SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

কী অপরাধ সাকিবের?

Posted by methun


বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘ঐতিহাসিক’ ৫ সেপ্টেম্বরকে এক ইংরেজি দৈনিক নাম দিয়েছে ‘ম্যানিক মানডে’। একই সঙ্গে জাতীয় দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে সরিয়ে দেওয়ার সেই ‘উন্মাদ সোমবার’-এর পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। কোথায় এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে, উল্টো বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে অনেক প্রশ্ন।
অধিনায়ক হিসেবে এত সাফল্যের পরও সাকিব আল হাসানকে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো? অধিনায়ক ব্যর্থ হলে সহ-অধিনায়কের যেখানে দায়িত্ব পাওয়ার কথা, উল্টো কেন কেড়ে নেওয়া হলো তামিম ইকবালের সহ-অধিনায়কত্বও?
গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভায় সাকিব-তামিমকে সরিয়ে দেওয়ার পর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, নেতৃত্বদানে ব্যর্থতা। জানানো হয়েছিল, ড্রেসিংরুমে তামিম ইকবাল কোচের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেছেন, যা শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। মাঝের এক সপ্তাহে দুটি অভিযোগের সারবত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
কোচ স্টুয়ার্ট ল প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনেই বলেছেন, জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিবের নেতৃত্বে তিনি কোনো সমস্যা দেখেননি। তামিমও তাঁর সঙ্গে এমন কিছু করেননি, যা ‘অপরাধ’ বলে বিবেচিত হতে পারে। ম্যানেজার তানজীব আহসান প্রথম আলোতে প্রকাশিত সাক্ষা ৎ কারে স্পষ্টই জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিবের নেতৃত্বে তিনি বরং উন্নতিই দেখেছেন। জিম্বাবুয়েতে যাওয়া নির্বাচক হাবিবুল বাশার তাঁর রিপোর্টে কী আছে, সেটি বলতে রাজি নন। তবে সাকিবের অধিনায়কত্ব যাওয়ায় তাঁর রিপোর্টের ভূমিকা আছে বলায় প্রতিবাদের যে ভঙ্গি, তাতে অনুমান করা একদমই কঠিন নয় যে তিনিও সাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে বড় কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
বাকি থাকেন এক শফিকুর রহমান। জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ দলের ‘হেড অব ডেলিগেশন।’ তাঁর ট্যুর রিপোর্টে যে মাঠে ও মাঠের বাইরে সাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে, বোর্ডে রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই তিনি তা সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন।
তার মানে, একমাত্র শফিকুর রহমানের চোখেই অধিনায়ক সাকিবের এমন সব ত্রুটি ধরা পড়েছে, ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণাঢ্য অতীত থাকার পরও স্টুয়ার্ট ল-হাবিবুল বাশার-তানজীব আহসান যা বুঝতেই পারেননি। সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ তাই তুলছেন পাল্টা প্রশ্ন, ‘যিনি সাকিবের ক্যাপ্টেনসি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর কি এই প্রশ্ন তোলার মতো ক্রিকেটীয় যোগ্যতা আছে?’
মাঠের অধিনায়কত্বে সাকিব দৃশ্যমান বড় কোনো ভুল করেননি। মাঠের বাইরে তাঁর অধিনায়কত্বের ধরন কারও পছন্দ নাও হতে পারে, তবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো বড় কিছু জিম্বাবুয়ে সফরে ঘটেছে বলেও শোনা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক খেলোয়াড় এই প্রতিবেদককে বলেছেন, জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব অতীতের যেকোনো সিরিজের চেয়ে বেশি ত ৎ পর ছিলেন। টিম মিটিংয়ের বাইরেও খেলোয়াড়দের নিয়ে মিটিং করেছেন। ব্যক্তিগতভাবেও কথা বলেছেন খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কাতর এমন অনেকের সঙ্গে।
তা হলে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত কিসের ভিত্তিতে হলো? এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া অধিনায়ককে আট মাসের মাথায়ই সরিয়ে দেওয়া হলো শুধুই এক বোর্ড পরিচালকের অভিযোগের কারণে? প্রশ্নটা যদি নেতৃত্বগুণ নিয়ে হয়, তা হলে কোচ ও নির্বাচকের পর্যবেক্ষণই কি বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা নয়?
সাধারণ ধারণা, জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যর্থতার মূল কারণ আড়াল করতেই এই সিদ্ধান্ত। মূল কারণটা যে ক্রিকেট বোর্ডের অপেশাদারির চূড়ান্ত এক উদাহরণ। টেস্ট জেতার পর নিজেদের কৃতিত্ব খাটো হয়ে যায় জেনেও জিম্বাবুয়ে-অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর বাংলাদেশের প্রস্তুতির অভাবের কথা বলেছেন। জিম্বাবুয়ের কোচ অ্যালান বুচারও একাধিকবার বলেছেন দুই দলের প্রস্তুতিতে পার্থক্যের কথা। সফরে যত দিন গেছে, বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে ততই উন্নতি থেকেই পরিষ্কার, মূল সমস্যাটা আসলে কী ছিল। তিন মাস একটা দল কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি, অথচ বাড়তি কিছু টাকা খরচ হবে বলে জিম্বাবুয়েতে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়েতে থাকতেই বিসিবির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছিলেন, ‘এই ব্যর্থতার দায় যতটা না খেলোয়াড়দের, তার চেয়ে বেশি বোর্ডের।’ সেই তিনিই কীভাবে ১৯ দিনের মাথায় ভোল পাল্টে ফেললেন?
ফারুক আহমেদ এই সিদ্ধান্তে মহাবিস্মিত, ‘যেভাবে সাকিব-তামিমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এত সাফল্যের পর একজন অধিনায়ককে একটা সিরিজের ব্যর্থতায় কেন সরিয়ে দেওয়া হবে?’ এটি যদি অতীতের কোনো ঘটনার জের হয়, তা হলেও ফারুকের প্রশ্ন আছে, ‘অতীতে ওদের কোনো সমস্যা থাকলে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এমন কিছু হয়েছে বলে তো জানা নেই। এই বোর্ড যে আসল কাজটা ঠিকভাবে না করে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে, এটা তারই প্রমাণ।’
সাকিব-তামিমকে ছাঁটাই করায় নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার ব্যাপার তো আছেই, দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে আরও ভয়ংকর কারণও খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। সেটির নাম প্রতিশোধ। কিসের প্রতিশোধ? শফিকুর রহমানকে ড্রেসিংরুমে থাকতে না দেওয়ার মতো ‘বেয়াদবি’র প্রতিশোধ। স্টুয়ার্ট ল সিদ্ধান্তটা তাঁর বলে জানানোর আগ পর্যন্ত এর দায়টা সাকিবের ওপরই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জিম্বাবুয়ে সফরের শুরু থেকেই সাকিব-তামিমের ব্যাপারে শফিকুরের নিয়মিত বিষোদ্গার, প্রায় ভোররাতে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ দলকে জুতার মালায় ‘অভ্যর্থনা’, এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোচ-খেলোয়াড় কারও সঙ্গে কথা না বলা, সাকিব-তামিমকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া—ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পুঁতিগুলো দিয়ে মালা গাঁথলে এটাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবাটা একদমই অস্বাভাবিক নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা কথা চালু আছে। আগে সব হেরেও সিরিজের শেষ এক/দুটি ম্যাচ জিতলে দেশের মানুষের ক্ষোভ ধুয়েমুছে যায়। অথচ এবার শেষ দুটি ম্যাচে জিতে দেশে ফেরার পরও কী ঘটল? বাংলাদেশ দল এর আগে আরও অনেকবারই এর চেয়েও চরম ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডা-কেনিয়ার কাছে পর্যন্ত হেরে ভূত হয়ে ফেরা দলও বিমানবন্দরে এমন অভিজ্ঞতার সামনে পড়েনি। এবার হঠা ৎ ভোররাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে যাওয়ার মতো অতি উ ৎ সাহী সমর্থক কোত্থেকে উদয় হলো?
যে সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে টালমাটাল করে দেওয়া এত বড় একটা সিদ্ধান্ত, সেটিতে বোর্ড সভাপতিসহ ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের ১০ জন পরিচালক ছিলেন অনুপস্থিত। সেই ১০ জনের মধ্যে ছিলেন জাতীয় দলের যেকোনো ব্যাপারে সরাসরি দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানও। নির্বাচকদের আলোচনার জন্য ডাকা হলেও অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ককে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের কোনো মতামত চাওয়া হয়নি। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত যে হতে পারে, সেই আভাসও নাকি তাঁরা পাননি। অথচ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচকদের মতামতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। বোর্ড সভাপতি বাদে সভায় উপস্থিত ১৪ পরিচালকের একজন এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলেন। তার মানে, মাত্র ১৩ জন পরিচালক মিলেই এত বড় একটা সিদ্ধান্ত! সব পরিচালকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে আরেকটা বোর্ড মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত না?
ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালককে ড্রেসিংরুমে থাকতে না বলাটা কি তাহলে এতই বড় অপরাধ? খেলোয়াড়ের ভূমিকায় ৩১ বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট এবং এরপর কোচের ভূমিকায় আরও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে স্টুয়ার্ট ল বলেছেন, তিনি জীবনে কোনো ড্রেসিংরুমে কোনো বোর্ড কর্মকর্তা বা নির্বাচককে এমন সারাক্ষণ বসে থাকতে দেখেননি। খেলোয়াড়দের অস্বস্তি অনুমান করতে পেরে তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে কাজটা করেছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন না তুলে প্রশ্ন তো এটা হওয়া উচিত, বোর্ড পরিচালক কেন সারাক্ষণ ড্রেসিংরুমে থাকবেন?
ক্রিকেট বোর্ডের একটাই উত্তর হতে পারে, তিনি ‘হেড অব ডেলিগেশন’ বলে। তা এই হেড অব ডেলিগেশন ‘বস্তু’টা কী? ক্রিকেট দলে এই পদটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আবিষ্কার। ক্রিকেট বিশ্বের বাকি সব দেশ জাতীয় দলের অভিভাবক হিসেবে ম্যানেজারকেই যথেষ্ট মনে করে। ম্যানেজার-অধিনায়ক-কোচ—এই ত্রিফলাই কোনো সিরিজ বা সফরে ক্রিকেট দলের পরিচালক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সফরে এঁদের ওপরে একজন বোর্ড পরিচালককে দলনেতা হিসেবে বসিয়ে দেয়।
দ্বিপাক্ষিক অনেক ব্যাপারে আলোচনা করতে বোর্ড কর্মকর্তাদের সফরে যাওয়ার রীতি সব দেশেই আছে। তাঁরা কয়েক দিনের জন্য যান, দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষা ৎ করে স্বাগতিক বোর্ডের সঙ্গে কাজের কথা বলে চলে আসেন। সারাক্ষণ দলের সঙ্গে লেপ্টে থেকে এমন নজরদারি করেন না। বাংলাদেশেরই এক পত্রিকায় সাবেক কোচ জেমি সিডন্স যেটিকে বলেছেন, ‘কোচ ও দলের ওপর বিন্দুমাত্র আস্থা না রাখার জাজ্বল্যমান উদাহরণ।’
একই সঙ্গে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে সরিয়ে দেওয়ার মতো অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পেলে অন্য কারণ খোঁজা হবে স্বাভাবিক। জিম্বাবুয়ে সফরে মাঠের বাইরে দলের শৃঙ্খলা বা শৃৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়েও তাই অনেক কথা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের প্রশ্নও করা হচ্ছে এ নিয়ে। মুশফিকুর রহিম হয়তো একটু বিরক্ত হয়েই বলেছেন, ‘অন্য কোনো দলের সঙ্গে ট্রাভেল করলে আপনারা বুঝতেন বাংলাদেশ টিম কতটা ডিসিপ্লিনড।’ এই প্রতিবেদক বাংলাদেশ দলের সঙ্গে প্রায় ১৬ বছর ট্যুর করার অভিজ্ঞতা থেকে জোর দিয়ে বলতে পারেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে বাংলাদেশ দলের মতো সুশৃঙ্খল দল বিশ্ব ক্রিকেটেই আর আছে কি না সন্দেহ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে বরং সব সময়ই অন্য ‘অভিযোগ’—ওঁরা মাঠ-হোটেল আর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ছাড়া আর কোথাও যান না। এই জিম্বাবুয়ে সফরেই স্টুয়ার্ট ল এতে বিস্মিত হয়ে ক্রিকেটারদের রুম ছেড়ে বেরোনোর তাগিদ দিয়েছেন। অথচ সাকিব-তামিমকে সরানোর প্রেক্ষাপট তৈরি করতে ‘জিম্বাবুয়েতে না জানি কী হয়েছে’ বলে একটা ধোঁয়া তুলে দেওয়া হয়েছে।
তা তুলে সাকিব-তামিমকে সরিয়ে দিয়ে ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ফেলে দিয়েছে গভীর এক আবর্তে। এখন নতুন অধিনায়ক খুঁজে পেতেই সমস্যা। বিসিবি কাপ নামে এক টুর্নামেন্ট হচ্ছে, সেটি নাকি জাতীয় দলের অধিনায়ক খোঁজারও ট্রায়াল। একটা টেস্ট দলের অধিনায়ক খোঁজার এই প্রক্রিয়া বিশ্ব ক্রিকেটে হাস্যরসের খোরাক হতে বাধ্য।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব অনেক কঠিন কাজ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব তো আরও। গত কিছুদিন সেটি ক্রমেই আরও কঠিন হয়েছে। একটা সময় বাংলাদেশের মানুষ সম্মানজনক পরাজয়ে খুশি থাকত। এখন তারা চায় জয়। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ এই পালাবদলের সময়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সাকিবের চেয়ে যোগ্যতর কাউকে দেখছেন না, ‘সাকিব ক্যাপ্টেন হিসেবেও খুব ভালো পারফরমার ছিল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনটিতেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারত। ওকে সরিয়ে দেওয়াটা একদমই ঠিক হয়নি। ওর কোনো সমস্যা থাকলে ক্রিকেট বোর্ডের উচিত ছিল, ওকে সাহায্য করা। আমি তো বলব, কিছু মানুষের সঙ্গে রেষারেষির কারণেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত একটা ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’
জেমি সিডন্স ওয়েলিংটন থেকে যা বলেছেন, খালেদ মাসুদের কথায়ও তারই প্রতিধ্বনি, ‘সাকিবকে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন চলতে থাকলে একটা সময় আসবে, যখন কেউই বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন হতে চাইবে না।’
সাকিব-তামিমের সবকিছুই ভালো ছিল—এমন দাবি তাঁরাও করবেন না। কতই বা বয়স! সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়সই তো পাঁচ বছর হয়নি, তামিমের আরও কম। খালেদ মাসুদ যেমন বলছেন, ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছিল তাঁদের আরও পরিণত হতে সাহায্য করা। উল্টো তাঁদের শিক্ষা দেওয়াটাই হয়ে গেল বড়!
যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। ১১ বছর পরও বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের তলানিতে, বাকি বিশ্ব সুযোগ পেলেই বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশকে দয়া করে টেস্ট খেলতে দেওয়া হচ্ছে, ক্রিকেট বোর্ডের মহান পরিচালকগণ কি এর দায় স্বীকার করবেন?

0 comments:

Post a Comment