটি কমিশন।

বেসরকারি এ সংগঠনটি মনে করে, বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের যেসব বিষয়ে বিশেষ 'নজর' দেওয়া উচিত সেগুলোর একটি ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষর হওয়া পার্বত্য শান্তিচুক্তি।

তিন দিনের সফরে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব।

এদিনই এক ইমেইল বার্তায় সিএইচটি কমিশন বলে, আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা দলটির ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল।

তবে সরকার এখন পর্যন্ত চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো রোড ম্যাপ তৈরি করতে পারেনি উল্লেখ করে বার্তাটিতে বলা হয়, চুক্তির অনেক বিষয়ই পুরোপুরি বা আংশিক বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে।

ভূমি সমস্যা, সেনা প্রত্যাহার এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা ক্রমশ 'কমতে থাকাকে' চুক্তির সবচেয়ে 'গুরুত্বপূর্ণ' অংশ বলে ওই বার্তায় চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ১১টি আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে।

১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে হওয়া শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে ওই এলাকায় পাহাড়ি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে।

কমিশনের রোববারের ইমেইলে গত মে মাসে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের দশম অধিবেশনে ফোরামের সাবেক সদস্য লার্স-অ্যান্ডার্স বেয়েরের প্রস্তাবিত সুপারিশের কথাও উল্লেখ করা হয়।

পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে বেয়েরের দুটি সুপারিশ তুলে ধরা হয় বার্তায়- (১) শান্তিরক্ষা মিশনে অন্তর্ভুক্ত করার আগে প্রতিটি দেশের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার 'রেকর্ড' খতিয়ে দেখা এবং (২) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমন সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা।

সিএইচটি কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আমস্টার্ডাম ভিত্তিক অর্গানাইজিং কমিটি সিএএচটি ক্যাম্পেইন এবং কোপেনহেগেন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ক গ্র"প ফর ইন্ডিজেনাস অ্যাফেয়ার্স নামের দুটি সংগঠন যৌথভাবে ১৯৯০ সালে চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) কমিশন গঠন করে।

এর সদস্যরা হলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, ব্রিটেনের সাবেক এমপি লর্ড এরিক আভবুরি, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এলসা স্টামাটোপৌলৌ, আইনজীবী সারা হোসেন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের শিক্ষক স্বপন আদনান, লার্স লার্স-অ্যান্ডার্স বেয়ের, মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং নিউ জার্সির প্রিন্সটনের ইন্সটিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির শিক্ষক মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ।

জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের সম্মেলনে বেয়েরের প্রস্তাবে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে একটি সময়সীমা এবং রূপরেখা/কার্যপ্রণালী ঘোষণার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল।

এছাড়া প্রস্তাবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ধীরে ধীরে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ করা হয়।

সেখানকার ৫০০ অস্থায়ী সেনাশিবিরের মধ্যে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় ২০০টি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রত্যাহার করা হয় আরো ৩৪টি। তবে ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাস এখনো সেখানে রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া এ তথ্যের সঙ্গে একমত নন অ্যান্ডার্স বায়ের।

ফোরামের ওই সম্মেলনে একটি আদিবাসী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি জাতিসংঘ ফোরামে ২০১১-১৩ সালের জন্য নির্বাচিত একজন বিশেষজ্ঞ সদস্য।

0 comments:

Post a Comment