কিডনি বেচাকেনা বাণিজ্যের ঘটনায় জড়িত দালালদের হুমকিতে জয়পুরহাট কালাই উপজেলার উদয়পুর ও মাত্রা ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমত আতংকে দিন কাটাচ্ছে। দালালদের মধ্যে প্রধান হোতা তারেক আজিম, সাইফুল ইসলাম দাউদ ও আব্দুস সাত্তারসহ ছয়জন গ্রেফতার হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আসলেও টেলিফোনে পলাতক দালালরা হুমকি দিচ্ছে। তাদের রক্তের গ্রুপিংসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে প্রস্তুত রেখেছিল। তাদের মধ্যে নয়জন ঢাকায় এসে কিডনি বিক্রি করার বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা ছিল। দালালরা গ্রেফতার হয়েছে ও কিডনি বিক্রি করা বেআইনি, কিডনি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কিডনি দেয়ার ছয় মাস কিংবা এক বছর পর্যন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা ও চিকিত্সা সেবা নেয়া প্রয়োজন এসব কথা অবহিত হওয়ার পর নয়জন আর ঢাকায় আসেনি। তারা আর কিডনি বিক্রি করবে না বলে দালালদের সাফ জানিয়ে দেয়। ঐ সময় আছিলাম বোকা, এখন হলাম বুদ্ধিমান এবং আর প্রলোভন দিয়েও কাজ হবে না বলে দালালদের জানিয়েছে। পলাতক দালালরা তাদের ফোন করে ঢাকায় আসার জন্য নানাভাবে প্রলোভন দেখায় এবং না আসলে ধরে নিয়ে আসা হবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল দরিদ্র ও অশিক্ষিত নারী-পুরুষ ভয়ে বাড়ি থাকে না এবং অনেকে মুখ খোলেনি। নয়জনের একজন বাহুতি গ্রামের বাসিন্দা মিলন। সে ইত্তেফাককে জানায়, একই গ্রামের নয় জনকে এক সঙ্গে পরীক্ষা করে প্রস্তুত থাকার জন্য দালালরা জানিয়েছিল। ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এবং কিডনি বিক্রির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে তারা পত্রিকা, স্থানীয় পুলিশ ও স্বাস্থ্য প্রশাসনসহ বিভিন্নভাবে জানতে পারে। কিডনি দেয়ার পর সঠিকভাবে চিকিত্সা সেবা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। তারা এ সব কিছু জানার পর আর দালালদের কথা শুনতে নারাজ।
শুধু নয়জন নয়, দালালরা প্রায় দুই ডজন নারী-পুরুষকে কিডনি বিক্রি করার জন্য পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখে। কয়েকজনের পাসপোর্ট পর্যন্ত দালালরা করেছে। তাদেরকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। গত সপ্তাহে ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধি সরেজমিনে চার নম্বর উদয়পুর ইউনিয়ন ও এক নম্বর মাত্রা ইউনিয়নে গিয়ে নারী-পুরুষের সঙ্গে আলাপকালে তারা উক্ত তথ্য জানান। বাড়ি ঘরে কিডনি বিক্রেতা কিংবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত লোকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকে। তবে পুলিশ দেখলে বের হয়ে আসে। চার নম্বর উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের বেশ কিছুসংখ্যক নারী-পুরুষ কিডনি বিক্রি করেছে। এ বিষয়টি তিনি জানেন না। এমনকি একই বাড়ির পাশের ঘরের লোকও কিডনি বিক্রি করার কথা জানতো না, বিষয়টি এমনভাবে গোপন রাখা হতো। দালালদের পরামর্শে এ গোপনীয়তা বজায় রাখা হতো বলে বাসিন্দারা জানান।
জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, কালাই থানা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। দালালরা এখানে হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না। পলাতক দালালদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলছে। গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি চলছে নিরীহ লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বলে এসপি জানান।
শুধু নয়জন নয়, দালালরা প্রায় দুই ডজন নারী-পুরুষকে কিডনি বিক্রি করার জন্য পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখে। কয়েকজনের পাসপোর্ট পর্যন্ত দালালরা করেছে। তাদেরকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। গত সপ্তাহে ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধি সরেজমিনে চার নম্বর উদয়পুর ইউনিয়ন ও এক নম্বর মাত্রা ইউনিয়নে গিয়ে নারী-পুরুষের সঙ্গে আলাপকালে তারা উক্ত তথ্য জানান। বাড়ি ঘরে কিডনি বিক্রেতা কিংবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত লোকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকে। তবে পুলিশ দেখলে বের হয়ে আসে। চার নম্বর উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের বেশ কিছুসংখ্যক নারী-পুরুষ কিডনি বিক্রি করেছে। এ বিষয়টি তিনি জানেন না। এমনকি একই বাড়ির পাশের ঘরের লোকও কিডনি বিক্রি করার কথা জানতো না, বিষয়টি এমনভাবে গোপন রাখা হতো। দালালদের পরামর্শে এ গোপনীয়তা বজায় রাখা হতো বলে বাসিন্দারা জানান।
জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, কালাই থানা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। দালালরা এখানে হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না। পলাতক দালালদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলছে। গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি চলছে নিরীহ লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বলে এসপি জানান।
0 comments:
Post a Comment