পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রায়
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় সিগন্যাল সেক্টরের ১৮২ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে ২০ জনকে। সর্বনিম্ন ৪ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে ৫ জনকে। একই সঙ্গে সাজা পাওয়া প্রত্যেক আসামিকেই ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে পিলখানার দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ও বিজিবির উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে সাজা কার্যকর হবে।
আদালতের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ল্যান্স নায়েক সিগন্যাল মো. ইমান আলী, নায়েক সিগন্যাল মো. সুরমান আলী, নায়েক সিগন্যাল মো. আবুল কাশেম, নায়েক সিগন্যাল এবিএম মুরাদ ও ল্যান্স নায়েক মো. হেলিম মিয়া। এদের মধ্যে ইমান আলী ও এবিএম মুরাদ ইতিপূর্বে আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন। গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পিলখানায় বিশেষ আদালত-৮-এর কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণার সময় বিচারক প্যানেলের অপর তিন সদস্য লে. কর্নেল মো. সেরাজুল হক, মেজর জাহিদুর রহমান খান ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি শ্রী ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সিগন্যাল সেক্টরের নায়েব মো. ফজলুল করিমসহ ২০ জনকে সর্বোচ্চ ৭ বছর, ৩ জনকে ৬ বছর, সুবেদার মেজর মো. আনছার আলীসহ (বীরপ্রতীক) ১৪ জনকে ৫ বছর, ২ জনকে ৪ বছর ৬ মাস, ৮ জনকে ৪ বছর, ১৬ জনকে ৩ বছর, ৮ জনকে ২ বছর ৬ মাস, ২৩ জনকে ২ বছর, ২০ জনকে ১ বছর ৬ মাস, ৩৩ জনকে ১ বছর, ৩০ জনকে ৬ মাস এবং ৫ জনকে সর্বনিম্ন ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে আদালত সভাপতি বিজিবির উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান বলেন, এই আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। বিশেষ আদালত বিচারের রায়ে আসামিদের শাস্তির মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে। এগুলো হলো, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৫ এবং ১৫২ মোতাবেক বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) মতো শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রণীত নিজস্ব আইনকে সমুন্নত রাখা, এ বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রচলিত আইনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, অপরাধের পাশাপাশি আসামিদের পূর্বতন আচরণবিধি, বিদ্রোহের সময় তাদের পদবী এবং নিয়োগ বিবেচনা করা, স্বাধীনতা যুদ্ধে কাজের জন্য স্বীকৃতি রয়েছে কিনা, চাকরির ক্ষেত্রে পদক ও মেডেলপ্রাপ্ত কিনা এবং পার্বত্য অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করেছে কিনা। এ ছাড়া গ্রেফতারের পর থেকে আসামিদের জেলহাজতে থাকার মেয়াদ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
আদালত সভাপতি বলেন, আসামিদের অপরাধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের পরে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা হলো, মহাপরিচালকের আদেশ অমান্য করে দরবার হল ত্যাগ করা, মেডিক্যাল বোর্ডের অস্ত্র বহন ও ব্যবহারের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া, পিলখানার ভেতরে গাড়িতে চড়ে মাইকিং করা, গোয়েন্দা ও মিডিয়ার ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রে আসামিদের শনাক্ত করা, আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অস্ত্র-গোলাবারুদ নিজ দখলে রাখা।
সিগন্যাল সেক্টরের মামলার বিচারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আদালত সভাপতি আরো বলেন, ৩৩ কার্যদিবসে সিগন্যাল সেক্টরের মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। ২০১০ সালের ৬ মে নায়েব সুবেদার নিয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৮৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করেন। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৭ দিন সময় দেয়ার নিয়ম থাকলেও তাদের ৬ মাস ২৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ মে পর্যন্ত চলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ৭৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিরা তখন সাক্ষীদের জেরা করেন। ১৩ জন আসামির পক্ষে দুজন সেনা কর্মকর্তাসহ ২২ জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। উল্লেখ্য, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর ঢাকায় ১১টি ইউনিটের বিচারকাজ শুরু হয়। গতকাল সিগন্যাল সেক্টরের রায় ঘোষণার পরে ৫টি ইউনিটের বিচার শেষ হয়েছে।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় সিগন্যাল সেক্টরের ১৮২ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে ২০ জনকে। সর্বনিম্ন ৪ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে ৫ জনকে। একই সঙ্গে সাজা পাওয়া প্রত্যেক আসামিকেই ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে পিলখানার দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ও বিজিবির উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে সাজা কার্যকর হবে।
আদালতের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ল্যান্স নায়েক সিগন্যাল মো. ইমান আলী, নায়েক সিগন্যাল মো. সুরমান আলী, নায়েক সিগন্যাল মো. আবুল কাশেম, নায়েক সিগন্যাল এবিএম মুরাদ ও ল্যান্স নায়েক মো. হেলিম মিয়া। এদের মধ্যে ইমান আলী ও এবিএম মুরাদ ইতিপূর্বে আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন। গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পিলখানায় বিশেষ আদালত-৮-এর কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণার সময় বিচারক প্যানেলের অপর তিন সদস্য লে. কর্নেল মো. সেরাজুল হক, মেজর জাহিদুর রহমান খান ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি শ্রী ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সিগন্যাল সেক্টরের নায়েব মো. ফজলুল করিমসহ ২০ জনকে সর্বোচ্চ ৭ বছর, ৩ জনকে ৬ বছর, সুবেদার মেজর মো. আনছার আলীসহ (বীরপ্রতীক) ১৪ জনকে ৫ বছর, ২ জনকে ৪ বছর ৬ মাস, ৮ জনকে ৪ বছর, ১৬ জনকে ৩ বছর, ৮ জনকে ২ বছর ৬ মাস, ২৩ জনকে ২ বছর, ২০ জনকে ১ বছর ৬ মাস, ৩৩ জনকে ১ বছর, ৩০ জনকে ৬ মাস এবং ৫ জনকে সর্বনিম্ন ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে আদালত সভাপতি বিজিবির উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান বলেন, এই আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। বিশেষ আদালত বিচারের রায়ে আসামিদের শাস্তির মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে। এগুলো হলো, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৫ এবং ১৫২ মোতাবেক বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) মতো শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রণীত নিজস্ব আইনকে সমুন্নত রাখা, এ বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রচলিত আইনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, অপরাধের পাশাপাশি আসামিদের পূর্বতন আচরণবিধি, বিদ্রোহের সময় তাদের পদবী এবং নিয়োগ বিবেচনা করা, স্বাধীনতা যুদ্ধে কাজের জন্য স্বীকৃতি রয়েছে কিনা, চাকরির ক্ষেত্রে পদক ও মেডেলপ্রাপ্ত কিনা এবং পার্বত্য অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করেছে কিনা। এ ছাড়া গ্রেফতারের পর থেকে আসামিদের জেলহাজতে থাকার মেয়াদ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
আদালত সভাপতি বলেন, আসামিদের অপরাধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের পরে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা হলো, মহাপরিচালকের আদেশ অমান্য করে দরবার হল ত্যাগ করা, মেডিক্যাল বোর্ডের অস্ত্র বহন ও ব্যবহারের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া, পিলখানার ভেতরে গাড়িতে চড়ে মাইকিং করা, গোয়েন্দা ও মিডিয়ার ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রে আসামিদের শনাক্ত করা, আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অস্ত্র-গোলাবারুদ নিজ দখলে রাখা।
সিগন্যাল সেক্টরের মামলার বিচারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আদালত সভাপতি আরো বলেন, ৩৩ কার্যদিবসে সিগন্যাল সেক্টরের মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। ২০১০ সালের ৬ মে নায়েব সুবেদার নিয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৮৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করেন। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৭ দিন সময় দেয়ার নিয়ম থাকলেও তাদের ৬ মাস ২৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ মে পর্যন্ত চলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ৭৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিরা তখন সাক্ষীদের জেরা করেন। ১৩ জন আসামির পক্ষে দুজন সেনা কর্মকর্তাসহ ২২ জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। উল্লেখ্য, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর ঢাকায় ১১টি ইউনিটের বিচারকাজ শুরু হয়। গতকাল সিগন্যাল সেক্টরের রায় ঘোষণার পরে ৫টি ইউনিটের বিচার শেষ হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment