SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ভারতে আরো ১৫ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ

Posted by methun

বাংলাদেশের দাবি করা ৬১টি পণ্যের সবগুলোরই ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ওমর ফারুক দেওয়ান রোববার সাংবাদিকদের জানান, ভারতের বাজারে বাংলাদেশি ১৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সে দেশের সরকার গত ৯ নভেম্বর জারি করেছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরে ৪৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় বাংলাদেশ।

নতুন করে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া পণ্যগুলো হচ্ছে- সুপারি, টয়লেট বা ফেসিয়াল টিস্যু পেপার, প্লাস্টিকের মনোফিলামেন্ট, আলু, পরিশোধিত নারকেল তেল, প্রিন্টেড পেপার বা পেপার বোর্ড লেবেল, লুব্রিকেটিং অয়েল, সিআর কয়েল, সিআই শিট বা ঢেউটিন, জিপি শিট, আয়রন বার (রড), এসএস বার (রড), আয়রন এঙ্গেল, শেপ ও সেকশন এবং গবাদি পশুর হাড়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারুক জানান, ৯ নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারত 'সাফটা স্পর্শকাতর তালিকা (সেনসিটিভ লিস্ট)' ৪৮০ থেকে হতে কমিয়ে মাত্র ২৫টি করেছে। এতে বাংলাদেশের দাবি করা ৬১টি পণ্যের সবগুলোই ভারতে শুল্ক মুক্ত সুবিধা পেলো।

এখন ভারতের স্পর্শকাতর তালিকায় শুধু বিভিন্ন প্রকার মদ, পানীয় এবং তামাকজাতীয় ১৪টি পণ্য রয়েছে।

বাংলাদেশ ইতোপূর্বে ৪৬টি তৈরি পোশাক পণ্যসহ (আরএমজি) মোট ৬১টি পণ্যকে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলো।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১০-১১ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ৪ হাজার ৭৪ মিলিয়ন ডলার। এ সময় বাংলাদেশ ৪ হাজার ৫৮৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি এবং ৫১২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে।

সদ্য পাওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি সম্পর্কে মনমোহনও তার সফরের সময় বলেছিলেন, "দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য বিষয়ে ভারত পূর্ণ সচেতন রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ৪৬টি পণ্যকে ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত।"

0 comments:

Post a Comment