ব্যাংক হিসাব, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খোলায় এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তাদের মতামতও তুলে ধরেছেন।
অবশ্য কমিশন মনে করে, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই পদ্ধতি চালুর আগেই নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা ঠিক নয়।
বৈঠকে উপস্থিত এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, "হিসাব খোলা এবং ঋণ নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরেছি আমরা। আমাদের কী কী চাহিদা তাও বলেছি। এখন সার্বিক বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, "আমরা পরিচয়পত্রের তথ্য অনলাইনে যাচাইয়ের পক্ষে। এজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি আমরা। কিন্তু সব ধরনের প্রস্তুতির আগেই নাগরিক সেবা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা ঠিক হবে না।"
তিনি জানান, ইসিতে সংরক্ষিত নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত ব্যবহারের বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। সবার কাছে ত্র"টিমুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের পর সেই নীতিমালা মেনেই শিগগির এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
"অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে একই ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন ব্যংক ও একাধিক বিও অ্যাকাউন্ট খোলা বা ভুয়া নামে ব্যাংক ঋণ নেওয়া রোধ করা যাবে। অন্যান্য অপরাধও কমে আসবে।"
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী যে কোনো সেবা বা নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশী নাগরিকের পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বা এর অনুলিপি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে পারবে সেবাদাতা সংস্থা।
এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র তৈরি করা, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুসাঙ্গিক সব দায়িত্ব পালনের এখতিয়ার থাকবে কমিশনের হাতে।
তথ্য যাচাই
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত সাড় আট কোটিরও বেশি ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো পরিচয়পত্র দেওয়ায় এর উল্লে¬খযোগ্য একটি অংশে বানান ও তথ্যগত ভুল রয়ে গেছে।
এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় অন্তত ১৫ লাখ লোক এখনো পরিচয়পত্র পাননি। চলতি বছরের শেষ দিকে হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই ব্যাংকের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করায় কাঙ্খিত ফল অর্জন সম্ভব হয়নি। প্রদর্শিত পরিচয়পত্রটি আদৌ আসল কি না- তা যাচাইয়ের পদ্ধতি চালু না থাকায় বাজারে জাল পরিচয়পত্র তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে।
"এ দুষ্কর্ম রোধ করতে হলে সেবা দানকারী সংস্থাগুলোকে প্রদর্শিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।"
ইসি এখন অনলাইনে এসব তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিতে প্রস্তুত উল্লে¬খ করে তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে সহজেই 'ভুয়া' পরিচয়পত্র চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কেউ ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিতে অথবা একাধিক বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে তা ঠেকানো যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখার জরিমানার বিধান রয়েছে জাতীয় নিবন্ধন আইনে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তাদের মতামতও তুলে ধরেছেন।
অবশ্য কমিশন মনে করে, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই পদ্ধতি চালুর আগেই নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা ঠিক নয়।
বৈঠকে উপস্থিত এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, "হিসাব খোলা এবং ঋণ নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরেছি আমরা। আমাদের কী কী চাহিদা তাও বলেছি। এখন সার্বিক বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, "আমরা পরিচয়পত্রের তথ্য অনলাইনে যাচাইয়ের পক্ষে। এজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি আমরা। কিন্তু সব ধরনের প্রস্তুতির আগেই নাগরিক সেবা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা ঠিক হবে না।"
তিনি জানান, ইসিতে সংরক্ষিত নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত ব্যবহারের বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। সবার কাছে ত্র"টিমুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের পর সেই নীতিমালা মেনেই শিগগির এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
"অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে একই ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন ব্যংক ও একাধিক বিও অ্যাকাউন্ট খোলা বা ভুয়া নামে ব্যাংক ঋণ নেওয়া রোধ করা যাবে। অন্যান্য অপরাধও কমে আসবে।"
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী যে কোনো সেবা বা নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশী নাগরিকের পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বা এর অনুলিপি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে পারবে সেবাদাতা সংস্থা।
এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র তৈরি করা, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুসাঙ্গিক সব দায়িত্ব পালনের এখতিয়ার থাকবে কমিশনের হাতে।
তথ্য যাচাই
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত সাড় আট কোটিরও বেশি ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো পরিচয়পত্র দেওয়ায় এর উল্লে¬খযোগ্য একটি অংশে বানান ও তথ্যগত ভুল রয়ে গেছে।
এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় অন্তত ১৫ লাখ লোক এখনো পরিচয়পত্র পাননি। চলতি বছরের শেষ দিকে হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই ব্যাংকের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করায় কাঙ্খিত ফল অর্জন সম্ভব হয়নি। প্রদর্শিত পরিচয়পত্রটি আদৌ আসল কি না- তা যাচাইয়ের পদ্ধতি চালু না থাকায় বাজারে জাল পরিচয়পত্র তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে।
"এ দুষ্কর্ম রোধ করতে হলে সেবা দানকারী সংস্থাগুলোকে প্রদর্শিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।"
ইসি এখন অনলাইনে এসব তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিতে প্রস্তুত উল্লে¬খ করে তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে সহজেই 'ভুয়া' পরিচয়পত্র চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কেউ ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিতে অথবা একাধিক বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে তা ঠেকানো যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখার জরিমানার বিধান রয়েছে জাতীয় নিবন্ধন আইনে।
0 comments:
Post a Comment