এমবিবিএস ও বিডিএসের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে মামলার বিবাদীদের একই সময়ের মধ্যে ওই দুই পরীক্ষার বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নপত্র ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যে এ পরীক্ষার ফলও প্রকাশ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক শাহ আব্দুল লতিফ বলেন, আদালত চাইলে তারা যেকোনো নথি দিতে প্রস্তুত।
আদালতের নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি দাবি করেন ভর্তি প্রক্রিয়া 'স্বচ্ছ' ছিল।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. গোলাম মোস্তফা রোববার সকালে এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ ইউসিফ।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ ইউসিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি প্রশ্নে ব্যাপক অসঙ্গতি রয়েছে। রিট আবেদনে আমরা এরকম চারটি অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে আমরা এরকম ২০টির মতো অসঙ্গতির কথা জানতে পেরেছি।"
"পরীক্ষা শেষে যেহেতু প্রশ্নপত্র রেখে দেওয়া হয়, তাই আমরা অসঙ্গতির সংখ্যা এখনই নিশ্চিত করতে পারছি না," বলেন ইউসিফ।
Ads by Cash-71
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment