SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

এবার মাধ্যমিকে স্কুলফিডিং

Posted by methun

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে এবার মাধ্যমিক স্কুলে দুপুরে খাবার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাধ্যমিক স্তরে প্রাথমিক স্তরের ন্যায় ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে একদিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাবে অন্যদিকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পুষ্টিমান নিশ্চিত হবে। বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে দু’টি ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্প চালু আছে। এ কর্মসূচি নেয়ায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি বেড়েছে এবং ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর হার কমেছে।
মাধ্যমিক স্তরে খাবার চালুর বিষয়ে গতকাল রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। ঈযরপড় স্কুল টিফিনের নানা ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে বলা হয়, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের একার পক্ষে সারাদেশে এ মুহূর্তে এ ধরনের এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক/ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার/টিফিন সরবরাহ করা হলে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ এবং ভর্তির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে এ সকল ব্যক্তির সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে স্কুলগুলোতে খাবার/টিফিনের ব্যবস্থা করতে পারে।
পরিপত্রে স্কুল টিফিন কার্যক্রমের বিষয়ে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি, বিদ্যোত্সাহী ব্যক্তি, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সচ্ছল অভিভাবকগণের সহায়তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুপুরের টিফিন সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিকটবর্তী  তফসিলি ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে তহবিল গঠন করবে- যা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান নিশ্চিত করবেন। উপজেলা প্রশাসনের ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক স্থানীয়ভাবে উদ্বুদ্ধকরণ সভার মাধ্যমে এ কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিয়ে স্থানীয় জনগণকে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে পাবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।

 

0 comments:

Post a Comment