SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

দায় অস্বীকার করলেন মইন উ আহমেদ

Posted by methun


জরুরি অবস্থায় সংঘাত ও ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নির্যাতিত ছাত্ররা মইন উ আহমেদকে দায়ী করলেও সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া বক্তব্যে সে দায় অস্বীকার করেছেন তৎকালীন এ সেনাপ্রধান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠিত একটি উপকমিটির সঙ্গে মঙ্গলবার টেলিকনফারেন্স করেন মইন। এতে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের অগাস্টের ঘটনা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত হলেও এতে তার কোনো ভূমিকা ছিলো না।

তবে পেছন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালনাকারী সেনাপ্রধানের এ বক্তব্য সন্তুষ্ট করতে পারেনি সংসদীয় কমিটিকে।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মইন উ আহমেদনের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের পর উপকমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান মেনন বলেন, "তিনি (মইন) বলেছেন, ওই সময় একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গেছে, পরবর্তী সময়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো, তা সামাল দিতে উপদেষ্টা মণ্ডলী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, তাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো ভূমিকা ছিলো না।"

চার বছর আগের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে সংসদীয় এ উপকমিটি এর আগে নির্যাতিত ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তব্য শুনেছিলো। তখন তারা ওই ঘটনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালনাকারীদের, বিশেষ করে মইন উ আহমেদকেই, দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলো।

এক সময়ের ছাত্র নেতা ও ডাকসুর ভিপি মেনন বলেন, "তার (মইন) বক্তব্য আমাদের খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারেনি।"

মঙ্গলবার উপকমিটির বৈঠকে নির্যাতিত দুই শিক্ষকও অংশ নেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক হারুণ অর রশীদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

কমিটির অন্য তিন সদস্য শাহ আলম, মির্জা আজম ও বীরেণ শিকদারও ছিলেন বৈঠকে।

জিমনেসিয়ামে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে সৈন্যদের তর্কাতর্কির জের ধরে ২০০৭ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় পুলিশ। তখন গ্রেপ্তার করা হয় চার জন শিক্ষকসহ অনেক ছাত্রকে। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয় তাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে সারাদেশে ছাত্রবিক্ষোভের মাধ্যমে। ফলে পিছু হটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনা পরিচালিত ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ওই সময়কার ঘটনার অনুসন্ধানে এ উপকমিটি করে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেনন হন উপকমিটির আহ্বায়ক।

সংসদীয় উপকমিটি গত বছর এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরুর পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছে। তবে ডাকা হলেও কমিটির সঙ্গে দেখা করতে আসেননি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ ও মইন উ আহমেদ।

এরপর কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলে মইন উ আহমেদ টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য দিতে রাজি হন।

গত ২৩ আগস্ট উপকমিটির বৈঠকে টেলি কনফারেন্সের দিন-তারিখ ঠিক হয়। এ বিষয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের অনুমতি নেওয়াসহ যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে কমিটি। সংসদীয় উপকমিটির সঙ্গে এটাই প্রথম কোনো টেলিকনফারেন্স।

মইনের সাড়া মিললেও বিদেশে অবস্থানরত ফখরুদ্দীন এখনো কিছু জানাননি। তবে তিনি এর আগে ই-মেইলে তার বক্তব্য পাঠালেও তা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মনে করছে সংসদীয় উপকমিটি।

মেনন আশা করেছেন, ফখরুদ্দীনও মইন উ আহমেদের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য নিয়ে হাজির হবেন।

0 comments:

Post a Comment