SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ডিএসইর সামনে অবস্থান কর্মসূচি

Posted by methun

মতিঝিলে ডিএসইর সামনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই লেনদেন চলছে ঢাকার পুঁজিবাজারে।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় 'পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ'র ব্যানারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে অবস্থান নেয়।

অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে ২ শতাধিক বিনিয়োগকারী। সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রশীদ খান সাংবাদিকদের বলেন, "বাজারের উন্নতি ঘটাতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রেখে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।"

বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে দুপুর ১২টা থেকে আর কে মিশন রোড থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেখানে পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।

বাইরে বিক্ষোভ হলেও ডিএসইতে কার্যক্রম চলতে দেখা যায়। সকাল ১১টায় লেনদেনও যথারীতি শুরু হয়।

পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের কারণে লেনদেন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলো 'বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ'। লেনদেন না চালাতে ব্রোকারেস হাউসগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছিলো তারা।

সকালে মতিঝিলে কয়েকটি ব্রোকারেস হাউস ঘুরে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম দেখা যায়।

ডিএসইতে সোমবার সূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে গাড়ি চলাচল প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিক্ষোভ হয় চট্টগ্রাম ও বগুড়ায়ও।

গত ২৮ জুনের পর সোমবারই প্রথম সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমেছে।

এদিকে আগের মতো মঙ্গলবারও ডিএসইতে দরপতন দিয়ে দিন শুরু হলেও পরে সূচকের উন্নতি ঘটে।
প্রায় দেড় ঘণ্টার লেনদেনে সাধারণ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ওই সময় পর্যন্ত ১০৭ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। সোমবার মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৩১৪ কোটি টাকা।

লেনদেন হওয়া ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৬টির, ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার সূচক ৫৯ পয়েন্ট হারিয়েছিলো ডিএসই। তখনও বিক্ষোভ করেছিলো ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সূচক কমে ১৮ পয়েন্ট। ওই দিন ২৪১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিলো, যা সাত মাসে সর্বনিু।

সোমবার দুই পুঁজিবাজারে দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের পর জরুরি বৈঠক করে বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শ নেয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

বাজারে দরপতনের জন্য তারল্য সঙ্কটকে দায়ী ডিএসই ও সিএসই কর্মকর্তারা নেটিং সুবিধা বাড়ানো, লেনদেন সম্পন্নের সময়সীমা চার দিনের চেয়ে কমিয়ে আনা পরামর্শ দিয়েছে।

0 comments:

Post a Comment